প্রিন্ট ভিউ
দ্বিতীয় অধ্যায়
ট্রান্সফার প্রাইসিং
২৩৩। এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,-
(১) “আর্মস লেংথ প্রাইস” অর্থ কোনো লেনদেনের মূল্য যাহার শর্তাদি (যেমন মূল্য, মার্জিন বা মুনাফার বিভাজন) তুলনীয় পরিস্থিতির অধীন স্বাধীন সত্ত্বাসমূহের মধ্যে পরিচালিত কোনো তুলনীয় অনিয়ন্ত্রিত লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান শর্তাদি হইতে ভিন্ন হয় নাই;
(২) “সহযোগী প্রতিষ্ঠান” অর্থ কোনো প্রতিষ্ঠান যাহা প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে অথবা এক বা একাধিক মধ্যবর্তী সত্ত্বার মাধ্যমে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা বা নিয়ন্ত্রণ বা মূলধনে অংশগ্রহণ দ্বারা সম্পর্কিত, এবং অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সহিত নিম্নবর্ণিত সম্পর্কে আবদ্ধ থাকে, যথা:-
(ক) একই ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ (তাহার স্ত্রী/স্বামী, উত্তরসূরি বা পূর্বসূরিগণসহ), প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে বা এক) বা একাধিক মধ্যবর্তী সত্ত্বার মাধ্যমে, উভয় প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা বা নিয়ন্ত্রণ বা মূলধনে অংশগ্রহণ করে;
(খ) এক প্রতিষ্ঠান প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে অন্য প্রতিষ্ঠানের ২৫% (পঁচিশ শতাংশ) এর অধিক ভোটের ক্ষমতাসম্পন্ন শেয়ার ধারণ করে;
(গ) একই ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ [তাহার স্ত্রী/স্বামী, উত্তরসূরি বা প্রতিষ্ঠানের ২৫% (পঁচিশ শতাংশ) এর অধিক ভোটের ক্ষমতাসম্পন্ন পূর্বসূরিগণসহ], প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে উভয় শেয়ার ধারণ করে;
(ঘ) এক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ বা গভর্নিং বোর্ডের মোট সদস্যের অর্ধেকের অধিক সদস্য অন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন;
(ঙ) একটি প্রতিষ্ঠানের কোনো নির্বাহী পরিচালক বা গভর্নিং বোর্ডের নির্বাহী সদস্য অন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত বা উভয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি হন;
(চ) উভয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ বা গভর্নিং বোর্ডের মোট সদস্যের অর্ধেকের অধিক সদস্য একই ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন;
(ছ) উভয় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক বা নির্বাহী সদস্য একই ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন;
(জ) একটি প্রতিষ্ঠানের অন্য প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে নিয়ন্ত্রণ করিবার কার্যকর ক্ষমতা থাকে;
(ঝ) উভয় প্রতিষ্ঠান একই প্যারেন্ট কোম্পানি বা গ্রুপের সদস্য, সাবসিডিয়ারি বা কনসার্ন;
(ঞ) উভয় প্রতিষ্ঠান বিধি দ্বারা নির্ধারিত পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পর্কের ভিত্তিতে সম্বন্ধযুক্ত থাকে;
(ট) এক প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে অন্য প্রতিষ্ঠানের ক্রমযোজিত দায়ের পরিমাণ ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মোট সম্পদের বুক ভ্যালুর ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) এর অধিক হয়; বা
(ঠ) এক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রদত্ত গ্যারান্টির ক্রমযোজিত পরিমাণ অন্য প্রতিষ্ঠানের মোট দেনার বুক ভ্যালুর ১০% (দশ শতাংশ) এর অধিক হয়;।
(৩) “প্রতিষ্ঠান” অর্থ কোনো ব্যক্তি বা যেকোনো প্রকারের উদ্যোগ (উক্ত ব্যক্তি বা উদ্যোগের স্থায়ী স্থাপনাসহ);
(৪) “স্বাধীন প্রতিষ্ঠান” অর্থ সহযোগী প্রতিষ্ঠান নহে এইরূপ প্রতিষ্ঠান;
(৫) “আন্তর্জাতিক লেনদেন” অর্থ কোনো সহযোগী প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের মধ্যে, যাহার কোনো একটি বা উভয়ই অনিবাসী, ট্যানজিবল বা স্পর্শাতীত সম্পত্তি ক্রয়, বিক্রয় বা লিজ অথবা সেবা বিনিময়, বা অর্থ ধার দেওয়া বা নেওয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট কোনো লেনদেন, অথবা উক্ত প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের মুনাফা, আয়, ক্ষতি, পরিসম্পদ, আর্থিক অবস্থান বা অর্থনৈতিক মূল্যের সহিত সম্পর্কিত অন্য কোনো লেনদেনকে বুঝাইবে, এবং এর অন্তর্ভুক্ত হইবে খ এর সহিত গ এর কোনো লেনদেন যদি উক্ত লেনদেনের উপর ক এর কর্তৃত্ব থাকে, যেইক্ষেত্রে-
(ক) খ ও ক সহযোগী প্রতিষ্ঠান; এবং
(খ) গ, খ এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান নহে;
(৬) “সম্পত্তি” অর্থ পণ্য, আর্টিকেল, সামগ্রী বা আইটেম, পেটেন্ট, ইনভেনশন, ফর্মুলা, প্রসেস, নকশা, প্যাটার্ন, বাস্তবজ্ঞান, কপিরাইট, ট্রেডমার্ক, ট্রেড নাম, ব্রান্ড নাম, সাহিত্য, সংগীত বা শৈল্পিক কম্পোজিশন, ফ্রানসাইজি, লাইসেন্স বা চুক্তি, পদ্ধতি, প্রোগ্রাম, সফটওয়ার, ডাটাবেজ, সিস্টেম, কার্যপ্রণালি, প্রচারাভিযান, জরিপ, সমীক্ষা, পূর্বাভাস, প্রাক্কলন, ক্রেতা তালিকা, কারিগরি উপাত্ত, যেকোনো দৃষ্টিভঙ্গি বা বিজ্ঞাপন বা বিপণন, কোনো আইটেম যাহার প্রকৃত মূল্য রহিয়াছে বা যেকোনো স্পর্শাতীত সম্পত্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৭) “রেকর্ড” অর্থ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ধারণকৃত তথ্য, দলিল এবং রেকর্ড ও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৮) “ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তা” অর্থ ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তা হিসাবে বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষ;
(৯) ”লেনদেন” অর্থে দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যকার কোনো ব্যবস্থা, সমঝোতা বা কার্য অন্তর্ভুক্ত হইবে, তাহা আনুষ্ঠানিক বা লিখিত হউক বা না হউক বা যাহা কোনো আইনি কার্যধারার মাধ্যমে বলবৎযোগ্য করিবার ইচ্ছা থাকুক বা না থাকুক;
(১০) “অনিয়ন্ত্রিত লেনদেন” অর্থ সহযোগী প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংঘটিত কোনো লেনদেন।
২৩৪। অংশ ১৫ এর তৃতীয় অধ্যায় এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আন্তর্জাতিক লেনদেন হইতে উদ্ভূত কোনো আয় বা ব্যয়ের পরিমাণ আর্মস লেংথ প্রাইস বিবেচনাপূর্বক নির্ধারণ করিতে হইবে।
২৩৫। (১) লেনদেনের প্রকৃতি, নির্ভরযোগ্য তথ্যের প্রাপ্যতা, সম্পাদিত কার্যাদি, নিযুক্ত সম্পদ, গৃহীত ঝুঁকি কিংবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ফ্যক্টরের ভিত্তিতে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি সমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত পদ্ধতি (method) অনুসারে আন্তর্জাতিক লেনদেন সংক্রান্ত আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করিতে হইবে, যথা:-
(ক) কমপারেবল আনকন্ট্রোলড প্রাইস মেথড (comparable uncontrolled price method);
(খ) রিসেল প্রাইস মেথড (resale price method);
(গ) কস্ট প্লাস মেথড (cost plus method);
(ঘ) প্রফিট স্প্লিট মেথড (profit split method);
(ঙ) ট্রানজেকশনাল নেট মার্জিন মেথড (transactional net margin
method);
(চ) অন্য যেকোনো পদ্ধতি, যেইক্ষেত্রে প্রমাণ দেওয়া যায় যে,-
(অ) আন্তর্জাতিক লেনদেনের আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করিবার জন্য দফা (ক) হইতে (ঙ) এ উল্লিখিত কোনো পদ্ধতি যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রয়োগ করা সম্ভবপর নহে; এবং
(আ) উক্ত পদ্ধতি আর্মস লেংথ প্রাইসের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ ফলাফল প্রদান করে।
(২) যেইক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) বা (চ) এ উল্লিখিত পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোনো একটি পদ্ধতিকে সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত পদ্ধতি হিসাবে প্রয়োগ করা হয় এবং আর্মস লেংথ প্রাইসের ডাটাসেটে ৬ (ছয়) বা তাহার অধিক এন্ট্রি থাকে, সেইক্ষেত্রে উক্ত ডাটাসেটের ৩০ (ত্রিশ) হইতে ৭০ (সত্তর) পার্সেন্টাইল মধ্যে অবস্থিত ডাটা লইয়া একটি আর্মস লেংথ রেঞ্জ গঠন করিতে হইবে এবং নিম্নবর্ণিত শর্তানুসারে আমর্স লেংথ প্রাইস নির্ধারিত হইবে, যথা:-
(ক) যে মূল্যে প্রকৃত আন্তর্জাতিক লেনদেন সংঘটিত হইয়াছে তাহা যদি উপরি-বর্ণিত রেঞ্জের মধ্যে থাকে তবে উক্ত মূল্যই আর্মস লেংথ প্রাইস হিসাবে বিবেচিত হইবে;
(খ) যে মূল্যে প্রকৃত আন্তর্জাতিক লেনদেন সংঘটিত হইয়াছে তাহা যদি উপরোল্লিখিত রেঞ্জের মধ্যে না থাকে তবে ডাটাসেটের মধ্যমাকে আর্মস লেংথ প্রাইস ধরিতে হইবে;
(গ) যদি আর্মস লেংথ প্রাইসের ডাটাসেটে ছয়ের কম সংখ্যক এন্ট্রি থাকে, তবে ডাটাসেটের অন্তর্ভুক্ত সকল ভ্যালুর গাণিতিক গড়ই হইবে আমর্স লেংথ প্রাইস।
(৩) আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণের জন্য উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত মেথড বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রযোজ্য হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীন কোনো আন্তর্জাতিক লেনদেনের নির্ধারিত আর্মস লেংথ প্রাইসের ফলস্বরূপ প্রাপ্ত মোট আয় উক্ত আন্তর্জাতিক লেনদেন প্রকৃতপক্ষে যে মূল্যে সম্পন্ন হইয়াছিল সেই মূল্যই ধার্য বা পরিশোধিত বিবেচিত হইলে যে মোট আয় পাওয়া যেতো তাহা অপেক্ষা কম হইবে না।
(৪) যেইক্ষেত্রে অংশ ১০ এর অধীন কোনো কর নির্ধারণকালে উপকর কমিশনার এইরূপ অভিমত পোষণ করেন যে,-
(ক) করদাতা কর্তৃক আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য ধার্যকৃত বা পরিশোধিত মূল্য উপ-ধারা (১) ও (৩) অনুসারে নির্ধারণ করা হয় নাই;
(খ) করদাতা ধারা ২৩৭ অনুসারে তথ্য, দলিলাদি বা রেকর্ড রাখিতে ব্যর্থ হইয়াছে; বা
(গ) করদাতা কর্তৃক যে তথ্য বা উপাত্তের ভিত্তিতে আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করা হইয়াছে তাহা নির্ভরযোগ্য বা শুদ্ধ নহে,
সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার তাহার নিকট প্রাপ্য তথ্য বা দলিলাদি বা প্রমাণাদির ভিত্তিতে উপ-ধারা (১) ও (৩) এর বিধানাবলি অনুসারে উক্ত আন্তর্জাতিক লেনদেনের আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করিতে পারিবেন।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণের ক্ষেত্রে, উপকর কমিশনার তাহার নিকটে প্রাপ্য তথ্য বা দলিলাদি বা প্রমাণাদির ভিত্তিতে কেন আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করা হইবে না তৎমর্মে নোটিশ প্রদানপূর্বক নোটিশে উল্লিখিত তারিখ ও সময়ের মধ্যে করদাতাকে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করিবেন।
(৬) যেইক্ষেত্রে এই উপ-ধারা (৪) ও ধারা ২৩৬ এর উপ-ধারা (৪) এর অধীন আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করা হয়, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার উক্তরূপে নির্ধারিত আর্মস লেংথ প্রাইস বিবেচনা করিয়া লিখিত আদেশ দ্বারা করদাতার মোট আয় পরিগণনা শুরু করিবেন।
২৩৬। (১) ধারা ২৩৫ এই যাহা কিছুই থাকুক না কেন,-
(ক) বোর্ডের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে উপকর কমিশনার ধারা ২৩৫ এর অধীন আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণের বিষয়টি ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মচারীর কাছে প্রেরণ করিতে পারিবেন;
(খ) বোর্ডের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তা কোনো আন্তর্জাতিক লেনদেনের আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণের কার্যক্রম শুরু করিতে পারিবেন।
(২) যেইক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো রেফারেন্স অথবা কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হইবে, সেইক্ষেত্রে ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তা করদাতাকে বিচারাধীন আন্তর্জাতিক লেনদেনের আর্মস লেংথ প্রাইস পরিগণনা করিবার জন্য করদাতা যেসকল প্রমাণাদির উপর নির্ভর করিয়াছিল তাহা নোটিশে উল্লিখিত তারিখে উপস্থাপনের বা উপস্থাপন করানোর জন্য নোটিশ প্রদান করিবেন।
(৩) ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তা তাহার নিকট উপস্থাপিত প্রমাণ বা তিনি কোনো বিশেষ পয়েন্টে করদাতার নিকট বা অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে কোনো প্রমাণ অধিযাচন করিলে তৎসহ তাহার নিকট প্রাপ্ত বা উপস্থিত প্রমাণ বিবেচনা করিয়া এবং তাহার সংগৃহীত সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র বিবেচনাক্রমে লিখিত আদেশ দ্বারা ধারা ২৩৫ অনুসারে আন্তর্জাতিক লেনদেন সংক্রান্ত আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করিবেন এবং উপকর কমিশনারের নিকট তাহার একটি অনুলিপি প্রেরণ করিবেন।
(৪) উপকর কমিশনার উপ-ধারা (৩) এর অধীন আদেশের কপি প্রাপ্তির পর ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত আর্মস লেংথ প্রাইস অনুসারে করদাতার মোট আয় পরিগণনার কার্যক্রম শুরু করিবেন এবং এইরূপ আয় পরিগণনাকালে যদি কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির আয় পরিগণনা করিতে হয় তবে ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত আর্মস লেংথ প্রাইস এর ভিত্তিতে যে সমন্বয় পাওয়া যাইবে তাহা উক্ত ব্যক্তির আয় হিসাবে বিবেচিত হইবে এবং উক্ত আয়ের উপর নিয়মিত হারে কর আরোপিত হইবে।
(৫) ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তা তাহার নিজস্ব উদঘাটন অথবা করদাতা বা অন্য কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাহার নজরে আনিবার প্রেক্ষিতে পরিদৃষ্ট হন যে, উপ-ধারা (৩) এর অধীন তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশে এইরূপ ভুল রহিয়াছে যাহা রেকর্ডদৃষ্টে প্রতীয়মান, তাহা হইলে তিনি উক্ত ভুল সংশোধন করিতে পারিবেন এবং সেই অনুসারে এইক্ষেত্রে ধারা ৩৩০ এর বিধানাবলি, যতদূর সম্ভব, প্রযোজ্য হইবে।
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন কোনো সংশোধন করা হইলে, ট্রান্সফার প্রাইসিং কর্মকর্তা তাহার আদেশের একটি অনুলিপি উপকর কমিশনারের নিকট প্রেরণ করিবেন যিনি পরবর্তীতে উক্ত আদেশ অনুসারে কর নির্ধারণী আদেশ সংশোধন করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
২৩৭। (১) আন্তর্জাতিক লেনদেন রহিয়াছে এইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত তথ্য, দলিলাদি ও রেকর্ড সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধানাবলিকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, বোর্ড তথ্য, দলিলাদি ও রেকর্ড সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করিবার মেয়াদ বিধি দ্বারা নির্ধারণ করিতে পারিবে।
(৩) উপকর কমিশনার লিখিত নোটিশের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে উপ-ধারা (১) এর অধীন বিধি দ্বারা নির্ধারিত তথ্য, দলিলাদি ও রেকর্ড সরবরাহের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
২৩৮। আন্তর্জাতিক লেনদেন রহিয়াছে এইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তি রিটার্নের সহিত বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে একটি আন্তর্জাতিক লেনদেন সম্পর্কিত বিবরণী দাখিল করিবেন।
২৩৯। উপকর কমিশনার লিখিত নোটিশের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেন রহিয়াছে এইরূপ কোনো ব্যক্তিকে অথবা কোনো আয়বর্ষের হিসাব বহিতে সংরক্ষিত রেকর্ড অনুসারে ৩ (তিন) কোটি টাকার অধিক লেনদেন রহিয়াছে এইরূপ ব্যক্তিকে নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে ধারা ২৩৭ এর অধীন দাখিলকৃত সকল তথ্য, দলিলাদি ও রেকর্ড বা তাহার অংশবিশেষ সম্পর্কিত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বা কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট এর একটি প্রতিবেদন সরবরাহ করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।