প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

অর্থ আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ১৪ নং আইন )

চতুর্থ অধ্যায়

ভ্রমণ কর আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৫ নং আইন) এর সংশোধন

২০০৩ সনের ৫ নং আইনের ধারা ৩ এর সংশোধন

১২। উক্ত আইনের ধারা ৩ এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৩ প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

 

“৩৷ ভ্রমণ কর আরোপ ও আদায়।-(১) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ এবং বাংলাদেশ হইতে আকাশ, স্থল কিংবা জল পথে অন্য কোনো দেশে গমনের ক্ষেত্রে যাত্রী প্রতি নিম্নবর্ণিত টেবিলে উল্লিখিত হারে ভ্রমণ কর আরোপ ও আদায় করা যাইবে, যথা:-

 

টেবিল

ক্রমিক নং

ভ্রমণের ধরণ

করের পরিমাণ

()

()

()

১।

আকাশ পথে উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, জাপান, হংকং, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া তাইওয়ান গমনের ক্ষেত্রে

,০০০ ( ছয় হাজার) টাকা

২।

আকাশ পথে সার্কভুক্ত কোনো দেশে গমনের ক্ষেত্রে 

,০০০ (দুই হাজার) টাকা

৩।

আকাশ পথে অন্য কোনো দেশে গমনের ক্ষেত্রে

,০০০ (চার হাজার) টাকা

৪।

আকাশ পথে দেশের অভ্যন্তরে গমনের ক্ষেত্রে

২০০ (দুই শত) টাকা

৫।

স্থল পথে যেকোনো দেশে গমনের ক্ষেত্রে

,০০০ (এক হাজার) টাকা

৬।

জল পথে যেকোনো দেশে গমনের ক্ষেত্রে

,০০০ (এক হাজার) টাকা

তবে শর্ত থাকে যে, ১২ (বারো) বৎসর পর্যন্ত বয়সের যাত্রীদের ক্ষেত্রে টেবিলে উল্লিখিত হারের অর্ধেক হারে কর আরোপ ও আদায় করা হইবে।

 

(২) ভ্রমণ কর আদায়ের পদ্ধতি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

 

(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত পদ্ধতিতে আদায়কৃত ভ্রমণ কর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিতে হইবে।

 

(৪) ভ্রমণ কর আদায়ের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা সংস্থা আদায়কৃত ভ্রমণ কর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিতে ব্যর্থ হইলে, যে পরিমাণ ভ্রমণ কর সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানে ব্যর্থ হইবে সেই পরিমাণ ভ্রমণ কর এবং উহার উপর মাসিক শতকরা ২% (দুই শতাংশ) হারে জরিমানা উক্ত ব্যক্তি বা সংস্থার নিকট হইতে আদায়যোগ্য হইবে।

 

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন জরিমানা আদায়ের আদেশের দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা সংস্থা আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিকট উহা পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।

 

(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন আবেদন পত্র প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড উহা নিষ্পত্তি করিবে এবং এই ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে।”।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs