প্রিন্ট ভিউ
২৬১। (১) কোনো ব্যক্তি নিজেকে করদাতা হিসাবে নিবন্ধন করিবেন, যদি তিনি-
(ক) করদাতা হন;
(খ) ধারা ১৬৬ এর অধীন রিটার্ন জমা দিতে বাধ্য হন;
(গ) ধারা ২৬৪ এর অধীন রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপন করিতে বাধ্য হন;
(ঘ) কর প্রদান করিতে অথবা রিটার্ন দাখিল করিতে ইচ্ছুক হন।
(২) বোর্ড নিবন্ধিত করদাতাকে একটি করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রদান করিবে।
(৩) আপগ্রেডেশন বা পুনঃনিবন্ধনের উদ্দেশ্যে বোর্ড, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, যেকোনো টিআইএনধারী ব্যক্তি বা ব্যক্তি শ্রেণিকে কোনো তথ্য বা দলিলাদি উপস্থাপনের নির্দেশে দিতে পারিবে।
(৪) যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যিনি উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধিত করদাতা হইবার যোগ্য কিন্তু নিবন্ধন গ্রহণ করিয়া টিআইএন গ্রহণে ব্যর্থ হইয়াছেন, সেইক্ষেত্রে আয়কর কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ ব্যক্তিকে নিবন্ধিত করিয়া টিআইএন প্রদান করিতে পারিবে।
২৬২। (১) একজন ব্যক্তি নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করিবেন, যদি উক্ত ব্যক্তি-
(ক) ধারা ২৬৪ এর অধীন রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপনে আর বাধ্য না হন এবং-
(অ) ধারা ২ এর দফা ২২ এর অধীন করদাতা হিসাবে আর সংজ্ঞায়িত না হন;
(আ) পরপর বিগত ৩ (তিন) বৎসর করযোগ্য আয় শূন্য হন এবং শারীরিক অক্ষমতার কারণে বা অন্য কোনো কারণে ভবিষ্যতে কোনো করযোগ্য আয় শূন্য থাকিবেন; বা
(ই) ধারা ১৬৬ এর অধীন আর রিটার্ন দাখিলের প্রয়োজন নাই;
(খ) মৃত্যু, অবসায়ন, অবলুপ্তি (dissolution) বা অনুরূপ অন্য কোনো কারণে অস্তিত্বহীন হইয়া যান;
(গ) স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং বাংলাদেশে আয় উপার্জক কোনো কর্মকাণ্ড করিবেন না;
(ঘ) ডুপ্লিকেট (duplicate) নিবন্ধন বা ভুল নিবন্ধন পাইয়া থাকেন;
(ঙ) আইনি মর্যাদা পরিবর্তন করেন;
(চ) অন্য কোনো আইনানুগ কারণ প্রদর্শন করেন।
(২) আয়কর কর্তৃপক্ষ, নিবন্ধন বাতিলের আবেদন প্রাপ্তির পর, আবেদনের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করিয়া করদাতার নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবেন, যদি তিনি নিশ্চিত হন যে-
(ক) করদাতা কর্তৃক পরিশোধিতব্য কোনো বকেয়া দায় নাই;
(খ) করদাতার বিরুদ্ধে কোনো কর নির্ধারণ নিষ্পন্নাধীন নাই;
(গ) কোনো ফোরামে আয়কর সংক্রান্ত কোনো বিরোধ নিষ্পন্নাধীন নাই; এবং
(ঘ) করদাতা কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীনে নিবন্ধন বাতিলের যে কারণ উল্লেখ করিয়াছেন উহার সত্যতা রহিয়াছে।
(৩) বোর্ড নিম্নবর্ণিত বিষয়ে স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া কোনো করদাতার নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) উপ-ধারা (১) এবং (২) এর অধীন কোনো করদাতাকে নিবন্ধন বাতিলের যুক্তি রহিয়াছে;
(খ) কোনো করদাতার প্রকৃত বা বৈধ উৎসের কোনো আয় নাই বলিয়া বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে;
(গ) নিবন্ধনটি আর্থিক অপরাধ সংঘটনের লক্ষ্যে বা অর্থ পাচারের কোনো স্কিমের অংশ হিসাবে করা হইয়াছে; বা
(ঘ) নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রদত্ত তথ্য ভুল এবং অসত্য।
(৪) বোর্ড যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে, সেইরূপে নিবন্ধন বাতিলকৃত করদাতার সমস্ত তথ্য এবং রেকর্ড নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সংরক্ষণ করিতে পারিবে।
(৫) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, "নিবন্ধন বাতিল" অর্থ একটি টিআইএন এর নিষ্ক্রিয়করণ (inactive), রহিতকরণ (dormant) এবং সর্বসাধারণের ব্যবহার অনুপযোগীকরণ, কিন্তু ইতিমধ্যে প্রাপ্ত তথ্যের বিলোপ (deletion) বা মোচন (erasure) বুঝাইবে না।
২৬৩। (১) অংশ ৭ এর অধীন কর কর্তন বা আদায় করিবার বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে এইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তিকে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে একটি উইথহোল্ডার শনাক্তকরণ নম্বর, অতঃপর ডব্লিউআইএন বলিয়া উল্লিখিত, গ্রহণ করিতে হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো ব্যক্তি ডব্লিউআইএন গ্রহণ না করিলেও ব্যক্তিগত দায় আরোপসহ উক্ত ব্যক্তির উপর যেকোনো কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে এই ধারার কোনো কিছুই বাধা হইবে না।
(৩) যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির ডব্লিউআইএন গ্রহণ করিবার বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে, কিন্তু তাহা গ্রহণ করিতে ব্যর্থ হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ব্যক্তিকে একটি অস্থায়ী উইথহোল্ডার নম্বর (টিডব্লিউআইএন) প্রদান করা যাইবে।
২৬৪। (১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ক্ষেত্রসমূহে একজন ব্যক্তিকে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করিতে হইবে।
(২) “রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ” বলিতে বুঝাইবে-
(ক) রিটার্ন দাখিলের প্রত্যয়ন বা প্রাপ্তি স্বীকার পত্র;
(খ) করদাতার নাম, টিআইএন এবং করবর্ষ সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড সার্টিফিকেট; বা
(গ) করদাতার নাম, টিআইএন এবং করবর্ষ সংবলিত উপকর কমিশনার কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়ন।
(৩) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহে “রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ” দাখিল করিতে হইবে, যথা:-
১. করারোপযোগ্য আয় না থাকা সাপেক্ষে, ২০ (বিশ) লক্ষাধিক টাকার ঋণ গ্রহণে;
২. কোনো কোম্পানির পরিচালক বা স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার হইতে হইলে;
৩. আমদানি নিবন্ধন সনদ বা রপ্তানি নিবন্ধন সনদ প্রাপ্তি ও বহাল রাখিতে;
৪. সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করিতে;
৫. সমবায় সমিতির নিবন্ধন পাইতে;
৬. সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ার হইতে এবং লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করিতে;
৭. সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় ১০ (দশ) লক্ষাধিক টাকার জমি, বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রয় বা লিজ বা হস্তান্তর বা বায়নানামা বা আমমোক্তারনামা নিবন্ধন করিতে;
৮. ক্রেডিট কার্ড প্রাপ্তি ও বহাল রাখিতে;
৯. চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি অথবা সার্ভেয়ার হিসাবে বা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসাবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ প্রাপ্তি ও বহাল রাখিতে;
১০. Muslim Marriages and Divorces (Registration) Act, 1974 (Act No. LII of 1974) এর অধীন নিকাহ্ রেজিস্ট্রার, হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪০ নং আইন) এর অধীন হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক ও Special Marriage Act, 1872 (Act No. III of 1872) এর অধীন রেজিস্ট্রার হিসাবে লাইসেন্স প্রাপ্তি বা, ক্ষেত্রমত, নিয়োগপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বহাল রাখিতে;
১১. ট্রেডবডি বা পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ প্রাপ্তি ও বহাল রাখিতে;
১২. ড্রাগ লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, বিএসটিআই লাইসেন্স ও ছাড়পত্র প্রাপ্তি ও নবায়নে;
১৩. যেকোনো এলাকায় গ্যাসের বাণিজ্যিক ও শিল্প সংযোগ প্রাপ্তি ও বহাল রাখিতে এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ প্রাপ্তি এবং বহাল রাখিতে;
১৪. লঞ্চ, স্টিমার, মাছ ধরার ট্রলার, কার্গো, কোস্টার, কার্গো ও ডাম্ব বার্জসহ যেকোনো প্রকারের ভাড়ায় চালিত নৌযানের সার্ভে সার্টিফিকেট প্রাপ্তি ও বহাল রাখিতে;
১৫. পরিবেশ অধিদপ্তর বা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হইতে ইট উৎপাদনের অনুমতি প্রাপ্তি ও নবায়নে;
১৬. সিটি কর্পোরেশন, জেলা সদর বা পৌরসভায় অবস্থিত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিশু বা পোষ্য ভর্তিতে;
১৭. সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি বা বহাল রাখিতে;
১৮. কোম্পানির এজেন্সী বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপ প্রাপ্তি ও বহাল রাখিতে;
১৯. আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রাপ্তি ও বহাল রাখিতে;
২০. আমদানির উদ্দেশ্যে ঋণপত্র খোলায়;
২১. ৫ (পাঁচ) লক্ষাধিক টাকার পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়;
২২. ১০ (দশ) লক্ষাধিক টাকার মেয়াদী আমানত খোলায় ও বহাল রাখিতে;
২৩. ৫ (পাঁচ) লক্ষাধিক টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে;
২৪. পৌরসভা, উপজেলা, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন বা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে;
২৫. মোটরযান, স্পেস বা স্থান, বাসস্থান অথবা অন্যান্য সম্পদ সরবরাহের মাধ্যমে শেয়ারড ইকোনমিক এক্টিভিটিজে অংশগ্রহণ করিতে;
২৬. ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনিক বা উৎপাদন কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানকারী পদমর্যাদায় কর্মরত ব্যক্তির বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে;
২৭. গণকর্মচারীর বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে;
২৮. মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেক্ট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে;
২৯. অ্যাডভাইজরি বা কন্সান্টেন্সি সার্ভিস, ক্যাটারিং সার্ভিস, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস, জনবল সরবরাহ, নিরাপত্তা সরবরাহ সেবা বাবদ নিবাসী কর্তৃক কোনো কোম্পানি হইতে কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে;
৩০. Monthly Payment Order বা এমপিও ভুক্তির মাধ্যমে সরকারের নিকট হইতে মাসিক ১৬ (ষোল) হাজার টাকার ঊর্ধ্বে কোনো অর্থপ্রাপ্তিতে;
৩১. বিমা কোম্পানির এজেন্সি সার্টিফিকেট নিবন্ধন বা নবায়নে;
৩২. দ্বি-চক্র বা ত্রি-চক্র মোটরযান ব্যতীত অনান্য মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নকালে;
৩৩. এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত এনজিও বা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি হইতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার অনুকূলে বিদেশি অনুদানের অর্থ ছাড় করিতে;
৩৪. বাংলাদেশে অবস্থিত ভোক্তাদের নিকট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করিয়া পণ্য বা সেবা বিক্রয়ে;
৩৫. কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এবং Societies Registration Act, 1860 (Act No. XXI of 1860) এর অধীন নিবন্ধিত কোনো ক্লাবের সদস্যপদ লাভের আবেদনের ক্ষেত্রে;
৩৬. পণ্য সরবরাহ, চুক্তি সম্পাদন বা সেবা সরবরাহের উদ্দ্যেশে নিবাসী কর্তৃক টেন্ডার ডকুমেন্টস্ দাখিলকালে;
৩৭. কোনো কোম্পানি বা ফার্ম কর্তৃক কোনো প্রকার পণ্য বা সেবা সরবরাহ গ্রহণকালে;
৩৮. পণ্য আমদানি বা রপ্তানির উদ্দ্যেশে বিল অব এন্ট্রি দাখিলকালে;
৩৯. রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ), গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা, সময় সময়, সরকার কর্তৃক গঠিত অনুরূপ কর্তৃপক্ষ অথবা সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুমোদনের নিমিত্ত ভবন নির্মাণের নকশা দাখিলকালে;
৪০. স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসাবে নিবন্ধন, লাইসেন্স বা তালিকাভুক্তি করতে এবং বহাল রাখিতে;
৪১. ট্রাস্ট, তহবিল, ফাউন্ডেশন, এনজিও, মাইক্রোক্রডিট অরগানাইজেশন, সোসাইটি এবং সমবায় সমিতির ব্যাংক হিসাব খুলতে এবং চালু রাখিতে;
৪২. কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাড়ি ভাড়া বা লিজ গ্রহণকালে বাড়ির মালিকের;
৪৩. কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক পণ্য বা সেবা সরবরাহ গ্রহণকালে সরবরাহকারীর বা সেবা প্রদানকারীর 1[;]
2[৪৪. হোটেল, রেস্টুরেন্ট, মোটেল, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়নকালে;
৪৫. সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল বা সমজাতীয় কোনো সেবা গ্রহণকালে;]
(৪) বোর্ড, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, কোনো ব্যক্তিকে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করা হইতে অব্যাহতি দিতে পারিবে।
(৫) যেইসকল ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল বাধ্যতামূলক সেইসকল ক্ষেত্রে কোনো নমিনেশন, মনোনয়ন বা আবেদন যাচাই-বাচাই, কোনো লাইসেন্স অনুমোদন, সার্টিফিকেট, সদস্যপদ, অনুমতি, ভর্তি, এজেন্সি বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপের অনুমোদন, ঋণ অনুমোদন, ক্রেডিট কার্ড ইস্যু, সংযোগ বা অপারেশন অনুমোদন, নিবন্ধন সম্পাদন বা পেমেন্টের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল ব্যতীত কোনো প্রকার যাচাই-বাচাই, অনুমোদন, অনুমতি, মঞ্জুর, ইস্যু, ছাড়, সম্পাদন বা পেমেন্ট প্রদান হইতে বিরত থাকিবেন।
(৬) যে ব্যক্তির নিকট রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল করা হইবে, সেই ব্যক্তি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্ন দাখিলের প্রমাণাদির সঠিকতা যাচাই করিবেন।
(৭) যেইসকল ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল বাধ্যতামূলক সেইসকল ক্ষেত্রে কোনো নমিনেশন, মনোনয়ন বা আবেদন যাচাই-বাচাই, কোনো লাইসেন্স অনুমোদন, সার্টিফিকেট, সদস্যপদ, অনুমতি, ভর্তি, এজেন্সি বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপের অনুমোদন, ঋণ অনুমোদন, ক্রেডিট কার্ড ইস্যু, সংযোগ বা অপারেশন অনুমোদন, নিবন্ধন সম্পাদন বা পেমেন্টের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিল নিশ্চিত করিবেন এবং দাখিলকৃত রিটার্ন দাখিলের প্রমাণাদির সত্যতা যাচাইয়ে ব্যর্থ হইলে উক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে উপকর কমিশনার অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকার জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।
(৮) যুক্তিসঙ্গত শুনানির সুযোগ প্রদান ব্যতিরেকে এই ধারার অধীন জরিমানা আরোপ করা যাইবে না।
(৯) স্বাভাবিক ব্যক্তি, ব্যতীত অন্য যেকোনো ব্যক্তি যিনি কোনো আইন বা আইনি ক্ষমতা রহিয়াছে এইরূপ কোনো দলিলের অধীন নিগমিত, নিবন্ধিত বা গঠিত তিনি নিম্নবর্ণিত বৎসরসমূহে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দাখিলের পরিবর্তে নাম ও টিআইএন সংবলিত প্রত্যয়নপত্র দাখিল করিবেন-
(অ) নিগমন, নিবন্ধন বা গঠনের বৎসর; এবং
(আ) নিগমন, নিবন্ধন বা গঠনের বৎসরের পরের বৎসর।
২৬৫। (১) এই আইনের অধীন রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে এইরূপ করদাতা যাহার ব্যবসা হইতে আয় রহিয়াছে তিনি রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ তাহার ব্যবসার স্থানে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এইরূপ কোনো স্থানে প্রদর্শন করিবেন।
(২) যেইক্ষেত্রে কোনো করদাতা উপ-ধারা (১) এর বিধান পরিপালনে ব্যর্থ হন সেইক্ষেত্রে তিনি উপকর কমিশনার অন্যূন 3[২০ (বিশ) হাজার টাকা এবং অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার] টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।