প্রিন্ট ভিউ

আয়কর আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ১২ নং আইন )

প্রথম অধ্যায়

রিভিশন

কমিশনারের রিভিশনের ক্ষমতা

২৮৫। (১) কমিশনার করদাতার আবেদনের প্রেক্ষিতে, এই আইনের অধীন তাহার অধীক্ষেত্রাধীন অধস্তন কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে প্রদত্ত আদেশের রেকর্ডপত্র তলব করিতে পারিবেন এবং যেইরূপ প্রয়োজনীয় বিবেচনা করিবেন সেইরূপ অনুসন্ধান করিয়া বা করিবার ব্যবস্থা গ্রহণের পর এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, তৎসম্পর্কে যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবেন সেইরূপ আদেশ জারি করিতে পারিবেন, তবে করদাতার স্বার্থের হানিকর কোনো আদেশ জারি করা যাইবে না।

(২) এই আইনের অধীন কমিশনারের অধীক্ষেত্রাধীন অধস্তন কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ রিভিশনের আবেদন এইরূপ আদেশ করদাতার অবহিত হইবার ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে অথবা উক্ত ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে আবেদন দাখিল করিতে না পারিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল মর্মে সন্তুষ্ট হইয়া কমিশনার কর্তৃক কোনো সময় বর্ধিত করা হইলে উক্তরূপ বর্ধিত সময়ের মধ্যে দাখিল করিতে হইবে।

(৩) কমিশনার উপ-ধারা (১) এর অধীন তাহার ক্ষমতা নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে প্রয়োগ করিবেন না, যথা:-

(ক) যেইক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল) বা কমিশনার (আপিল) এর নিকট বা আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা হয় এবং যদি এইরূপ আপিলের সময় উত্তীর্ণ না হয় অথবা করদাতা তাহার আপিল করিবার অধিকার পরিত্যাগ না করেন; এবং

(খ) যেইক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল) বা কমিশনার (আপিল) বা আপিল ট্রাইব্যুনালের নিকট আপিলের বিষয়ে আদেশ অপেক্ষমান।

1[(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো আবেদন বিবেচিত হইবে না, যদি না—

(ক) আবেদনের সহিত ২০০ (দুইশত) টাকা ফি প্রদান করা হয়; এবং

(খ) স্বীকৃত করদায় পরিশোধ করা হয়।]

(৫) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, কমিশনার কর্তৃক অসম্মতি জ্ঞাপনসূচক কোনো আদেশ করদাতার স্বার্থের হানিকর হিসাবে জারি করা হইবে না।

(৬) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো রিভিশনের আবেদন করা হইলে যদি কমিশনার উক্ত আবেদন দাখিলের তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে এতদ্বিষয়ে কোনো আদেশ প্রদানে ব্যর্থ হন, তবে উক্ত রিভিশন অনুমোদিত হইয়াছে মর্মে গণ্য হইবে।

(৭) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল) সেই কর কমিশনারের অধস্তন কর্তৃপক্ষ হিসাবে গণ্য হইবেন যাহার অধস্তন উপকর কমিশনার দ্বারা পুনর্বিবেচনাধীন আপিলের বিষয়বস্তু আদেশ প্রদত্ত হইয়াছে।

দ্বিতীয় অধ্যায়

আপিল এবং রেফারেন্স

আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল

২৮৬। (১) কোনো করদাতা আয়কর কর্তৃপক্ষের আদেশে সংক্ষুব্ধ হইলে সংশ্লিষ্ট আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট নিম্নবর্ণিত বিষয়ে আপিল করিতে পারিবেন, যথা:-

(ক) আয় নির্ধারণ;

(খ) পরিশোধ্য করদায় নিরূপণ;

(গ) ক্ষতির সমন্বয় বা জের টানা;

(ঘ) দণ্ড বা সুদ আরোপ;

(ঙ) চার্জ এবং সারচার্জ বা অন্য কোনো অর্থ হিসাব;

(চ) প্রত্যর্পণের পরিমাণ নিরূপণ;

(ছ) করের ক্রেডিট; এবং

(জ) কোনো প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত।

(২) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত বিষয়ে কেবল কমিশনার (আপিল) বরাবর আপিল করা যাইবে, যথা:-

(ক) কোম্পানি কর্তৃক আপিল;

(খ) ধারা ২১৩ এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশের বিরুদ্ধে আপিল; এবং

(গ) আন্তর্জাতিক লেনদেন সংশ্লিষ্ট সমন্বয় বা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল।

(৩) বোর্ড-

(ক) আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষের উপর কোনো আপিল নিষ্পত্তির দায়িত্ব অর্পণ করিতে পারিবে; এবং

(খ) এক আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে অন্য আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল নিষ্পত্তির দায়িত্ব হস্তান্তর করিতে পারিবে।

(৪) করারোপিত শেয়ার আয় হিসাবে পরিগণিত কোনো আয়ের ক্ষেত্রে আপিল করা যাইবে না।

(৫) নিম্নবর্ণিত সারণীতে উল্লিখিত ক্ষেত্রে, কর নিরূপণ আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাইবে না, যথা:-

 

সারণী

রিটার্ন দাখিলের পরিস্থিতি

শর্ত

()

()

যেইক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল করা হইয়াছে

2[স্বীকৃত করদায়] পরিশোধ করা হয় নাই

যেইক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল করা হয় নাই

উপকর কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত করের ন্যূনতম ১০% (দশ শতাংশ)  কর পরিশোধ করা হয় নাই:

 

 

তবে শর্ত থাকে যে, যদি আপিলকারী আপিল দায়েরের পূর্বে তাহার রিটার্নের ভিত্তিতে কর পরিশোধ করিয়া থাকেন এবং আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, সন্তোষজনক কারণে আপিলকারী ‍রিটার্ন দাখিলের পূর্বে কর পরিশোধ করিতে পারেন নাই, তাহা হইলে আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ শুনানির জন্য আপিল গ্রহণ করিতে পারিবে।

 

আপিল দায়েরের ফরম, পদ্ধতি এবং সময়সীমা

২৮৭। (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, ধারা ২৮৬ এর অধীন প্রত্যেক আপিল নির্ধারিত ফরমে এবং পদ্ধতিতে করিতে হইবে।

(২) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,-

ক) ইলেক্ট্রনিক্যালি বা অন্য কোনো যন্ত্রে পাঠযোগ্য বা কম্পিউটারে পাঠযোগ্য মাধ্যমে আপিল দায়েরের ক্ষেত্রসমূহ নির্ধারণ করিতে পারিবে; এবং

(খ) উক্ত আপিল দায়েরের ফরম ও পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।

(৩) আপিলকারীকে আপিল দায়েরের তারিখে বা উহার পূর্বে ২০০ (দুইশত) টাকা ফি পরিশোধ করিতে হইবে।

(৪) আপিলকারীকে উপ-ধারা (৫) এর বিধান সাপেক্ষে, ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে আপিল দায়ের করিতে হইবে, যদি-

(ক) কর নির্ধারণ বা দণ্ড সংক্রান্ত হইলে, উক্তরূপ কর নির্ধারণ বা, ক্ষেত্রমত, দণ্ড সংশ্লিষ্ট করদাবি নোটিশ জারির তারিখ হইতে; এবং

(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, যে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হয়, তাহা জারির তারিখ হইতে।

(৫) আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৪) এ বর্ণিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পরও আপিল গ্রহণ করিতে পারিবেন, যদি উহার নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত সময়সীমার মধ্যে সংশ্লিষ্ট আপিলকারীর আপিল দায়েরকরণে ব্যর্থ হইবার পর্যাপ্ত কারণ বিদ্যমান ছিল।

আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি

২৮৮। (১) আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ আপিল শুনানির জন্য তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করিবেন, এবং তৎসম্পর্কিত একটি নোটিশ আপিলকারী ও সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারকে প্রদান করিবেন।

(২) আপিলকারী এবং উপকর কমিশনার ব্যক্তিগতভাবে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে আপিল শুনানিতে অংশগ্রহণের অধিকার সংরক্ষণ করিবেন।

(৩) আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন বিবেচনা করিলে, সময় সময়, আপিল শুনানি মুলতবি রাখিতে পারিবেন।

(৪) আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ শুনানিকালে বা তৎপূর্বে আবেদনে উপস্থাপিত কারণ ছাড়াও আপিলের অন্যান্য কারণ অন্তর্ভুক্ত করিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে, যদি কর্তৃপক্ষ এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, আপিল আবেদন ফরমে ইচ্ছাকৃতভাবে এইরূপ কারণসমূহ বাদ দেওয়া হয় নাই এবং উক্তরূপ বাদ পড়া অযৌক্তিক ছিল না।

(৫) আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ আপিল নিস্পত্তির পূর্বে যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে সেইরূপ তদন্ত সম্পাদন করিতে পারিবে অথবা প্রয়োজন বিবেচনা করিলে আপিলের কারণ সম্পর্কিত তথ্যাদি তলব করিতে পারিবে অথবা উপকর কমিশনার কর্তৃক বিষয়টি সম্পর্কে অধিকতর তদন্ত সম্পাদনের ব্যবস্থা করিতে পারিবে।

(৬) আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ আপিল শুনানি চলাকালে এইরূপ কোনো দলিলাদি বা সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ করিতে পারিবেন না, যাহা উপকর কমিশনারের নিকট সময়মত উপস্থাপন করা হয় নাই, যদি না তাহার নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এইরূপ দলিলাদি বা সাক্ষ্য প্রমাণ যুক্তিসঙ্গত কারণে উপকর কমিশনারের নিকট উপস্থাপন করা সম্ভব ছিল না।

আপিলের সিদ্ধান্ত

২৮৯। (১) কোনো আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ –

(ক) কর নির্ধারণী আদেশের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট কর নির্ধারণ চূড়ান্তকরণ, হ্রাস, বর্ধিত, নাকচ বা রদ করিতে পারিবে;

(খ) জরিমানা আরোপের আদেশ সংক্রান্ত মামলায়, এইরূপ আদেশ চূড়ান্তকরণ, নাকচ বা বাতিল অথবা ভিন্ন পন্থায় জরিমানা বৃদ্ধি বা হ্রাস করিতে পারিবে; এবং

(গ) অন্য যেকোনো মামলায়, কর্তৃপক্ষ যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে, সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) ধারা ৩৩৫ এর বিধানাবলি অনুসারে করদাতার উপর নোটিশ জারি করা হয় নাই মর্মে অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল) বা কমিশনার (আপিল) এর নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান না হইলে, কোনো কর নির্ধারণী বা জরিমানা আরোপের আদেশ নাকচ করা যাইবে না।

(৩) আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ কোনো কর নির্ধারণীতে করের পরিমাণ বা আরোপিত জরিমানার অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি অথবা কর প্রত্যার্পনের ক্ষেত্রে প্রদেয় অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাস করিতে পারিবেন না, যদি না আপিলকারীকে এইরূপ বৃদ্ধি বা হ্রাসের কারণ দর্শানোর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান না করা হয়।

(৪) আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত আপিলের রায় লিখিতভাবে প্রদান করিতে হইবে এবং নিষ্পত্তির বিষয়বস্তু, তৎসম্পর্কিত সিদ্ধান্ত ও সিদ্ধান্তের সমর্থনে যথাযথ কারণসমূহের উল্লেখ করিতে হইবে।

(৫) যেইক্ষেত্রে কোনো আপিল মামলার ফলে কোনো ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘের কর নির্ধারণী আদেশে কোনো পরিবর্তন আনীত হয়, সেইক্ষেত্রে আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ ফার্মের অংশীদার বা ব্যক্তিসংঘের সদস্যদের আয়কর নির্ধারণীতে সেই অনুযায়ী সংশোধনী আনয়নের জন্য উপকর কমিশনারকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(৬) কোনো আপিল মামলা নিষ্পত্তির পর আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ তৎকর্তৃক জারীকৃত আদেশ প্রদানের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্ত আদেশ জারির বিষয়টি আপিলকারী, উপকর কমিশনার এবং কমিশনারকে অবহিত করিবে।

(৭) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো আপিল যেই তারিখে আপিল দায়ের করা হইয়াছিল, সেই তারিখের সংশ্লিষ্ট মাস সমাপ্তির পরবর্তী ১৫০ (একশত পঞ্চাশ) দিনের মধ্যে যদি আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ সেটির উপর কোনো আদেশ প্রদানে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে আপিলটি অনুমোদিত হইয়াছে মর্মে গণ্য হইবে।

ট্যাক্স রিকোভারি অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল

২৯০। ধারা ২১৭ এর অধীন ট্যাক্স রিকোভারি অফিসারের জারীকৃত আদেশে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি আদেশটি জারির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে এই মর্মে কর কমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত পরিদর্শী অতিরিক্ত কর কমিশনারের নিকট আপিল করিতে পারিবেন, এবং এইরূপ আপিলের ক্ষেত্রে, পরিদর্শী অতিরিক্ত কর কমিশনারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল

২৯১।  (১) যদি কোনো করদাতা ধারা ২৭২ অথবা ২৮৯ এর অধীন, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল) বা, ক্ষেত্রমত, কমিশনার (আপিল) কর্তৃক জারীকৃত আদেশে সংক্ষুদ্ধ হন, তাহা হইলে তিনি আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করিতে পারিবেন।

(২) করদাতা, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল) বা, ক্ষেত্রমত, কমিশনার (আপিল) এর আদেশের ভিত্তিতে ধার্যকৃত কর, এবং 3[স্বীকৃত করদায়ের] মধ্যকার যে পার্থক্য হইবে, তাহার ১০% (দশ শতাংশ), কর পরিশোধ না করিয়া থাকিলে, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল) বা, ক্ষেত্রমত, কমিশনার (আপিল) কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো আপিল দায়ের করিতে পারিবেন না।

(৩) আপিলকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে কর কমিশনার, আবেদনে উল্লিখিত কারণ তাহার নিকট সন্তোষজনক প্রতীয়মান হইলে, উপ-ধারা (২) এর অধীন পরিশোধের বাধ্যবাধকতা শিথিল করিতে পারিবেন এবং আবেদন প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে তিনি যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করিবেন।

(৪) উপকর কমিশনার কর কমিশনারের পূর্বানুমোদন গ্রহণপূর্বক ধারা ২৮৯ এর অধীন অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল) বা, ক্ষেত্রমত, কমিশনার (আপিল) কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করিতে পারিবেন।

(৫) যে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হইবে সেই আদেশ সম্পর্কে করদাতা অথবা, ক্ষেত্রমত, কমিশনারকে অবহিত করিবার পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে উপ-ধারা (১) অথবা উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রত্যেক আপিল দাখিল করিতে হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, নির্ধারিত ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে আপিল দায়ের করিতে ব্যর্থ হইলেও, যদি আপিল ট্রাইব্যুনাল এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত ব্যর্থতার জন্য পর্যাপ্ত কারণ বিদ্যমান ছিল, তাহা হইলে উক্ত মেয়াদপূর্তির পরও উক্ত আপিল গৃহীত হইবে।

(৬) নির্ধারিত ফরমে এবং পদ্ধতিতে প্রতিপাদনপূর্বক আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করিতে হইবে এবং উপ-ধারা (২) এর ক্ষেত্র ব্যতীত, অন্যান্য ক্ষেত্রে উত্থাপিত আপিল আবেদনের সহিত ১ (এক) হাজার টাকা ফি প্রদান করিতে হইবে।

(৭) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,-

(ক) ইলেক্ট্রনিক্যালি বা অন্য কোনো যন্ত্রে পাঠযোগ্য বা কম্পিউটারে পাঠযোগ্য মাধ্যমে আপিল দায়েরের ক্ষেত্রসমূহ নির্ধারণ করিতে পারিবে; এবং

(খ) উক্ত আপিল দায়ের করিবার ফরম ও পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।

আপিল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তি

২৯২। (১) আপিল ট্রাইব্যুনাল আপিল মামলার উভয় পক্ষকে শুনানির সুযোগ প্রদানের পর আপিলটির ক্ষেত্রে যেইরূপ যথাযথ বিবেচনা করিবে সেইরূপ আদেশ প্রদান করিবে।

(২) কোনো আপিল নিষ্পত্তির প্রাক্কালে আপিল ট্রাইব্যুনাল আপিল সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য তলব করিতে পারিবে অথবা উপকর কমিশনার কর্তৃক এতদ্বিষয়ে অধিকতর তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।

(৩) যেইক্ষেত্রে আপিল মামলার কারণে কোনো ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘের কর নির্ধারণী আদেশে কোনো পরিবর্তন আনীত হয়, অথবা ফার্ম বা ব্যক্তিসংঘের কর নির্ধারণী আদেশ নূতনভাবে করিতে হয়, সেইক্ষেত্রে আপিল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আনীত উক্ত পরিবর্তন মোতাবেক উপকর কমিশনারকে উক্ত ফার্মের অংশীদার বা ব্যক্তিসংঘের সংশ্লিষ্ট কর নির্ধারণী সংশোধনের নির্দেশ প্রদান করিবে।

(৪) কোনো আপিল মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আপিল ট্রাইব্যুনাল তৎকর্তৃক জারীকৃত আদেশ প্রদানের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্ত আদেশটি আপিলকারীকে এবং কমিশনারকে অবহিত করিবেন।

(৫) এই অধ্যায়ে বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত আপিল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কোনো আপিলের বিষয়ে প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

(৬) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো করদাতা কর্তৃক আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল আবেদন দাখিল করা হইলে, যে মাসে উহা দাখিল করা হইয়াছে, তৎপরবর্তী ১৮০ (একশত আশি) দিন অতিবাহিত হইবার পূর্বে আপিল ট্রাইব্যুনাল উক্ত আপিলের উপর কোনো আদেশ প্রদানে ব্যর্থ হইলে, আপিলটি অনুমোদিত হইয়াছে মর্মে গণ্য করা হইবে এবং যেইক্ষেত্রে ২ (দুই) সদস্য বিশিষ্ট আপিল ট্রাইব্যুনাল মামলা শুনানি করেন এবং সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে দ্বিমত পোষণের কারণে একজন অতিরিক্ত সদস্য নিয়োগ করা হইলে, উক্ত মেয়াদ হইবে যেই মাসে আপিল দাখিল করা হইয়াছে, তৎপরবর্তী ২৪০ (দুইশত চল্লিশ) দিন।

হাইকোর্ট বিভাগে রেফারেন্স

২৯৩। (১) ধারা ২৯২ এর অধীন করদাতা অথবা কমিশনার কর্তৃক আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ প্রাপ্ত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে কমিশনার বা করদাতা এইরূপ আদেশ হইতে উদ্ভূত কোনো আইনি প্রশ্নে বিষয়টি হাইকোর্ট বিভাগে রেফারেন্স মামলার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করিতে চাহিলে এই উদ্দেশ্যে নির্ধারিত ফরমে হাইকোর্ট বিভাগ বরাবর আবেদন করিতে পারিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, কর আপিল ট্রাইব্যুনালের কোনো আদেশের বিরুদ্ধে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো রেফারেন্স মামলা দায়ের করা যাইবে না, যদি না করদাতা নিম্নবর্ণিত হারে ফি এবং কর পরিশোধ করেন, যথা:-

(ক) করদাতার ক্ষেত্রে আবেদনের সহিত ২ (দুই) হাজার টাকা ফি সংযুক্ত করা না হয়; এবং

(খ) যেইক্ষেত্রে করদাবি ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অতিক্রম না করে, সেইক্ষেত্রে যদি আপিল ট্রাইব্যুনলের আদেশের ভিত্তিতে নির্ধারিত কর এবং 4[স্বীকৃত করদায়ের] মধ্যকার পার্থক্যের সমপরিমাণ অর্থের ১৫% (পনেরো শতাংশ) করদাতা কর্তৃক পরিশোধ না করা হয়;

(গ) যেইক্ষেত্রে করদাবি ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অতিক্রম করে, সেইক্ষেত্রে যদি আপিল ট্রাইব্যুনলের আদেশের ভিত্তিতে নির্ধারিত কর এবং 5[স্বীকৃত করদায়ের] মধ্যকার পার্থক্যের সমপরিমাণ অর্থের ২৫% (পঁচিশ শতাংশ) করদাতা কর্তৃক পরিশোধ না করা হয়।

(২) বোর্ড, করদাতার আবেদনের প্রেক্ষিতে, উপ-ধারা (১) এর অধীন ফি ব্যতীত এইরূপ পরিশোধের পরিমাণ হ্রাস বা মওকুফ করিতে পারিবে।

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন ৩ (তিন) প্রস্থে করিতে হইবে এবং এর সহিত নিম্নবর্ণিত দলিলাদি সংযোজন করিতে হইবে, যথা:-

(ক) আপিল ট্রাইব্যুনালের যে আদেশে আইনগত প্রশ্নের উদ্ভব হইয়াছে, সেই আদেশের সত্যায়িত ৩ (তিন) টি অনুলিপি;

(খ) উপকর কমিশনার, পরিদর্শী অতিরিক্ত কর কমিশনার অথবা আপিল অতিরিক্ত বা যুগ্ম কমিশনার অথবা, ক্ষেত্রমত, কর কমিশনার (আপিল), এর যে আদেশ আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিষয়বস্তু ছিল উহার সত্যায়িত ৩ (তিন) টি অনুলিপি, এবং

(গ) আবেদনপত্রের বিষয়বস্তু অনুসারে উদ্ভূত আইনগত প্রশ্ন সম্পর্কিত অন্য যেকোনো দলিলের ৩ (তিন) টি সত্যায়িত অনুলিপি, যাহা দফা (ক) বা (খ)-তে উল্লিখিত আদেশের সহিত সংশ্লিষ্ট মামলার কার্যক্রমে, উপকর কমিশনার, পরিদর্শী অতিরিক্ত কর কমিশনার অথবা কমিশনার (আপিল) অথবা ক্ষেত্রমত, আপিল ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হইয়াছিল।

(৪) যেইক্ষেত্রে করদাতা বাদী, সেইক্ষেত্রে কমিশনার বিবাদী এবং যেইক্ষেত্রে কমিশনার বাদী সেইক্ষেত্রে করদাতা বিবাদী হিসাবে গণ্য হইবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, করদাতার মৃত্যু ঘটিলে বা অন্য কেহ তাহার স্থলাভিষিক্ত হইলে বা করদাতা একটি অবসায়িত কোম্পানি হইলে আবেদন বাতিলযোগ্য হইবে না, এবং করদাতা বাদী হইলে করদাতার নির্বাহক, প্রশাসক বা উত্তরাধিকারী বা অন্য আইনানুগ প্রতিনিধি কর্তৃক, অথবা করদাতা বিবাদী হইলে, পক্ষে বা বিপক্ষে, কিংবা ক্ষেত্রমত, অবসায়ক বা প্রাপকের দ্বারা আবেদনটি সক্রিয় থাকিবে।

(৫) আবেদনটির শুনানির তারিখ ধার্য সংক্রান্ত নোটিশ প্রাপ্তির পর বিবাদী কর্তৃক শুনানির অন্যূন ৭ (সাত) দিন পূর্বে উক্ত আবেদন সংক্রান্ত একটি লিখিত জবাব দাখিল করিতে হইবে; এবং আপিল ট্রাইব্যুনালের সংশ্লিষ্ট আদেশের সূত্রে বাদী কর্তৃক আইনগত প্রশ্ন সত্যিই উত্থাপিত হইয়াছিল কিনা তাহা স্পষ্টরূপে উক্ত জবাবে বর্ণনা স্বীকার বা অস্বীকার করিতে হইবে।

(৬) বাদী কর্তৃক উত্থাপিত প্রশ্নটি বিবাদীর মতানুসারে ত্রুটিপূর্ণ মর্মে গণ্য হইলে, যে প্রেক্ষাপটে তাহা ত্রুটিপূর্ণ হইতে পারে, তাহা উপর্যুক্ত জবাবে বর্ণনা করিতে হইবে এবং সংশ্লিষ্ট আদেশে কোনো আইনগত প্রশ্ন নিহিত থাকিলে প্রশ্নটি প্রকৃত অর্থে কী হইতে পারে তাহা সেই জবাবে উল্লেখ করিতে হইবে; এবং জবাবটি ৩ (তিন) প্রস্থে দাখিল করিতে হইবে এবং আবেদনপত্রের সহিত উত্থাপিত প্রশ্নটির সহিত সম্পৃক্ত যাবতীয় দলিলপত্র সংযুক্ত করিতে হইবে যাহা উপ-ধারা (২) এর দফা (ক) অথবা (খ)-তে বর্ণিত কোনো আদেশের সহিত সম্পৃক্ত কার্যক্রমের প্রয়োজনে উপকর কমিশনার, পরিদর্শী অতিরিক্ত কর কমিশনার, অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল), কমিশনার (আপিল) অথবা, ক্ষেত্রমত, আপিল ট্রাইব্যুনালের বরাবর সরবরাহ করা হইয়াছিল।

(৭) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদনের ক্ষেত্রে Limitation Act, 1908 (Act No. IX of 1908) এর section 5 প্রযোজ্য হইবে।

হাইকোর্ট বিভাগের সিদ্ধান্ত

২৯৪। (১) যেইক্ষেত্রে ধারা ২৯৩ এর অধীন কোনো রেফারেন্স মামলা হাইকোর্ট বিভাগে আনীত হয়, সেইক্ষেত্রে অন্তত ২ (দুই) জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ইহার উপর শুনানি করিবে এবং এইক্ষেত্রে যতদূর সম্ভব Code of Civil Procedure 1908 (Act No. V of 1908) এর section 98 এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।

(২) হাইকোর্ট বিভাগ ধারা ২৯৩ এর অধীন আনীত রেফারেন্স মামলার উপর শুনানি গ্রহণের পর মামলাটিতে উত্থাপিত আইনগত জটিলতা নিরসনে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে এবং উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রেক্ষাপট বর্ণনাক্রমে রায় প্রদান করিবে এবং আদালতের সীলমোহরাঙ্কন করিয়া রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরযোগে এইরূপ, রায়ের একটি অনুলিপি আপিল ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করিবে এবং ট্রাইব্যুনাল উক্তরূপ রায়ের সহিত সামঞ্জস্য বিধানপূর্বক নিষ্পত্তির লক্ষ্যে যেইরূপ আবশ্যক গণ্য করিবে সেইরূপ আদেশ জারি করিবে।

(৩) ধারা ২৯৩ এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগের রেফারেন্স মামলার ব্যয়সমূহ আদালতের স্ববিবেচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হইবে।

(৪) ধারা ২৯৩ এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগে রেফারেন্স মামলা যেভাবেই গৃহীত বা দায়েরকৃত হউক না কেন, উক্ত মামলার কর আদায়ের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ কোনো স্থগিতাদেশ জারি না করিয়া থাকিলে, কর নির্ধারণীর ভিত্তিতে কর পরিশোধযোগ্য হইবে।

আপিল বিভাগে আপিল

২৯৫। (১) ধারা ২৯৪ এর অধীন হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত কোনো রায়ের ক্ষেত্রে, হাইকোর্ট বিভাগ যদি উক্ত রায় আপিল বিভাগে আপিলযোগ্য মর্মে প্রত্যয়ন করে, তাহা হইলে সেইক্ষেত্রে আপিল করা যাইবে।

(২) হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক Code of Civil Procedure 1908 (Act No. V of 1908) এর বিধানাবলি ডিক্রির ক্ষেত্রে যেইভাবে প্রয়োগ করা হয়, আপিল বিভাগে এই ধারার অধীন বর্ণিত আপিলের ক্ষেত্রে উক্ত বিধানাবলি যতদূর সম্ভব, সেইভাবে প্রয়োগযোগ্য হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোনো কিছুই ধারা ২৯৪ এর উপ-ধারা (২) বা (৪) এর বিধানাবলিকে প্রভাবিত করিয়াছে মর্মে ব্যক্ত হইবে না:

আরও শর্ত থাকে যে, আপিল বিভাগের আদেশ হিসাবে যে ব্যয়াদি অনুমোদিত হয়, তদসংক্রান্ত আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্ত আনীত দায়েরকৃত পিটিশন হাইকোর্ট বিভাগ উহার অধস্তন যেকোনো আদালতে সরবরাহ করিতে পারিবে।

(৩) যেইক্ষেত্রে এই ধারার অধীন হাইকোর্ট বিভাগের প্রদত্ত রায় পরিবর্তিত হয়, সেইক্ষেত্রে ধারা ২৯৪ এর উপ-ধারা (২) ও (৪) এ বর্ণিত হাইকোর্ট বিভাগের রায় কার্যকর করিবার যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় সেই একই পদ্ধতিতে আপিল বিভাগের আদেশের কার্যকারিতা প্রদান করিতে হইবে।

(৪) ব্যয় এবং কর পরিশোধ সংক্রান্ত ধারা ২৯৪ এর উপ-ধারা (৩) ও (৪) এর বিধানাবলি হাইকোর্ট বিভাগে রেফারেন্স মামলায় ধারা ২৯৪ এর অধীন যেভাবে প্রয়োগ হয়, আপিল বিভাগে আপিলের ক্ষেত্রেও উক্ত বিধানসমূহ সমভাবে প্রয়োগযোগ্য হইবে।

তৃতীয় অধ্যায়

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি

সংজ্ঞা

২৯৬। এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে,-

(১) “অনুমোদিত প্রতিনিধি” অর্থ ধারা ৩২৭ এর উপ-ধারা (২)-এ উল্লিখিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি;

(২) “বেঞ্চ” অর্থ কর আপিল ট্রাইবুনালের বেঞ্চ;

(৩) “কমিশনারের প্রতিনিধি” অর্থ এই অধ্যায়ের অধীন বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় প্রতিনিধিত্ব করিবার লক্ষ্যে ধারা ৪ এর অধীন আয়কর কর্তৃপক্ষসমূহের মধ্য হইতে কর কমিশনার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা;

(৪) “আদালত” অর্থ সুপ্রীম কোর্ট;

(৫) “বিরোধ” অর্থ নিম্নবর্ণিত বিষয়ে কোনো করদাতার কোনো অভিযোগ-

(ক) রিটার্নে করদাতা কর্তৃক ঘোষিত আয়কর নিরূপণের পরিমাণ সংশ্লিষ্ট বৎসরের আয় হইতে অধিক হইলে; অথবা

(খ) অংশ ২০ এর দ্বিতীয় অধ্যায়ের অধীন আপিল কর্তৃপক্ষের আদেশের ফলে আয়কর নিরূপণের পরিমাণ রিটার্নে করদাতা কর্তৃক ঘোষিত আয়কর নিরূপণের পরিমাণ হইতে অধিক হইলে।

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি

২৯৭। কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষ বা কর আপিল ট্রাইব্যুনাল বা আদালতে নিষ্পন্নাধীন কর নিরূপণ সংক্রান্ত বিরোধ এই অধ্যায়ে এবং এই অধ্যায়ের অধীন প্রণীত বিধিমালায় বর্ণিত পদ্ধতিতে, এবং বোর্ড কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত যোগ্যতা, শর্ত ও সীমা সাপেক্ষে, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যাইবে।

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির প্রয়োগ

২৯৮। (১) উপ-ধারা (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, একজন করদাতা আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ বা কর আপিল ট্রাইব্যুনাল বা সুপ্রীম কোর্টের যেকোনো বিভাগে নিষ্পন্নাধীন বিরোধ, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।

(২) সুপ্রীম কোর্টের যেকোনো বিভাগে কোনো বিরোধ নিষ্পন্নাধীন থাকিলে, করদাতাকে উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদন দাখিলের পূর্বে আদালতের অনুমতি গ্রহণ করিতে হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো বিরোধ লইয়া রিট করা হইলে উক্ত বিরোধ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যাইবে না।

(৩) বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন-

(ক) নির্ধারিত ফরমে, সময়ে এবং ফি প্রদানপূর্বক প্রত্যয়ন করিয়া দাখিল করিতে হইবে;

(খ) সংশ্লিষ্ট আপিল আয়কর কর্তৃপক্ষ বা কর আপিল ট্রাইব্যুনাল বা, ক্ষেত্রমত, সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবর দাখিল করিতে হইবে।

(৪) করদাতা আবেদনপত্রের সহিত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, দলিলাদি এবং আইনগত ভিত্তি ও প্রকৃত ঘটনা সম্বলিত বিবৃতি দাখিল করিবেন।

(৫) কোনো করদাতা কোনো আয়বর্ষের রিটার্ন দাখিল করিয়া থাকিলে, তিনি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন দাখিলের যোগ্য হইবেন না যদি না উক্ত আয়বর্ষে 6[স্বীকৃত করদায়] পরিশোধ না করিয়া থাকেন।

কমিশনারের প্রতিনিধি

২৯৯। (১) সংশ্লিষ্ট কর কমিশনার, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে আবেদনকারী করদাতার সহিত মধ্যস্থতা করিবার জন্য, উপকর কমিশনার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষকে, অতঃপর আয়কর প্রতিনিধি বলিয়া উল্লিখিত, মনোনীত করিতে পারিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মনোনীত আয়কর প্রতিনিধি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সকল মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করিবেন এবং মতৈক্যে উপনীত হইলে উক্ত মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ার সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষর প্রদান করিবেন।

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারী

৩০০। (১) বোর্ড কর্তৃক নিযুক্ত একজন সহায়তাকারীর মধ্যস্থতায় করদাতা এবং কমিশনারের প্রতিনিধির মধ্যে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া পরিচালিত হইবে।

(২) সহায়তাকারী নির্ধারিত দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পাদন ও নির্ধারিত ফি গ্রহণ করিবেন।

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য করদাতার অধিকার ও কর্তব্যসমূহ

৩০১। (১) বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করদাতার স্বয়ং বা তাহার ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে কমিশনারের প্রতিনিধির সহিত মধ্যস্থতায় অংশগ্রহণ করিবার অধিকার থাকিবে।

(২) বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মধ্যস্থতায় করদাতার সহিত সংশ্লিষ্ট বিতর্কিত বিষয়ে আইনগত ও তথ্যগত কাগজপত্র ও দলিল সহযোগে যুক্তি তর্ক উপস্থাপনে সীমাবদ্ধ থাকিবে।

(৩) যদি কোনো সমঝোতায় উপনীত হওয়া যায়, তাহা হইলে করদাতাকে, উক্ত সমঝোতার ভিত্তিতে কোনো করদায় আরোপিত হইলে, সম্মত সময়সীমার মধ্যে উহা পরিশোধ করিতে হইবে।

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে কর বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি

৩০২। (১) বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন প্রাপ্তির পর, সহায়তাকারী আবেদনের একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং উক্ত বিষয়ে এবং ধারা ২৯৮ এর শর্তাবলি প্রতিপালিত হইয়াছে কিনা তৎমর্মে সেই বিষয়ে তাহার মতামত তলব করিবেন।

(২) যদি উপকর কমিশনার, উপ-ধারা (৩) এর দফা (গ)-এ উল্লিখিত অনুলিপি প্রাপ্তির পর, ৫ (পাঁচ) কার্যদিবসের মধ্যে শর্তপূরণ সম্পর্কে তাহার মতামত প্রদানে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে সহায়তাকারী আবেদনে উল্লিখিত শর্তাদি প্রতিপালিত হইয়াছে মর্মে গণ্য করিতে পারিবেন।

(৩) সহায়তাকারী-

(ক) আবেদনকারী এবং কর কমিশনার বা কমিশনারের প্রতিনিধিকে নোটিশে উল্লিখিত তারিখে বিরোধ নিষ্পত্তির সভায় অংশগ্রহণের জন্য লিখিতভাবে অবহিত করিতে পারিবেন;

(খ) প্রয়োজন বিবেচনা করিলে, সময় সময়, সভা মুলতুবি করিতে পারিবেন;

(গ) বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে সভার পূর্বে বা সভায় উপকর কমিশনার বা আবেদনকারীর নিকট হইতে দলিল বা সাক্ষ্য-প্রমাণ তলব করিতে পারিবেন; এবং

(ঘ) উপযুক্ত বিবেচনা করিলে, আবেদন নিষ্পত্তির পূর্বে কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুসন্ধান করাইতে পারিবেন।

(৪) সহায়তাকারী আবেদনকারী করদাতাকে এবং কমিশনারের প্রতিনিধিকে আলোচনা এবং সভার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে সম্মত হইবার জন্য সহায়তা প্রদান করিবেন।

আপিল ট্রাইব্যুনাল বা হাইকোর্ট বিভাগে নিষ্পন্নাধীন আপিল বা রেফারেন্স সম্পর্কিত কার্যক্রম সাময়িক স্থগিতকরণ

৩০৩। যেইক্ষেত্রে কোনো করদাতা কোনো আয়বর্ষে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করেন এবং উক্ত আয়বর্ষের জন্য উপকর কমিশনার আপিল ট্রাইব্যুনালে কোনো আপিল দায়ের করেন বা কর কমিশনার হাইকোর্ট বিভাগে কোনো রেফারেন্স প্রেরণ করেন, এবং আপিল ট্রাইব্যুনাল বা, ক্ষেত্রমত, হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে কোনো সিদ্ধান্ত প্রদান না করা হয়, সেইক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত আপিল বা রেফারেন্স সম্পর্কিত কার্যক্রম আপাতত স্থগিত থাকিবে।

বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার সিদ্ধান্ত

৩০৪। (১) যেইক্ষেত্রে উভয় পক্ষ এই আইনের আওতাধীন বিরোধ সংক্রান্ত কোনো ঘটনা বা আইনিভাবে বিরোধপূর্ণ বিষয়ে উক্তকমত্য পোষণ করেন, সেইক্ষেত্রে মতৈক্যের ভিত্তিতে বিরোধপূর্ণ বিষয়টি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যাইবে।

(২) যেইক্ষেত্রে করদাতা এবং কর কমিশনারের প্রতিনিধির মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির আংশিক বা সম্পূর্ণ মতৈক্য হয়, সেইক্ষেত্রে সহায়তাকারী, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, মতৈক্যের বিস্তারিত তথ্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে লিপিবব্ধ করিবেন।

(৩) উক্ত মতৈক্যের রেকর্ডে যেকোনো প্রদেয় বা প্রত্যার্পনযোগ্য কর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত বিষয়াদিসহ মতৈক্যের শর্তাবলির বর্ণনা থাকিবে, এবং মতৈক্যের ভিত্তিতে ন্যায্য পাওনা পরিশোধের পদ্ধতি এবং সহায়তাকারী যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবেন সেইরূপ অন্যান্য বিষয়েরও উল্লেখ থাকিবে।

(৪) যদি পরবর্তীতে উদঘাটিত হয় যে, প্রতারণা ও অসত্য তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে মতৈক্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন হইয়াছে, তাহা হইলে তাহা বাতিল হইবে।

(৫) করদাতা, কমিশনারের প্রতিনিধি এবং সহায়তাকারী মতৈক্যে স্বাক্ষর প্রদান করিবেন।

(৬) যেইক্ষেত্রে আবেদনকারী করদাতা এবং সংশ্লিষ্ট কমিশনারের প্রতিনিধির মধ্যে যেকোনো পক্ষের অসহযোগিতার কারণে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে কোনো মতৈক্যে পৌঁছানো সম্ভবপর না হয়, বা বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে মতভেদ সৃষ্টি হয়, সেইক্ষেত্রে সহায়তাকারী, কারণসমূহ লিপিবদ্ধ করিয়া, মতভেদ হইবার ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে আবেদনকারী, বোর্ড, সংশ্লিষ্ট আদালত, ট্রাইব্যুনাল, আপিল কর্তৃপক্ষ এবং, ক্ষেত্রমত, আয়কর কর্তৃপক্ষকে উক্ত অসফল বিরোধ নিষ্পত্তি সম্পর্কে অবহিত করিবেন।

(৭) যেইক্ষেত্রে পাওনা আদায় ও প্রত্যার্পনের পন্থা ও সময় নির্ধারণ করিয়া মতৈক্য হয় এবং তাহা যথাযথভাবে লিপিবব্ধ ও স্বাক্ষরিত হয়, সেইক্ষেত্রে সহায়তাকারী, এই আইনের বিধানাবলি পরিপালন করিয়া, মতৈক্য অনুসারে, উহা করদাতা এবং সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারকে অবহিত করিবেন।

(৮) যদি সহায়তাকারী, যে মাসে আবেদন করা হইয়াছিল সেই মাস সমাপ্ত হইবার পরবর্তী
৩ (তিন) মাসের মধ্যে, মতৈক্যে উপনীত হইতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে কোনো মতৈক্য হয় নাই বলিয়া গণ্য হইবে।

(৯) যেইক্ষেত্রে সফল মতৈক্য হয়, সেইক্ষেত্রে সহায়তাকারী মতৈক্যের অনুলিপি উপ-ধারা (৬)-এ উল্লিখিত সকল পক্ষের নিকট, যেই তারিখে সহায়তাকারী এবং পক্ষগণ মতৈক্যে স্বাক্ষর করিয়াছেন সেই তারিখ হইতে ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে, প্রেরণ করিবেন।

মতৈক্যের ফলাফল

৩০৫। (১) এই আইনের অন্য কোনো বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৩০৪ এর উপ-ধারা (৯) এর অধীন সম্পাদিত সমঝোতা উভয় পক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক হইবে এবং উহার বিরুদ্ধে করদাতা বা কোনো আয়কর কর্তৃপক্ষ কোনো কর্তৃপক্ষ, ট্রাইব্যুনাল বা আদালতে আপত্তি উত্থাপন করিতে পারিবে না।

(২) ধারা ৩০৪ এর অধীন নিষ্পন্নকৃত মতৈক্যের ক্ষেত্রে উহাতে উল্লিখিত বিষয় চূড়ান্ত হইবে এবং মতৈক্য বহির্ভূত কোনো বিষয়ে, এই আইনের অধীন যেকোনো কার্যধারায় পুনঃউন্মোচন করা যাইবে।

মতৈক্য না হইবার ক্ষেত্রে আপিলের সীমাবদ্ধতা

৩০৬। (১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে সকল বিরোধের ক্ষেত্রে আংশিক বা সম্পূর্ণ মতৈক্য হয় নাই, সেই সকল ক্ষেত্রে করদাতা-

(ক) যেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনারের আদেশ হইতে বিরোধ উদ্ভূত হয়, সেইক্ষেত্রে আপিল কর কমিশনার বা অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল) বা, ক্ষেত্রমত, কর কমিশনার (আপিল) এর নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবেন;

(খ) যেইক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর কমিশনার (আপিল) বা, ক্ষেত্রমত, কর কমিশনার (আপিল) এর আদেশ হইতে বিরোধ উদ্ভূত হয়, সেইক্ষেত্রে কর আপিল ট্রাইব্যুনালের নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবেন;

(গ) যেইক্ষেত্রে আবেদনকারী করদাতা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট আপিল কর্তৃপক্ষ বা আদালত হইতে আপিল আবেদনের অনুমতি পান উক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবেন।

(২) আপিল দাখিলের তামাদি মেয়াদ গণনার ক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আবেদনকারী কর্তৃক আবেদন দাখিলের তারিখ হইতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত বা আদেশ পাইবার জন্য ব্যয়িত সময় অন্তর্ভুক্ত হইবে না।

মতৈক্যের পর সত্যতার প্রতিপাদন

৩০৭। (১) বোর্ড, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন নিষ্পত্তির অগ্রগতি তদারক করিতে এবং প্রয়োজনীয় সমর্থন এবং সমন্বয় সেবা প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদান করিতে পারিবে।

(২) মতৈক্য বা মতানৈক্য সম্পর্কিত সকল প্রতিকপি বিষয়াদির অনুলিপি সহায়তাকারী কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কমিশনার এবং বোর্ডের নিকট যাচাই এবং আইনগত বা ঘটনাগত সঠিকতা নিরূপণের জন্য প্রেরণ করিতে হইবে।

(৩) মতৈক্য বা মতানৈক্যের বিষয়াদির অনুলিপি প্রতিলিপি প্রাপ্তির পর, যদি বোর্ডের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, দায়েরকৃত মতৈক্য প্রতারণা, ভুল উপস্থাপনা বা প্রকৃত তথ্য গোপনের মাধ্যমে রাজস্বের ক্ষতি করিবে, তাহা হইলে উক্ত মতৈক্য বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, ট্রাইব্যুনাল বা আদালতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হইবে।

দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলায় বাধা

৩০৮। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ায় জড়িত কোনো ব্যক্তি কর্তৃক সরল বিশ্বাসে গৃহীত ব্যবস্থা বা মতৈক্যের বিরুদ্ধে কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা কর্তৃপক্ষের নিকট দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা করা যাইবে না।


  • 1
    উপ-ধারা (৪) অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৭৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 2
    “স্বীকৃত করদায়” শব্দগুলি “ধারা ১৭৩ এর অধীন কোনো কর” শব্দগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৭৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 3
    “স্বীকৃত করদায়ের” শব্দগুলি “ধারা ১৭৩ অনুসারে পরিশোধযোগ্য করের” শব্দগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৭৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 4
    “স্বীকৃত করদায়ের” শব্দগুলি “ধারা ১৭৩ এর অধীন পরিশোধযোগ্য করের” শব্দগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৭৯(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 5
    “স্বীকৃত করদায়ের” শব্দগুলি “ধারা ১৭৩ এর অধীন পরিশোধ্য করের” শব্দগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৭৯(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
  • 6
    “স্বীকৃত করদায়” শব্দগুলি “ধারা ১৭৩ এর অধীন প্রদেয় কর” শব্দগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৮০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs