প্রিন্ট ভিউ

আয়কর আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ১২ নং আইন )

প্রথম অধ্যায়

আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তথ্য সংগ্রহ

সংজ্ঞা

১৯৮। এই অংশের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,-

(১) “তদন্তকারী আয়কর কর্তৃপক্ষ” অর্থ-

(অ) মহাপরিচালক (পরিদর্শন);

(আ) মহাপরিচালক (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল);

(ই) কর কমিশনার; এবং

1[(ঈ) পরিদর্শী অতিরিক্ত কর কমিশনার বা উপকর কমিশনার বা উপকর কমিশনারের অনুমতি সাপেক্ষে কর পরিদর্শক;]

(২) “আয় সম্পর্কিত রেকর্ড” অর্থ কোনো হিসাব বহি, দলিলাদি, ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড ও সিস্টেম।

তথ্য সংগ্রহে বিধানাবলির প্রয়োগ

১৯৯। এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলির প্রয়োগ ক্ষুণ্ন না করিয়া, আয়কর কর্তৃপক্ষ এই অধ্যায়ে বর্ণিত বিধানাবলি প্রয়োগ করিতে পারিবে।

তথ্য সংগ্রহ

২০০। (১) এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, উপকর কমিশনারের নিম্নে নহে এইরূপ যেকোনো কর্তৃপক্ষ লিখিত নোটিশ দ্বারা, কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে, এবং নোটিশে বর্ণিত পদ্ধতি ও মাধ্যমে, এবং নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে এই আইনের অধীন কর্ম সম্পাদনের লক্ষ্যে যেইরূপ তথ্য প্রয়োজন বিবেচনা করিবেন সেইরূপ তথ্য তলব করিতে পারিবেন।

(২) উপকর কমিশনারের নিম্নে নহে এইরূপ কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষ, এই আইনের অধীন অনিষ্পন্ন কোনো তদন্ত সম্পর্কিত বা চলমান কোনো কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় বা প্রাসঙ্গিক হইতে পারে এইরূপ তথ্য কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে লিখিত নোটিশ দ্বারা অথবা ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে এবং নোটিশে বর্ণিত পদ্ধতি ও মাধ্যমে, এবং নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, তথ্য তলব করিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, কর কমিশনারের অনুমোদন ব্যতিরেকে কর কমিশনারের অধস্তন কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে কোনো তথ্য তলব করিতে পারিবে না।

স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য প্রদান

২০১। (১) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেকোনো কর্তৃপক্ষ, ব্যক্তি বা সত্তাকে যেকোনো শ্রেণির ব্যক্তির সম্পদ, দায়, আয়, ব্যয় এবং লেনদেন সম্পর্কিত তথ্যাদিসহ তাহার নিয়ন্ত্রণে রহিয়াছে এইরূপ যেকোনো প্রকার তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে বোর্ড বা অন্য কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য প্রদান বলিতে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:-

(ক) বোর্ডের সিস্টেমে ডেটা আপলোডকরণ;

(খ) বোর্ডের ডিজিটাল বা ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমে ডেটা শেয়ার;

(গ) অভিপ্রেত ডিজিটাল বা ইলেক্ট্রনিক তথ্য সিস্টেমে প্রবেশের কর্তৃত্ব প্রদান।

ব্যবসায়িক রেকর্ড পরিদর্শন

২০২। যেকোনো আয়কর কর্তৃপক্ষ এই আইনের অধীন অনিষ্পন্ন কোনো তদন্ত সম্পর্কিত বা চলমান কোনো কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় বা প্রাসঙ্গিক হইতে পারে এইরূপ যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ও প্রয়োজনে যেকোনো ব্যবসায়িক রেকর্ডের কপি সংগ্রহ বা কপি প্রদানে বাধ্য করিতে পারিবে।

আয়ের উৎস অনুসন্ধান

২০৩। যদি কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষ এই আইনের অধীন অনিষ্পন্ন কার্যক্রম তদন্তের বা অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় বিবেচনা করে, তাহা হইলে উক্ত কার্যক্রমের সহিত সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির আয়ের উৎস সম্পর্কিত কোনো তথ্যাদির অনুসন্ধান করিতে পারিবে এবং আয়ের উৎস সম্পর্কিত তথ্য ও রেকর্ডের কপি সংগ্রহ বা কপি প্রদানে বাধ্য করিতে পারিবে।

অনুসন্ধান ও তদন্ত

২০৪। (১) তদন্তকারী আয়কর কর্তৃপক্ষ, এই আইনের আওতায় কর নির্ধারণযোগ্য বা তাহার বিবেচনায় কর নির্ধারণের আওতাভুক্ত কোনো ব্যক্তি বা অন্য কোনো ব্যক্তির বিষয়ে যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে সেইরূপ অনুসন্ধান ও তদন্ত করিতে পারিবে অথবা উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা এইরূপ অনুসন্ধান ও তদন্তের সহিত সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো তথ্য বা আয়ের সহিত সম্পর্কযুক্ত কোনো দলিলাদি সরবরাহ করা বা সরবরাহ করিবার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত সময় ও স্থানে তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইতে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) বোর্ড, এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, অনুসন্ধান ও তদন্তের লক্ষ্যে পরিপালনীয় একটি ম্যানুয়াল প্রস্তুত করিবে।

দ্বিতীয় অধ্যায়

জরিপ, তল্লাশি ও জব্দ

জরিপের ক্ষমতা

২০৫। (১) এই আইনের অধীন কোনো ব্যক্তির কর সংক্রান্ত দায়বদ্ধতা জরিপের উদ্দেশ্যে বোর্ড বা কর কমিশনার কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষকে ব্যবসা পরিচালিত হয় বা ভাড়া প্রদানের মাধ্যমে আয় হয় এইরূপ যেকোনো স্থানে বা প্রাঙ্গণে গমনের ও জরিপের ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে।

(২) আয়কর কর্তৃপক্ষ নিম্নরূপ ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত স্থানে প্রবেশ করিবে, যথা:-

(ক) যদি উক্ত স্থানে ব্যবসাটি পরিচালিত হয়, তাহা হইলে কেবল যে সময়ে উক্ত স্থান ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত থাকে; এবং

(খ) অন্য কোনো ক্ষেত্রে, কেবল সূর্যোদয়ের পরে এবং সূর্যাস্তের পূর্বে।

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত স্থানে প্রবেশ করিয়া, আয়কর কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন, যথা:-

(ক) আয়, পরিসম্পদ ও দায় সম্পর্কিত যে রেকর্ড তদ্‌কর্তৃক পরিদর্শন করা হইয়াছে সেই রেকর্ডে পরিদর্শনের চিহ্ন প্রদান করত তাহা হইতে সারাংশ বা কপি সংগ্রহ;

(খ) তদ্‌কর্তৃক পরিদর্শনকৃত আয় সম্পর্কিত রেকর্ড কারণ রেকর্ডপূর্বক জব্দকরণ ও হেফাজতে গ্রহণ;

(গ) নগদ, অর্থ জমা বা মূল্যবান সামগ্রীসমূহের তালিকা প্রস্তুতকরণ;

(ঘ) এই আইনের অধীন কোনো কার্যক্রমের জন্য প্রাসঙ্গিক হইলে কোনো ব্যক্তিকে শপথপূর্বক তাহার বিবৃতি পরীক্ষা; এবং

(ঙ) অন্য কোনো প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান।

(৪) প্রত্যেক মালিক, বেতনভোগী কর্মী বা অন্য কোনো ব্যক্তি যিনি কোনো ব্যবসা পরিচালনা করেন, বা কোনো ব্যক্তি যিনি উপ-ধারা (১) এর অধীন আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারে এইরূপ কোনো স্থান বা প্রাঙ্গণে বসবাস করেন, কর্তৃপক্ষকে নিম্নবর্ণিতভাবে উক্তরূপ কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা প্রয়োগে সহায়তা করিবে, যথা:-

(ক) কর্তৃপক্ষকে নিম্নবর্ণিত কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে-

(অ) আয়, পরিসম্পদ ও দায় সংক্রান্ত রেকর্ড পরিদর্শন ও প্রবেশ কর; অথবা

(আ) এইরূপ স্থান বা প্রাঙ্গণে প্রাপ্ত নগদ অর্থ, স্টক বা অন্য কোনো মূল্যবান সামগ্রী বা বস্তু যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষণ; এবং

(খ) এই আইনের অধীন কোনো কার্যক্রমের জন্য উপযুক্ত বা প্রাসঙ্গিক কোনো বিষয় সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ।

(৫) উপ-ধারা (৮) এর দফা (ঘ) এর অধীন কোনো ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত বিবৃতি এই আইনের অধীন কোনো কার্যক্রমের প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে।

(৬) এই ধারার প্রয়োগের ক্ষেত্রে আয়কর কর্তৃপক্ষ, প্রবেশকৃত স্থান বা প্রাঙ্গণ হইতে কোনো নগদ অর্থ, স্টক বা অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী বা বস্তু অপসারণ করিবে না।

(৭) আয়কর কর্তৃপক্ষ কর কমিশনারের অনুমোদন ব্যতিরেকে এই ধারার অধীন হেফাজতে জব্দকৃত আয় সম্পর্কিত রেকর্ড ১ (এক) মাসের অধিক সময়ের জন্য তাহার নিকট রাখিবে না।

(৮) কর পরিদর্শক ব্যতীত কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষের ধারা ২২৩ এর উপ-ধারা (১) এর ক্ষমতা থাকিবে, যদি কোনো ব্যক্তি নিম্নবর্ণিত কার্যাদি সম্পাদনে অপারগ হইলে বা অমান্য করিলে, যথা:-

(ক) হিসাবপত্র বা অন্যান্য দলিলপত্র পরীক্ষার জন্য আয়কর কর্তৃপক্ষকে সহায়তা প্রদান;

(খ) কোনো নগদ অর্থ, স্টক বা অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী বা বস্তু যাচাই-বাছাই বা পরীক্ষা করিবার অনুমতি প্রদান;

(গ) কোনো তথ্য প্রদান; বা

(ঘ) রেকর্ড বা বিবৃতি প্রদান।

তল্লাশি ও জব্দ করিবার ক্ষমতা

২০৬। (১) তদন্তকারী আয়কর কর্তৃপক্ষ নিম্নবর্ণিতরূপে কোনো ব্যক্তির তথ্য তল্লাশি এবং জব্দকরণের ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন যদি বোর্ড বা তদন্তকারী আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট কোনো তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে-

(ক) কোনো ব্যক্তি, যাহার নিকট এই আইনের অধীন কোনো সমন বা নোটিশের মাধ্যমে আয়, পরিসম্পদ ও দায় সম্পর্কিত রেকর্ড সরবরাহ বা উপস্থাপন করিতে বলা হইয়াছে, কিন্তু উক্ত ব্যক্তি তাহা সরবরাহ বা উপস্থাপন করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন;

(খ) দফা (ক)-তে উল্লিখিত ব্যক্তি কর্তৃক আয়, পরিসম্পদ ও দায় সম্পর্কিত রেকর্ড সরবরাহ বা উপস্থাপনের সম্ভাবনা নাই; অথবা

(গ) এই আইনের অধীন কোনো সমন বা নোটিশ জারিকরণ বা উপস্থাপনের জন্য আয় সম্পর্কিত কোনো রেকর্ড প্রস্তুতের কারণে, উক্তরূপ আয় সম্পর্কিত রেকর্ডসমূহ প্রস্তুত বা উপস্থাপনের ব্যর্থ হইয়াছে বা ব্যর্থ হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে।

(২) তদন্তকারী আয়কর কর্তৃপক্ষ, সহকারী কর কমিশনার পদবির নিম্নে নহেন, এইরূপ কোনো কর্মকর্তাকে (অতঃপর ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলিয়া উল্লিখিত), এই ধারার অধীন তল্লাশি ও জব্দ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করিতে পারিবে।

(৩) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবেন, যথা:-

(ক) যেকোনো ভবন, স্থান, জাহাজ, যানবাহন বা বিমানে প্রবেশপূর্বক, যেইক্ষেত্রে সন্দেহ করিবার কারণ রহিয়াছে সেইক্ষেত্রে, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বা হেফাজতে রক্ষিত কোনো আয় সম্পর্কিত রেকর্ড, অর্থ, মূল্যবান ধাতু, গহনা বা অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী বা বস্তু তল্লাশি;

(খ) কোনো দরজা, বাক্স, লকার, সেফ, আলমারি বা অন্য কোনো আধার খোলার চাবি পাওয়া না গেলে প্রবেশ বা তল্লাশির উদ্দেশ্যে তাহা ভাঙ্গিয়া উন্মুক্তকরণ;

(গ) এইরূপ কোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি যিনি কোনো ভবন, স্থান, জাহাজ, যানবাহন বা বিমান হইতে বাহির হইয়াছেন বা বাহির হইবার উপক্রম করিয়াছেন, বা ভিতরে রহিয়াছেন, যদি তাহার সম্পর্কে এইরূপ সন্দেহ করিবার কারণ থাকে যে, উক্ত ব্যক্তি তাহার হিসাব, নথি, ইলেকট্রনিক রেকর্ড এবং সিস্টেম, অর্থ, মূল্যবান ধাতু, গহনা বা অন্য কোনো মূল্যবান সামগ্রী গোপন করিয়াছেন;

(ঘ) আয় সম্পর্কিত রেকর্ড, অর্থ, মূল্যবান ধাতু গহনা বা অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী বা বিষয়াদি তল্লাশির ফলে পাওয়া গেলে তাহা জব্দকরণ;

(ঙ) আয় সম্পর্কিত রেকর্ডে শনাক্তকরণ চিহ্ন স্থাপন বা ইলেকট্রনিক সংখ্যা প্রদান বা তাহার সারাংশ তৈরি বা তৈরির উদ্যোগ বা তাহার কপি প্রস্তুতকরণ;

(চ) অর্থ, মূল্যবান ধাতব পিণ্ড, গহনা বা অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী বা জিনিসপত্রের নোট তৈরি বা তালিকা প্রস্তুতকরণ; এবং

(ছ) ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড এবং সিস্টেমে সংরক্ষিত তথ্য, ছবি বা কোনো উপাত্ত উদ্ধারকরণ অথবা পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা ভাঙ্গিয়া প্রবেশকরণ বা আয় সংক্রান্ত তথ্য কপি বা বিশ্লেষণকরণ।

(৪) ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সকল বা কোনো একটি উদ্দেশ্যে তাহাকে সহায়তা করিবার জন্য কোনো পুলিশ কর্মকর্তা বা কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কোনো পেশাদার বিশেষজ্ঞের সহায়তা চাহিতে পারিবেন; এবং সেবা চাহিতে পারিবেন, এবং এইরূপে সহায়তা চাওয়া হইলে উক্তরূপ কর্মকর্তা বা পেশাদার বিশেষজ্ঞের কর্তব্য হইবে চাহিত সহায়তা প্রদান করা।

(৫) যেইক্ষেত্রে কোনো আয় সম্পর্কিত রেকর্ড, অর্থ, মূল্যবান ধাতু, গহনা বা অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী বা বস্তু জব্দ করা সম্ভব নহে, সেইক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিখিত আদেশের মাধ্যমে তাহার মালিক বা কোনো ব্যক্তি যিনি তাহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকেন তাহাকে এইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন যে, তাহার পূর্ব অনুমতি ব্যতীত উহা অপসারণ, বিচ্যুতকরণ বা অন্য কোনোভাবে বন্দোবস্ত করিবেন না; এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদেশ পরিপালনের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত মালিক বা কোনো ব্যক্তি যদি এই উপ-ধারার বিধানসমূহ পরিপালনে ব্যর্থ হন এবং যদি মূল্যবান ধাতু, গহনা, মূল্যবান সামগ্রী বা বস্তু স্থানান্তর করেন, বা তাহা অপসারণ, বিচ্যুতকরণ বা অন্য কোনোভাবে বন্দোবস্ত করা হয়, তাহা হইলে এইরূপ মালিক বা ব্যক্তিকে, উপকর কমিশনার মালিক হিসাবে চিহ্নিত করিতে পারিবেন এবং উক্ত ব্যক্তিকে এই আইনের অধীন করখেলাপি হিসাবে গণ্য করা হইবে।

(৬) ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তল্লাশি বা জব্দের সময়, কোনো ব্যক্তি যিনি কোনো আয় সম্পর্কিত রেকর্ড, অর্থ, মূল্যবান ধাতু, গহনা বা অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী বা বস্তু পরীক্ষার সময় এবং কোনো ব্যক্তির দখল বা নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শপথ গ্রহণ করিয়াছেন এইরূপ ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত বিবৃতি এই আইনের অধীন কোনো কার্যধারা প্রমাণে ব্যবহার করা যাইবে।

(৭) যেইক্ষেত্রে কোনো আয় সম্পর্কিত রেকর্ড, অর্থ, মূল্যবান ধাতু গহনা বা অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী বা বস্তু তল্লাশির সময় কোনো ব্যক্তির দখলে বা নিয়ন্ত্রণে পাওয়া যায়, সেইক্ষেত্রে এইরূপ বিবেচনা করা যাইবে যে-

(ক) আয় সম্পর্কিত রেকর্ড, অর্থ, মূল্যবান ধাতু, গহনা, বস্তু বা সামগ্রী উক্ত ব্যক্তির স্বত্বভুক্ত;

(খ) আয় সম্পর্কিত রেকর্ডের বিষয়বস্তু সত্য; এবং

(গ) এইরূপ কোনো হিসাব বহি বা দলিলাদিতে প্রদত্ত স্বাক্ষর বা হস্তাক্ষর সেই ব্যক্তির স্বাক্ষর বা হস্তাক্ষর হিসাবে পরিগণিত হইবে যাহার স্বাক্ষর বা হস্তাক্ষর হওয়া উচিত।

(৮) যেই ব্যক্তির হেফাজত হইতে উপ-ধারা (২) এর অধীন কোনো আয় সম্পর্কিত রেকর্ড জব্দ করা হয়, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে তাহার উপস্থিতিতে বা তদ্‌কর্তৃক নিয়োজিত অন্য কোনো ব্যক্তির উপস্থিতিতে উক্তরূপ কপি করিতে হইবে বা তাহার নিকট হইতে সারাংশ গ্রহণ করা যাইবে।

(৯) বোর্ড নিম্নবর্ণিত বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা:-

ক) অনুমোদিত কর্মকর্তা কর্তৃক অনুসরণীয় পদ্ধতি সংক্রান্ত-

(অ) প্রবেশাধিকার নাই এইরূপ কোনো ভবন, স্থান, জাহাজ, যানবাহন বা বিমানে অনুসন্ধানের জন্য মুক্ত প্রবেশাধিকার; এবং

(আ) জব্দকৃত মালামালের নিরাপত্তা হেফাজতের জন্য; এবং

(খ) এই ধারার অধীন তল্লাশি ও জব্দকরণ সম্পর্কিত অন্য কোনো বিষয়।

(১০) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, বোর্ড কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে প্রণীত বিধি দ্বারা, তল্লাশি ও জব্দকরণ সংক্রান্ত প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, যতদূর সম্ভব, এই উপ-ধারার অধীন Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

(১১) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, "কার্যক্রম" শব্দটির অর্থ এই আইনের অধীন কোনো বৎসরের কোনো কার্যক্রম যাহা এই ধারার অধীন কোনো তল্লাশির জন্য অনুমোদিত তারিখে অনিষ্পন্ন বা উক্ত তারিখে বা ইহার পূর্বেই সম্পন্ন করা হইয়াছে এবং এই আইনের অধীন সকল কার্যক্রম যাহা কোনো বৎসরে এইরূপ তারিখের পরে আরম্ভ হইয়াছে তাহা ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।

জব্দকৃত আয় সম্পর্কিত রেকর্ড উপকর কমিশনারের নিকট হস্তান্তর

২০৭। (১) যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং উপকর কমিশনার পৃথক ব্যক্তি হন তাহা হইলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ধারা ২০৬ এর অধীন জব্দকৃত আয় সংক্রান্ত রেকর্ড, তাহা যেই তারিখে রেকর্ড করা হয় উক্ত তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উপকর কমিশনারের নিকট হস্তান্তর করিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপকর কমিশনারকে পৃথক ব্যক্তি হিসাবে বিবেচনা করা হইবে, যদি যে ব্যক্তির নিকট হইতে কোনো হিসাব বহি বা দলিলাদি জব্দ করা হয় সেই ব্যক্তির উপর অনুমোদিত কর্মচারীর কোনো কর্তৃত্ব না থাকে।

(৩) যদি ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপকর কমিশনার একই ব্যক্তি হন, তবে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত আয় সম্পর্কিত রেকর্ডসমূহ যেই তারিখে জব্দ করা হয় উক্ত তারিখে তাহা উপকর কমিশনারের নিকট হস্তান্তর করা হইয়াছে মর্মে গণ্য হইবে।

(৪) যখন কোনো ব্যক্তির আয় সম্পর্কিত রেকর্ড অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে জব্দ করা হয় সেইক্ষত্রে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উক্তরূপ জব্দকৃত বিষয়বস্তু উক্ত ব্যক্তির উপর কর্তৃত্বসম্পন্ন উপকর কমিশনারের নিকট তাহা জব্দ করিবার তারিখের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে হস্তান্তর করিবেন।

জব্দকৃত আয় সম্পর্কিত রেকর্ড সংরক্ষণের সময়সীমা

২০৮। (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, ধারা ২০৬ এর অধীন জব্দকৃত আয় সম্পর্কিত রেকর্ডসমূহ জব্দ হইবার তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) কার্যদিবসের অধিক সময়ের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংরক্ষণে রাখিবেন না।

(২) তদন্তকারী আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বর্ধিত সময়সীমা পর্যন্ত আয় সম্পর্কিত রেকর্ড সংরক্ষণে রাখিতে পারিবেন এবং তদন্তকারী আয়কর কর্তৃপক্ষ কোনো বৎসরে এই আইনের অধীন কার্যক্রম সমাপ্ত হইবার পর সংশ্লিষ্ট রেকর্ডসমূহ সংরক্ষণের মেয়াদ ৩০ (ত্রিশ) দিনের অধিক বর্ধিত করিবে না।

(৩) ধারা ২০৬ এর অধীন জব্দকৃত আয় সম্পর্কিত রেকর্ডের আইনগত অধিকারী কোনো ব্যক্তি, সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি উক্তরূপ সংরক্ষণের মেয়াদ বর্ধিতকরণের বিরুদ্ধে আবেদন দাখিল করিতে পারিবেন, এবং বোর্ড, আবেদনকারীকে যুক্তিসংগতভাবে শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে সেইরূপ আদেশ জারি করিবে।

জব্দকৃত সম্পদের ব্যবস্থা

২০৯। (১) যেইক্ষেত্রে ধারা ২০৬ এর অধীন জব্দকৃত কোনো অর্থ, মূল্যবান ধাতু, গহনা বা অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী বা জিনিস (অতঃপর সম্পদ বলিয়া উল্লিখিত), উপকর কমিশনারের নিকট হস্তান্তর করা হয়, সেইক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে।

(২) উপকর কমিশনার, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যুক্তিসঙ্গত শুনানির সুযোগ প্রদান করিবেন এবং অতঃপর সম্পদ জব্দের ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে নিম্নবর্ণিত প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন,-

(ক) অপ্রদর্শিত আয় সম্পর্কে আনুমানিক হিসাব করিয়া অপ্রদর্শিত সম্পত্তি হইতে আয়সহ, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সংক্ষেপে তাহার বিবেচনায় সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত গ্রহণ;

(খ) প্রদেয় অঙ্ক পরিগণনা, যাহা নিম্নবর্ণিত বিষয়াদির সমষ্টি হইবে, যথা:-

(অ) দফা (ক) এর প্রাক্কলনের ভিত্তিতে প্রদেয় কর এবং অন্য কোনো অঙ্ক; এবং

(আ) এইরূপ ব্যক্তির, বিদ্যমান যে করদায়ের জন্য করখেলাপি অথবা করখেলাপি হিসাবে বিবেচিত সেই করদায় পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্ক।

(৩) উপ-ধারা (২) এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, ৯০ (নব্বই) দিন সময় গণনাকালে, এই ধারার অধীন নির্ধারিত কোনো সময়সীমা, কোনো আদেশ বা নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনো কার্যধারা বহিভূর্ত থাকিবে।

(৪) যেইক্ষেত্রে মোট আয় এবং করদায় পরিগণনার নিমিত্ত জব্দকৃত সম্পত্তি বা তাহার অংশ কোনো আয়বর্ষ বা বর্ষসমূহের সহিত সংশ্লিষ্ট তাহা নিরূপণ করা সম্ভব হয় নাই সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার উক্ত সম্পত্তি বা তাহার অংশবিশেষ, যাহা প্রযোজ্য, উক্ত ব্যক্তির যেই আয়বর্ষের সহিত সংশ্লিষ্ট সম্পদ জব্দ করা হইয়াছে উক্ত বৎসরের হিসাবে বিবেচনা করিতে পারিবেন।

(৫) উপ-ধারা (২) এবং (৩) এর অধীন কার্যক্রম সম্পন্ন করিবার পর, কমিশনারের অনুমোদনক্রমে, উপকর কমিশনার, উপ-ধারা (২) এর দফা (খ)-তে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।

(৬) যেইক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোনো অর্থ পরিশোধ করে বা সন্তোষজনক ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার জব্দকৃত সম্পদ ছাড় বা তাহার নিকট উপযুক্ত মর্মে বিবেচিত এইরূপ উদ্যোগ গ্রহণ করিবেন।

(৭) যেইক্ষেত্রে উপ ধারা (২) এর অধীন পরিশোধ, পরিশোধের জন্য কোনো সন্তোষজনক ব্যবস্থা, গ্রহণ করা হয় নাই সেইক্ষেত্রে –

(ক) উক্ত ব্যক্তি অপরিশোধিত পরিমাণ কর প্রদানের জন্য করদাতা হিসাবে গণ্য হইবেন; এবং

(খ) ধারা ২০৬ এর অধীন জব্দকৃত পরিমাণ সম্পত্তি যাহা করের অনাদায়ী অংশের আদায়ের জন্য যথেষ্ট সেই পরিমাণ সম্পদ উপকর কমিশনার হেফাজতে রাখিতে পারিবেন।

(৮) যদি উপকর কমিশনার এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, ধারা ২০৬ এর অধীন জব্দকৃত সম্পত্তি বা উহার কোনো অংশ কোনো ব্যক্তি বা অন্য কোনো ব্যক্তির দখলভুক্ত, তাহা হইলে তিনি এই ধারার অধীন উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং এই ধারার সকল বিধান যথাযথভাবে প্রয়োগযোগ্য হইবে।

(৯) যেকোনো ব্যক্তি যাহাকে উপ-ধারা (৪) এর অধীন নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করিতে হইবে, তিনি যদি সংক্ষুব্ধ হন, তাহা হইলে কর কমিশনারের নিকট লিখিতভাবে আপত্তি উত্থাপন করিতে পারিবেন, এবং কমিশনার আবেদনকারীকে শুনানির সুযোগ প্রদান করিয়া, যথোপযুক্ত আদেশ প্রদান করিবেন।

অধিকৃত সম্পত্তির ব্যবস্থা

২১০। (১) যেইক্ষেত্রে ধারা ২০৬ এর উপ-ধারা (৭) এর অধীন সংরক্ষণকৃত সম্পদ কেবল অর্থ হয়, বা আংশিক পরিমাণ অর্থ হয় এবং অন্যান্য অংশ হয় অন্যান্য সম্পদ, সেইক্ষেত্রে-

(ক) উপকর কমিশনার প্রথমে এই উপ-ধারার অধীন দায়ী করদাতা হিসাবে বিবেচিত ব্যক্তির অনাদায়ী পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য এই অর্থ ব্যবহার করিবেন; এবং এইরূপ ক্ষেত্রে যেই পরিমাণ অর্থ উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে পরিশোধ করা হইয়াছে সেই পরিমাণ অর্থ দায়মুক্ত হইবে; এবং

(খ) যেইক্ষেত্রে, দফা (ক) এর অধীন অর্থ ব্যবহারের পর, উল্লিখিত পরিমাণের যেই পরিমাণ অংশ অবশিষ্ট থাকে, উপকর কমিশনার ট্যাক্স রিকোভারি কর্মচারীর মাধ্যমে অর্থ নহে এইরূপ কোনো অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া অবশিষ্ট অনাদায়ী অর্থ পুনরুদ্ধার করিতে পারিবেন; এতদুদ্দেশ্যে তাহার এই আইনের অধীন কর পুনরুদ্ধারকারীর ন্যায় সকল ক্ষমতা থাকিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর কোনো বিধান এবং ধারা ২০৬ এর উপ-ধারা (৭) এ উল্লিখিত কোনো কিছুই করদাতার নিকট হইতে এই আইনের অধীন যেকোনো উপায়ে পাওনা আদায়ের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করিবে না।

(৩) ধারা ২০৬ এর উপ-ধারা (৭) এ উল্লিখিত দায় পরিশোধের পর কোনো সম্পদ বা প্রাপ্তি অবশিষ্ট থাকিলে অবিলম্বে যাহার নিকট হইতে সম্পদের হেফাজত লওয়া হইয়াছিল তাহার নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে।

তৃতীয় অধ্যায়

শুনানির জন্য তলব

শপথ, ইত্যাদি গ্রহণপূর্বক সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষমতা

২১১। (১) কোনো মামলা বিচার করিবার জন্য Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908) এর অধীন আদালতকে যে সকল ক্ষমতা প্রদান করা হইয়াছে, এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, উপকর কমিশনার, অতিরিক্ত কর কমিশনার,কর কমিশনার, মহাপরিচালক (কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল), কর কমিশনার (আপিল) এবং আপিল ট্রাইব্যুনাল এর নিম্নবর্ণিত বিষয়ে সেই একই ক্ষমতা থাকিবে, যথা:-

(ক) উদঘাটন ও পরিদর্শন;

(খ) কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি বাধ্যকরণ এবং শপথ গ্রহণ বা ঘোষণাপূর্বক তাহাকে পরীক্ষা করা;

গ) আয় সম্পর্কিত রেকর্ড (সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষের অব্যবহিত পূর্বের বা পরের দলিলাদিসহ) উপস্থাপনে বাধ্য করা; এবং

(ঘ) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য কমিশন গঠন করা।

(২) কমিশনারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত উপকর কমিশনার কোনো তফসিলি ব্যাংকের কোনো কর্মচারীকে সাক্ষী হিসাবে হাজির করিবার বা উক্ত ব্যাংকের আয় সংশ্লিষ্ট দলিলাদি উপস্থাপনে বাধ্য করিবার জন্য এই ধারার অধীন তাহার ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন না।

(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত যেকোনো কর্তৃপক্ষ, এই আইনের অধীন পরিচালিত কোনো কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে তাহার নিকট উপস্থাপিত কোনো আয় সংশ্লিষ্ট দলিলাদি জব্দ করিতে পারিবেন এবং যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবেন সেইরূপ মেয়াদের জন্য আটক রাখিতে পারিবেন।

(৪) উপকর কমিশনার-

(ক) কারণ রেকর্ড না করিয়া আয় সম্পর্কিত কোনো দলিলপত্র আটক করিবেন না; অথবা

(খ) মুখ্য কমিশনার বা কমিশনারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত, আয় সম্পর্কিত কোনো দলিলপত্র তাহার নিকট ১৫ (পনেরো) দিনের অধিক, ছুটির দিন ব্যতীত, আটক রাখিবেন না।

(৫) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো কর্তৃপক্ষের নিকট এই আইনের অধীন পরিচালিত কোনো কার্যক্রম, Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর section 196 এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, section 193 এবং 128 এর অধীন বিচারিক কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে।

(৬) এই আইনের অধীন গৃহীত বা পরিচালিত কোনো কার্যধারায় আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশ দেওয়ানি আদালতের আদেশ বলিয়া গণ্য হইবে।


  • 1
    উপ-দফা (ঈ)অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৭১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs