প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

আয়কর আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ১২ নং আইন )

প্রথম অধ্যায়

বকেয়া কর আদায়

দাবির নোটিশ

২১৪। (১) এই আইনের অধীন কোনো আদেশ বা কার্যক্রমের ফলে কোনো পরিমাণ কর প্রদেয় হইলে উপকর কমিশনার, উক্ত করদাতার বরাবর (কর পরিশোধের জন্য দায়ী অন্য কোনো ব্যক্তিও ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে) কর নির্ধারণী আদেশের একটি কপিসহ উক্ত প্রদেয় করের পরিমাণ, পরিশোধের সময়সীমা এবং পদ্ধতি উল্লেখপূর্বক নির্ধারিত ফরমে একটি দাবির নোটিশ জারি করিবেন।

(২) এই আইনের অধীন কোনো আদেশ বা কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর ফেরতযোগ্য হইলে উপকর কমিশনার উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত নোটিশে করদাতার নিকট ফেরতযোগ্য অর্থের পরিমাণ এবং তাহাকে উক্ত অর্থ ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করিবেন, যদি না ধারা ২২৫ এর বিধান অনুসারে এইরূপ ফেরৎ বকেয়া করের বিপরীতে সমন্বয় হয়।

(৩) করদাতাকে শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া উপকর কমিশনার কোনো প্রত্যর্পণ সমন্বয় করিবেন না।

(৪) যে করদাতার উপর উপ-ধারা (১) এর অধীন দাবির নোটিশ জারি করা হইয়াছে, তিনি নোটিশে বর্ণিত পরিশোধের সময় অতিবাহিত হইবার পূর্বে এবিষয়ে উপকর কমিশনারের নিকট আবেদন করিলে, উপকর কমিশনার মামলার পরিস্থিতি বিবেচনাপূর্বক যেইরূপ প্রয়োজন বিবেচনা করিবেন সেইরূপে পরিশোধের সময়সীমা বর্ধিত করিতে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, বিলম্ব সুদ পরিশোধের শর্তসহ কিস্তিতে পরিশোধের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।

(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীন জারীকৃত দাবির নোটিশে বর্ণিত সময়ের মধ্যে অথবা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উপ-ধারা (৪) এর অধীন বর্ধিত সময়ের মধ্যে পরিশোধযোগ্য অর্থ পরিশোধ করা না হইলে করদাতাকে খেলাপি করদাতা হিসাবে গণ্য করা হইবে।

(৬) করদাতা আরোপিত কর নির্ধারণী আদেশের বিরুদ্ধে অথবা উল্লিখিত করের পরিমাণের বিরুদ্ধে এই আইনের অধীন আপিল পেশ করিলে, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উপকর কমিশনার করদাতাকে খেলাপি করদাতা হিসাবে গণ্য করিবেন না।

(৭) করদাতাকে উপ-ধারা (৪) এর অধীন কিস্তিতে অর্থ পরিশোধের অনুমতি প্রদান করা হইলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করদাতা যদি কোনো একটি কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন তবে তাহাকে উক্ত দিনে অনাদায়ী অর্থের জন্য এবং অন্যান্য কিস্তি বা কিস্তিসমূহের জন্য খেলাপি করদাতা হিসাবে গণ্য করা হইবে এবং যে কিস্তিটি পরিশোধে তিনি ব্যর্থ হইয়াছেন উক্ত কিস্তি পরিশোধের জন্য ধার্য দিনই অবশিষ্ট সকল কিস্তি পরিশোধ করিবার কথা ছিল মর্মে গণ্য করা হইবে।

(৮) বাংলাদেশের বাহির হইতে উপার্জিত আয়ের উপর যদি কোনো করদাতার কর নির্ধারণ করা হয় এবং উক্ত দেশ হইতে বাংলাদেশে অর্থ প্রেরণের বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা বা বিধি-নিষেধ আরোপিত থাকে, তবে এইরূপ নিষেধাজ্ঞা বা বিধি-নিষেধ আরোপের কারণে যেই পরিমাণ আয় বাংলাদেশে আনয়ন করা সম্ভব হয় নাই সেই পরিমাণ আয়ের উপর আরোপিত আয়করের জন্য, বর্ণিত নিষেধাজ্ঞা বা বিধি-নিষেধ দূরীভুত না হওয়া পর্যন্ত উপকর কমিশনার সংশ্লিষ্ট করদাতাকে খেলাপি করদাতা হিসাবে গণ্য করিবেন না।

(৯) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, একজন করদাতার আয় তখনই বাংলাদেশে আনয়ন করা হইয়াছে মর্মে বিবেচনা করা হইবে, যখন উক্ত আয় বাংলাদেশের বাহিরে করদাতার কোনো প্রকৃত ব্যয় নির্বাহের জন্য ব্যবহৃত হইয়াছে বা হইতে পারিত অথবা তাহা পুঁজি আকারে বা অন্য কোনোভাবে বাংলাদেশে আনয়ন করা হইয়াছে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs