প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ০১ নং আইন )

তৃতীয় অধ্যায়

পেনশন

পেনশন অনুমোদনের শর্তাবলি

১৩।  কোনো বিচারক অবসর গ্রহণ, পদত্যাগ বা চাকরি হইতে অপসারণের পর, নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, পেনশন প্রাপ্ত হইবেন, যদি তিনি-

(ক) অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর পেনশনযোগ্য কর্মকাল সমাপ্তির পর অবসর গ্রহণের বয়সসীমায় পৌঁছান; বা

(খ) ১০ (দশ) বৎসর পেনশনযোগ্য কর্মকাল সমাপ্তির পর, অবসর গ্রহণের বয়সসীমায় পৌঁছাইবার পূর্বেই পদত্যাগ করেন; বা

(গ) ৫ (পাঁচ) বৎসর পেনশনযোগ্য কর্মকাল সমাপ্তির পর অবসর গ্রহণের বয়সসীমায় পৌঁছাইবার পূর্বে চিকিৎসা প্রত্যয়নপত্রের ভিত্তিতে অসুস্থতাজনিত কারণে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন বা শারীরিক বা মানসিক অসমর্থতার জন্য কর্ম হইতে অপসারিত হন :

তবে শর্ত থাকে যে, দফা (ক) তে বর্ণিত কর্মকালের মেয়াদ ৩ (তিন) মাস বা তদনিম্ন সময়ের জন্য ঘাটতি থাকিলে প্রথম তপশিলের অংশ-১ এ বর্ণিত শর্ত পূরণের উদ্দেশ্যে কোনো বিচারকের পেনশন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে উক্তরূপ ঘাটতি পরিমার্জনযোগ্য হইবে।

ধারা ১৩ এর আওতাভুক্ত বিচারকদের পেনশন নির্ধারণ

১৪।  ধারা ১৩ এর অধীন পেনশন প্রাপ্তির অধিকারী কোনো বিচারকের পেনশনের পরিমাণ নিম্নরূপে নির্ধারিত হইবে, যথা :-

(ক) যিনি বিচারক হিসাবে নিয়োগলাভের পূর্বে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্য ছিলেন না, তিনি প্রথম তপশিলের অংশ-১ এ উল্লিখিত বিধান অনুযায়ী পেনশন প্রাপ্ত হইবেন; এবং

(খ) যিনি বিচারক হিসাবে নিয়োগলাভের পূর্বে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসে নিযুক্ত ছিলেন তিনি প্রথম তপশিলের অংশ-২ এ উল্লিখিত বিধান অনুযায়ী পেনশন প্রাপ্ত হইবেন, যদি না তিনি উক্ত তপশিলের অংশ-১ এ উল্লিখিত পেনশন বাছাই করেন।

ধারা ১৩ এর আওতাবহির্ভূত বিচারকগণের পেনশন নির্ধারণ

১৫।  কোনো বিচারক উক্ত পদে নিযুক্তির পূর্বে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসে কর্মরত থাকিলে এবং ধারা ১৩ তে উল্লিখিত শর্ত তাহার কর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না হইলে, তিনি বিচারক হিসাবে কর্মকালের পরিসমাপ্তিতে-

(ক) তাহার প্রাপ্য পেনশন নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিচারক হিসাবে নিযুক্তির পূর্বের কর্মের বা পদের অনুমোদিত পেনশনই বিবেচ্য হইবে এবং বিচারক হিসাবে তাহার কর্মকাল, পেনশন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পূর্বের কর্মের ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে এমনভাবে গণ্য করিতে হইবে যেন তিনি পূর্বের কর্মেই বহাল রহিয়াছেন; এবং

(খ) বিচারক হিসাবে কর্মকালের প্রত্যেক পূর্ণ বৎসরের জন্য অতিরিক্ত পেনশন ২৫০ (দুইশত পঞ্চাশ) টাকা মাসিক হারে প্রাপ্য হইবেন, যাহা সর্বোচ্চ মাসিক সাকূল্য ৮,৫০০ (আট হাজার পাঁচশত) টাকার অধিক হইবে না।

অস্থায়ী নিয়োগ সংক্রান্ত বিধান

১৬।  কোনো বিচারক বাংলাদেশের অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হিসাবে কার্যভার পালন করিলে এবং উক্ত কার্যভার পালনরত অবস্থায় প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হইলে, উক্ত কার্যভার পালনকালে প্রধান বিচারপতির কর্মকাল হিসাবে গণ্য হইবে।

অসাধারণ পেনশন

১৭। কোনো বিচারক কোনো সহিংস ঘটনায় আহত বা নিহত হইলে, উক্ত বিষয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কর্মচারীগণের জন্য প্রযোজ্য বিধিবিধান উক্ত বিচারকের ক্ষেত্রে, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, প্রযোজ্য হইবে এবং দ্বিতীয় তপশিলে উল্লিখিত হারে পেনশন এবং আনুতোষিক নির্ধারিত হইবে।

পেনশন মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ

১৮।  এই আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি, বিচারকগণের পেনশন ও আনুতোষিক মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ হইবেন।

পেনশন পুনঃস্থাপন

১৯।  শতভাগ পেনশন সমর্পণকারী অবসরপ্রাপ্ত বিচারকগণ, কেবল জীবিত থাকা সাপেক্ষে, চূড়ান্ত অবসর গ্রহণের তারিখ হইতে ১৫ (পনেরো) বৎসর অতিক্রান্ত হইবার পর পেনশন পুনঃস্থাপন করিতে পারিবেন।

অবসরভোগী বিচারকের ছুটি নগদায়ন

২০।  কোনো বিচারক অবসর গ্রহণকালে, ছুটির প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, ১৮ (আঠারো) মাসের ছুটি নগদায়ন সুবিধা প্রাপ্য হইবেন।

আনুতোষিক ও পারিবারিক পেনশন

২১।  (১) ধারা ১৪ এর দফা (ক) এর বিধান অনুযায়ী কোনো বিচারক অবসরের পর বা তাহার মৃত্যুতে তাহার পরিবার যে পরিমাণ গ্রস-পেনশন প্রাপ্য হইবেন, উহার অর্ধেক বাধ্যতামূলকভাবে সমর্পণ করিতে হইবে এবং সমর্পণকৃত অর্থের জন্য নিম্নবর্ণিত সুবিধাদি প্রাপ্য হইবেন, যথা :-

(ক) পেনশনযোগ্য কর্মকাল ৩ (তিন) বৎসর বা উহার অধিক কিন্তু ৫ (পাঁচ) বৎসরের কম হইলে, অবসর গ্রহণের পর বা অবসর গ্রহণের পূর্বে মৃত্যুবরণ করিলে ৩ (তিন) মাসের বেতনের সমপরিমাণ আনুতোষিক;

(খ) পেনশনযোগ্য কর্মকাল ৫ (পাঁচ) বৎসর বা তাহার অধিককাল হইলে, সমর্পণকৃত প্রতি ১ (এক) টাকার জন্য নিম্নবর্ণিত হারে আনুতোষিক, যথা :-

(অ) অবসর গ্রহণকালে অন্যূন ৪০ (চল্লিশ) বৎসর কিন্তু অনধিক ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) বৎসর হইলে ২৬০ (দুইশত ষাট) টাকা;

(আ) অবসর গ্রহণকালে অন্যূন ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) বৎসর কিন্তু অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) বৎসর হইলে ২৪৫ (দুইশত পঁয়তাল্লিশ) টাকা;

(ই) অবসর গ্রহণকালে ৫০ (পঞ্চাশ) বৎসর বা ততোধিক হইলে ২৩০ (দুইশত ত্রিশ) টাকা;

(ঈ) মাসিক পেনশন গ্রস-পেনশনের অর্ধেকের সমান হারে;

(গ) কোনো বিচারক ৫ (পাঁচ) বৎসর বা উহার অধিক পেনশনযোগ্য কর্মকাল শেষে অবসর গ্রহণের পূর্বে মৃত্যুবরণ করিলে, দফা (খ) অনুযায়ী আনুতোষিক এবং গ্রস-পেনশনের অর্ধেক হারে পারিবারিক পেনশন, যাহা কোনো বিচারক তাহার মৃত্যুর তারিখে অবসর গ্রহণ করিলে প্রাপ্য হইতেন;

(ঘ) কোনো বিচারক ৫ (পাঁচ) বৎসর বা উহার অধিক পেনশনযোগ্য কর্মকাল শেষে অবসর গ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করিলে মৃত্যুবরণের তারিখের পরবর্তী দিন হইতে গ্রস-পেনশনের অর্ধেক হারে পারিবারিক পেনশন।

(২) উপ-ধারা (৪) ও (৫) এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, যদি-

(ক) কোনো বিচারক, যাহার ক্ষেত্রে ধারা ১৪ এর দফা (ক) এর বিধান প্রযোজ্য হয় তিনি, ৫ (পাঁচ) বৎসর বা উহার অধিক পেনশনযোগ্য কর্মকাল অতিক্রম করিবার পর অবসর গ্রহণের পূর্বে অথবা অবসর গ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করেন, বা

(খ) কোনো বিচারক, যাহার ক্ষেত্রে ধারা ১৪ এর দফা (খ) এর বিধান প্রযোজ্য হয় তিনি, অবসর গ্রহণের পূর্বে অথবা অবসর গ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে উক্ত বিচারকের স্বামী বা স্ত্রী আমৃত্যু বা পুনঃবিবাহের পূর্ব পর্যন্ত, যাহা আগে ঘটিবে, অথবা প্রতিবন্ধী সন্তান বা সন্তানাদি তাহার বা তাহাদের মৃত্যু পর্যন্ত এবং পুত্র বা পুত্রগণ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর বয়স পর্যন্ত, অথবা অবিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত বা বিধবা কন্যা উক্ত বিচারক অবসর গ্রহণের পর ১৫ (পনেরো) বৎসরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করিলে ১৫ (পনেরো) বৎসর মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত, অথবা কোনো উত্তরাধিকারি না থাকিলে বিবাহিত কন্যা বা কন্যাগণ ও ২৫ (পঁচিশ) বৎসরের ঊর্ধ্বে, অথবা পুত্র বা পুত্রগণ উক্ত বিচারক অবসর গ্রহণের পর ১৫ (পনেরো) বৎসরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে-

১৫ (পনেরো) বৎসর মেয়াদপূর্তির বকেয়া মেয়াদ পর্যন্ত নিম্নবর্ণিত হারে পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন, যথা:-

(অ) অবসর গ্রহণের পূর্বে বিচারকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে, গ্রস-পেনশনের অর্ধেক, যাহা বিচারকের মৃত্যুর তারিখে অবসর গ্রহণ করিলে প্রাপ্য হইতেন; এবং

(আ) অবসর গ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করিলে গ্রস-পেনশনের অর্ধেক যাহা তাহার প্রকৃত অবসর গ্রহণের তারিখে অনুমোদিত পেনশন হিসাবে প্রাপ্য হইতেন।

(৩) কোনো বিচারক, অবসর গ্রহণের পর তাহার গ্রস-পেনশনের সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ সমর্পণের ক্ষেত্রে তিনি নিম্নবর্ণিত হারে সুবিধাদি প্রাপ্য হইবেন, যথা:-

(ক) গ্রস-পেনশনের প্রথম অর্ধাংশ সমর্পণের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) তে বর্ণিত সুবিধাসমূহ; এবং

(খ) গ্রস-পেনশনের অবশিষ্ট অংশের অর্ধাংশ সমর্পণের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) তে বর্ণিত সুবিধাসমূহ ৫০ (পঞ্চাশ) শতাংশ হারে:

তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোনো বিচারক একত্রে সমুদয় গ্রস-পেনশন সমর্পণ করেন, তবে তিনি এবং তাহার মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাহার পরিবার, উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) তে বর্ণিত মাসিক পেনশন সুবিধা প্রাপ্য হইবেন না।

(৪) কোনো বিচারক, অবসর গ্রহণের পূর্বে বা পরে যে কোনো সময়ে সমুদয় বা তৎকর্তৃক নির্ধারিত অনুপাতে পারিবারিক পেনশন গ্রহণের জন্য পরিবারের এক বা একাধিক সদস্যকে মনোনীত করিতে পারিবেন।

(৫) উপ-ধারা (৪) এ বর্ণিত মনোনীত সদস্যের অনুপস্থিতিতে, পরিবারে একাধিক সদস্য থাকিলে, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক উক্ত সদস্যদের মধ্যে পারিবারিক পেনশনের অনুপাত নির্ধারিত হইবে।

ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,-

(ক) ‘পরিবার’ অর্থ স্বামী বা স্ত্রী, এবং বিচারকের উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল সন্তান;

(খ) ‘গ্রস-পেনশন’ অর্থ কোনো বিচারকের পেনশনের কোনো অংশ সমর্পণ বা হ্রাসকরণের পূর্বে প্রদেয় সমুদয় পেনশন; এবং

(গ) ‘প্রতিবন্ধী সন্তান’ অর্থ যে কোনো বয়সের সন্তান যাহার সম্পর্কে নিবন্ধিত চিকিৎসক কর্তৃক এই মর্মে প্রত্যয়ন প্রদান করা হইয়াছে যে, উক্ত সন্তান তাহার শারীরিক বা মানসিক বৈকল্যের কারণে নিজের অথবা তাহার পরিবারের জীবনযাত্রা নির্বাহ করিতে অসমর্থ এবং উক্ত প্রত্যয়নপত্র প্রধান বিচারপতি কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক অনুস্বাক্ষরিত হইতে হইবে।

উৎসব ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতা

২২।  অবসর গ্রহণকারী বিচারকগণ উৎসব ভাতা ও বাংলা নববর্ষ ভাতা প্রাপ্য হইবেন।

ভবিষ্য তহবিল

২৩। (১) বিচারক হিসাবে নিয়োগলাভের পূর্বে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য ছিলেন না এইরূপ কোনো বিচারক, কর্মে যোগদানের তারিখ হইতে, সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধানাবলি মোতাবেক ভবিষ্য তহবিল সুবিধা প্রাপ্য হইবেন।

(২) বিচারক হিসাবে নিয়োগলাভের পূর্বে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে নিযুক্ত ছিলেন এইরূপ কোনো বিচারক, পূর্বের কর্মের ধারাবাহিকতায়, সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধানাবলি অনুযায়ী ভবিষ্য তহবিল সুবিধাপ্রাপ্য হইবেন।

প্রধান বিচারপতির অবসরোত্তর বিশেষ ভাতা

২৪। কোনো অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি তাহার জীবদ্দশায় গৃহসহায়ক, গাড়িচালক, দারোয়ান সেবা, সাচিবিক সহায়তা এবং অফিস-কাম-রেসিডেন্সের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতি মাসে ৭০ (সত্তর) হাজার টাকা অবসরোত্তর বিশেষভাতা প্রাপ্য হইবেন।

কর্মের সহায়ক শর্তাবলি

২৫।  এই আইন এবং এতৎসংক্রান্ত বিষয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক, সময় সময়, জারিকৃত অন্যান্য বিধি-বিধান সাপেক্ষে কোনো বিচারকের অন্যান্য প্রাধিকার ও অধিকারসমূহ অথবা এই আইনের অধীন প্রাপ্য সুবিধাদি সরকারের সচিব পদে কর্মরত কোনো কর্মচারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধি-বিধান বা উক্ত ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণ সমরূপ কোনো বিধি-বিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোনো কিছুই বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস হইতে নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো সদস্য, যিনি বিচারক হিসাবে নিযুক্ত না হইলে উক্ত সার্ভিসের সদস্য ও কর্মের শর্ত হিসাবে যে সুবিধাদি প্রাপ্ত হইতেন তদপেক্ষা নিম্নতর সুবিধাদি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।

রহিতকরণ ও হেফাজতকরণ

২৬।  (১) Supreme Court Judges (Leave, Pension and Privileges) Ordinance, 1982 (Ordinance No. XX of 1982), অতঃপর রহিতকৃত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।

(২) উপধারা (১) এ অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিতকৃত Ordinance এর অধীন-

(ক) কৃত কোনো কার্য বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বা সূচিত কোনো কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

(খ) জারিকৃত কোনো প্রজ্ঞাপন এবং প্রদত্ত কোনো আদেশ উক্তরূপ রহিত হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, উহা এই আইনের বিধানাবলির সহিত সামঞ্জ্যস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন জারিকৃত এবং প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

(গ) কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এই আইনের অধীন নিষ্পন্ন করিতে হইবে।

ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ

২৭। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।

(২) এই আইন ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs