প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

আয়কর আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ১২ নং আইন )

অনিবাসীর শিপিং ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে করদায়

২৫৯। (১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যেইক্ষেত্রে কোনো অনিবাসী স্বত্বাধিকারী বা ভাড়াকারী হিসাবে, অতঃপর এই ধারায় প্রিন্সিপাল হিসাবে উল্লিখিত, জাহাজ চলাচলের ব্যবসা পরিচালনা করে, সেইক্ষেত্রে এই ধারার বিধানাবলি অনুসারে এইরূপ ব্যবসার জন্য কর আরোপ ও আদায় করা হইবে।

(২) কোনো জাহাজ বাংলাদেশের যেকোনো বন্দর ত্যাগের পূর্বে উক্ত জাহাজের মাস্টার নিম্নবর্ণিত তথ্যাদিসহ রিটার্ন প্রস্তুত করিবেন এবং উপকর কমিশনারের নিকট তাহা দাখিল করিবেন, যথা:-

(ক) জাহাজটি বন্দরে সর্বশেষ আগমনের পর হইতে জাহাজে আরোহিত যাত্রী, গবাদিপশু, ডাক বা মালামাল পরিবহণ বাবদ প্রিন্সিপাল বা তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে পরিশোধিত বা প্রদেয় অর্থের পরিমাণ; এবং

(খ) বাংলাদেশের বাহিরে যেকোনো বন্দরে জাহাজে আরোহিত যাত্রী, গবাদিপশু, ডাক বা মালামাল পরিবহণ বাবদ প্রিন্সিপাল কর্তৃক বা তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কর্তৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গৃহীত, বা গৃহীত হইবে বলিয়া বিবেচিত, অর্থের পরিমাণ।

(৩) রিটার্ন প্রাপ্তির পর উপকর কমিশনার উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত অর্থের সমষ্টি নির্ধারণ করিবেন, এবং এতদুদ্দেশ্যে তিনি যেইরূপ প্রয়োজন বিবেচনা করিবেন, সেইরূপ বিবরণাদি, হিসাব বা দলিলাদি তলব করিতে পারিবেন এবং উল্লিখিত অর্থের নিরূপিত সমষ্টি প্রিন্সিপাল কর্তৃক উক্ত ব্যবসা হইতে বাংলাদেশে অর্জিত আয় হিসাবে বিবেচিত হইবে যাহা এই আইনের অধীন তাহার ‘ব্যবসা হইতে আয়’ খাতে করযোগ্য হইবে এবং এইরূপ আয়ের উপর ৮% (আট শতাংশ) হারে কর আরোপিত হইবে।

(৪) যেইক্ষেত্রে উপকর কমিশনার এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, জাহাজের মাস্টার বা প্রিন্সিপাল কর্তৃক জাহাজটি বন্দর ত্যাগের পূর্বে উপ-ধারা (২) এর অধীন আবশ্যকীয় রিটার্ন দাখিল সম্ভব নহে, এবং এতদুদ্দেশ্যে প্রিন্সিপাল কর্তৃক তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে রিটার্ন দাখিল ও কর পরিশোধের জন্য সন্তোষজনক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে জাহাজ বন্দর ত্যাগের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করা হইলে, উপকর কমিশনার প্রিন্সিপাল কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির মাধ্যমে উপ-ধারা (২) এর বিধান যাথাযথ পরিপালন সাপেক্ষে রিটার্ন দাখিল করা হইয়াছে মর্মে গণ্য করিতে পারিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, যেইক্ষেত্রে উপ-ধারা (৮) এ উল্লিখিত কোনো চার্জ বর্ণিত ৩০ (ত্রিশ) দিন অতিবাহিত হইবার পর উদ্ভূত হয়, সেইক্ষেত্রে এই উপ-ধারায় উল্লিখিত অপর ব্যক্তি যে মাসে উক্ত চার্জ উদ্ভূত হইবে সেই মাস শেষ হইবার পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্ত চার্জের জন্য একটি সম্পূরক রিটার্ন দাখিল করিবেন এবং তাহার উপর প্রদেয় কর পরিশোধ করিবেন।

(৫) কোনো জাহাজকে বন্দর ছাড়পত্র অনুমোদন করা হইবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত কাস্টমস্‌ কমিশনার বা এতদুদ্দেশ্যে যথযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদেয় কর যথাযথভাবে পরিশোধ করা হইয়াছে বা তাহা পরিশোধের সন্তোষজনক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইয়াছে।

(৬) উপ-ধারা (৩) এর অধীন নিরূপিত প্রাপ্তির সমষ্টিগত অর্থের বিপরীতে কোনো খরচ অনুমোদনের প্রয়াসে এই আইনের অন্য কোনো কিছুকে এখানে ব্যাখ্যা করা যাইবে না।

(৭) এই ধারার অধীন পরিশোধিত কর, এই আইনের অধীন করদাতার চূড়ান্ত করদায় হিসাবে বিবেচিত হইবে এবং করদাতা কর্তৃক ধারা ১৬৬ এর অধীন মোট আয়ের রিটার্ন দাখিল আবশ্যক হইবে না, অথবা তিনি উক্ত রিটার্নের ভিত্তিতে কোনো কর প্রত্যর্পণ বা সমন্বয় দাবি করিতে পারিবেন না।

(৮) এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত পরিমাণ অর্থের মধ্যে ডেমারেজ চার্জ বা হ্যন্ডেলিং চার্জ হিসাবে পরিশোধিত বা প্রদেয় অঙ্ক বা সমজাতীয় প্রকৃতির অন্য কোনো অঙ্ক অন্তর্ভুক্ত হইবে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs