প্রিন্ট ভিউ

আয়কর আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ১২ নং আইন )

প্রথম অধ্যায়

মোট আয়

মোট আয় পরিগণনা

২৯। সকল খাতের আয় যোগ করিয়া মোট আয় পরিগণনা করিতে হইবে।

আয়ের খাতসমূহ

৩০। এই আইনে ভিন্নরূপ কোনো কিছু না থাকিলে, আয়কর আরোপ এবং মোট আয় পরিগণনার জন্য, যেকোনো আয় নিম্নবর্ণিত কোনো একটি খাতে শ্রেণিবদ্ধ হইবে, যথা:-

(ক) চাকরি হইতে আয়;

(খ) ভাড়া হইতে আয়;

(গ) কৃষি হইতে আয়;

(ঘ) ব্যবসা হইতে আয়;

(ঙ) মূলধনি আয়;

(চ) আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয়;

(ছ) অন্যান্য উৎস হইতে আয়।

আয় একীভূতকরণ

৩১। (১) এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, নিম্নবর্ণিত আয়সমূহ কোনো ব্যক্তির মোট আয়ের অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:¾

(ক) উক্ত ব্যক্তি কোনো ফার্মের অংশীদার বা কোনো ব্যক্তিসংঘের সদস্য হইলে, উক্ত ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘের আয়ে তাহার অংশ;

(খ) উক্ত ব্যক্তির স্বামী বা স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয়, যদি¾

(অ) উক্ত স্বামী বা স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান তাহার উপর নির্ভরশীল হন;

(আ) এইরূপ আয়ের উপর উক্ত ব্যক্তির যুক্তিসঙ্গত নিয়ন্ত্রণ থাকে; বা

(ই) তিনি এইরূপ একীভূতকরণে ইচ্ছুক হন:

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত স্বামী বা স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের পৃথক কর নির্ধারণ করা হইলে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না।

1[***]

দ্বিতীয় অধ্যায়

চাকরি হইতে আয়

চাকরি হইতে আয়

৩২। (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, চাকরি হইতে আয় অর্থে নিম্নবর্ণিত আয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:¾

(ক) চাকরি হইতে প্রাপ্ত বা প্রাপ্য যেকোনো প্রকার আর্থিক প্রাপ্তি, বেতন ও সুযোগ-সুবিধা;

(খ) কর্মচারী শেয়ার স্কিম হইতে অর্জিত আয়;

(গ) কর অনারোপিত বকেয়া বেতন; বা

(ঘ) অতীত বা ভবিষ্যতের কোনো নিয়োগকর্তা হইতে প্রাপ্ত যেকোনো অঙ্ক বা সুবিধা।

(২) নিম্নবর্ণিত প্রাপ্তিসমূহ চাকরি হইতে আয় এর অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা:¾

(ক) শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নহে এইরূপ অন্য কোনো কর্মচারীর হার্ট, কিডনি, চক্ষু, লিভার ও ক্যানসার অপারেশন সংক্রান্ত চিকিৎসা ব্যয় বাবদ প্রাপ্ত অর্থ; বা

(খ) সম্পূর্ণরূপে এবং কেবল চাকরির দায়িত্ব পরিপালনের জন্য প্রাপ্ত এবং ব্যয়িত যাতায়াত ভাতা, ভ্রমণ ভাতা ও দৈনিক ভাতা।

ব্যাখ্যা।-এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,¾

(ক) “বেতন” অর্থ কর্মচারী কর্তৃক চাকরি হইতে প্রাপ্ত যেকোনো প্রকৃতির অঙ্ক এবং নিম্নবর্ণিত বিষয় ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:¾

(অ) যেকোনো বেতন, মজুরি বা পারিশ্রমিক;

(আ) যেকোনো ভাতা, ছুটি ভাতা, ছুটি নগদায়ন, বোনাস, ফি, কমিশন, ওভারটাইম;

(ই) অগ্রিম বেতন;

(ঈ) আনুতোষিক, অ্যানুইটি, পেনশন বা ইহাদের সম্পূরক;

(উ) পারকুইজিট‌;

(ঊ) বেতন বা মজুরির পরিবর্তে প্রাপ্তি অথবা বেতন বা মজুরির অতিরিক্ত প্রাপ্তি;

খ) “বেতন বা মজুরির পরিবর্তে প্রাপ্তি” অথবা “বেতন বা মজুরির অতিরিক্ত প্রাপ্তি” অর্থে অন্তর্ভুক্ত হইবে¾

(অ) চাকরির অবসানের কারণে প্রাপ্ত যেকোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ, উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন;

(আ) ভবিষ্য তহবিল বা অন্য কোনো তহবিলে কর্মচারীর অনুদানের অংশ ব্যতিরেকে অবশিষ্ট অংশ;

(ই) চাকরির চুক্তির শর্তাবলির পরিবর্তনের ফলে প্রাপ্ত অঙ্ক বা সুবিধাদির ন্যায্য বাজার মূল্য;

(ঈ) চাকরিতে যোগদানকালে বা চাকরির অন্য কোনো শর্তের অধীন প্রাপ্ত অঙ্ক বা সুবিধাদির ন্যায্য বাজার মূল্য;

(গ) “পারকুইজিট” অর্থ নিয়োগকর্তা কর্তৃক কর্মচারীকে প্রদত্ত ইনসেনটিভ বোনাসসহ যেকোনো প্রকারের পরিশোধ বা সুবিধা, তবে নিম্নবর্ণিত পরিশোধসমূহ ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা:¾

(অ) মূল বেতন, বকেয়া বেতন, অগ্রিম বেতন, উৎসব ভাতা,
ছুটি নগদায়ন ও ওভারটাইম;

(আ) স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিল, অনুমোদিত পেনশন তহবিল, অনুমোদিত আনুতোষিক তহবিল ও অনুমোদিত বার্ধক্য তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা;

(ঘ) “মূল বেতন” অর্থ মাসিক বা অন্য প্রকারে প্রদেয় বেতন যাহার ভিত্তিতে অন্যান্য ভাতা এবং সুবিধা নির্ধারিত হয়, তবে নিম্নবর্ণিত ভাতা বা সুবিধাদি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা:¾

(অ) সকল প্রকার ভাতা, পারকুইজিট, অ্যানুইটি, বোনাস ও সুবিধা; এবং

(আ) নিয়োগকর্তা কর্তৃক কর্মচারীর বিভিন্ন তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা;

(ঙ) “নিয়োগকর্তা” অর্থ যিনি নিয়োগ দান করিয়া থাকেন এবং বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করিয়া থাকেন বা নিয়োগকর্তার পক্ষে উক্ত কাজ সম্পন্নকারী ব্যক্তিও নিয়োগকর্তা হিসাবে গণ্য হইবেন।

পারকুইজিট, ভাতা ও সুবিধাদির আর্থিক মূল্য নির্ধারণ

৩৩। আর্থিক মূল্যে প্রদেয় পারকুইজিট, ভাতা ও সুবিধা ব্যতীত অন্যান্য পারকুইজিট, ভাতা ও সুবিধার আর্থিক মূল্য নিম্নবর্ণিত সারণী মোতাবেক নির্ধারিত হইবে, যথা:-

সারণী

 

 ক্রমিক নং

পারকুইজিট, ভাতা, সুবিধা, ইত্যাদি

নির্ধারিত মূল্য

()

()

()

আবাসন সুবিধা

() আবাসনের ভাড়া সম্পূর্ণভাবে নিয়োগকর্তা কর্তৃক পরিশোধিত হইলে অথবা নিয়োগকর্তা কর্তৃক আবাসনের ব্যবস্থা করা হইলে আবাসনের বার্ষিক মূল্য;

() হ্রাসকৃত ভাড়ায় প্রাপ্ত আবাসনের ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ () অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া এবং পরিশোধিত ভাড়ার পার্থক্য 

মোটরগাড়ি প্রতি সুবিধা

() ২৫০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ির ক্ষেত্রে মাসিক ১০ (দশ) হাজার টাকা;

()   ২৫০০ সিসির অধিক এইরূপ গাড়ির ক্ষেত্রে মাসিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা

অন্য কোনো পারকুইজিট, ভাতা বা সুবিধা

পারকুইজিট, ভাতা বা সুবিধার আর্থিক মূল্য বা ন্যায্য বাজার মূল্য

 

কর্মচারী শেয়ার স্কিম হইতে অর্জিত আয় নির্ধারণ

৩৪। (১) কর্মচারী শেয়ার স্কিম অর্থ কোনো চুক্তি বা ব্যবস্থাপনা যাহার অধীন একটি কোম্পানি-

(ক) তাহার কোনো কর্মচারী বা তাহার কোনো সহযোগী কোম্পানি কর্মচারী বরাবর শেয়ার ইস্যু করিতে পারিবে; বা

(খ) একটি ট্রাস্টের ট্রাস্টি বরাবর শেয়ার ইস্যু করিতে পারিবে এবং পরবর্তীতে ট্রাস্টি ট্রাস্টের দলিল মোতাবেক উক্ত শেয়ার উক্ত কোম্পানি বা তাহার কোনো সহযোগী কোম্পানি কোনো কর্মচারী বরাবর ইস্যু করিতে পারিবে।

(২) কর্মচারী শেয়ার স্কিমের অধীন শেয়ার প্রাপ্ত হইলে, শেয়ার প্রাপ্তির বৎসরে ক-খ নিয়মে আয় চাকরি হইতে আয়ের সহিত যোগ হইবে, যেখানে-

ক = প্রাপ্তির তারিখে শেয়ারের ন্যায্য বাজার মূল্য,

খ = শেয়ার অর্জনের ব্যয়।

(৩) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত শেয়ার অর্জনের ব্যয় বলিতে নিম্নবর্ণিত ব্যয়সমূহের যোগফল বুঝাইবে, যথা:-

(ক) কর্মচারী শেয়ার অর্জনে যদি কোনো মূল্য পরিশোধ করিয়া থাকেন;

(খ) কর্মচারী শেয়ার অর্জনের অধিকার বা সুযোগ আদায়ে যদি কোনো মূল্য পরিশোধ করিয়া থাকেন।

(৪) কর্মচারী শেয়ার স্কিমের অধীন শেয়ার অর্জনের প্রাপ্ত অধিকার বা সুযোগ কর্মচারী বিক্রয় বা হস্তান্তর করিলে চাকরি হইতে আয়ের সহিত ক-খ নিয়মে আয় যোগ হইবে, যেখানে-

ক = শেয়ার অর্জনের অধিকার বা সুযোগ বিক্রয় বা হস্তান্তর মূল্য,

খ = শেয়ার অর্জনের অধিকার বা সুযোগ আদায়ে পরিশোধিত মূল্য।

2[তৃতীয় অধ্যায়

ভাড়া হইতে আয়

সংজ্ঞা

৩৫। এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,—

(১) “গৃহসম্পত্তি” অর্থে যেকোনো গৃহসম্পত্তি, ভবন বা দালানসহ নিম্নবর্ণিত পরিসম্পদও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা—

(ক) আসবাবপত্র, ফিক্সার, ফিটিংস যাহা উক্ত গৃহের অবিচ্ছেদ্য অংশ; এবং

(খ) গৃহসম্পত্তি যে ভূমির উপর স্থাপিত উক্ত ভূমি:

তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ভবন বা দালান ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা:—

(অ) কোনো ভবন যাহা সম্পূর্ণরূপে গুদাম হিসাবে ব্যবহৃত হয়, বা

(আ) কোনো কারখানা ভবন যাহা প্ল্যান্ট ও মেশিনারি ভাড়া প্রদানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে ভাড়া প্রদান করা হয়;

(২) “ভাড়া প্রদান” অর্থ মালিকানা বা স্বত্ব ত্যাগ ব্যতিরেকে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সম্পত্তির ব্যবহারের অধিকার প্রদান, তবে স্বীয় মালিকানাধীন হউক বা না হউক, কোনো তফসিলি ব্যাংক, বিনিয়োগ ব্যাংক, কোনো উন্নয়নমূলক ফাইন্যান্স কোম্পানি অথবা মুদারাবা বা লিজিং কোম্পানি কর্তৃক অন্য কোনো ব্যক্তিকে ভাড়া প্রদান অন্তর্ভুক্ত হইবে না;

(৩) “সম্পত্তি” অর্থ গৃহসম্পত্তি, জমি, আসবাবপত্র, ফিক্সার, কারখানা ভবন, ব্যবসার আঙ্গিনা, যন্ত্রপাতি, ব্যক্তিগত যানবাহন ও মূলধনি প্রকৃতির অন্য কোনো ভৌত পরিসম্পদ, যাহা ভাড়া প্রদান করা যায়।

ভাড়া হইতে আয়

৩৬।  (১) কোনো ব্যক্তির কোনো সম্পত্তির ভাড়া প্রদান হইতে অর্জিত মোট ভাড়ামূল্য হইতে এই অধ্যায়ে বর্ণিত সর্বমোট অনুমোদনযোগ্য খরচ বাদ দিলে যাহা অবশিষ্ট থাকিবে, উহা হইবে উক্ত সম্পত্তি হইতে উক্ত ব্যক্তির ভাড়া হইতে আয়।

(২) কোনো ব্যক্তির সম্পত্তির কোনো অংশ উক্ত ব্যক্তির স্বীয় ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইলে বা উহা হইতে প্রাপ্ত আয় উক্ত ব্যক্তির ব্যবসা হইতে আয় খাতে পরিগণনাযোগ্য হইলে, উক্ত অংশের জন্য এই ধারা প্রযোজ্য হইবে না।

(৩) হোস্টেল, হোটেল, মোটেল বা রিসোর্টের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোনো সম্পত্তির ভাড়ার প্রকৃতি, কারবার, বাণিজ্য বা ব্যবসা নির্বিশেষে যে ধরনেরই হউক না কেন, উক্ত সম্পত্তি হইতে অর্জিত আয় “ভাড়া হইতে আয়” খাতের অধীন পরিগণনা করিতে হইবে।

মোট ভাড়ামূল্য পরিগণনা

৩৭।   (১) কোনো আয়বর্ষে কোনো ব্যক্তির স্বীয় মালিকানাধীন কোনো গৃহসম্পত্তির মোট ভাড়ামূল্য নিম্নবর্ণিত সূত্রানুযায়ী পরিগণিত হইবে, যথা:—

ক = (খ+গ+ঘ+ঙ)-চ, যেখানে—

ক = মোট ভাড়ামূল্য,

খ = নিম্নবর্ণিত অংকসমূহের মধ্যে যাহা অধিক হয় উহা, যথা:—

(অ) গৃহসম্পত্তি হইতে অর্জিত ভাড়ার পরিমাণ; বা

(আ) গৃহসম্পত্তির বার্ষিক মূল্য;

গ = উক্ত গৃহসম্পত্তির ভাড়া বাবদ গৃহীত সমন্বয়যোগ্য অগ্রিমের যতটুকু উক্ত আয়বর্ষে সমন্বয়কৃত হইয়াছে উহা:

তবে শর্ত থাকে যে, অসমন্বয়যোগ্য কোনো অগ্রিম বা নিরাপত্তা জামানত ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না,

ঘ = উক্ত আয়বর্ষে উক্ত গৃহসম্পত্তি ব্যবহার সূত্রে প্রাপ্ত সেলামী বা প্রিমিয়াম ব্যতীত অন্য যেকোনো অংক বা কোনো সুবিধার অর্থমূল্য, যাহা খ ও গ তে উল্লিখিত অংকের অতিরিক্ত,

ঙ = গৃহসম্পত্তির ভাড়াটিয়া কর্তৃক পরিশোধিত যেকোনো প্রকারের সার্ভিস চার্জ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ বা অন্য কোনো অর্থ, উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন,

চ = শূন্যতা ভাতা যাহা কেবল বিদ্যুৎ বিল উপস্থাপন সাপেক্ষে প্রমাণিত হইলে অনুমোদনযোগ্য হইবে।

(২) গৃহসম্পত্তি ব্যতীত অন্যান্য সম্পত্তির মোট ভাড়ামূল্য নিম্নবর্ণিত সূত্রানুযায়ী পরিগণিত হইবে, যথা:—

ক = (খ+গ+ঘ), যেখানে-

ক = মোট ভাড়ামূল্য,

খ = নিম্নবর্ণিত অংকসমূহের মধ্যে যাহা অধিক হয় উহা, যথা:—

(অ) সম্পত্তি হইতে অর্জিত ভাড়ার পরিমাণ; বা

(আ) সম্পত্তির বার্ষিক মূল্য;

গ = উক্ত সম্পত্তির ভাড়া বাবদ গৃহীত সমন্বয়যোগ্য অগ্রিমের যতটুকু উক্ত আয়বর্ষে সমন্বয়কৃত হইয়াছে উহা:

তবে শর্ত থাকে যে, অসমন্বয়যোগ্য কোনো অগ্রিম বা নিরাপত্তা জামানত ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না,

ঘ = অন্য কোনোভাবে সম্পত্তির ব্যবহার হইতে অর্জিত আয় এবং সম্পত্তি হইতে প্রাপ্ত অন্য যেকোনো অংক বা কোনো সুবিধার অর্থমূল্য, যাহা খ ও গ তে উল্লিখিত অংকের অতিরিক্ত।

ভাড়া হইতে প্রাপ্ত আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে অনুমোদনযোগ্য বিয়োজনসমূহ

৩৮।   (১) কোনো ব্যক্তির স্বীয় মালিকানাধীন গৃহসম্পত্তির ভাড়া হইতে প্রাপ্ত আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত খরচ বিয়োজনযোগ্য হইবে, যথা:—

(ক) কোনো গৃহসম্পত্তির ক্ষতি বা ধ্বংসের ঝুঁকির বিপরীতে কোনো বিমা করা হইলে তাহার জন্য পরিশোধিত প্রিমিয়াম;

(খ) গৃহসম্পত্তি অর্জন, নির্মাণ, সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের জন্য কোনো ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানি হইতে কোনো মূলধনি ঋণ গ্রহণ করা হইলে সেই ঋণের উপর পরিশোধিত সুদ বা মুনাফা;

(গ) গৃহসম্পত্তির উপর পরিশোধিত কোনো কর, ফি বা অন্য কোনো বার্ষিক চার্জ, যাহা মূলধনি চার্জ প্রকৃতির নহে;

(ঘ) গৃহসম্পত্তি অর্জন, নির্মাণ, মেরামত, নবনির্মাণ বা পুনঃনির্মাণের জন্য ব্যবহৃত কোনো মূলধনি ঋণের উপর কোনো ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানিকে ভাড়াপূর্ব সময়ে কোনো সুদ বা মুনাফা পরিশোধ করা হইয়া থাকিলে সেই সুদ বা মুনাফা ভাড়া শুরুর সহিত সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষ হইতে একাদিক্রমে মোট ৩ (তিন) আয়বর্ষে সমকিস্তিতে:

তবে শর্ত থাকে যে, ভাড়াপূর্ব সময়ের কোনো সুদ বা মুনাফা বা উহার কোনো অংশ, যদি থাকে, উক্ত বর্ণিত সময়ের পরে বিয়োজনযোগ্য হইবে না;

(ঙ) ভাড়া সংগ্রহ, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সার্ভিস চার্জ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ এবং অন্য কোনো মৌলিক সেবা সংক্রান্ত ব্যয়ের জন্য নিম্নবর্ণিত সারণীতে উল্লিখিত অংক, যথা:-

সারণী

ক্রমিক নং

সম্পত্তির ধরন

সংবিধিবদ্ধ বিয়োজন

(মোট ভাড়ামূল্যের

শতকরা হারে)

()

()

()

১।

বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত গৃহসম্পত্তি

৩০% (ত্রিশ শতাংশ)

২।

অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত গৃহসম্পত্তি

২৫% (পঁচিশ শতাংশ)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

(চ) গৃহসম্পত্তির আংশিক ভাড়া প্রদানের ক্ষেত্রে আংশিক ভাড়ার বিপরীতে আনুপাতিক হারে খরচ অনুমোদনযোগ্য হইবে;

(ছ) যেইক্ষেত্রে কোনো গৃহসম্পত্তি আয়বর্ষের অংশবিশেষের জন্য ভাড়া প্রদান করা হয়, সেইক্ষেত্রে ভাড়া প্রদানকৃত সময়ের আনুপাতিক হারে খরচ অনুমোদনযোগ্য হইবে।

(২) গৃহসম্পত্তি ভিন্ন অন্য কোনো সম্পত্তির ভাড়া হইতে আয় হিসাবের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত সীমা ও শর্ত সাপেক্ষে বিয়োজনসমূহ অনুমোদিত হইবে, যথা:—

(ক) ব্যবসা হইতে আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে ধারা ৪৯-৫৫ অনুযায়ী যে সকল বিয়োজন যে সকল সীমা ও শর্তে অনুমোদিত;

(খ) তৃতীয় তফসিল অনুযায়ী অনুমোদিত ভাতাসমূহ ব্যতীত অন্যান্য সকল বিয়োজন ব্যাংক ট্রান্সফার এর মাধ্যমে সম্পন্ন হইলে।

 

বিশেষ ভাড়া হইতে আয় পরিগণনা

৩৯।   (১) ধারা ৩৮ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ঙ) অনুযায়ী কোনো সংবিধিবদ্ধ বিয়োজনের কোনো অংশ অব্যয়িত বলিয়া দাবি করিলে, উহা বিশেষ ভাড়া হইতে আয় হিসাবে গণ্য হইবে।

(২) অ্যাকাউন্টিং সমন্বয়ের ক্ষেত্রসমূহ ব্যতীত, ধারা ৩৮ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী অননুমোদিত বিয়োজনসমূহ বিশেষ ভাড়া হইতে আয় হিসাবে গণ্য হইবে।

(৩) বিশেষ ভাড়া হইতে আয় হিসাবে পরিগণিত আয়ের বিপরীতে কোনো প্রকারের বিয়োজন, ক্ষতির সমন্বয় বা জের টানা ও তৃতীয় তফসিলের অধীন কোনো ভাতা অনুমোদিত হইবে না এবং এইরূপ আয়ের উপর সাধারণ করহারে করদায় নির্ধারিত হইবে।

চতুর্থ অধ্যায়

কৃষি হইতে আয়

কৃষি হইতে আয়

৪০। (১) কোনো ব্যক্তির কৃষি সম্পর্কিত কার্যাবলি হইতে অর্জিত আয় কৃষি হইতে আয় হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ হইবে।

(২) কোনো ব্যক্তি কর্তৃক উৎপাদিত ও প্রক্রিয়াকৃত চা এবং রাবার এর বিক্রয়লব্ধ অর্থের ৪০% (চল্লিশ শতাংশ) ব্যবসা আয় এবং ৬০% (ষাট শতাংশ) কৃষি হইতে আয় বলিয়া গণ্য হইবে।

(৩) কৃষি অর্থে যেকোনো প্রকার উদ্যান পালন, পশু-পাখি পালন, ভূমির প্রাকৃতিক ব্যবহার, হাস-মুরগি ও মাছের খামার, সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীর খামার, নার্সারি, ভূমিতে বা জলে যেকোনো প্রকারের চাষাবাদ, ডিম-দুধ উৎপাদন, কাঠ, তৃণ ও গুল্ম উৎপাদন, ফল, ফুল ও মধু উৎপাদন এবং বীজ উৎপাদন অন্তর্ভুক্ত হইবে।

বিশেষ কৃষি আয়

৪১। (১) ধারা ৪০ এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, বিশেষ কৃষি আয় গণনার ক্ষেত্রে এই ধারার বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

(২) কোনো পরিসম্পদ করদাতার ধারা ৪০ এর কৃষিকাজে ব্যবহৃত হইবার পর কোনো আয়বর্ষে বিক্রয় করা হইলে তাহা নিম্নবর্ণিতভাবে পরিগণিত হইবে, যথা:-

 

 

ক্রমিক নং

বিক্রয়লব্ধ অর্থ

আয় হিসাবে বিবেচিত অর্থের পরিমাণ

()

()

(৩)

১।

বিক্রয়লব্ধ অর্থ যদি পরিসম্পদের অর্জন মূল্য হইতে অধিক হয়

- এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত আয়বর্ষে সংশ্লিষ্ট করদাতারমূলধনি আয়শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে;

- এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত আয়বর্ষে সংশ্লিষ্ট করদাতারকৃষি হইতে আয়শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে

২।

বিক্রয়লব্ধ অর্থ যদি পরিসম্পদের অর্জন মূল্য হইতে অধিক না হয়, তবে অবলোপিত মূল্য হইতে অধিক হয়

- এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত আয়বর্ষে সংশ্লিষ্ট করদাতারকৃষি হইতে আয়শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে

(৩) কোনো আয়বর্ষে করদাতা কর্তৃক তাহার কৃষিকাজে ব্যবহৃত কোনো পরিসম্পদ পরিত্যক্ত, নিশ্চিহ্ন বা ধ্বংস হইবার কারণে কোনো বিমা, স্যালভেজ বা ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রাপ্ত অর্থ উক্ত পরিসম্পদের অবলোপিত মূল্যের অধিক হইলে উক্ত অর্থ নিম্নবর্ণিতভাবে কৃষি হইতে আয় খাতে অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:-

 

 

ক্রমিক নং

বিক্রয়লব্ধ অর্থ

আয় হিসাবে বিবেচিত অর্থের পরিমাণ

()

()

(৩)

১।

বিমা, স্যালভেজ বা ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ যদি পরিসম্পদের অর্জন মূল্য হইতে অধিক হয়

-  এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত আয়বর্ষে সংশ্লিষ্ট করদাতারমূলধনি আয়শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে;

-  এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত আয়বর্ষে সংশ্লিষ্ট করদাতারকৃষি হইতে আয়শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে

()

()

(৩)

২।

বিমা, স্যালভেজ বা ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ যদি পরিসম্পদের অর্জন মূল্য হইতে অধিক না হয়, তবে অবলোপিত মূল্য হইতে অধিক হয়

- এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত আয়বর্ষে সংশ্লিষ্ট করদাতারকৃষি হইতে আয়শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে

 

(৪) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,-

ক = পরিসম্পদের বিক্রয়লব্ধ অর্থ বা, ক্ষেত্রমত, পরিসম্পদের বিপরীতে বিমা, স্যালভেজ বা ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্ত অর্থ,

খ= পরিসম্পদের অর্জন মূল্য, এবং

গ= তৃতীয় তফসিলের অধীন অবচয় অনুমোদনের পর পরিসম্পদের গণনাকৃত অবলোপিত মূল্য,

-কে বুঝাইবে।

(৫) উপ-ধারা (২) এবং (৩) এর সারণির কলাম (২) অনুসারে বিক্রয়লব্ধ অর্থ বা, ক্ষেত্রমত, পরিসম্পদের বিপরীতে বিমা, স্যালভেজ বা ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্ত অর্থ এবং অবলোপিত মূল্যের পার্থক্য ঋণাত্মক হইলে ফলাফল ‘কৃষি হইতে আয়’ খাতে ব্যয়িত বলিয়া গণ্য হইবে এবং অনুমোদিত সাধারণ বিয়োজনের অন্তর্ভুক্ত হইবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

কৃষি হইতে আয় খাতে আয় গণনার ক্ষেত্রে অনুমোদিত সাধারণ বিয়োজনসমূহ

৪২। (১) এই আইনের অধীন, কোনো আয়বর্ষে কোনো ব্যক্তির কৃষি হইতে আয় খাতে করযোগ্য আয় গণনার ক্ষেত্রে, উক্ত বৎসরে করদাতা কর্তৃক, মূলধনি ব্যয় বা ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত, সর্ম্পূণরূপে এবং কেবল কৃষির উদ্দেশ্যে ব্যয়িত অর্থ বিয়োজন হিসাবে অনুমোদনযোগ্য হইবে এবং নিম্নবর্ণিত বিয়োজনসমূহ সাধারণ বিয়োজন হিসাবে গণ্য হইবে, যথা:-

(ক) কৃষির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ভূমি বা আঙ্গিনার উপর পরিশোধিত যেকোনো প্রকার কর, ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা;

(খ) কৃষির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ভূমি বা আঙ্গিনার জন্য পরিশোধযোগ্য ভাড়া, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ ব্যয় এবং চাষাবাদ ব্যয়;

(গ) কৃষির উদ্দেশ্যে গৃহীত ঋণের পরিশোধযোগ্য সুদ বা মুনাফা;

(ঘ) কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত এবং চাষাবাদের জন্য পালিত গবাদিপশুর লালন-পালন, তৎসংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াকরণ বা পরিবহণ সংক্রান্ত ব্যয়;

(ঙ) ভূমির বা আঙ্গিনার ক্ষতিপূরণে অথবা ভূমি বা আঙ্গিনা হইতে উৎপাদিত ফসল বা পণ্যের ক্ষতিপূরণে অথবা গবাদিপশু পালনে নিরাপত্তার লক্ষ্যে পরিশোধযোগ্য বিমার প্রিমিয়াম;

(চ) প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা অন্য কোনো প্রকার ক্ষতিসাধন হইতে কৃষিকে রক্ষার নিমিত্ত ব্যয়িত অর্থ;

(ছ) তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত অনুমোদিত সীমা অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত খরচসমূহ-

(অ) করদাতা কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কৃষিতে ব্যবহৃত সম্পদের অবচয়;

(আ)সংশ্লিষ্ট কৃষিকাজে ব্যবহৃত স্পর্শাতীত সম্পদের অ্যামোর্টাইজেশন;

(জ) যেইক্ষেত্রে করদাতার কৃষিকাজে ব্যবহৃত পশুর মৃত্যু হইয়াছে বা স্থায়ীভাবে অক্ষম হইয়া গিয়াছে সেইক্ষেত্রে উক্ত পশুর প্রকৃত ক্রয়মূল্য এবং, ক্ষেত্রমত, সেই পশু বিক্রয় বা তাহার মাংস বিক্রয় হইতে প্রাপ্ত অর্থ, এই দুইয়ের পার্থক্যের সমপরিমাণ অঙ্ক;

(ঝ) সরকার কর্তৃক স্পন্সরকৃত কৃষি সম্পর্কিত কোনো ডেলিগেশনের সদস্য হিসাবে বিদেশে সফর সম্পর্কিত কোনো নির্বাহকৃত ব্যয়, যাহা মূলধনি প্রকৃতির নহে;

(ঞ) বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হইয়াছে এইরূপ কোনো স্কিমের সহিত সম্পর্কিত বিষয়ের উপর বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানে নির্বাহকৃত কোনো ব্যয়;

(ট) কোনো কৃষি সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা খাতে নির্বাহকৃত ব্যয় বা এইরূপ কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনায় নির্বাহকৃত ব্যয় যাহার দ্বারা গবেষণাটি সম্পূর্ণ ও একান্তভাবে করদাতার কৃষির উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে পরিচালিত হইয়াছে।

(২) এই ধারার অধীন কোনো ব্যয়ের যতটুকু অংশ কৃষি হইতে আয় এর সহিত সম্পর্কিত কেবল ততটুকু অংশই অনুমোদনযোগ্য ব্যয় হিসাবে গণ্য হইবে।

হিসাববহি রক্ষণাবক্ষেণ না করিবার ক্ষেত্রে বিশেষ বিয়োজন পরিগণনা

৪৩। (১) যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে,–

(ক) করদাতা নিয়মিত হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করিতেছেন না;

(খ) করদাতা এইরূপ কোনো পদ্ধতি প্রয়োগ করিতেছেন যাহার ভিত্তিতে করদাতার আয় বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব নহে বলিয়া উপকর কমিশনারের নিকট প্রতীয়মান হইতেছে;

(গ) করদাতা হিসাব বা লেনদেনের রেকর্ডসমূহ সংরক্ষণ করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন; বা

(ঘ) করদাতা যে হিসাব বা লেনদেনের রেকর্ডসমূহ সংরক্ষণ করিয়াছেন তাহা যাচাইযোগ্য নহে,

তাহা হইলে, অন্য ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্তরূপে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের বাজার মূল্যের ৬০% (ষাট শতাংশ) অনুমোদিত ব্যয় হিসাবে গণ্য হইবে।

(২) যেইক্ষেত্রে ভূমি বা আঙ্গিনার মালিক আধি, বর্গা, ভাগা বা অংশহারে কৃষি হইতে আয় প্রাপ্ত হইবেন সেইক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হইবে না।

কতিপয় ক্ষেত্রে বিয়োজন অনুমোদিত হইবে না

৪৪। (১) উৎসে কর কর্তন বা সংগ্রহ প্রযোজ্য হয় এইরূপ সকল ক্ষেত্রে অংশ ৭ এর বিধানাবলির পরিপালন না হইলে এই অধ্যায়ের অধীন দাবিকৃত বিয়োজন অনুমোদিত হইবে না।

(২) ধারা ৫৫ এ বর্ণিত বিধানাবলি এইরূপভাবে প্রযোজ্য হইবে যেন বিধানাবলি এই অধ্যায়ের সহিত সম্পর্কিত।

পঞ্চম অধ্যায়

ব্যবসা হইতে আয়

ব্যবসা হইতে আয়

৪৫। করদাতার নিম্নবর্ণিত আয়সমূহ ব্যবসা হইতে আয় হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ হইবে, যথা:-

(ক) আয়বর্ষের যেকোনো সময়ে করদাতা কর্তৃক পরিচালিত বা পরিচালিত বলিয়া গণ্য ব্যবসায়ের কোনো লাভ ও মুনাফা;

(খ) কোনো ব্যবসায় বা পেশাজীবী সংগঠন বা এইরূপ কোনো সংগঠন কর্তৃক উহার সদস্যদের নির্দিষ্ট সেবা প্রদানের মাধ্যমে অর্জিত কোনো আয়;

(গ) কোনো ব্যক্তির অতীত, বর্তমান বা সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় বা সম্পর্কের কারণে উদ্ভূত কোনো সুবিধার ন্যায্য বাজার মূল্য, তাহা অর্থে রূপান্তরযোগ্য হউক বা না হউক;

(ঘ) কোনো ব্যবস্থাপনা কোম্পানি, মুদারাবা ব্যবস্থাপনা কোম্পানিসহ, কর্তৃক উদ্ভূত কোনো ব্যবস্থাপনা ফি;

(ঙ) নিজের অথবা অন্যের মালিকানাধীন কোনো পরিসম্পদ অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট লীজ প্রদানের বিপরীতে লীজদাতা ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রাপ্য কোনো অর্থ;

(চ) তৃতীয় তফসিল সাপেক্ষে মুদ্রা বিনিময় হইতে নগদায়িত লাভ (realized gain);

(ছ) বন্ধ হইয়া যাওয়া কোনো ব্যবসা হইতে আয়বর্ষে গৃহীত কোনো আয়।

ব্যবসা হইতে আয়ের বিশেষ ক্ষেত্রসমূহ

৪৬। (১) ধারা ৪৫ এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, বিশেষ ক্ষেত্রে, ব্যবসা হইতে আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে এই ধারার বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

(২) করদাতার যে ব্যবসায়ের জন্য আয় পরিগণিত হইতেছে সেই ব্যবসায়ে ব্যবহৃত কোনো পরিসম্পদ যদি কোনো আয়বর্ষে বিক্রয় করা হয়, তাহা হইলে উক্ত বিক্রয়লব্ধ আয়ের পরিমাণ হইবে নিম্নরূপ, যথা:-

 

ক্রমিক নং

বিক্রয়লব্ধ অর্থ

আয়ের পরিমাণ

()

()

(৩)

১।

বিক্রয়লব্ধ অর্থ যদি পরিসম্পদের অর্জন মূল্য হইতে অধিক হয়

- এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত আয়বর্ষে করদাতারমূলধনি আয়শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে;

 

- এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত আয়বর্ষে করদাতারব্যবসা হইতে আয়শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে

 

২।

বিক্রয়লব্ধ অর্থ যদি পরিসম্পদের অর্জন মূল্য হইতে অধিক না হয়, তবে অবলোপিত মূল্য হইতে অধিক হয়

- এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত আয়বর্ষে করদাতার  ‘ব্যবসা হইতে আয়শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে

 

 

 

(৩) করদাতার ব্যবসায়ে ব্যবহৃত হইবার পর কোনো পরিসম্পদ পরিত্যক্ত, নিশ্চিহ্ন বা ধ্বংস হইবার কারণে কোনো বিমা, স্যালভেজ বা ক্ষতিপূরণ হিসাবে কোনো অর্থ প্রাপ্ত হইলে তাহার পরিমাণ যদি উক্ত সম্পদের অবলোপিত মূল্যের চাইতে অধিক হয় তাহা হইলে এই ক্ষেত্রে আয়ের অঙ্ক হইবে নিম্নরূপ, যথা:-

 

ক্রমিক নং

3[বিক্রয়লব্ধ অর্থ]

আয়ের পরিমাণ

()

()

()

১।

বিমা, স্যালভেজ বা ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ যদি পরিসম্পদের অর্জন মূল্য হইতে অধিক হয়

- এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত আয়বর্ষে সংশ্লিষ্ট করদাতারমূলধনি আয়শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে;

 

- এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত আয়বর্ষে সংশ্লিষ্ট করদাতারব্যবসা হইতে আয়শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে

 

২।

বিমা, স্যালভেজ বা ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ যদি পরিসম্পদের অর্জন মূল্য হইতে অধিক না হয়, তবে অবলোপিত মূল্য হইতে অধিক হয়

যেইক্ষেত্রে >, সেইক্ষেত্রে - এর সমপরমিাণ অর্থ উক্ত আয়বর্ষে সংশ্লিষ্ট করদাতারব্যবসা হইতে আয়শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে;

 

যেইক্ষেত্রে <, সেইক্ষেত্রে - এর সমপরমিাণ অর্থ উক্ত আয়বর্ষে সংশ্লিষ্ট করদাতারব্যবসা হইতে আয়পরিগণনার ক্ষেত্রে ধারা ৪৯ এর অধীন ব্যয় হিসাবে অনুমোদিত হইবে

 

 

 

(৪) উপ-ধারা (২) এবং (৩) এর সারণির কলাম (২) অনুসারে বিক্রয়লব্ধ অর্থ বা, ক্ষেত্রমত, পরিসম্পদের বিপরীতে বিমা, স্যালভেজ বা ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্ত অর্থ এবং অবলোপিত মূল্যের পার্থক্য ঋণাত্মক হইলে ফলাফল ব্যবসা হইতে আয় খাতে ব্যয়িত বলিয়া গণ্য হইবে এবং উহা অনুমোদিত সাধারণ বিয়োজনের অন্তর্ভুক্ত হইবে।

(৫) উপ-ধারা (২) এবং (৩) এর সারণীতে বর্ণিত-

ক = পরিসম্পদের বিপরীতে বিমা, স্যালভেজ বা ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্ত অর্থ 4[বা বিক্রয়লব্ধ অর্থ],

খ = পরিসম্পদের অর্জন মূল্য, এবং

গ = তৃতীয় তফসিলের অধীন অবচয় অনুমোদনের পর পরিসম্পদের গণনাকৃত অবলোপিত মূল্য,

-কে বুঝাইবে।

(৬) যদি কোনো রপ্তানিকারক করদাতা সরকার কর্তৃক তাহার অনুকূলে বণ্টনকৃত রপ্তানি কোটার সম্পূর্ণ বা আংশিক কোনো আয়বর্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করিয়া থাকেন, তাহা হইলে এইরূপ হস্তান্তরিত কোটার আনুপাতিক রপ্তানি মূল্য উক্ত আয়বর্ষে করদাতার ব্যবসা হইতে আয় শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে।

5[***]

(৮) কোনো আয়বর্ষে এই অধ্যায়ের অধীন আয় পরিগণনায় যদি করদাতার কোনো ট্রেডিং দায় হিসাবে নেওয়া হয় এবং–

(ক) পরবর্তী কোনো আয় উক্ত আয়বর্ষে করদাতা যদি ট্রেডিং দায় বাবদ কোনো সুবিধা প্রাপ্ত হয় তাহা হইলে সেই সুবিধার অর্থমূল্য সুবিধা প্রাপ্তির আয়বর্ষে করদাতার ব্যবসা হইতে আয় শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে;

(খ) উক্ত ট্রেডিং দায় যেই আয়বর্ষে হিসাবে নেওয়া হইয়াছে তাহা শেষ হইবার পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসরের মধ্যে যদি ট্রেডিং দায় বা তাহার কোনো অংশ অপরিশোধিত থাকে তাহা হইলে উক্ত অপরিশোধিত ট্রেডিং দায় উক্ত ৩ (তিন) বৎসর সমাপ্তির পরবর্তী আয়বর্ষে করদাতার ব্যবসা হইতে আয় শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, আয় হিসাবে গণ্য হইয়াছে এইরূপ কোনো ট্রেডিং দায় যদি পরবর্তী কোনো বৎসরে পরিশোধ করা হয় তাহা হইলে পরিশোধ সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে সেই অঙ্ক করদাতার আয় পরিগণনায় বাদ যাইবে।

(৯) যদি কোনো আয়বর্ষে এই অধ্যায়ের অধীন আয় পরিগণনায় লোকসান, কুঋণ বা কোনো খরচ বিয়োজিত হয় এবং পরবর্তী কোনো আয়বর্ষে করদাতা যদি সেই বিয়োজিত লোকসান, কুঋণ বা খরচ বাবদ কোনো সুবিধা প্রাপ্ত হন তাহা হইলে সেই সুবিধার অর্থমূল্য সুবিধা প্রাপ্তির আয়বর্ষে করদাতার ব্যবসা হইতে আয় শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে।

(১০) ধারা ১৮০ এর অধীন রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে যে বৎসরে রিটার্ন দাখিল হইয়াছে তাহার পরবর্তী ৫ (পাঁচ) বৎসরের মধ্যে যেকোনো সময়ে প্রদর্শিত প্রারম্ভিক মূলধনের যেকোনো পরিমাণের ঘাটতি ব্যবসা হইতে আয় শ্রেণির আয় হিসাবে গণ্য হইবে।

(১১) কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক কুঋণ বা সন্দেহজনক ঋণ হিসাবে শ্রেণিবিন্যাসকৃত ঋণের উপর সুদ বা মুনাফা আয় যেই আয়বর্ষে লাভ ক্ষতির হিসাবে ক্রেডিট প্রদান করা হইবে, অথবা যেই আয়বর্ষে প্রকৃতভাবে গৃহীত হইবে, দুইয়ের মধ্যে যাহা আগে হয় সেই আয়বর্ষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা হইতে আয় শ্রেণির আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হইবে।

(১২) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,-

(ক) বিক্রয়ের পূর্বে পরিসম্পদটি যে ব্যবসায়ে ব্যবহৃত হইয়াছে, সেই ব্যবসা পরিসম্পদ বিক্রয়-সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে করদাতা কর্তৃক পরিচালিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

(খ) করদাতার ব্যবসায় ব্যবহৃত হইবার পর কোনো পরিসম্পদ বাংলাদেশের বাহিরে রপ্তানি বা স্থানান্তরিত হইলে, উক্ত রপ্তানির বা স্থানান্তরের তারিখই পরিসম্পদ বিক্রয়ের তারিখ বলিয়া গণ্য হইবে এবং সম্পদের ক্রয়মূল্যকে উহা বিক্রয় বাবদ প্রাপ্ত অর্থ বলিয়া বিবেচনা করা হইবে।

কতিপয় ব্যবসায়ের মুনাফা পরিগণনা

৪৭। নিম্নবর্ণিত সারণির কলাম (২) এ উল্লিখিত ব্যবসায়ের মুনাফা সারণির কলাম (৩) এ বর্ণিত তফসিলের বিধান অনুসারে পরিগণনা করা হইবে, যথা:-

 

সারণি

 

ক্রমিক নং

ব্যবসা

তফসিল

()

()

()

বিমা ব্যবসা

চতুর্থ তফসিল

প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তৈল বা অন্যান্য খনিজ উত্তোলন অনুসন্ধান

পঞ্চম তফসিল

ফটকা ব্যবসাকে পৃথকভাবে বিবেচনা

৪৮। কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো ফটকা কারবার পরিচালিত হইলে তাহা উক্ত ব্যক্তির অন্যান্য ব্যবসা হইতে পৃথক ও স্বতন্ত্র ব্যবসা হিসাবে বিবেচিত হইবে।

ব্যবসা হইতে আয় গণনার ক্ষেত্রে অনুমোদনযোগ্য সাধারণ বিয়োজনসমূহ।-

৪৯। এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, কোনো আয়বর্ষে কোনো ব্যক্তির ব্যবসা হইতে আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে প্রত্যেক স্বতন্ত্র এবং ভিন্ন ব্যবসায়ের জন্য নিম্নবর্ণিত ব্যয়সমূহ সাধারণ বিয়োজনের অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:-

(ক) কাঁচামাল, মজুদ, ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে ও ব্যবসায়ে ব্যবহারের নিমিত্ত পণ্য ক্রয় বাবদ ব্যয় এবং কোনো অবলোপিত মজুদ ব্যয়;

(খ) এই আইন ও দানকর আইন, ১৯৯০ (১৯৯০ সনের ৪৪ নং আইন) এর অধীন পরিশোধিত নহে, তবে ব্যবসার উদ্দেশ্যে পরিশোধিত এইরূপ শুল্ক-করাদি, পৌর কর, স্থানীয় কর, ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা ও সরকারি ফি;

(গ) ব্যবসার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ভূমি বা আঙ্গিনার জন্য পরিশোধযোগ্য ভাড়া, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ ব্যয়;

(ঘ) এই আইনের অধীন চাকরি হইতে আয় হিসাবে পরিগণিত হয় এইরূপ সকল প্রকার ব্যয়, কল্যাণ ব্যয় বা পারিশ্রমিক;

(ঙ) মেরামত ও সংরক্ষণ ব্যয়;

(চ) ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে কৃত ও পরিশোধিত বিমা প্রিমিয়াম;

(ছ) বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ অন্যান্য পরিষেবা ব্যয়;

(জ) পণ্য পরিবহণ, ক্লিয়ারিং এবং ফরওয়ার্ডিং চার্জ;

(ঝ) বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কমিশন, দালালি, ডিসকাউন্ট বা ওয়ারেন্টি চার্জ প্রকৃতির ব্যয়;

(ঞ) বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা ব্যয়;

(ট) কর্মীদের প্রশিক্ষণ বাবদ ব্যয়;

(ঠ) বিক্রয় প্রতিনিধিদের সম্মেলন, হোটেল ও আবাসন বাবদ ব্যয়;

(ড) যাতায়াত ও ভ্রমণ বাবদ ব্যয়;

(ঢ) ইন্টারনেট সেবা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত ব্যয়;

(ণ) আইনি সেবা, নিরীক্ষা সেবা ও অন্যান্য পেশাদারী সেবা গ্রহণ সংক্রান্ত ব্যয়;

(ত) আপ্যায়ন ও অতিথিশালা সংক্রান্ত ব্যয়;

(থ) তৃতীয় তফসিল সাপেক্ষে, বৈদেশিক মুদ্রার নগদায়িত বিনিময় ক্ষতি;

(দ) কোনো ক্লাব বা বাণিজ্যিক সমিতিতে প্রবেশ ফি-সহ তাহাদের সুবিধাদির ব্যবহারের জন্য চাঁদা;

(ধ) সরকার কর্তৃক স্পন্সরকৃত কোনো ট্রেড ডেলিগেশনের সদস্য হিসাবে বিদেশে সফর সম্পর্কিত কোনো নির্বাহকৃত ব্যয়;

(ন)রয়্যালটি, কারিগরি ফি, হেড অফিস ব্যয়;

6[(প) শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ২৩৪ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) অনুযায়ী অংশগ্রহণ তহবিল, কল্যাণ তহবিল এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ২৫ নং আইন) এর ধারা ১৪ এর অধীন স্থাপিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রদেয় অর্থ যাহা প্রদর্শিত নীট ব্যবসায়িক মুনাফার ৫% (পাঁচ শতাংশ) এর অধিক নহে;]

(ফ) সম্পূর্ণ ও একান্তভাবে ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে নির্বাহকৃত অন্যান্য ব্যয়।

ব্যবসা হইতে আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে অনুমোদনযোগ্য বিশেষ বিয়োজনসমূহ

৫০। (১) নিম্নবর্ণিত ব্যয়সমূহ তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত অনুমোদিত সীমা ও শর্ত অনুযায়ী বিয়োজনযোগ্য হইবে, যথা:-

(ক) সাধারণ অবচয় ভাতা;

(খ) প্রারম্ভিক অবচয় ভাতা;

(গ) ত্বরান্বিত অবচয় ভাতা;

(ঘ) অ্যামোর্টাইজেশন ভাতা; এবং

(ঙ) গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যয়।

(২) তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত কোনো পরিসম্পদ যদি কোনো আয়বর্ষে বিক্রয় করা হয় এবং সেই বিক্রয়লব্ধ অর্থ যদি অবলোপিত মূল্য অপেক্ষা কম হয়, তাহা হইলে করদাতা কর্তৃক বিয়োজন দাবি সাপেক্ষে, অবলোপিত মূল্য এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থের পার্থক্যের সমপরিমাণ অঙ্ক।

(৩) ধারা ৫১ অনুযায়ী অনুমোদিত কুঋণ ব্যয় ব্যবসা হইতে আয় গণনার ক্ষেত্রে বিয়োজিত হইবে।

(৪) ধারা ৫২ ও ৫৩ অনুযায়ী অনুমোদিত সুদ ব্যয় ব্যবসা হইতে আয় গণনার ক্ষেত্রে বিয়োজিত হইবে।

কুঋণ ব্যয় অনুমোদন

৫১। (১) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে কুঋণ ব্যয় অনুমোদনযোগ্য হইবে, যদি-

(ক) কুঋণ বা কুঋণের অংশ অনাদায়ী হিসাবে চূড়ান্ত হয় এবং ব্যবসায়িক হিসাবের খাতায় অবলোপিত হিসাবে প্রদর্শিত হয়;

(খ) কুঋণ হিসাবে অবলোপিত অর্থ অবলোপনের পূর্বে আদায়ের নিমিত্ত সকল প্রকার যৌক্তিক পদক্ষেপ গৃহীত হইয়া থাকে;

(গ) কুঋণ বা কুঋণের অংশ কোনো আয়বর্ষে আয় নির্ধারণে আয় হিসাবে পরিগণিত হইয়া থাকে।

(২) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কুঋণ ব্যয় অনুমোদনযোগ্য হইবে, যদি-

(ক) কুঋণ বা কুঋণের অংশ International Accounting Standards (IAS) ও বাংলাদেশে প্রযোজ্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনাদায়ী হিসাবে চূড়ান্ত হয় এবং ব্যবসায়িক হিসাবের খাতায় অবলোপিত হিসাবে প্রদর্শিত হয়;

(খ) কুঋণ হিসাবে অবলোপিত অর্থ অবলোপনের পূর্বে আদায়ের নিমিত্ত সকল প্রকার যৌক্তিক পদক্ষেপ গৃহীত হয়;

(গ) কুঋণ বা কুঋণের অংশ কোনো আয়বর্ষে আয় নির্ধারণে আয় হিসাবে পরিগণিত হইয়া থাকে।

সুদ বা মুনাফার বিশেষ বিয়োজন পরিগণনা

৫২। (১) ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে ধারকৃত কোনো মূলধনের উপর কোনো সুদ পরিশোধ বা, ক্ষেত্রমত, কোনো মুনাফা ভাগের অর্থ পরিশোধ করা হইলে তাহা ব্যবসায়িক ব্যয় হিসাবে অনুমোদিত হইবে।

(২) যদি দেখা যায় যে, ধারকৃত অর্থের কোনো অংশ ব্যবসায়ের বাহিরে অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হইয়াছে বা ধারকৃত অর্থে অর্জিত সম্পদের কোনো অংশ ব্যবসায়ের বাহিরে অন্য কোথাও স্থানান্তর করা হইয়াছে যেখানে অর্থলগ্নী করা স্থানান্তরকারীর ব্যবসা নহে, তাহা হইলে উক্ত অর্থ বা সম্পদের যে অংশ ব্যবসায়ের কাজে ব্যবহার করা হইয়াছে সেই অংশের আনুপাতিক হারে সুদ বা মুনাফা ব্যয় অনুমোদিত হইবে।

সুদ অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিশেষ সীমা

৫৩। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত কোনো নিবাসী ব্যক্তি কর্তৃক ধারা ২৩৩ এ সংজ্ঞায়িত কোনো সহযোগী প্রতিষ্ঠান বরাবর কোনো করবর্ষে সুদ ব্যয় অনুমোদনের ক্ষেত্রে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি ও সীমা অনুযায়ী অনুমোদিত হইবে।

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো আয়বর্ষে পরিশোধিত সুদের পরিমাণ ১৫ (পনেরো) লক্ষ টাকা অতিক্রম না করিলে এই ধারা প্রযোজ্য হইবে না।

বিয়োজন অনুমোদনের সাধারণ শর্তাবলি

৫৪। (১) কোনো আয়বর্ষে এই অধ্যায়ের অধীন এইরূপ কোনো ব্যয় যদি বিয়োজন হিসাবে অনুমোদিত হয় যাহা সর্ম্পূণ বা আংশিকভাবে কোনো পরিসম্পদের প্রতিনিধিত্ব করে তাহা হইলে উক্ত পরিসম্পদ বাবদ একই আয়বর্ষে আর কোনো বিয়োজন অনুমোদনযোগ্য হইবে না।

(২) ধারা ৪৯ এর অধীন কোনো ব্যয় অনুমোদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের বাণিজ্যিক যৌক্তিকতা বিবেচনা করা হইবে এবং নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি বাণিজ্যিক যৌক্তিকতা বিবেচনার ক্ষেত্রে আমলে লওয়া হইবে, যথা:-

(ক) যদি নির্বাহকৃত ব্যয় ব্যবসা হইতে আয় অর্জনের উদ্দেশ্যে করা হয়;

(খ) যদি নির্বাহকৃত ব্যয় রাজস্ব প্রকৃতির হয়; এবং

(গ) যদি নির্বাহকৃত ব্যয় সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতিতে যুক্তিসংগত হয়।

কতিপয় ক্ষেত্রে বিয়োজন অনুমোদনযোগ্য না হওয়া

৫৫। এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে ব্যবসা হইতে আয় পরিগণনায় নিম্নবর্ণিত বিয়োজনসমূহ অনুমোদনযোগ্য হইবে না, যথা:-

(ক) যেকোনো প্রকারের ব্যয় বা পরিশোধ যাহার ক্ষেত্রে অংশ ৭ এর বিধানাবলি যথাযথভাবে পরিপালন করা হয় নাই;

(খ) কোনো ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘ কর্তৃক ফার্মের কোনো অংশীদার বা ব্যক্তিসংঘের কোনো সদস্যকে প্রদত্ত সুদ, বেতন, কমিশন বা পারিতোষিক;

(গ) কোনো কোম্পানি কর্তৃক শেয়ারহোল্ডার পরিচালককে কোনো কমিশন বা ডিসকাউন্ট প্রদান;

(ঘ) ধারা ৩২ এর ব্যাখ্যাতে সংজ্ঞায়িত পারকুইজিট বাবদ কোনো কর্মচারীকে প্রদত্ত ১০ (দশ) লক্ষ টাকার অতিরিক্ত যেকোনো অঙ্ক:

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সরকারি সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গঠিত মজুরি বোর্ডের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য কর্মচারীদের অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে এই ধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না;

(ঙ) রয়্যালটি, লাইসেন্স ফি, কারিগরি সেবা ফি, কারিগরি কৌশল বাবদ ফি, কারিগরি সহায়তা ফি বা স্পর্শাতীত সম্পত্তি ব্যবহার বাবদ নির্বাহকৃত সমপ্রকৃতির অন্য যেকোনো ফি বাবদ মোট ব্যয়সমষ্টির ক্ষেত্রে আর্থিক বিবরণীতে প্রদর্শিত নীট ব্যবসায় মুনাফার ১০% (দশ শতাংশ) এর অতিরিক্ত ব্যয়;

(চ) বাংলাদেশে নিবন্ধিত নহে এইরূপ কোনো কোম্পানি কর্তৃক নির্বাহকৃত হেড অফিস অথবা ইন্ট্রা-গ্রুপ ব্যয়, তাহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, এর ক্ষেত্রে আর্থিক বিবরণীতে প্রদর্শিত নীট ব্যবসায় মুনাফার ১০% (দশ শতাংশ) এর অতিরিক্ত ব্যয়;

(ছ) ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বিদেশ ভ্রমণ সম্পর্কিত ব্যয়ের ক্ষেত্রে আর্থিক বিবরণীতে প্রদর্শিত ব্যবসায়িক টার্নওভারের ০.৫% (শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ) এর অতিরিক্ত অঙ্ক:

তবে শর্ত থাকে যে, করদাতা সরকারকে কোনো সেবা প্রদানের কাজে বিদেশ ভ্রমণ করিলে সেইক্ষেত্রে এই সীমা প্রযোজ্য হইবে না:

আরও শর্ত থাকে যে, এই দফায় অধীন পরিগণিত অতিরিক্ত অঙ্কের সমর্থনে প্রমাণাদি উপস্থাপন করিলে এবং উহার বাণিজ্যিক যৌক্তিকতা প্রমাণিত হইলে এই দফায় প্রদত্ত সীমা প্রযোজ্য হইবে না;

(জ) আপ্যায়ন ব্যয় হিসাবে নিম্নবর্ণিত অঙ্কের অতিরিক্ত অঙ্ক-

(অ) আপ্যায়ন ব্যয় বিয়োজন ব্যতীত নিরূপিত ব্যবসায় আয়ের প্রথম ১০ (দশ) লক্ষ টাকার ৪% (চার শতাংশ); এবং

(আ) আপ্যায়ন ব্যয় বিয়োজন ব্যতীত নিরূপিত ব্যবসায় আয়ের প্রথম ১০ (দশ) লক্ষ টাকা বাদে পরবর্তী অঙ্কের ২% (দুই শতাংশ);

(ঝ) ফ্রি স্যাম্পল বিতরণে নিম্নবর্ণিত অঙ্কের অতিরিক্ত অঙ্ক-

(অ) ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের ক্ষেত্রে-

(১) ব্যবসায়িক টার্নওভারের ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা পর্যন্ত ২% (দুই শতাংশ) হারে;

(২) ব্যবসায়িক টার্নওভার ৫ (পাঁচ) কোটি টাকার অধিক, তবে ১০ (দশ) কোটি টাকার অধিক নহে এইরূপ ক্ষেত্রে ১% (এক শতাংশ) হারে;

(৩) ব্যবসায়িক টার্নওভার ১০ (দশ) কোটি টাকার অধিক এইরূপ ক্ষেত্রে ০.৫% (শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ) হারে;

(আ) খাদ্য, প্রসাধনী ও সুগন্ধি শিল্পের ক্ষেত্রে-

(১) ব্যবসায়িক টার্নওভারের ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা পর্যন্ত ১% (এক শতাংশ) হারে;

(২) ব্যবসায়িক টার্নওভার ৫ (পাঁচ) কোটি টাকার অধিক, তবে ১০ (দশ) কোটি টাকার অধিক নহে এইরূপ ক্ষেত্রে ০.৫% (শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ) হারে;

(৩) ব্যবসায়িক টার্নওভার ১০ (দশ) কোটি টাকার অধিক এইরূপ ক্ষেত্রে ০.২৫% (শূন্য দশমিক দুই পাঁচ শতাংশ) হারে;

(ই) অন্যান্য শিল্পের ক্ষেত্রে-

(১) ব্যবসায়িক টার্নওভারের ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা পর্যন্ত ০.৫% (শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ) হারে;

(২) ব্যবসায়িক টার্নওভার ৫ (পাঁচ) কোটি টাকার অধিক কিন্তু ১০ (দশ) কোটি টাকার অধিক নহে এইরূপ ক্ষেত্রে ০.২৫% (শূন্য দশমিক দুই পাঁচ শতাংশ) হারে;

(৩) ব্যবসায়িক টার্নওভার ১০ (দশ) কোটি টাকার অধিক এইরূপ ক্ষেত্রে ০.১% (শূন্য দশমিক এক শতাংশ) হারে;

(ঞ) বিজ্ঞাপন ব্যতীত অন্যান্য প্রচারণামূলক ব্যয়ের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক টার্নওভারের ০.৫% (শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ) এর অধিক অঙ্ক;

(ট) কর্মচারীর চাকরি হইতে আয় বলিয়া বিবেচিত এইরূপ কোনো অর্থ যদি ব্যাংকিং মাধ্যমে পরিশোধ না হইয়া অন্য কোনো মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়;

(ঠ) কোনো পরিশোধ যাহা ভাড়া হইতে আয় বলিয়া বিবেচিত তাহা ব্যাংকিং মাধ্যমে পরিশোধ না হইয়া অন্য কোনো মাধ্যমে পরিশোধ হইয়া থাকিলে উক্ত পরিশোধিত অর্থ;

(ড) কাঁচামাল বাবদ যেকোনো অঙ্কের পরিশোধ ব্যাংকিং মাধ্যমে পরিশোধিত না হইয়া অন্য কোনো মাধ্যমে পরিশোধিত হইয়া থাকিলে ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার অতিরিক্ত পরিশোধিত অঙ্ক;

(ঢ) দফা (ট), (ঠ) ও (ড) ব্যতীত অন্যান্য সকল প্রকার ব্যয়ের ক্ষেত্রে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকার অতিরিক্ত অঙ্ক ব্যাংকিং মাধ্যমে পরিশোধ না হইয়া অন্য কোনো মাধ্যমে পরিশোধ হইয়া থাকিলে উক্ত পরিশোধিত অর্থ;

(ণ) ধারা ২৬৪ এর উপ-ধারা (৩) এর দফা ২৫, ২৬, ২৮, ২৯, ৩৬, ৩৭, ৪২ ও ৪৩ অনুযায়ী রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিলে বাধ্য এইরূপ কোনো ব্যক্তিকে পরিশোধিত কোনো অঙ্ক, যদি অর্থ পরিশোধের সময় উক্ত ব্যক্তি রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়;

(ত)মূলধনি প্রকৃতির কোনো ব্যয় কিংবা করদাতার ব্যক্তিগত কোনো ব্যয়;

(থ) 7[কোনো বিয়োজন বা কোনো দায়ের বিপরীতে সৃষ্ট কোনো বিয়োজন] যাহা সুস্পষ্টভাবে নিরূপিত নহে;

(দ) ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের সহিত সম্পর্কিত নহে এইরূপ সকল প্রকার ব্যয়;

(ধ) International Financial Reporting Standard মোতাবেক কোনো পরিসম্পদের Right of Use বাবদ দাবিকৃত কোনো অবচয় ভাতা ও সুদ বিয়োজন:

তবে শর্ত থাকে যে, এই ক্ষেত্রে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত 8[পরিসম্পদের] জন্য পরিশোধযোগ্য ভাড়া, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ ব্যয় অনুমোদন করিতে হইবে;

(ন) ধারণাগত পরিসম্পদ অনিষ্টজনিত ক্ষতি (impairment loss);

9[(প) এই আইনে অনুমোদন গ্রহণের বিধান রহিয়াছে কিন্তু অনুমোদন গ্রহণ করা হয় নাই এইরূপ কোনো তহবিলে প্রদত্ত অর্থ;]

(ফ) নির্ধারিত পদ্ধতিতে হিসাবরক্ষণের বিধান পরিপালন না হইলে প্রমাণকহীন সকল খরচ।

ব্যাখ্যা।– এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,-

(অ) “নীট ব্যবসায় মুনাফা” অর্থ কোনো সত্তা কর্তৃক সরাসরি পরিচালিত ব্যবসায়িক মুনাফা, তবে কোনো সাবসিডিয়ারি, অ্যাসোসিয়েট বা জয়েন্ট ভেঞ্চার হইতে অর্জিত মুনাফা ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;

(আ)“প্রচারণামূলক ব্যয়” অর্থ ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে কাউকে কোনো বস্তু, অর্থ বা অন্য কোনো প্রকারের সুবিধার প্রদানের বিপরীতে দাবিকৃত ব্যবসায়িক খরচ দাবি, তবে বিজ্ঞাপন ব্যয় ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না।

বিশেষ ব্যবসা আয় পরিগণনা

৫৬। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৫৫ এর 10[দফা (ঘ)-(ঞ), (থ), (ধ) এবং (ন)] এর ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য দফার অধীন অননুমোদিত সকল ব্যয় বিশেষ ব্যবসা আয় হিসাবে গণ্য হইবে।

(২) এই অধ্যায়ের অধীন “বিশেষ ব্যবসা আয়” বা “ব্যবসা হইতে আয়” এর বিশেষ ক্ষেত্রসমূহ হিসাবে গণ্য কোনো আয়ের বিপরীতে কোনো প্রকারের ব্যয়, লোকসানের সমন্বয় বা জের টানা এবং তৃতীয় তফসিলের অধীন কোনো ভাতা অনুমোদিত হইবে না এবং এইরূপ আয়ের উপর সাধারণ করহারে করদায় নির্ধারিত হইবে।

ষষ্ঠ অধ্যায়

মূলধনি আয়

মূলধনি আয়

৫৭। মূলধনি পরিসম্পদের মালিকানা হস্তান্তর হইতে উদ্ভূত মুনাফা ও লাভ মূলধনি আয় হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, International Accounting Standards (IAS) বা International Financial Reporting Standards (IFRS) অনুযায়ী ন্যায্য বাজার মূল্য পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া কোনো পরিসম্পদ যাহা প্রকৃত অর্থে হস্তান্তরিত হয় নাই, উহা হইতে উদ্ভূত কোনো ধারণাগত লাভ বা মুনাফা মূলধনি আয় হিসাবে পরিগণিত হইবে না।

মূলধনি আয় পরিগণনা

৫৮। (১) এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, কোনো ব্যক্তির মূলধনি আয় হইবে কোনো পরিসম্পদের উন্মুক্ত বাজারে বিক্রয় বা হস্তান্তর মূল্য এবং উক্ত পরিসম্পদের অর্জন মূল্যের পার্থক্য।

(২) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,-

(ক) উন্মুক্ত বাজারে বিক্রয় বা হস্তান্তর মূল্য বলিতে কোনো পরিসম্পদের উন্মুক্ত বাজারে বিক্রয় বা হস্তান্তর মূল্য হইবে ‘ক’ এবং ‘খ’ এর মধ্যে যাহা অধিক, যেখানে-

ক = পরিসম্পদ হস্তান্তর হইতে প্রাপ্ত বা উপচিত অর্থ; এবং

খ = হস্তান্তরের তারিখে পরিসম্পদের ন্যায্য বাজার মূল্য;

(খ) “পরিসম্পদের অর্জন মূল্য” বলিতে-

(অ) কোনো পরিসম্পদের অর্জন মূল্য হইবে নিম্নবর্ণিত খরচসমূহের সমষ্টি-

(১) এইরূপ কোনো খরচ যাহা কেবল উক্ত পরিসম্পদের স্বত্ব হস্তান্তরের সহিত সম্পর্কিত;

(২) পরিসম্পদের ক্রয়মূল্য; এবং

(৩) ধারা ৩৮, ৪২, ৪৯, ৫০ বা ৬৪ অনুযায়ী অনুমোদিত খরচ ব্যতীত উক্ত পরিসম্পদ উন্নয়নের খরচ, যদি থাকে;

(আ) যেইক্ষেত্রে হস্তান্তরকারি উক্ত পরিসম্পদ নিম্নবর্ণিতভাবে অর্জন করিয়াছেন-

(১) কোনো উপহার, দান বা উইলের অধীন;

(২) সাকসেশন, উত্তরাধিকার বা পরম্পরাক্রমে;

(৩) প্রত্যাহারযোগ্য বা অপ্রত্যাহারযোগ্য কোনো ট্রাস্টের হস্তান্তরের অধীন;

(৪) কোনো কোম্পানি অবসায়নের জন্য মূলধনি পরিসম্পদের কোনো বিতরণের মাধ্যমে; বা

(৫) কোনো ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘ বা হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের বিভাজনের ক্ষেত্রে মূলধনি পরিসম্পদের বিতরণের মাধ্যমে,

সেইক্ষেত্রে হস্তান্তরকারী কর্তৃক উক্ত পরিসম্পদের মালিকানা অর্জনের তারিখের ন্যায্য বাজার মূল্য উক্ত পরিসম্পদের অর্জনমূল্য হিসাবে বিবেচিত হইবে।

পরিগণনার সময়

৫৯। মূলধনি পরিসম্পদের হস্তান্তর হইতে উদ্ভূত আয় উক্ত হস্তান্তর যেই আয়বর্ষে সংঘটিত হইয়াছে সেই আয়বর্ষের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে।

বিয়োজন অনুমোদনের সীমাবদ্ধতা

৬০। উৎসে কর কর্তন প্রযোজ্য হয়, এইরূপ কোনো ব্যয়ের ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তন বা সংগ্রহ করা না হইলে এবং এই আইনের বিধান অনুযায়ী উহা যথাযথভাবে পরিশোধ করা না হইলে, উক্ত ব্যয়কে এই অধ্যায়ের অধীন অনুমোদনযোগ্য বিয়োজন হিসাবে বিবেচনা করা যাইবে না।

মূলধনি আয় নির্ধারণে অন্যান্য বিষয়াবলি

৬১। (১) কোনো পরিসম্পদের ন্যায্য বাজার মূল্য করদাতা কর্তৃক ঘোষিত পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য অপেক্ষা ১৫% (পনেরো শতাংশ) এর অধিক হইলে পরিদর্শী অতিরিক্ত কর কমিশনারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উপকর কমিশনার সেই পরিসম্পদের ন্যায্য বাজার মূল্য নির্ধারণ করিবেন।

(২) কোনো পরিসম্পদের ন্যায্য বাজার মূল্য করদাতা কর্তৃক ঘোষিত অর্জন মূল্য অপেক্ষা ২৫% (পঁচিশ শতাংশ) এর অধিক হইলে উপকর কমিশনার, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত পরিসম্পদ ঘোষিত অর্জন মূল্যে ক্রয় করিবার জন্য প্রস্তাব দিতে পারিবেন।

(৩) কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত নূতন কোনো কোম্পানির নিকট কোনো অংশীদারি ফার্মের সকল পরিসম্পদ হস্তান্তরের ফলে মূলধনি আয় উদ্ভূত হইলে তাহা করমুক্ত থাকিবে যদি সকল পরিসম্পদ হস্তান্তরের বিনিময় মূল্য নূতন কোম্পানি ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করা হয়।

সপ্তম অধ্যায়

আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয়

আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয়

৬২। (১) কোনো ব্যক্তির নিম্নবর্ণিত আয় “আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয়” খাতের অধীন শ্রেণিভুক্ত হইবে, যথা:-

(ক) সরকারি বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সিকিউরিটিজের সুদ, মুনাফা বা বাট্টা;

(খ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা কোম্পানি কর্তৃক ইস্যুকৃত ডিবেঞ্চার বা অন্য কোনো প্রকারের সিকিউরিটিজের সুদ, মুনাফা বা বাট্টা;

(গ) নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্য সুদ বা মুনাফা, যথা: -

(অ) কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রক্ষিত আমানত, তাহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন;

(আ) কোনো আর্থিক 11[পরিসম্পদ,] পণ্য বা স্কিম;

(ঘ) লভ্যাংশ।

(২) আর্থিক পরিসম্পদ হস্তান্তর হইতে অর্জিত মূলধনি আয় “আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয়” শ্রেণিভুক্ত হইবে না।

আয় পরিগণনার সময়

৬৩। কোনো ব্যক্তি যেই আয়বর্ষে আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয় প্রাপ্ত হইবেন বা যেই আয়বর্ষে তাহার হিসাবে উক্ত আয় জমা হইবে, এর মধ্যে যাহা পূর্বে ঘটে, সেই আয়বর্ষে তাহা অন্তর্ভুক্ত হইবে।

আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে অনুমোদনযোগ্য খরচ

৬৪। “আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয়” খাতের আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে, নিম্নবর্ণিত খরচসমূহ অনুমোদিত হইবে, যথা:-

(ক) ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক করদাতাকে সুদ বা মুনাফা প্রদানের বিপরীতে আয়কর ব্যতীত কর্তনকৃত অর্থ;

(খ) কেবল “আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয়” অর্জনের উদ্দেশ্যে ঋণকৃত অর্থের উপর পরিশোধিত সুদ;

(গ) কেবল সংশ্লিষ্ট আয় অর্জনের উদ্দেশ্যে, দফা (ক) বা (খ)তে উল্লিখিত ব্যয় ব্যতীত, নির্বাহকৃত অন্য কোনো ব্যয়।

কতিপয় ক্ষেত্রে বিয়োজন অনুমোদনযোগ্য না হওয়া

৬৫। এই অধ্যায়ে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয় পরিগণনায় নিম্নবর্ণিত খরচসমূহ অনুমোদিত হইবে না, যথা:-

(ক) বাংলাদেশের বাহিরে পরিশোধযোগ্য কোনো সুদ যাহা হইতে এই আইনের বিধানাবলি অনুসারে কর কর্তন বা পরিশোধ করা হয় নাই;

(খ) কর অব্যাহতি প্রাপ্ত প্রযোজ্য এইরূপ আর্থিক পরিসম্পদ হইতে আয়ের বিপরীতে পরিশোধিত সুদ বা কমিশন;

(গ) মূলধনি বা ব্যক্তিগত প্রকৃতির কোনো ব্যয়।

অষ্টম অধ্যায়

অন্যান্য উৎস হইতে আয়

অন্যান্য উৎস হইতে আয়

৬৬। কোনো করদাতার নিম্নবর্ণিত আয়সমূহ অন্যান্য উৎস হইতে আয় খাতের অধীন শ্রেণিভুক্ত ও পরিগণিত হইবে, যথা:-

(ক) রয়্যালটি, লাইসেন্স ফি, কারিগরি জ্ঞানের জন্য ফি এবং স্পর্শাতীত সম্পত্তির ব্যবহারের অধিকার প্রদানের মাধ্যমে অর্জিত আয়;

(খ) সরকার প্রদত্ত নগদ ভর্তুকি;

12[(গ) খনিজ মজুদ ও হাইড্রোকার্বন (mineral deposits and hydrocarbons) এবং সুনাম (goodwill) ব্যতীত অন্য কোনো পরিসম্পদ, যাহা প্রাকৃতিক বা কোনো ব্যক্তির স্বীয় সৃষ্ট, হস্তান্তর হইতে অর্জিত আয়;]

13[(ঘ) যেকোনো দান, অনুদান বা উপহার, উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন;

(ঙ) ধারা ৩০ এ বর্ণিত অন্য কোনো খাতের অধীন শ্রেণিভুক্ত হয় নাই এইরূপ কোনো উৎস হইতে আয়।]

অন্যান্য উৎস হইতে আয়ের বিশেষ ক্ষেত্র

৬৭। (১) ধারা ৬৬ এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, বিশেষ ক্ষেত্রে, এই অধ্যায়ের বিধান অনুসারে “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” পরিগণনার ক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

(২) যেইক্ষেত্রে কোনো আয়বর্ষে করদাতার হিসাবের বহিতে অথবা অন্য কোনো দলিলাদিতে এইরূপ কোনো অঙ্কের ক্রেডিট (any sum found credited) দেখা যায়, যাহার প্রকৃতি ও উৎস সম্পর্কে করদাতা কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদান করিতে পারেন না অথবা করদাতার ব্যাখ্যা উপকর কমিশনারের নিকট সন্তোষজনক প্রতীয়মান হয় না, সেইক্ষেত্রে উক্ত অঙ্ক উক্ত আয়বর্ষে করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অর্ন্তভুক্ত হইবে।

(৩) যেইক্ষেত্রে করদাতা কোনো আয়বর্ষে কোনো সম্পদের মালিক হন বা কোনো ঋণ গ্রহণ করেন বা ব্যয় নির্বাহ করেন বা এইরূপ কোনো লেনদেন করেন যাহা করদাতার পরিসম্পদকে প্রভাবিত করে, সেইক্ষেত্রে (ঘ+ঙ+চ) অপেক্ষা (ক+খ+গ) অধিক হইলে, (ক+খ+গ)- (ঘ+ঙ+চ) এর সমপরিমাণ অর্থ উক্ত আয়বর্ষে করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অর্ন্তভুক্ত হইবে, যেখানে-

ক= নীট পরিসম্পদের পরিবৃদ্ধি,

খ= নির্বাহকৃত প্রকৃত খরচ,

গ= ক ও খ ব্যতীত তহবিল হইতে অন্যান্য ব্যয়,

ঘ= মোট নিরূপিত আয়,

ঙ= নিরূপিত কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত আয়, এবং

চ= ঘ ও ঙ ব্যতীত তহবিলের অন্যান্য গ্রহণযোগ্য প্রাপ্তি।

(৪) যেইক্ষেত্রে করদাতা বাণিজ্যিক মজুদ বা আর্থিক পরিসম্পদ ব্যতীত অন্য কোনো পরিসম্পদ কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে ক্রয় করেন এবং উপকর কমিশনারের বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, করদাতা কর্তৃক পরিশোধিত মূল্য ন্যায্য বাজার মূল্য অপেক্ষা কম, সেইক্ষেত্রে পরিশোধিত মূল্য ও ন্যায্য বাজার মূল্যের মধ্যে যে পার্থক্য, তাহা 14[সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে] করদাতার আয় হিসাবে গণ্য হইয়া “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ হইবে।

(৫) কোনো চুক্তি বাতিল বা রদ করিবার অথবা চুক্তির কোনো শর্তে পরিবর্তন বা সংশোধনের কারণে কোনো আয়বর্ষে কোনো করদাতা ফি, কমিশন, ক্ষতিপূরণ সুনামমূল্য, যে নামেই অভিহিত করা হউক না কেন, এইরূপ কোনো অর্থ প্রাপ্ত হইলে তাহা সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে।

(৬) লিজ বা ভাড়ার মাধ্যমে সেলামী বা প্রিমিয়াম আকারে কোনো করদাতা কর্তৃক কোনো আয়বর্ষে কোনো এককালীন অর্থ প্রাপ্ত বা প্রাপ্য হইলে তাহা করদাতার উক্ত আয়বর্ষে “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে।

(৭) কোনো আয়বর্ষে কোনো করদাতা কর্তৃক কোনো পরিসম্পদ অর্জনকালে পরিশোধিত অর্থ হইতে অংশ ৭ অনুযায়ী উৎসে কর কর্তন বা সংগ্রহ করা না হইলে এইরূপ পরিশোধিত অর্থ করদাতার উক্ত আয়বর্ষে “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে।

(৮) ঋণের দায় মওকুফের প্রেক্ষিতে কোনো আয়বর্ষে কোনো করদাতা যদি কোনো প্রকার লাভ বা সুবিধা প্রাপ্ত হন, তবে তাহা অর্থে রূপান্তরযোগ্য হউক বা না হউক, উক্ত লাভ বা সুবিধার অর্থমূল্য উক্ত আয়বর্ষে করদাতার আয় হিসাবে গণ্য হইবে এবং তাহা “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অর্ন্তভুক্ত হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার বিধান নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যথা:-

(ক) কোনো তফসিলি ব্যাংক অথবা 15[ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৯ নং আইন)] এর অধীন নিবন্ধিত কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত স্বাভাবিক ব্যক্তি বরাবর ঋণ অথবা সুদ মওকুফ;

(খ) কোনো ব্যক্তি করদাতার স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনকৃত কোনো সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের বিপরীতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ বা উহার অধীন প্রণীত বিধির আলোকে নিবন্ধিত মার্চেন্ট ব্যাংকার এন্ড পোর্টফোলিও ম্যানেজার বা স্টক ব্রোকার কর্তৃক কোনো মার্জিন লোন বা উহা হইতে উদ্ভূত সুদ মওকুফের কারণে অনূর্ধ্ব ১০ (দশ) লক্ষ টাকা লাভ বা সুবিধা।

(৯) কোনো আয়বর্ষে করদাতা লটারি, শব্দজট, কার্ড গেইম, অনলাইন গেইম অথবা এইরূপ যেকোনো প্রকৃতির খেলায় জয় লাভ করিয়া কোনো অর্থ প্রাপ্ত হইলে, এইরূপ প্রাপ্তি উক্ত আয়বর্ষে সংশ্লিষ্ট করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অর্ন্তভুক্ত হইবে।

(১০) যেইক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নহে, এইরূপ কোনো কোম্পানি কোনো আয়বর্ষে কোনো শেয়ারহোল্ডারের নিকট হইতে ব্যাংক ট্রান্সফার ব্যতীত নগদে পরিশোধিত মূলধন প্রাপ্ত হয়, সেইক্ষেত্রে উক্ত পরিশোধিত মূলধন উক্ত আয়বর্ষে কোম্পানি করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধন হিসাবে নগদ ব্যতীত অন্য কোনো পরিসম্পদ বা সেবা গৃহীত হইলে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না।

(১১) যেইক্ষেত্রে কোনো কোম্পানি করদাতা অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যম ব্যতীত অন্য কোনোভাবে যেকোনো পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করে, সেইক্ষেত্রে উক্ত অর্থ যেই বৎসর ঋণ হিসাবে গৃহীত হইয়াছিল, সেই আয়বর্ষে উক্ত করদাতার আয় হিসাবে গণ্য হইবে এবং তাহা “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, যেইক্ষেত্রে এই উপ-ধারায় বর্ণিত কোনো ঋণ বা তাহার অংশবিশেষ পরবর্তী কোনো আয়বর্ষে পরিশোধ করা হয়, সেইক্ষেত্রে এইরূপে পরিশোধিত অর্থ উক্ত পরবর্তী আয়বর্ষের আয় পরিগণনার সময় বাদ যাইবে।

(১২) যেইক্ষেত্রে কোনো কোম্পানি করদাতা সরাসরি বা ভাড়ায় এক বা একাধিক মোটর কার বা জিপ ক্রয় করে এবং কোনো মোটর কার বা জিপের মূল্য রিজার্ভ ও পুঞ্জিভূত মুনাফাসহ তাহার পরিশোধিত মূলধনের ১০ (দশ) শতাংশের অধিক হয়, সেইক্ষেত্রে এইরূপ ১০% (দশ শতাংশ) অতিক্রান্ত হওয়া অর্থের ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) উক্ত আয়বর্ষে করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে।

(১৩) যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি করদাতা অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে ক্রসড চেক বা ব্যাংক ট্রান্সফার ব্যতীত অন্য কোনোভাবে কোনো অগ্রিম, ঋণ, 16[***] বা অন্য কোনো প্রকার ডিপোজিট হিসাবে সর্বমোট ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার অধিক পরিমাণের কোনো অর্থ গ্রহণ করেন, সেইক্ষেত্রে উক্তরূপে গৃহীত অর্থ যেই বৎসর অগ্রিম, ঋণ, 17[***] বা অন্য কোনো প্রকার ডিপোজিট হিসাবে গৃহীত হইয়াছিল, সেই আয়বর্ষে উক্ত করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে এই উপ-ধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না

(ক) স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা বা সন্তানের নিকট হইতে এইরূপ অর্থ গ্রহণ করা হইলে এবং উহা 18[দাতা ও গ্রহীতার রিটার্নে প্রদর্শিত হইলে];

(খ) ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির সহিত নিবন্ধিত কোনো সংস্থা কর্তৃক গৃহীত কোনো ডিপোজিট।

(১৪) যেইক্ষেত্রে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় জড়িত নহে এইরূপ কোনো করদাতা কোনো গৃহসম্পত্তি বা তাহার অংশবিশেষ নির্মাণ বা মেরামতের জন্য বাকিতে নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করেন এবং এইরূপ ক্রয়-সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষ সমাপ্তির পরবর্তী ২ (দুই) আয়বর্ষের মধ্যে তাহা পরিশোধ না করেন, সেইক্ষেত্রে তাহা উক্ত ২ (দুই) আয়বর্ষ সমাপ্ত হইবার পরবর্তী আয়বর্ষে করদাতার “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতের আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হইবে ।

19[***]

অন্যান্য উৎস হইতে আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে অনুমোদনযোগ্য বিয়োজন

৬৮। (১) এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, কোনো আয়বর্ষে কোনো ব্যক্তির “অন্যান্য উৎস হইতে আয়” খাতে আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে, উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক কেবল সংশ্লিষ্ট আয় অর্জনের উদ্দেশ্যে, মূলধনি বা ব্যক্তিগত ব্যয় নহে এইরূপ ব্যয় খরচ হিসাবে অনুমোদনযোগ্য হইবে।

(২) ধারা ৬৭ এর উপ-ধারা (৫) ও (৬) ব্যতীত ধারা ৬৭ এর অন্যান্য উপ-ধারার অধীন আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে কোনপ্রকারের ব্যয় অনুমোদিত হইবে না।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন খরচ অনুমোদনের ক্ষেত্রে, উক্ত খরচের যৌক্তিকতা বিবেচনা করিতে হইবে।

কতিপয় ক্ষেত্রে বিয়োজন অনুমোদিত না হওয়া

৬৯। (১) কোনো আয়বর্ষে এই অধ্যায়ের অধীন কোনো সম্পদের বিপরীতে খরচ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অনুমোদিত হইলে তাহা একই সম্পদের বিপরীতে পুনরায় অনুমোদিত হইবে না।

(২) খরচ অনুমোদনের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কিত ধারা ৫৫ এ উল্লিখিত বিধানাবলি এই অধ্যায়ের এইরূপ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

নবম অধ্যায়

ক্ষতির সমন্বয় এবং জের টানা

ক্ষতির সমন্বয় এবং জের টানা

৭০। (১) উপ-ধারা (২) এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, কোনো করবর্ষে কোনো খাতের নিরূপিত ক্ষতি অন্য খাতের আয়ের সহিত সমন্বয় করা যাইবে।

(২) নিম্নবর্ণিত সারণী উল্লিখিত কোনো ক্ষতি কেবল সেই খাত বা উৎসের আয় ব্যতীত অন্য কোনো খাত বা উৎসের আয়ের সহিত সমন্বয় করা যাইবে না, যথা:-

 

                                সারণী

 

ক্রমিক নং

আয়ের উৎস বা খাত

যেরূপে সমন্বয় করা যাইবে

(১)

(২)

(৩)

মূলধনি ক্ষতি

কেবল মূলধনি আয়ের সহিত সমন্বয় করা যাইবে

 

ব্যবসায়িক ক্ষতি

কেবল ব্যবসা হইতে আয়ের সহিত সমন্বয় করা যাইবে

ফটকা ব্যবসায় ক্ষতি

কেবল ফটকা ব্যবসা হইতে আয়ের সহিত সমন্বয় করা যাইবে

 

তামাক জাতীয় পণ্যের ব্যবসায় ক্ষতি

কেবল তামাক জাতীয় পণ্যের ব্যবসা হইতে আয়ের সহিত সমন্বয় করা যাইবে

 

(৩) কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত, হ্রাসকৃত করহার বা 20[ধারা ১৬৩ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী] ন্যূনতম কর প্রযোজ্য হয় এইরূপ কোনো উৎসের বা খাতের ক্ষতির সমন্বয় বা জের টানা যাইবে না।

(৪) কোনো ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘের নিরূপিত ক্ষতি কেবল উক্ত ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘের নিরূপিত আয়ের সহিত সমন্বয় করা যাইবে এবং উক্ত ফার্মের কোনো অংশীদার বা ব্যক্তিসংঘের কোনো সদস্যের আয়ের বিপরীতে সমন্বয় করা যাইবে না।

(৫) কোনো করবর্ষে কোনো খাতের নিরূপিত ক্ষতি উক্ত বৎসরের অন্য কোনো খাতের বা উৎসের আয়ের সহিত সম্পূর্ণ সমন্বয় করা না গেলে অসমন্বিত ক্ষতির জের টানিয়া পরবর্তী ৬ (ছয়) করবর্ষে সমন্বয় করা যাইবে।

(৬) অষ্টম তফসিল সাপেক্ষে, ব্যবসা বা পেশায় উত্তরাধিকার ব্যতীত অন্য কোনোভাবে কোনো ব্যক্তি স্থলাভিষিক্ত হইলে, উত্তরসূরি নিজের কোনো আয়ের বিপরীতে পূর্বসূরির ক্ষতির সমন্বয় বা জের টানিতে পারিবেন না।

অবচয় ভাতার জের টানা

৭১। (১) এই আইনানুযায়ী অনুমোদিত কোনো অবচয় কোনো করবর্ষের গ্রস আয়ের বিপরীতে ব্যয় হিসাবে সম্পূর্ণরূপে চার্জ করা না গেলে তাহা পরবর্তী করবর্ষের অবচয়ের সহিত যুক্ত হইবে।

(২) এই আইনের কোনো বিধান পরিপালনে ব্যত্যয়ের কারণে কোনো অবচয় ভাতা অননুমোদিত হইলে উহার জের টানা যাইবে না।

(৩) জের টানা অবচয়ের ভাতা চার্জ করিবার পূর্বে জের টানা ক্ষতির সমন্বয় করিতে হইবে।

(৪) অনুমোদিত অবচয় ভাতা সম্পূর্ণরূপে সমন্বয়কৃত হওয়া পর্যন্ত জের টানা যাইবে।

দশম অধ্যায়

হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি

হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি

৭২। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, একজন ব্যক্তির আয়কে নিয়মিতভাবে প্রয়োগকৃত হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি অনুসারে পরিগণনা করিতে হইবে।

(২) যেইক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি মনে করেন যে, হিসাব পদ্ধতিতে কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন, সেইক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি অভিষ্ট পরিবর্তন সম্পর্কে উপকর কমিশনারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং এইরূপ আবেদন প্রাপ্তির পর উপকর কমিশনার করদাতার আয় স্পষ্টভাবে প্রতিফলনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তন অনুমোদন করিতে পারিবেন।

(৩) বোর্ড, বিধি দ্বারা, কোনো ব্যবসা, বা কোনো শ্রেণির ব্যবসা, বা অন্য কোনো উৎস, বা কোনো উৎসের আয়ের জন্য হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি ও অন্যান্য যাচাই মানদণ্ড নির্ধারণ করিতে পারিবে।

(৪) পূর্ববর্তী বিধানসমূহ ক্ষুণ্ন না করিয়া, কোনো কোম্পানি International Accounting Standards (IAS), International Financial Reporting Standards (IFRS) ও বাংলাদেশে বলবৎ সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী হিসাব রক্ষণ এবং আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করিবে।

কোম্পানি, ইত্যাদি কর্তৃক নিরীক্ষাকৃত আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল

৭৩। 21[স্বাভাবিক ব্যক্তি ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবার ব্যতীত যেকোনো ব্যক্তি] এবং দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি হইতে আয় প্রাপ্ত যেকোনো ব্যক্তি আয়বর্ষের রিটার্নের সহিত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট দ্বারা প্রত্যয়িত আয় বিবরণী এবং 22[আর্থিক বিবরণীসমূহের] একটি অনুলিপি এই মর্মে প্রদান করিবে যে-

(ক) উক্ত করবর্ষের জন্য International Accounting Standards (IAS), International Financial Reporting Standards (IFRS) ও বাংলাদেশে বলবৎ সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী হিসাব সংরক্ষণ করা হইয়াছে এবং বিবরণী প্রস্তুত ও দাখিল করা হইয়াছে;

(খ) বোর্ড কর্তৃক, সময় সময়, নির্ধারিত মানদণ্ড অনুসরণ করা হইয়াছে; এবং

(গ) International Standards on Auditing (ISA) অনুসারে উহা নিরীক্ষা করা হইয়াছে 23[:]

 

24[তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না, যথা:-

(অ) অনধিক ৫ (পাঁচ) কোটি টাকার গ্রস প্রাপ্তি রহিয়াছে এইরূপ কোনো ফার্ম, ট্রাস্ট, ব্যক্তিসংঘ, ফাউন্ডেশন, সমিতি, এবং সমবায় সমিতি;

(আ) যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাহা কেবল প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাদানে নিয়োজিত।]

দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির ক্ষেত্রে হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি

৭৪। (১) যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি ‘ব্যবসা হইতে আয়’ শ্রেণিভুক্ত এবং গণনাকৃত আয়ের জন্য উপচিত হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করেন, সেইক্ষেত্রে কোনো আয়বর্ষে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হইতে উদ্ভূত আয় সম্পাদনের শতাংশ পদ্ধতি অনুসারে গণনা করিতে হইবে।

(২) কোনো করবর্ষে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সম্পাদনের শতাংশ, উক্ত করবর্ষ শেষ হইবার পূর্বে চুক্তিতে মোট বরাদ্দকৃত ব্যয় এবং সংঘটিত খরচের সহিত চুক্তির শুরুতে নির্ধারিত আনুমানিক মোট চুক্তিব্যয়ের মধ্যে তুলনার মাধ্যমে নির্ধারিত হইবে।

(৩) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,-

(ক) "দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি" অর্থ উৎপাদন, স্থাপন, বা নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তি, বা এতৎসংক্রান্ত প্রতিটি চুক্তি সম্পর্কিত পরিষেবা সমূহের সম্পাদন, যাহা চুক্তির অধীন কাজ আরম্ভ হইবার 25[বৎসরের] মধ্যে সম্পন্ন হয় নাই, তবে চুক্তির অধীন কাজ শুরু হইবার দিন হইতে আনুমানিক ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে শেষ হইবে এইরূপ চুক্তি ব্যতীত অন্য সকল চুক্তি;

(খ) "সম্পাদনের শতাংশ পদ্ধতি" অর্থ সার্বজনীনভাবে গৃহীত হিসাবরক্ষণ নীতি যাহার অধীন দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতাধীন রাজস্ব ও ব্যয় উপ-ধারা (২) এর অধীন সংশোধনকৃত চুক্তির সমাপ্তির পর্যায়ে স্বীকৃত হয়।

অসম্পূর্ণ বা ভুল হিসাব, ইত্যাদি

৭৫। (১) কোনো করদাতা কর্তৃক প্রদত্ত রিটার্ন, বিবরণ বা জমাকৃত নথি, বা অডিট বা কর নির্ধারণ কার্যক্রম চলাকালে উল্লিখিত দাবি যাচাইযোগ্য না হইলে তাহা অগ্রাহ্য করিবার ক্ষেত্রে এই অধ্যায়ের কোনো কিছুই আয়কর কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাকে বারিত করিবে না।

(২) যেইক্ষেত্রে হিসাবরক্ষণের কোনো প্রচলিত পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় নাই, বা উপকর কমিশনার করদাতার হিসাবসমূহের সঠিকতা বা সম্পূর্ণতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হন, বা করদাতার হিসাবসমূহ ধারা ৭৩ এর বিধান অনুসারে প্রস্তুত এবং সংরক্ষণ করা হয় নাই, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবেন সেইরূপ পদ্ধতিতে করদাতার কর নিরূপণ করিবেন।


  • 1
    উপ-ধারা (২) অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২১ ধারাবলে বিলুপ্ত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 2
    তৃতীয় অধ্যায় অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 3
    “বিক্রয়লব্ধ অর্থ” শিরোনামটি “ক্রয়লব্ধ অর্থ” শিরোনামের পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৩(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 4
    “বা বিক্রয়লব্ধ অর্থ” শব্দগুলি “প্রাপ্ত অর্থ” শব্দগুলির পর অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৩(খ) ধারাবলে সংযোজিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 5
    উপ-ধারা (৭) অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৩(গ) ধারাবলে বিলুপ্ত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 6
    দফা (প) অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 7
    “কোনো বিয়োজন বা কোনো দায়ের বিপরীতে সৃষ্ট কোনো বিয়োজন” শব্দগুলি “যেকোনো দায়” শব্দগুলির পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৫(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 8
    “পরিসম্পদের” শব্দটি “ভূমি বা আঙ্গিনার” শব্দগুলির পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৫(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 9
    দফা (প) অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৫(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 10
    “দফা (ঘ)-(ঞ), (থ), (ধ) এবং (ন)” শব্দগুলি, বর্ণগুলি, চিহ্নগুলি ও বন্ধনীগুলি “দফা (ধ)” শব্দ, বর্ণ ও বন্ধনীর পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 11
    “পরিসম্পদ,” শব্দ ও কমা “আর্থিক” শব্দটির পর অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে সন্নিবেশিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 12
    দফা (গ) অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৮(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 13
    দফা (ঘ) ও (ঙ) অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৮ (খ) ধারাবলে সংযোজিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 14
    “সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে” শব্দগুলি “তাহা” শব্দটির পর অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৯(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 15
    ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৯ নং আইন)” শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনী “আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন)” শব্দগুলি, কমা, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ১৪(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 16
    “দান” শব্দটি অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৯ (খ) (অ)ধারাবলে বিলুপ্ত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 17
    “দান” শব্দটি অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৯ (খ) (অ)ধারাবলে বিলুপ্ত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 18
    “দাতা ও গ্রহীতার রিটার্নে প্রদর্শিত হইলে” শব্দগুলি “দাতার ব্যাংক হিসাব হইতে উত্তোলিত হইলে” শব্দগুলির পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৯(খ) (আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 19
    উপ-ধারা (১৫) অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ২৯(গ) ধারাবলে বিলুপ্ত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 20
    “ধারা ১৬৩ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী” শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনী “ন্যূনতম” শব্দটির পূর্বে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৩০ ধারাবলে সন্নিবেশিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 21
    “স্বাভাবিক ব্যক্তি ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবার ব্যতীত যেকোনো ব্যক্তি” শব্দগুলি “কোনো কোম্পানি, ৩ (তিন) কোটি টাকার ঊর্ধ্বে টার্নওভার রহিয়াছে এইরূপ ফার্ম, ব্যক্তিসংঘ, তহবিল” শব্দগুলি, সংখ্যা, বন্ধনী ও কমাগুলির পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৩১(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 22
    “আর্থিক বিবরণীসমূহের” শব্দগুলি “স্থিতিপত্রের” শব্দটির পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৩১(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 23
    “:” কোলন প্রান্তঃস্থিত “।” দাঁড়ির পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৩১(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 24
    শর্তাংশ অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৩১(গ) ধারাবলে সন্নিবেশিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 25
    “বৎসরের” শব্দটি “করবর্ষের” শব্দটির পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৩২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs