প্রিন্ট ভিউ

আয়কর আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ১২ নং আইন )

তৃতীয় অধ্যায়

কর পরিহার রোধ সম্পর্কিত অন্যান্য বিধান

অনিবাসীর সহিত লেনদেনের মাধ্যমে কর পরিহার

২৪০। যেইক্ষেত্রে একজন নিবাসী ও একজন অনিবাসীর মধ্যে কোনো ব্যবসা পরিচালিত হয় এবং উপকর কমিশনারের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্কের ফলে ব্যবসায়ের কার্যক্রম এইরূপভাবে বিন্যস্ত করা হইয়াছে যে, উভয়ের মধ্যে সম্পাদিত ব্যবসায়িক লেনদেনের ফলস্বরূপ নিবাসী ব্যক্তির কোনো মুনাফা অর্জিত হয় নাই, অথবা হইলেও তাহা উক্ত ব্যবসার ঈপ্সিত স্বাভাবিক মুনাফা অপেক্ষা কম, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার উক্ত ব্যবসা হইতে নিবাসী ব্যক্তির উদ্ভূত হইতে পারে এইরূপ যুক্তিসঙ্গত আয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করিবেন এবং উক্তরূপ নির্ধারিত আয় নিবাসীর মোট আয়ের অন্তর্ভুক্ত করিবেন।

সম্পদ হস্তান্তরের মাধ্যমে কর পরিহার

২৪১। (১) একক বা সহযোগী কর্মকান্ডের সহিত সম্মিলিতভাবে, যেভাবে হউক না কেন, কোনো সম্পদ হস্তান্তরের কারণে বা ফলস্বরূপ কোনো আয় কোনো অনিবাসীকে প্রদেয় হলে উক্ত আয় এইরূপ কোনো ব্যক্তির আয় হিসাবে গণ্য হইবে যিনি-

(ক) এইরূপ হস্তান্তর বা সহযোগী কর্মকান্ডের মাধ্যমে এইরূপ কোনো অধিকার অর্জন করেন যাহার কারণে বা ফলশ্রুতিতে তিনি উক্ত অনিবাসীকে প্রদেয় আয় তাৎক্ষণিকভাবে বা পরবর্তীকালে ভোগ করিবার ক্ষমতা রাখেন;

(খ) এইরূপ লেনদেন বা সহযোগী কর্মকান্ডের সুবাদে যেকোনো সময় কোনো অর্থ যাহা ঋণ বা ঋণ পরিশোধের মাধ্যমে পরিশোধিত বা প্রদেয় অথবা অন্য কোনো অর্থ গ্রহণ করেন বা গ্রহণ করিবার অধিকার প্রাপ্ত হন, তবে আয় হিসাবে বা পূর্ণ আর্থিক মূল্য হিসাবে পরিশোধিত বা প্রদেয় কোনো অর্থ নহে।

(২) যে আয় একজন অনিবাসীকে প্রদেয় হয় এবং উপ-ধারা (১) এর অধীন উক্ত উপ-ধারায় বর্ণিত ব্যক্তির আয় হিসাবে গণ্য করা হয় সেই আয় এই আইনের সকল উদ্দেশ্যে আয় হিসাবে বিবেচিত হইবে, বর্ণিত আয় এই ধারার বিধান ব্যতীত অন্যভাবে করযোগ্য হউক বা না হউক ।

(৩) এই ধারার বিধানাবলি প্রয়োগ করা যাইবে না, যদি উপকর কমিশনার এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে-

(ক) এইরূপ হস্তান্তর বা সহযোগী কর্মকান্ডের মধ্যে করদায় পরিহারের এক বা একাধিক উদ্দেশ্য নিহিত ছিল না; বা

(খ) এইরূপ হস্তান্তর বা সহযোগী সকল কর্মকান্ডে প্রকৃত ব্যবসায়িক লেনদেন নিহিত ছিল এবং করদায় পরিহারের পরিকল্পনা নিহিত ছিল না।

(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন আয় হিসাবে গণ্য হইয়া করারোপিত হইয়াছে এমন কোনো আয় পুনর্বার কোনো ব্যক্তির আয়ের অংশ হিসাবে গণ্য করিয়া করারোপ করা যাইবে না।

(৫) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, কোনো ব্যক্তির কোনো অনিবাসীকে প্রদেয় আয় ভোগের ক্ষমতা রহিয়াছে মর্মে বিবেচিত হইবে, যদি-

(ক) যেকোনো সময় যেকোনো রূপে উক্ত ব্যক্তির সুবিধা নিশ্চিত করিবার জন্য এইরূপ আয় প্রকৃতপক্ষে পরিগণনা করা হইয়াছে;

(খ) এইরূপ আয়ের প্রাপ্তি বা আয় উদ্ভূত হইবার ফলশ্রুতিতে উক্ত ব্যক্তির দখলাধীন বা সুবিধাধীন কোনো সম্পদের মূল্যবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে;

(গ) উক্ত ব্যক্তি নিম্নবর্ণিতভাবে প্রদত্ত বা প্রদত্ত হইতে পারে এইরূপ সুবিধা যেকোনো সময় প্রাপ্ত হন বা প্রাপ্তির অধিকারী হন-

(অ) এইরূপ আয় হইতে; বা

(আ) এইরূপ অর্থ হইতে, যাহা উক্তরূপ আয় এবং উক্তরূপ আয়ের প্রতিরূপকারী সম্পদের উপর সহযোগী কর্মকাণ্ডের ফলশ্রুতিতে বা অনুক্রমিক ফলশ্রুতিতে উপলব্ধ হয় বা উপলব্ধ হইতে পারে;

(ঘ) এইরূপ ব্যক্তি নিযুক্তি, রদকরণ বা অন্য কোনোভাবে ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে অন্য কোনো ব্যক্তির সম্মতিতে বা সম্মতি ব্যতিরেকে এইরূপ আয়ের সুবিধা ভোগের ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন; বা

(ঙ) এইরূপ ব্যক্তি যেকোনো পদ্ধতিতেই উক্তরূপ আয়ের ব্যবহার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করিতে সক্ষম হন।

(৬) কোনো ব্যক্তির আয় ভোগের ক্ষমতা রহিয়াছে কিনা তাহা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে যেকোনো হস্তান্তর এবং সহযোগী কর্মকান্ডের ফলাফল ও প্রভাব বিবেচনা করিতে হইবে এবং এইরূপ হস্তান্তর বা সহযোগী কর্মকান্ডের ফলাফলস্বরূপ যেকোনো সময় এইরূপ ব্যক্তির নিকট উদ্ভূত যেকোনো প্রকৃতির বা ধরনের সুবিধা, যাহা উক্ত ব্যক্তির উপর বর্তায় তাহা বিবেচনা করিতে হইবে।

(৭) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,-

(ক) “পরিসম্পদ” বলিতে যেকোনো ধরনের সম্পত্তি বা অধিকারও অন্তর্ভুক্ত হইবে এবং যেইক্ষেত্রে হস্তান্তরিত সম্পদ কোনো অধিকার সেইক্ষেত্রে ‘হস্তান্তর’ বলিতে উক্তরূপ অধিকার সৃষ্টিও অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(খ) কোনো হস্তান্তরের ক্ষেত্রে “সহযোগী কর্মকাণ্ড” বলিতে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত নিম্নবর্ণিত বিষয় সম্পর্কিত কোনো কর্মকান্ডকে বুঝাইবে, যথা:-

(অ) হস্তান্তরিত কোনো সম্পদ;

(আ) উক্তরূপ সম্পদ হইতে উদ্ভূত কোনো আয়; বা

(ই) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো হস্তান্তরিত সম্পদের প্রতিরূপকারী কোনো সম্পদ, বা উক্ত সম্পদ হইতে উদ্ভূত পুঞ্জিভূত আয়;

(গ) “সুবিধা” বলিতে যেকোনো ধরনের পরিশোধ অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(ঘ) “হস্তান্তরিত সম্পদের প্রতিরূপকারী কোনো সম্পদ, বা উক্ত সম্পদ হইতে উদ্ভূত কোনো পুঞ্জিভূত” বলিতে উক্ত সম্পদ বা আয় বা পুঞ্জিভূত আয়ের হস্তান্তর যে কোম্পানির নিকট বা যে ব্যক্তির নিকট হইয়াছে সেই কোম্পানির শেয়ার বা দায়-দায়িত্বের উল্লেখ অথবা সেই ব্যক্তির দায়-দায়িত্বের উল্লেখও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং

(ঙ) বাংলাদেশের বাহিরে নিগমিত কোনো সংস্থা অনিবাসী হিসাবে গণ্য হইবে।

সিকিউরিটিজ লেনদেনের মাধ্যমে কর পরিহার

২৪২। (১) যেইক্ষেত্রে কোনো সিকিউরিটিজের মালিক তাহার সিকিউরিটিজ বিক্রয় বা হস্তান্তর করিবার পর পুনরায় তাহা ক্রয় বা অর্জন করেন, অথবা একই ধরনের সিকিউরিটিজ ক্রয় বা অর্জন করেন, এবং উক্তরূপ লেনদেনের ফলশ্রুতিতে মালিক কর্তৃক মূল সিকিউরিটিজের বিক্রয় বা হস্তান্তরের প্রেক্ষিতে প্রদেয় কোনো সুদ মালিক কর্তৃক প্রাপ্ত না হয়, সেইক্ষেত্রে পূর্বে উল্লিখিত প্রদেয় সুদ এই আইনের সকল উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, অন্য কোনো ব্যক্তির আয় না হইয়া তাহা উক্ত মালিকের আয় হিসাবে গণ্য হইবে, পূর্বে উল্লিখিত প্রদেয় সুদের উপর এই উপ-ধারার বিধান ব্যতীত অন্য কোনোভাবে কর আরোপ হউক বা না হউক।

(২) যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির আয়বর্ষের কোনো সময়ের জন্য কোনো সিকিউরিটিজে লাভভোগী হইবার স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা থাকে এবং উক্ত বৎসরের মধ্যে এইরূপ সিকিউরিটিজ বা তাহা হইতে উদ্ভূত আয়ের লেনদেনের ফলশ্রুতিতে তৎকর্তৃক আয় গৃহীত হয় নাই অথবা আয় হিসাবে যেই পরিমাণ অর্থ তিনি গ্রহণ করেন, তাহা যদি উক্ত সিকিউরিটিজ হইতে উল্লিখিত সময়ের আনুপাতিক হারে দিনের পর দিন যে পরিমাণে পুঞ্জিভূত ও অংশানুপাতে জমাকৃত হইতে পারিত তাহা অপেক্ষা কম হয়, তবে সেইক্ষেত্রে উক্ত সময়ে এইরূপ সিকিউরিটিজ হইতে উদ্ভূত সমুদয় আয় উক্ত ব্যক্তির আয় হিসাবে গণ্য হইবে।

(৩) যেইক্ষেত্রে আংশিক বা সম্পূর্ণ সিকিউরিটিজ লেনদেন সংক্রান্ত ব্যবসায় নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে সিকিউরিটিজ ক্রয় বা অর্জন করেন এবং উক্ত সিকিউরিটিজ উক্ত অপর ব্যক্তির নিকট পুনরায় বিক্রয় বা হস্তান্তর করেন অথবা তাহার নিকট একই ধরনের সিকিউরিটিজ বিক্রয় বা হস্তান্তর করেন এবং উক্ত লেনদেনের ফলশ্রুতিতে তৎকর্তৃক ক্রয়কৃত বা অর্জিত সিকিউরিটিজের জন্য প্রদেয় সুদ তিনি প্রাপ্য হওয়া সত্ত্বেও উক্ত আয় উপ-ধারা (১) এর বিধানাবলির কারণে তাহার আয় হিসাবে গণ্য হয় নাই, সেইক্ষেত্রে উক্ত লেনদেন সম্পর্কে এই আইনের যেকোনো উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, কোনো ধরনের আয় গণনাকল্পে উক্তরূপ ব্যবসা হইতে উদ্ভূত কোনো আয় বা লোকসান বিবেচিত হইবে না।

(৪) উপকর কমিশনার লিখিত নোটিশের মাধ্যমে, উক্ত নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যাহা ২৮ (আঠাশ) দিনের কম নহে, কোনো ব্যক্তিকে তাহার মালিকানাধীন সকল সিকিউরিটিজের বিবরণ বা নোটিশে বর্ণিত সময়ে যে সকল সিকিউরিটিজে এইরূপ ব্যক্তির সুবধিাভোগী হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা ছিল, সেইরূপ সিকিউরিটিজের বর্ণনা দাখিলের জন্য এবং এই ধারার অন্যান্য উদ্দেশ্যে ও সিকিউরিটিজ বাবদ প্রাপ্ত সুদের কর সংক্রান্ত হিসাব চূড়ান্ত করিবার লক্ষ্যে উপকর কমিশনার যেইরূপ প্রয়োজনীয় বিবেচনা করেন সেইরূপ অন্যান্য তথ্যাদি সরবরাহ করিবার নোটিশ প্রদান করিতে পারিবেন।

(৫) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,-

(ক) “সুদ” বলিতে লভ্যাংশও অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং

(খ) সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজের মোট নামমাত্র মূল্য অথবা তাহা ধারণ করিবার ফরম বা হস্তান্তরের পদ্ধতিতে যে পার্থক্যই থাকুক না কেন, এইরূপ সিকিউরিটিজ বলিতে সকল সিকিউরিটিজকে বুঝানো হইবে, যাহা তাহার মালিককে একই ব্যক্তির সুদ ও মুনাফার ক্ষেত্রে একই প্রকার অধিকার প্রদান করিয়া এবং উক্ত অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একইরূপ সুযোগ প্রদান করে।

বাংলাদেশ ত্যাগকারী ব্যক্তির কর পরিশোধের সার্টিফিকেটের আবশ্যকতা

২৪৩। (১) বোর্ড কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত ব্যতিক্রম ব্যতীত, যে ব্যক্তি বাংলাদেশে ডমিসাইল নন অথবা যে ব্যক্তি বাংলাদেশে ডমিসাইল কিন্তু বাংলাদেশ ত্যাগের সময় আয়কর কর্তৃপক্ষের অভিমত এইরূপ যে তিনি বাংলাদেশে ফিরিয়া আসিবেন না, সেইক্ষেত্রে বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপকর কমিশনারের নিকট হইতে এই মর্মে নিম্নবর্ণিত সার্টিফিকেট ছাড়া তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করিতে পারিবেন না, যথা:-

(ক) কর পরিশোধের সার্টিফিকেট, বা

(খ) তিনি বাংলাদেশে ফিরিয়া আসিতে ইচ্ছুক থাকিলে, একটি অব্যাহতি সার্টিফিকেট, যাহা কেবল তখনই ইস্যু করা যাইবে যখন উপকর কমিশনার এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির এইরূপ ইচ্ছা আছে; এবং এইরূপ অব্যাহতি সার্টিফিকেট একবার ভ্রমণের ক্ষেত্রে বা সার্টিফিকেটে বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে একাধিকবার ভ্রমণের ক্ষেত্রে, প্রদান করা যাইতে পারে।

(২) কোনো বিমান বা জাহাজের মালিক অথবা চার্টারার উপ-ধারা (১) এর অধীন বর্ণিত কোনো ব্যক্তিকে যদি উক্ত উপ-ধারায় বর্ণিত সার্টিফিকেট ছাড়া সেইরূপ বিমান বা জাহাজ ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের যেকোনো স্থান হইতে বাংলাদেশের বাহিরে যেকোনো স্থানে ভ্রমণের অনুমতি দেন, সেইক্ষেত্রে উক্ত মালিক বা চার্টারারকে-

(ক) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত ব্যক্তির নিকট পাওনা কর বা তাহার নিকট পাওনা হইবে এবং তাহার দ্বারা প্রদেয় হইবে এইরূপ কর পরিশোধ করিতে হইবে এবং সর্বোচ্চ ২০ (বিশ) হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা পরিশোধ করিতে হইবে; এবং

(খ) সেইরূপ কর এবং জরিমানা আদায়ের উদ্দেশ্যে খেলাপি করদাতা হিসাবে গণ্য করা হইবে এবং এইক্ষেত্রে এই আইনের সকল বিধান প্রযোজ্য হইবে।

(৩) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,-

(ক) কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে “অব্যাহতি সার্টিফিকেট” বলিতে সার্টিফিকেটে উল্লিখিত এক বা একাধিকবার ভ্রমণের জন্য উক্ত ব্যক্তিকে কর পরিশোধ সার্টিফিকেট হইতে অব্যাহতি প্রদান করিবার উদ্দেশ্যে প্রদানকৃত সার্টিফিকেটকে বুঝাইবে;

(খ) “মালিক” অথবা “চার্টারার” বলিতে কোনো জাহাজ বা বিমানের মালিক অথবা চার্টারার কর্তৃক উক্ত জাহাজ বা বিমানে ভ্রমণের অধিকার ইস্যু করিবার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো প্রতিনিধি, এজেন্ট অথবা কর্মচারীও অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(গ) কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে “কর পরিশোধ সার্টিফিকেট” বলিতে এই আইন অথবা দানকর আইন, ১৯৯০ (১৯৯০ সনের ৪৪ নং আইন) এর অধীন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কোনো দায় নাই অথবা উক্ত ব্যক্তির সকল প্রকার কর পরিশোধের অথবা তাহার দ্বারা প্রদেয় বা প্রদেয় হইতে পারে এইরূপ যেকোনো প্রকার কর পরিশোধের উদ্দেশ্যে সন্তোষজনক ব্যবস্থা গৃহীত হইয়াছে মর্মে প্রদত্ত কোনো সার্টিফিকেটকে বুঝাইবে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs