প্রিন্ট ভিউ

আয়কর আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ১২ নং আইন )

রিটার্ন, ইত্যাদি দাখিলে ব্যর্থতার জন্য জরিমানা

২৬৬। (১) যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত, ধারা ১৬৬, ১৭২, ১৯১, ১৯৩ বা ২১২ এর অধীন কোনো ব্যক্তি রিটার্ন দাখিল করিতে ব্যর্থ হন, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার উক্ত ব্যক্তির সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের উপর ধার্যকৃত করের ১০% (দশ শতাংশ) হারে জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন, যাহা ন্যূনতম ১ (এক) হাজার টাকা হইবে এবং ব্যর্থতা অব্যাহত থাকিলে ব্যর্থতা অব্যাহত থাকাকালীন প্রতিদিনের জন্য ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা হারে অতিরিক্ত জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত জরিমানার পরিমাণ নিম্নবর্ণিত অঙ্ক অতিক্রম করিবে না, যথা:-

(ক) কোনো ব্যক্তি করদাতা, যাহার ইতঃপূর্বে কখনো কর নির্ধারণ হয় নাই, তাহার ক্ষেত্রে ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা;

(খ) কোনো ব্যক্তি করদাতা, যাহার ইতঃপূর্বে কর নির্ধারণ হইয়াছে, তাহার ক্ষেত্রে সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের উপর প্রদেয় করের ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) বা ১ (এক) হাজার টাকা, দু’টির মধ্যে যাহা অধিক।

(২) যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত,

(ক) ধারা ১৭৭ এর অধীন কোনো রিটার্ন, তথ্য দাখিল বা উপস্থাপন করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার উক্ত ব্যক্তির উপর তাহার সর্বশেষ নিরূপিত আয়ের উপর ধার্যকৃত করের ১০% (দশ শতাংশ) হারে অথবা ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা, দু’টির মধ্যে যাহা অধিক, সেই পরিমাণ জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন এবং ব্যর্থতা অব্যাহত থাকিলে, ব্যর্থতা অব্যাহত থাকাকালীন প্রতি মাসের জন্য অথবা তাহার ভগ্নাংশের জন্য ১ (এক) হাজার টাকা হারে অতিরিক্ত জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন;

(খ) ধারা ১৪৫ এর অধীন কোনো সার্টিফিকেট প্রদান করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার উক্ত ব্যক্তির উপর ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন এবং ব্যর্থতা অব্যাহত থাকিলে, ব্যর্থতা অব্যাহত থাকাকালীন প্রতি মাসের জন্য অথবা তাহার ভগ্নাংশের জন্য ১ (এক) হাজার টাকা হারে অতিরিক্ত জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন;

(গ) ধারা ২০০ এর আবশ্যকতা অনুযায়ী কোনো তথ্য দাখিল বা উপস্থাপনে ব্যর্থ হন, সেইক্ষেত্রে যে আয়কর কর্তৃপক্ষ ধারা ২০০ এর অধীন তথ্য চাহিয়াছে সেই কর্তৃপক্ষ উক্ত ব্যক্তির উপর ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন এবং ব্যর্থতা অব্যাহত থাকিলে, ব্যর্থতা অব্যাহত থাকাকালীন প্রতি দিনের জন্য ৫০০ (পাঁচশত) টাকা হারে অতিরিক্ত জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।

বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ না করিবার জরিমানা

২৬৭। (১) যেইক্ষেত্রে স্পর্শযোগ্য (tangible) সম্পত্তি ভাড়া হইতে আয় নাই এইরূপ কোনো ব্যক্তি, যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত, ধারা ৭২ এর উপ-ধারা (৩) অনুসারে বা উক্ত ধারার উদ্দেশ্যে প্রণীত কোনো আদেশ বা বিধিমালার বিধান পরিপালনে ব্যর্থ হন, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার তাহার উপর নিম্নবর্ণিতভাবে জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন, যথা:-

(ক) তাহার প্রদেয় করের অনধিক দেড়গুণ পরিমাণ; এবং

(খ) উক্ত ব্যক্তির মোট করমুক্ত আয় সীমার মধ্যে হইলে ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা।

(২) যেইক্ষেত্রে স্পর্শযোগ্য সম্পত্তি ভাড়া হইতে আয় রহিয়াছে এইরূপ কোনো ব্যক্তি, যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত, ধারা ৭২ এর উপ-ধারা (৩) অনুসারে বা উক্ত ধারার উদ্দেশ্যে প্রণীত কোনো আদেশ বা বিধিমালার বিধান পরিপালনে ব্যর্থ হন, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার তাহার উপর স্পর্শযোগ্য সম্পত্তি ভাড়া হইতে অর্জিত আয়ের জন্য প্রদেয় করের ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) বা ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা, দু’টির মধ্যে যাহা অধিক, সেই পরিমাণ জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।

জাল করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ব্যবহারের জন্য জরিমানা

২৬৮। যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত, তাহার রিটার্নে বা কোনো দলিলে, যেখানে এই আইনের অধীন করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) আবশ্যক, অন্য কোনো ব্যক্তির অথবা জাল করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ব্যবহার করেন, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার উক্ত ব্যক্তির উপর অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।

অগ্রিম কর, ইত্যাদি পরিশোধে ব্যর্থতার জন্য জরিমানা

২৬৯। যেইক্ষেত্রে অংশ ১০ এর আওতায় কর নির্ধারণ সম্পর্কীয় কোনো কার্যক্রম চলাকালে উপকর কমিশনার এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোনো ব্যক্তি-

(ক) যৌক্তিক কারণ ব্যতীত, ধারা ১৫৪ এর বিধান অনুযায়ী অগ্রিম কর পরিশোধে ব্যর্থ হইয়াছেন; বা

(খ) ধারা ১৫৫ এর অধীন তাহার দ্বারা প্রদেয় করের এইরূপ কোনো প্রাক্কলন উপস্থাপন করেন যাহা তাহার জানামতে বা বিশ্বাস অনুযায়ী অসত্য,

সেইক্ষেত্রে তিনি উক্ত ব্যক্তির উপর সর্বোচ্চ এইরূপ পরিমাণ জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন যাহা উক্ত ব্যক্তির প্রদেয় কর ও প্রকৃতপক্ষে পরিশোধিত কর, এই দুইয়ের মধ্যে ব্যবধানের অধিক নহে।

নোটিশের অমান্যতার জন্য জরিমানা

২৭০। যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যৌক্তিক কারণ ব্যতীত, ধারা ১৬৭, ১৬৮, ১৭৯, ১৮১ 1[, ১৮৩ বা ২১২] এর অধীন জারীকৃত কোনো নোটিশ অমান্য করেন, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার উক্ত ব্যক্তির উপর এইরূপ জরিমানা ধার্য করিতে পারিবেন যাহা তাহার মোট আয়ের উপর আরোপযোগ্য করের অধিক হইবে না।

রিটার্নের ভিত্তিতে কর পরিশোধে ব্যর্থতার জন্য জরিমানা

২৭১। এই আইনের অধীন কোনো কার্যক্রম চলাকালে উপকর কমিশনার যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোনো ব্যক্তি 2[স্বীকৃত করদায়] পরিশোধ করেন নাই, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার উক্ত ব্যক্তির উপর সম্পূর্ণ করের অনধিক ২৫% (পঁচিশ শতাংশ) অথবা, ক্ষেত্রমত, অপরিশোধিত আংশিক করের সমপরিমাণ পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।

আয় গোপন করিবার জন্য জরিমানা

২৭২। (১) এই আইনের অধীন কোনো কার্যক্রম চলাকালে, কার্যক্রম পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোনো ব্যক্তি, উক্ত কার্যক্রমে কিংবা একই আয়বর্ষের কর নির্ধারণ সম্পর্কিত পূর্ববর্তী কোনো কার্যক্রমে তাহার আয়, সম্পদ, দায়, ব্যয়ের তথ্য বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাহা করদাতার প্রদেয় অঙ্কের সহিত সম্পর্কযুক্ত তাহা অসত্য পরিমাণে প্রদর্শনের মাধ্যমে এই আইনের অধীন প্রদেয় অঙ্কের ফাঁকি দিয়েছেন, তাহা হইলে উক্ত কার্যক্রম পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ উক্ত ব্যক্তির উপর ক+খ এর সমপরিমাণ জরিমানা আরোপ করিবে, যেইক্ষেত্রে-

ক = ফাঁকি দেওয়া অঙ্ক × ১৫%,

খ = ফাঁকি দেওয়া অঙ্ক × ১০%× গ,

গ = অসত্য পরিমাণে তথ্য প্রদর্শনের বিষয়টি যেই করবর্ষে সংঘটিত হইয়াছে সেই করবর্ষ হইতে উক্ত অসত্য পরিমাণে তথ্য প্রদর্শনের বিষয়টি যেই করবর্ষে উদঘাটিত হইয়াছে সেই করবর্ষ পর্যন্ত মোট বৎসর।

(২) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে,-

(ক)“কার্যক্রম পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ” বলিতে-

(অ) কমিশনার পদের নিম্নে নহে এইরূপ আয়কর কর্তৃপক্ষকে বুঝাইবে; এবং

(আ) কর আপিল ট্রাইব্যুনালকে বুঝাইবে;

(খ)“ফাঁকি দেওয়া অঙ্ক” বলিতে কোনো করবর্ষে গ-ঘ কে বুঝাইবে,

যেইক্ষেত্রে-

গ = যদি আয়, সম্পদ, দায়, ব্যয় বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অসত্য পরিমাণে প্রদর্শন করা না হইত তাহা হইলে কোনো করবর্ষে প্রদেয় কর ও অন্যান্য অঙ্ক,

ঘ = সংশ্লিষ্ট করবর্ষে প্রকৃত পরিশোধিত অঙ্ক।

চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট কর্তৃক জাল নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য জরিমানা

২৭৩। যেইক্ষেত্রে এই আইনের অধীন কোনো কার্যক্রম চলাকালে, উপকর কমিশনার, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল), কমিশনার (আপিল) অথবা কর আপিল ট্রাইব্যুনাল সন্দেহাতীতভাবে এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি-

(ক) কোনো চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট কর্তৃক এই মর্মে প্রত্যয়িত নহে যে, হিসাব সংরক্ষণ, বিবরণী প্রস্তুত ও রিপোর্ট করিবার ক্ষেত্রে International Accounting Standards (IAS) ও International Financial Reporting Standards (IFRS) এবং নিরীক্ষার ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডস অন অডিটিং (আই এসএ) অনুসরণ করা হইয়াছে; অথবা

(খ) অসত্য বা অশুদ্ধ হয়,

সেইক্ষেত্রে তিনি উক্ত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের উপর সর্বনিম্ন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ
২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ করিবেন।

জাল নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জরিমানা

২৭৪। যেইক্ষেত্রে এই আইনের অধীন কোনো কার্যক্রম চলাকালে, উপকর কমিশনার, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল), কমিশনার (আপিল) অথবা আপিল ট্রাইব্যুনাল সন্দেহাতীতভাবে এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, করদাতা কর্তৃক কোনো আয়বর্ষের জন্য রিটার্নের সহিত বা পরবর্তী সময়ে দাখিলকৃত নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট কর্তৃক স্বাক্ষরিত নহে বা অসত্য হিসাবে বিশ্বাসযোগ্য, সেইক্ষেত্রে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা, ক্ষেত্রমত, ট্রাইব্যুনাল উক্ত করদাতার উপর উক্ত আয়বর্ষের জন্য ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।

কর পরিশোধে খেলাপি হইবার জরিমানা

২৭৫। যেইক্ষেত্রে কোনো করদাতা কর পরিশোধে খেলাপি হন বা খেলাপি হিসাবে গণ্য হন, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন যে, উক্ত করদাতার নিকট হইতে, বকেয়া করের অতিরিক্ত, উক্ত বকেয়া করের অধিক হইবে না এইরূপ অঙ্ক জরিমানা হিসাবে আদায় করা যাইবে।

ধারা ২৩৫ এর বিধান পরিপালন না করিবার জরিমানা

২৭৬। যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি ধারা ২৩৫ এর অধীন কোনো নোটিশ বা অধিযাচন পরিপালনে ব্যর্থ হন, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার উক্ত ব্যক্তির উপর ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত প্রতিটি আন্তর্জাতিক লেনদেনের মূল্যমানের অনধিক ১% (এক শতাংশ) জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।

ধারা ২৩৭ এর বিধান পরিপালন না করিবার জরিমানা

২৭৭। যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি ধারা ২৩৭ অনুসারে কোনো তথ্য বা দলিল বা রেকর্ড রাখিতে, সংরক্ষণ করিতে বা সরবরাহ করিতে ব্যর্থ হন, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার, অংশ ১৯ এর বিধানাবলি ক্ষুণ্ন না করিয়া, উক্ত ব্যক্তির উপর ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত প্রতিটি আন্তর্জাতিক লেনদেনের মূল্যমানের অনধিক ১% (এক শতাংশ) জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।

ধারা ২৩৮ এর বিধান পরিপালন না করিবার জরিমানা

২৭৮। যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি ধারা ২৩৮ এর বিধানাবলি পরিপালনে ব্যর্থ হন, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার উক্ত ব্যক্তির উপর ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদিত প্রতিটি আন্তর্জাতিক লেনদেনের মূল্যমানের অনধিক ২% (দুই শতাংশ) জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।

ধারা ২৩৯ এর বিধান পরিপালন না করিবার জরিমানা

২৭৯। যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি ধারা ২৩৯ অনুযায়ী কোনো রিপোর্ট দাখিল করিতে ব্যর্থ হন, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার উক্ত ব্যক্তির উপর অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।

শুনানি ব্যতীত জরিমানা আরোপে নিষেধাজ্ঞা

২৮০। কোনো ব্যক্তির শুনানি গ্রহণ বা তাহাকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান না করিয়া, এই অংশের অধীন তাহার উপর জরিমানা আরোপের কোনো আদেশ প্রদান করা যাইবে না।

জরিমানা আরোপের জন্য পরিদর্শী অতিরিক্ত কর কমিশনারের পূর্বানুমোদন

২৮১।  উপকর কমিশনার ধারা ২৬৬, ২৭৫, ২৭৬, ২৭৭, ২৭৮ ও ২৭৯-তে বর্ণিত ক্ষেত্রসমূহ ব্যতীত পরিদর্শী অতিরিক্ত কর কমিশনারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ না করিয়া এই অংশের আওতায় কোনো জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন না।

জরিমানা অন্য কোনো দায়ের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করিবে না

২৮৩। এই অংশের অধীন কোনো ব্যক্তির উপর আরোপিত কোনো জরিমানা এই আইন অথবা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো দায় যাহার জন্য উক্ত ব্যক্তি দায়ী বা দায়ী হইতে পারে এইরূপ দায়ের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করিবে না।

সংশোধিত আয়ের পরিমাণের ভিত্তিতে জরিমানা আদেশ সংশোধন

২৮৪। (১) যেইক্ষেত্রে এই অংশের অধীন আরোপিত কোনো জরিমানার পরিমাণ এই আইনের বিধানাবলির আওতায় নির্ধারণকৃত আয়ের পরিমাণের সহিত সরাসরি সম্পর্কযুক্ত এবং এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ দ্বারা পরবর্তীতে উক্ত আয়ের পরিমাণ সংশোধিত হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার আয়ের পরিমাণ সংশোধন করিবার সময় সংশোধিত জরিমানার আদেশ জারি করিতে পারিবেন।

(২) জরিমানার পরিমাণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনো প্রকার আদেশ জারির পূর্বে যাহার উপর জরিমানা প্রযোজ্য তাহাকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিতে হইবে।

(৩) যেইক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক সংশোধিত কর নির্ধারণী আদেশ জারির পরও উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত জরিমানার সংশোধিত আদেশ জারি করা হয় নাই, সেইক্ষেত্রে যাহার উপর জরিমানা আদেশ প্রযোজ্য তিনি উক্ত জরিমানার পরিমাণ সংশোধন করিবার অনুরোধ জানাইয়া উপকর কমিশনার বরাবর আবেদন করিতে পারিবে, এবং এইরূপ আবেদন প্রাপ্তির ১৮০ (একশত আশি) ‍দিনের মধ্যে যদি কোনো আদেশ প্রদান করা না হয়, তাহা হইলে সংশোধিত কর নির্ধারণী অনুসারে জরিমানার আদেশটি সংশোধিত হইয়াছে মর্মে গণ্য হইবে এবং তদনুসারে এই আইনের সকল বিধান কার্যকর হইবে।


  • 1
    “, ১৮৩ বা ২১২” কমা, সংখ্যাগুলি ও শব্দটি “বা ১৮৩” শব্দ ও সংখ্যার পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৭৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 2
    “স্বীকৃত করদায়” শব্দগুলি “ধারা ১৭৩ এর আবশ্যকতা অনুযায়ী কর” শব্দগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৭৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs