প্রিন্ট ভিউ

আয়কর আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ১২ নং আইন )

প্রথম অধ্যায়

কর ধার্যকরণের ভিত্তি

কর ধার্যকরণ

১৮। (১) কোনো আয়বর্ষে কোনো ব্যক্তির মোট আয়ের ভিত্তিতে আয়কর ধার্য, আরোপ, পরিশোধ বা সংগ্রহ করা হইবে।

(২) এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইনের অধীন কোনো করবর্ষভিত্তিক নির্ধারিত হারে আয়কর ধার্য, আরোপ, পরিশোধ বা সংগ্রহ করা হইবে:

তবে আয়বর্ষ ব্যতীত অন্য কোনো মেয়াদে অর্জিত আয়ের উপর নির্ধারিত হারে আয়কর ধার্য, আরোপ, পরিশোধ বা সংগ্রহ করা যাইবে।

(৩) এই আইনের বিধানানুযায়ী নিম্নবর্ণিত করাদি ধার্য, আরোপ, পরিশোধ বা সংগ্রহ করা হইবে, যথা:-

(ক) উৎসে কর;

(খ) অগ্রিম আয়কর;

(গ) ন্যূনতম কর; এবং

(ঘ) অন্য কোনো কর।

(৪) এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইনের অধীন নির্ধারিত হারে ও প্রকৃতিতে সারচার্জ অথবা অন্য কোনো চার্জ ধার্য, আরোপ বা সংগ্রহ করা হইবে।

(৫) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে অংশ ৭ এবং সপ্তম তফসিলে বর্ণিত হারে কর আরোপিত হইবে, যথা:-

(ক) মূলধনি আয় হিসাবে পরিগণিত যেকোনো আয়;

(খ) লভ্যাংশ হিসাবে পরিগণিত যেকোনো আয়; এবং

(গ) লটারি, শব্দজট, কার্ড গেইম, অনলাইন গেইম অথবা এইরূপ যেকোনো প্রকৃতির খেলায় জয় লাভ করিয়া কোনো অর্থ প্রাপ্ত হইলে এইরূপ প্রাপ্তি।

অতিরিক্ত কর আরোপ

১৯। এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক নহে এইরূপ 1[কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তিকে কোনো আয়বর্ষে তাহার ব্যবসায় নিয়োগ] প্রদান বা কর্মের সুযোগ প্রদান করিলে এইরূপ ব্যক্তি এই আইনের অধীন প্রদেয় করের ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) বা ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা, এই দুইয়ের মধ্যে যাহা অধিক, অতিরিক্ত কর হিসাবে পরিশোধ করিবে।

[বিলুপ্ত]

2[***]

রিটার্নে অপ্রদর্শিত বিদেশস্থ সম্পত্তির উপর জরিমানা আরোপ

২১। (১) যেইক্ষেত্রে কোনো নিবাসী বাংলাদেশি 3[করদাতা বা জন্মসূত্রে বাংলাদেশী ছিলেন বা আছেন এইরূপ] করদাতার রিটার্নে প্রদর্শিত নহে, এইরূপ কোনো বিদেশস্থ সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া যায় এবং করদাতা উক্তরূপ সম্পত্তি অর্জনের উৎস বা প্রকৃতি সম্পর্কে কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা উপস্থাপন করিতে ব্যর্থ হন অথবা উপস্থাপিত ব্যাখ্যা উপকর কমিশনারের নিকট সন্তোষজনক প্রতীয়মান না হয়, সেইক্ষত্রে উপকর কমিশনার বিদেশস্থ সম্পত্তির ন্যায্য বাজার মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা হিসাবে উক্ত করদাতার উপর আরোপ করিবেন এবং আদায় করিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান এই আইন বা বাংলাদেশে বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন উদ্ভূত কোনো দায়কে ক্ষুণ্ন করিবে না।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে করদাতাকে যুক্তিসংগত শুনানির সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।

(৪) উপকর কমিশনার উপ-ধারা (১) এর অধীন আরোপিত জরিমানা করদাতার কোনো পরিসম্পদ বা করদাতার পক্ষে অন্য কেহ কোনো পরিসম্পদ ধারণ করিলে তাহা বিক্রয় বা বাজেয়াপ্ত করিয়া আদায় করিতে পারিবেন।

(৫) যেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনারের বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, করদাতার রিটার্নে অপ্রদর্শিত বিদেশস্থ সম্পত্তি রহিয়াছে, সেইক্ষেত্রে তিনি উক্ত সম্পত্তির বিষয়ে দেশে ও বিদেশে তদন্ত করিতে পারিবেন।

(৬) বোর্ড, রিটার্নে অপ্রদর্শিত কোনো সম্পত্তি ধারণ প্রতিরোধে বা বিদেশে পাচারকৃত কোনো সম্পত্তি উদ্ধারে-

(ক) যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে সেইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে; বা

(খ) উপকর কমিশনারের নিম্নে নহে এইরূপ যেকোনো আয়কর কর্তৃপক্ষকে অনুসন্ধান বা তদন্ত পরিচালনার নিমিত্ত সম্মতি প্রদান, অনুমতি প্রদান বা ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

স্টক লভ্যাংশের উপর কর আরোপ

২৩। এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো আয়বর্ষে কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন নিগমিত এবং বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি কর্তৃক ঘোষিত বা বিতরণকৃত স্টক লভ্যাংশ ঘোষিত বা বিতরণকৃত নগদ লভ্যাংশকে অতিক্রম করিলে অথবা নগদ লভ্যাংশ ব্যতীত কেবল স্টক লভ্যাংশের ঘোষণা বা বিতরণ করা হইলে, সেই আয়বর্ষে কোম্পানি কর্তৃক ঘোষিত বা বিতরণকৃত স্টক লভ্যাংশের উপর ১০% (দশ শতাংশ) হারে কর প্রদেয় হইবে।

বিশেষ কর প্রদানের মাধ্যমে বিনিয়োগ বা আয়ের স্বপ্রণোদিত প্রদর্শন, ইত্যাদি

২৪। (১) যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো বিনিয়োগের উপর প্রথম তফসিলে নির্ধারিত হারে এবং শর্তে কর পরিশোধ করিলে সেই বিনিয়োগের উৎস এই আইনের বিধান মোতাবেক ব্যাখ্যায়িত বলিয়া গণ্য করিবার বিধান করা হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে উক্ত বিনিয়োগ উক্তরূপে ব্যাখ্যায়িত বলিয়া গণ্য হইবে।

(২) যেইক্ষেত্রে প্রথম তফসিলে নির্ধারিত হারে কর ও প্রযোজ্য অন্যান্য অর্থ পরিশোধ এবং তফসিলে বর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে, এই আইনের বিধান মোতাবেক কোনো ব্যক্তিকে কোনো অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শনের সুযোগ প্রদান করা হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে উক্তরূপে আয় প্রদর্শনের সুযোগ থাকিবে।

কর পরিগণনার বিশেষ বিধান

২৫। যেইক্ষেত্রে 4[চতুর্থ, পঞ্চম এবং] অষ্টম তফসিলে কোনো ব্যক্তি শ্রেণির আয় পরিগণনার জন্য বা কোনো নির্দিষ্ট আয় পরিগণনার জন্য বিশেষ বিধান করা হইয়াছে সেইক্ষেত্রে উক্তরূপে আয় পরিগণনা করিতে হইবে।


  • 1
    “কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তিকে কোনো আয়বর্ষে তাহার ব্যবসায় নিয়োগ” শব্দগুলি “কোনো ব্যক্তিকে কোনো আয়বর্ষে তাহার ব্যবসায় বা পেশায় নিয়োগ” শব্দগুলির পরিবর্তে অর্থ অধ্যাদেশ, ২০২৫ (২০২৫ সনের ২৮ নং অধ্যাদেশ) এর ৩৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৫ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 2
    ধারা ২০ অর্থ অধ্যাদেশ, ২০২৫ (২০২৫ সনের ২৮ নং অধ্যাদেশ) এর ৩৪ ধারাবলে বিলুপ্ত যাহা ২০২৫ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 3
    “করদাতা বা জন্মসূত্রে বাংলাদেশী ছিলেন বা আছেন এইরূপ” শব্দগুলি “নিবাসী বাংলাদেশি” শব্দগুলির পর অর্থ অধ্যাদেশ, ২০২৫ (২০২৫ সনের ২৮ নং অধ্যাদেশ) এর ৩৫ ধারাবলে সন্নিবেশিত যাহা ২০২৫ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 4
    “চতুর্থ, পঞ্চম এবং” শব্দগুলি ও চিহ্ন “যেইক্ষেত্রে” শব্দের পর অর্থ অধ্যাদেশ, ২০২৫ (২০২৫ সনের ২৮ নং অধ্যাদেশ) এর ৩৭ ধারাবলে সন্নিবেশিত যাহা ২০২৫ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs