প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

আয়কর আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ১২ নং আইন )

দ্বিতীয় অধ্যায়

ট্রান্সফার প্রাইসিং

আর্মস লেংথ প্রাইস পরিগণনা

২৩৫। (১) লেনদেনের প্রকৃতি, নির্ভরযোগ্য তথ্যের প্রাপ্যতা, সম্পাদিত কার্যাদি, নিযুক্ত সম্পদ, গৃহীত ঝুঁকি কিংবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ফ্যক্টরের ভিত্তিতে নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি সমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত পদ্ধতি (method) অনুসারে আন্তর্জাতিক লেনদেন সংক্রান্ত আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করিতে হইবে, যথা:-

(ক) কমপারেবল আনকন্ট্রোলড প্রাইস মেথড (comparable uncontrolled price method);

(খ) রিসেল প্রাইস মেথড (resale price method);

(গ) কস্ট প্লাস মেথড (cost plus method);

(ঘ) প্রফিট স্প্লিট মেথড (profit split method);

(ঙ) ট্রানজেকশনাল নেট মার্জিন মেথড (transactional net margin
method);

(চ) অন্য যেকোনো পদ্ধতি, যেইক্ষেত্রে প্রমাণ দেওয়া যায় যে,-

(অ) আন্তর্জাতিক লেনদেনের আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করিবার জন্য দফা (ক) হইতে (ঙ) এ উল্লিখিত কোনো পদ্ধতি যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রয়োগ করা সম্ভবপর নহে; এবং

(আ) উক্ত পদ্ধতি আর্মস লেংথ প্রাইসের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ ফলাফল প্রদান করে।

(২) যেইক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) বা (চ) এ উল্লিখিত পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোনো একটি পদ্ধতিকে সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত পদ্ধতি হিসাবে প্রয়োগ করা হয় এবং আর্মস লেংথ প্রাইসের ডাটাসেটে ৬ (ছয়) বা তাহার অধিক এন্ট্রি থাকে, সেইক্ষেত্রে উক্ত ডাটাসেটের ৩০ (ত্রিশ) হইতে ৭০ (সত্তর) পার্সেন্টাইল মধ্যে অবস্থিত ডাটা লইয়া একটি আর্মস লেংথ রেঞ্জ গঠন করিতে হইবে এবং নিম্নবর্ণিত শর্তানুসারে আমর্স লেংথ প্রাইস নির্ধারিত হইবে, যথা:-

(ক) যে মূল্যে প্রকৃত আন্তর্জাতিক লেনদেন সংঘটিত হইয়াছে তাহা যদি উপরি-বর্ণিত রেঞ্জের মধ্যে থাকে তবে উক্ত মূল্যই আর্মস লেংথ প্রাইস হিসাবে বিবেচিত হইবে;

(খ) যে মূল্যে প্রকৃত আন্তর্জাতিক লেনদেন সংঘটিত হইয়াছে তাহা যদি উপরোল্লিখিত রেঞ্জের মধ্যে না থাকে তবে ডাটাসেটের মধ্যমাকে আর্মস লেংথ প্রাইস ধরিতে হইবে;

(গ) যদি আর্মস লেংথ প্রাইসের ডাটাসেটে ছয়ের কম সংখ্যক এন্ট্রি থাকে, তবে ডাটাসেটের অন্তর্ভুক্ত সকল ভ্যালুর গাণিতিক গড়ই হইবে আমর্স লেংথ প্রাইস।

(৩) আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণের জন্য উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত মেথড বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রযোজ্য হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীন কোনো আন্তর্জাতিক লেনদেনের নির্ধারিত আর্মস লেংথ প্রাইসের ফলস্বরূপ প্রাপ্ত মোট আয় উক্ত আন্তর্জাতিক লেনদেন প্রকৃতপক্ষে যে মূল্যে সম্পন্ন হইয়াছিল সেই মূল্যই ধার্য বা পরিশোধিত বিবেচিত হইলে যে মোট আয় পাওয়া যেতো তাহা অপেক্ষা কম হইবে না।

(৪) যেইক্ষেত্রে অংশ ১০ এর অধীন কোনো কর নির্ধারণকালে উপকর কমিশনার এইরূপ অভিমত পোষণ করেন যে,-

(ক) করদাতা কর্তৃক আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য ধার্যকৃত বা পরিশোধিত মূল্য উপ-ধারা (১) ও (৩) অনুসারে নির্ধারণ করা হয় নাই;

(খ) করদাতা ধারা ২৩৭ অনুসারে তথ্য, দলিলাদি বা রেকর্ড রাখিতে ব্যর্থ হইয়াছে; বা

(গ) করদাতা কর্তৃক যে তথ্য বা উপাত্তের ভিত্তিতে আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করা হইয়াছে তাহা নির্ভরযোগ্য বা শুদ্ধ নহে,

সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার তাহার নিকট প্রাপ্য তথ্য বা দলিলাদি বা প্রমাণাদির ভিত্তিতে উপ-ধারা (১) ও (৩) এর বিধানাবলি অনুসারে উক্ত আন্তর্জাতিক লেনদেনের আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করিতে পারিবেন।

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণের ক্ষেত্রে, উপকর কমিশনার তাহার নিকটে প্রাপ্য তথ্য বা দলিলাদি বা প্রমাণাদির ভিত্তিতে কেন আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করা হইবে না তৎমর্মে নোটিশ প্রদানপূর্বক নোটিশে উল্লিখিত তারিখ ও সময়ের মধ্যে করদাতাকে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করিবেন।

(৬) যেইক্ষেত্রে এই উপ-ধারা (৪) ও ধারা ২৩৬ এর উপ-ধারা (৪) এর অধীন আর্মস লেংথ প্রাইস নির্ধারণ করা হয়, সেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার উক্তরূপে নির্ধারিত আর্মস লেংথ প্রাইস বিবেচনা করিয়া লিখিত আদেশ দ্বারা করদাতার মোট আয় পরিগণনা শুরু করিবেন।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs