প্রিন্ট ভিউ
২৬১। (১) কোনো ব্যক্তি নিজেকে করদাতা হিসাবে নিবন্ধন করিবেন, যদি তিনি-
(ক) করদাতা হন;
(খ) ধারা ১৬৬ এর অধীন রিটার্ন জমা দিতে বাধ্য হন;
(গ) ধারা ২৬৪ এর অধীন রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপন করিতে বাধ্য হন;
(ঘ) কর প্রদান করিতে অথবা রিটার্ন দাখিল করিতে ইচ্ছুক হন।
(২) বোর্ড নিবন্ধিত করদাতাকে একটি করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রদান করিবে।
(৩) আপগ্রেডেশন বা পুনঃনিবন্ধনের উদ্দেশ্যে বোর্ড, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, যেকোনো টিআইএনধারী ব্যক্তি বা ব্যক্তি শ্রেণিকে কোনো তথ্য বা দলিলাদি উপস্থাপনের নির্দেশে দিতে পারিবে।
(৪) যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যিনি উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধিত করদাতা হইবার যোগ্য কিন্তু নিবন্ধন গ্রহণ করিয়া টিআইএন গ্রহণে ব্যর্থ হইয়াছেন, সেইক্ষেত্রে আয়কর কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ ব্যক্তিকে নিবন্ধিত করিয়া টিআইএন প্রদান করিতে পারিবে।
২৬২। (১) একজন ব্যক্তি নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করিবেন, যদি উক্ত ব্যক্তি-
(ক) ধারা ২৬৪ এর অধীন রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপনে আর বাধ্য না হন এবং-
(অ) ধারা ২ এর দফা ২২ এর অধীন করদাতা হিসাবে আর সংজ্ঞায়িত না হন;
(আ) পরপর বিগত ৩ (তিন) বৎসর করযোগ্য আয় শূন্য হন এবং শারীরিক অক্ষমতার কারণে বা অন্য কোনো কারণে ভবিষ্যতে কোনো করযোগ্য আয় শূন্য থাকিবেন; বা
(ই) ধারা ১৬৬ এর অধীন আর রিটার্ন দাখিলের প্রয়োজন নাই;
(খ) মৃত্যু, অবসায়ন, অবলুপ্তি (dissolution) বা অনুরূপ অন্য কোনো কারণে অস্তিত্বহীন হইয়া যান;
(গ) স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং বাংলাদেশে আয় উপার্জক কোনো কর্মকাণ্ড করিবেন না;
(ঘ) ডুপ্লিকেট (duplicate) নিবন্ধন বা ভুল নিবন্ধন পাইয়া থাকেন;
(ঙ) আইনি মর্যাদা পরিবর্তন করেন;
(চ) অন্য কোনো আইনানুগ কারণ প্রদর্শন করেন।
(২) আয়কর কর্তৃপক্ষ, নিবন্ধন বাতিলের আবেদন প্রাপ্তির পর, আবেদনের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করিয়া করদাতার নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবেন, যদি তিনি নিশ্চিত হন যে-
(ক) করদাতা কর্তৃক পরিশোধিতব্য কোনো বকেয়া দায় নাই;
(খ) করদাতার বিরুদ্ধে কোনো কর নির্ধারণ নিষ্পন্নাধীন নাই;
(গ) কোনো ফোরামে আয়কর সংক্রান্ত কোনো বিরোধ নিষ্পন্নাধীন নাই; এবং
(ঘ) করদাতা কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীনে নিবন্ধন বাতিলের যে কারণ উল্লেখ করিয়াছেন উহার সত্যতা রহিয়াছে।
(৩) বোর্ড নিম্নবর্ণিত বিষয়ে স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া কোনো করদাতার নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) উপ-ধারা (১) এবং (২) এর অধীন কোনো করদাতাকে নিবন্ধন বাতিলের যুক্তি রহিয়াছে;
(খ) কোনো করদাতার প্রকৃত বা বৈধ উৎসের কোনো আয় নাই বলিয়া বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে;
(গ) নিবন্ধনটি আর্থিক অপরাধ সংঘটনের লক্ষ্যে বা অর্থ পাচারের কোনো স্কিমের অংশ হিসাবে করা হইয়াছে; বা
(ঘ) নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রদত্ত তথ্য ভুল এবং অসত্য।
(৪) বোর্ড যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে, সেইরূপে নিবন্ধন বাতিলকৃত করদাতার সমস্ত তথ্য এবং রেকর্ড নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করিতে পারিবে।
(৫) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, "নিবন্ধন বাতিল" অর্থ একটি টিআইএন এর নিষ্ক্রিয়করণ (inactive), রহিতকরণ (dormant) এবং সর্বসাধারণের ব্যবহার অনুপযোগীকরণ, কিন্তু ইতিমধ্যে প্রাপ্ত তথ্যের বিলোপ (deletion) বা মোচন (erasure) বুঝাইবে না।
২৬৩। (১) অংশ ৭ এর অধীন কর কর্তন বা আদায় করিবার বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে এইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তিকে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে একটি উইথহোল্ডার শনাক্তকরণ নম্বর, অতঃপর ডব্লিউআইএন বলিয়া উল্লিখিত, গ্রহণ করিতে হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো ব্যক্তি ডব্লিউআইএন গ্রহণ না করিলেও ব্যক্তিগত দায় আরোপসহ উক্ত ব্যক্তির উপর যেকোনো কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে এই ধারার কোনো কিছুই বাধা হইবে না।
(৩) যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির ডব্লিউআইএন গ্রহণ করিবার বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে, কিন্তু তাহা গ্রহণ করিতে ব্যর্থ হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ব্যক্তিকে একটি অস্থায়ী উইথহোল্ডার নম্বর (টিডব্লিউআইএন) প্রদান করা যাইবে।
২৬৪। (১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ক্ষেত্রসমূহে একজন ব্যক্তিকে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করিতে হইবে।
(২) “রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ” বলিতে বুঝাইবে-
(ক) রিটার্ন দাখিলের প্রত্যয়ন বা প্রাপ্তি স্বীকার পত্র;
(খ) করদাতার নাম, টিআইএন এবং করবর্ষ সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড সার্টিফিকেট; বা
(গ) করদাতার নাম, টিআইএন এবং করবর্ষ সংবলিত উপকর কমিশনার কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়ন।
1[(৩) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে “রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ” দাখিল করিতে হইবে, যথা:-
১। ২০ (বিশ) লক্ষাধিক টাকার ঋণ গ্রহণে;
২। কোনো কোম্পানির পরিচালক বা স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার হইতে হইলে;
৩। আমদানি নিবন্ধন সনদ বা রপ্তানি নিবন্ধন সনদ গ্রহণ অথবা নবায়ন করিতে;
৪। সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করিতে;
৫। সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ার লাইসেন্স নবায়ন করিতে;
৬। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় জমি, বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রয় বা লিজ বা হস্তান্তর বা বায়নানামা বা আমমোক্তারনামা নিবন্ধন করিতে;
৭। চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, একচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসাবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ নবায়ন করিতে;
৮। Muslim Marriages and Divorces (Registration) Act, 1974 (Act No. LII of 1974) এর অধীন নিকাহ্ রেজিস্ট্রার, হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪০ নং আইন) এর অধীন হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক ও Special Marriage Act, 1872 (Act No. III of 1872) এর অধীন রেজিস্ট্রার হিসাবে লাইসেন্স প্রাপ্তি অথবা নবায়ন করিতে;
৯। ট্রেডবডি বা কোনো বাণিজ্যিক সংগঠনের সদস্যপদ প্রাপ্তি অথবা নবায়ন করিতে;
১০। স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসাবে লাইসেন্স নবায়নে;
১১। ড্রাগ লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, বিএসটিআই লাইসেন্স, বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স, কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্স, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং লাইসেন্স ও বায়িং হাউজ নিবন্ধন গ্রহণ ও নবায়নে;
১২। যেকোনো এলাকায় গ্যাসের বাণিজ্যিক ও শিল্প সংযোগ প্রাপ্তি ও বহাল রাখিতে;
১৩। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ প্রাপ্তিতে;
১৪। সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তিতে;
১৫। লঞ্চ, স্টিমার, মাছ ধরার ট্রলার, কার্গো, কোস্টার, ডাম্ব-বার্জসহ যেকোনো প্রকারের ভাড়ায় চালিত নৌযানের সার্ভে সার্টিফিকেট গ্রহণ ও নবায়নে;
১৬। পরিবেশ অধিদপ্তর বা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হইতে ইট উৎপাদনের অনুমতি গ্রহণ ও নবায়নে;
১৭। সিটি কর্পোরেশন, জেলা সদর বা পৌরসভায় অবস্থিত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিশু বা পোষ্য ভর্তিতে;
১৮। কোম্পানির এজেন্সী বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপ গ্রহণে ও নবায়নে;
১৯। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স গ্রহণে ও নবায়নে;
২০। আমদানির উদ্দেশ্যে ঋণপত্র খোলায়;
২১। ১০ (দশ) লক্ষাধিক টাকার মেয়াদী আমানত খোলায় ও বহাল রাখিতে;
২২। ১০ (দশ) লক্ষাধিক টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে;
২৩। পৌরসভা, উপজেলা, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন বা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে;
২৪। ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনিক বা উৎপাদন কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানকারী পদমর্যাদায় কর্মরত ব্যক্তির বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে;
২৫। দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার গণকর্মচারীর বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে;
২৬। স্বাভাবিক ব্যক্তি ব্যতীত অন্যান্য করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেক্ট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে;
২৭। কোনো নিবাসী করদাতা কর্তৃক অ্যাডভাইজরি বা কনসালটেন্সি সার্ভিস, ক্যাটারিং সার্ভিস, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস, জনবল সরবরাহ, নিরাপত্তা সেবা সরবরাহ বাবদ কোনো কোম্পানি হইতে অর্থ প্রাপ্তিতে;
২৮। বিমা কোম্পানির এজেন্সি সার্টিফিকেট গ্রহণ ও নবায়নে;
২৯। দ্বি-চক্র বা ত্রি-চক্র মোটরযান ব্যতীত অনান্য মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নকালে;
৩০। এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত এনজিও বা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি হইতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার অনুকূলে বিদেশি অনুদানের অর্থ ছাড় করিতে;
৩১। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করিয়া ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স নবায়নে;
৩২। কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এবং Societies Registration Act. 1860 (Act No. XXI of 1860) এর অধীন নিবন্ধিত কোনো ক্লাবের সদস্যপদ গ্রহণ ও নবায়নে;
৩৩। কোনো নিবাসী করদাতা কর্তৃক পণ্য সরবরাহ, চুক্তি সম্পাদন বা সেবা সরবরাহের উদ্দ্যেশ্যে টেন্ডার ডকুমেন্টস্ দাখিলকালে;
৩৪। পণ্য আমদানি বা রপ্তানির উদ্দ্যেশ্যে বিল অব এন্ট্রি দাখিলকালে;
৩৫। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ), গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা, সময় সময়, সরকার কর্তৃক গঠিত অনুরূপ কর্তৃপক্ষ অথবা সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুমোদনের নিমিত্ত ভবন নির্মাণের নকশা দাখিলকালে;
৩৬। এই আইনের ধারা ১৪০ এ সংজ্ঞায়িত কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির নিকট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাড়ি ভাড়া বা লিজ প্রদানকালে;
৩৭। এই আইনের ধারা ১৪০ এ সংজ্ঞায়িত কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির নিকট পণ্য বা সেবা সরবরাহকালে;
৩৮। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, মোটেল, কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়নে;
৩৯। সামাজিক অনুষ্ঠান, কর্পোরেট প্রোগ্রাম, ওয়ার্কশপ, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণসহ সমজাতীয় যেকোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল বা সমজাতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান হইতে ভাড়া বা অন্য যেকোনো সেবা গ্রহণকালে;
তবে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে “রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ” দাখিলের পরিবর্তে নাম ও টিআইএন সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করিতে হইবে, যথা:-
১। সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে;
২। সমবায় সমিতির নিবন্ধন পাইতে;
৩। সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ার এর নতুন লাইসেন্স গ্রহণে;
৪। ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে;
৫। চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, একচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসাবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে;
৬। ৫ (পাঁচ) লক্ষাধিক টাকার পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়;
৭। Monthly Payment Order বা এমপিও ভুক্তির মাধ্যমে সরকারের নিকট হইতে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থপ্রাপ্তিতে;
৮। স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেক্ট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে;
৯। স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসাবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে;
১০। ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নকালে;
১১। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করিয়া ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে;
১২। স্বাভাবিক ব্যক্তি ব্যতীত অন্য যেকোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো আইন বা আইনি ক্ষমতা রহিয়াছে এইরূপ কোনো দলিলের অধীন নিগমিত, নিবন্ধিত বা গঠিত হইবার বৎসর বা পরের বৎসরে:
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ১৬৬ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নহে এইরূপ ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।]
(৪) বোর্ড, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, কোনো ব্যক্তিকে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ 2[বা নাম ও টিআইএন সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র] দাখিল করা হইতে অব্যাহতি দিতে পারিবে।
(৫) যেইসকল ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ 3[বা নাম ও টিআইএন সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র] দাখিল বাধ্যতামূলক সেইসকল ক্ষেত্রে কোনো নমিনেশন, মনোনয়ন বা আবেদন যাচাই-বাচাই, কোনো লাইসেন্স অনুমোদন, সার্টিফিকেট, সদস্যপদ, অনুমতি, ভর্তি, এজেন্সি বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপের অনুমোদন, ঋণ অনুমোদন, ক্রেডিট কার্ড ইস্যু, সংযোগ বা অপারেশন অনুমোদন, নিবন্ধন সম্পাদন বা পেমেন্টের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ 4[বা নাম ও টিআইএন সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র] দাখিল ব্যতীত কোনো প্রকার যাচাই-বাচাই, অনুমোদন, অনুমতি, মঞ্জুর, ইস্যু, ছাড়, সম্পাদন বা পেমেন্ট প্রদান হইতে বিরত থাকিবেন।
5[***]
(৭) যেইসকল ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ 6[বা নাম ও টিআইএন সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র] দাখিল বাধ্যতামূলক সেইসকল ক্ষেত্রে কোনো নমিনেশন, মনোনয়ন বা আবেদন যাচাই-বাচাই, কোনো লাইসেন্স অনুমোদন, সার্টিফিকেট, সদস্যপদ, অনুমতি, ভর্তি, এজেন্সি বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপের অনুমোদন, ঋণ অনুমোদন, ক্রেডিট কার্ড ইস্যু, সংযোগ বা অপারেশন অনুমোদন, নিবন্ধন সম্পাদন বা পেমেন্টের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ 7[বা নাম ও টিআইএন সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র] দাখিল নিশ্চিত করিবেন 8[, যাহার ব্যর্থতায়] উক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে উপকর কমিশনার অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকার জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।
(৮) যুক্তিসঙ্গত শুনানির সুযোগ প্রদান ব্যতিরেকে এই ধারার অধীন জরিমানা আরোপ করা যাইবে না।
9[***]
২৬৫। (১) এই আইনের অধীন রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে এইরূপ করদাতা যাহার ব্যবসা হইতে আয় রহিয়াছে তিনি রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ তাহার ব্যবসার স্থানে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এইরূপ কোনো স্থানে প্রদর্শন করিবেন।
(২) যেইক্ষেত্রে কোনো করদাতা উপ-ধারা (১) এর বিধান পরিপালনে ব্যর্থ হন সেইক্ষেত্রে তিনি উপকর কমিশনার অন্যূন 10[২০ (বিশ) হাজার টাকা এবং অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার] টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।