প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ০১ নং আইন )

তৃতীয় অধ্যায়

পেনশন

আনুতোষিক ও পারিবারিক পেনশন

২১।  (১) ধারা ১৪ এর দফা (ক) এর বিধান অনুযায়ী কোনো বিচারক অবসরের পর বা তাহার মৃত্যুতে তাহার পরিবার যে পরিমাণ গ্রস-পেনশন প্রাপ্য হইবেন, উহার অর্ধেক বাধ্যতামূলকভাবে সমর্পণ করিতে হইবে এবং সমর্পণকৃত অর্থের জন্য নিম্নবর্ণিত সুবিধাদি প্রাপ্য হইবেন, যথা :-

(ক) পেনশনযোগ্য কর্মকাল ৩ (তিন) বৎসর বা উহার অধিক কিন্তু ৫ (পাঁচ) বৎসরের কম হইলে, অবসর গ্রহণের পর বা অবসর গ্রহণের পূর্বে মৃত্যুবরণ করিলে ৩ (তিন) মাসের বেতনের সমপরিমাণ আনুতোষিক;

(খ) পেনশনযোগ্য কর্মকাল ৫ (পাঁচ) বৎসর বা তাহার অধিককাল হইলে, সমর্পণকৃত প্রতি ১ (এক) টাকার জন্য নিম্নবর্ণিত হারে আনুতোষিক, যথা :-

(অ) অবসর গ্রহণকালে অন্যূন ৪০ (চল্লিশ) বৎসর কিন্তু অনধিক ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) বৎসর হইলে ২৬০ (দুইশত ষাট) টাকা;

(আ) অবসর গ্রহণকালে অন্যূন ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) বৎসর কিন্তু অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) বৎসর হইলে ২৪৫ (দুইশত পঁয়তাল্লিশ) টাকা;

(ই) অবসর গ্রহণকালে ৫০ (পঞ্চাশ) বৎসর বা ততোধিক হইলে ২৩০ (দুইশত ত্রিশ) টাকা;

(ঈ) মাসিক পেনশন গ্রস-পেনশনের অর্ধেকের সমান হারে;

(গ) কোনো বিচারক ৫ (পাঁচ) বৎসর বা উহার অধিক পেনশনযোগ্য কর্মকাল শেষে অবসর গ্রহণের পূর্বে মৃত্যুবরণ করিলে, দফা (খ) অনুযায়ী আনুতোষিক এবং গ্রস-পেনশনের অর্ধেক হারে পারিবারিক পেনশন, যাহা কোনো বিচারক তাহার মৃত্যুর তারিখে অবসর গ্রহণ করিলে প্রাপ্য হইতেন;

(ঘ) কোনো বিচারক ৫ (পাঁচ) বৎসর বা উহার অধিক পেনশনযোগ্য কর্মকাল শেষে অবসর গ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করিলে মৃত্যুবরণের তারিখের পরবর্তী দিন হইতে গ্রস-পেনশনের অর্ধেক হারে পারিবারিক পেনশন।

(২) উপ-ধারা (৪) ও (৫) এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, যদি-

(ক) কোনো বিচারক, যাহার ক্ষেত্রে ধারা ১৪ এর দফা (ক) এর বিধান প্রযোজ্য হয় তিনি, ৫ (পাঁচ) বৎসর বা উহার অধিক পেনশনযোগ্য কর্মকাল অতিক্রম করিবার পর অবসর গ্রহণের পূর্বে অথবা অবসর গ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করেন, বা

(খ) কোনো বিচারক, যাহার ক্ষেত্রে ধারা ১৪ এর দফা (খ) এর বিধান প্রযোজ্য হয় তিনি, অবসর গ্রহণের পূর্বে অথবা অবসর গ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে উক্ত বিচারকের স্বামী বা স্ত্রী আমৃত্যু বা পুনঃবিবাহের পূর্ব পর্যন্ত, যাহা আগে ঘটিবে, অথবা প্রতিবন্ধী সন্তান বা সন্তানাদি তাহার বা তাহাদের মৃত্যু পর্যন্ত এবং পুত্র বা পুত্রগণ ২৫ (পঁচিশ) বৎসর বয়স পর্যন্ত, অথবা অবিবাহিত, তালাকপ্রাপ্ত বা বিধবা কন্যা উক্ত বিচারক অবসর গ্রহণের পর ১৫ (পনেরো) বৎসরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করিলে ১৫ (পনেরো) বৎসর মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত, অথবা কোনো উত্তরাধিকারি না থাকিলে বিবাহিত কন্যা বা কন্যাগণ ও ২৫ (পঁচিশ) বৎসরের ঊর্ধ্বে, অথবা পুত্র বা পুত্রগণ উক্ত বিচারক অবসর গ্রহণের পর ১৫ (পনেরো) বৎসরের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন, তাহা হইলে-

১৫ (পনেরো) বৎসর মেয়াদপূর্তির বকেয়া মেয়াদ পর্যন্ত নিম্নবর্ণিত হারে পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন, যথা:-

(অ) অবসর গ্রহণের পূর্বে বিচারকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে, গ্রস-পেনশনের অর্ধেক, যাহা বিচারকের মৃত্যুর তারিখে অবসর গ্রহণ করিলে প্রাপ্য হইতেন; এবং

(আ) অবসর গ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করিলে গ্রস-পেনশনের অর্ধেক যাহা তাহার প্রকৃত অবসর গ্রহণের তারিখে অনুমোদিত পেনশন হিসাবে প্রাপ্য হইতেন।

(৩) কোনো বিচারক, অবসর গ্রহণের পর তাহার গ্রস-পেনশনের সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ সমর্পণের ক্ষেত্রে তিনি নিম্নবর্ণিত হারে সুবিধাদি প্রাপ্য হইবেন, যথা:-

(ক) গ্রস-পেনশনের প্রথম অর্ধাংশ সমর্পণের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) তে বর্ণিত সুবিধাসমূহ; এবং

(খ) গ্রস-পেনশনের অবশিষ্ট অংশের অর্ধাংশ সমর্পণের ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) তে বর্ণিত সুবিধাসমূহ ৫০ (পঞ্চাশ) শতাংশ হারে:

তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোনো বিচারক একত্রে সমুদয় গ্রস-পেনশন সমর্পণ করেন, তবে তিনি এবং তাহার মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাহার পরিবার, উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) তে বর্ণিত মাসিক পেনশন সুবিধা প্রাপ্য হইবেন না।

(৪) কোনো বিচারক, অবসর গ্রহণের পূর্বে বা পরে যে কোনো সময়ে সমুদয় বা তৎকর্তৃক নির্ধারিত অনুপাতে পারিবারিক পেনশন গ্রহণের জন্য পরিবারের এক বা একাধিক সদস্যকে মনোনীত করিতে পারিবেন।

(৫) উপ-ধারা (৪) এ বর্ণিত মনোনীত সদস্যের অনুপস্থিতিতে, পরিবারে একাধিক সদস্য থাকিলে, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক উক্ত সদস্যদের মধ্যে পারিবারিক পেনশনের অনুপাত নির্ধারিত হইবে।

ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,-

(ক) ‘পরিবার’ অর্থ স্বামী বা স্ত্রী, এবং বিচারকের উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল সন্তান;

(খ) ‘গ্রস-পেনশন’ অর্থ কোনো বিচারকের পেনশনের কোনো অংশ সমর্পণ বা হ্রাসকরণের পূর্বে প্রদেয় সমুদয় পেনশন; এবং

(গ) ‘প্রতিবন্ধী সন্তান’ অর্থ যে কোনো বয়সের সন্তান যাহার সম্পর্কে নিবন্ধিত চিকিৎসক কর্তৃক এই মর্মে প্রত্যয়ন প্রদান করা হইয়াছে যে, উক্ত সন্তান তাহার শারীরিক বা মানসিক বৈকল্যের কারণে নিজের অথবা তাহার পরিবারের জীবনযাত্রা নির্বাহ করিতে অসমর্থ এবং উক্ত প্রত্যয়নপত্র প্রধান বিচারপতি কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক অনুস্বাক্ষরিত হইতে হইবে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs