প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
৬। (১) এই আইনের অধীন কোনো মোকদ্দমা সেই পারিবারিক আদালতে আরজি দাখিলের মাধ্যমে দায়ের করিতে হইবে যাহার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমানার মধ্যে-
(ক) মোকদ্দমার কারণ সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে উদ্ভূত হইয়াছে; অথবা
(খ) পক্ষগণ একত্রে বসবাস করেন বা সর্বশেষ বসবাস করিয়াছিলেন:
তবে শর্ত থাকে যে, বিবাহ বিচ্ছেদ, দেনমোহর বা ভরণপোষণের মোকদ্দমায় সেই আদালতেরও এখতিয়ার থাকিবে, যাহার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমানার মধ্যে স্ত্রী সাধারণত বসবাস করেন।
(২) যে-ক্ষেত্রে কোনো এখতিয়ারবিহীন আদালতে কোনো আরজি দাখিল করা হয় সেইক্ষেত্রে-
(ক) আরজিটি যে আদালতে দাখিল করা সমীচীন ছিল সেই আদালতে দাখিলের জন্য ফেরত দেওয়া হইবে; এবং
(খ) আরজি ফেরত প্রদানকারী আদালত ইহার নিকট আরজি দাখিলের ও ফেরত প্রদানের তারিখ, দাখিলকারীর নাম ও ফেরত প্রদানের কারণসমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ আরজির উপর লিপিবদ্ধ করিবেন।
(৩) আরজিতে বিরোধ সম্পর্কিত সকল অত্যাবশ্যকীয় তথ্যাদির উল্লেখ থাকিবে এবং উহার একটি তপশিল থাকিবে, যাহাতে আরজির সমর্থনে উপস্থিত করিতে ইচ্ছুক সাক্ষীগণের নাম ও ঠিকানার উল্লেখ থাকিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে, বাদী পরবর্তী যেকোনো সময়, যেকোনো সাক্ষীকে আদালতে হাজির করিতে পারিবেন।
(৪) আরজিতে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহেরও উল্লেখ থাকিবে, যথা:-
(ক) যে আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করা হইবে উহার নাম;
(খ) বাদীর নাম, বর্ণনা ও বাসস্থান;
(গ) বিবাদীর নাম, বর্ণনা ও বাসস্থান;
(ঘ) বাদী বা বিবাদী নাবালক বা অপ্রকৃতিস্থ হইলে তৎসংশ্লিষ্ট একটি বিবরণী;
(ঙ) মোকদ্দমার কারণ সংক্রান্ত তথ্যাবলি এবং তাহা যেস্থানে ও তারিখে উদ্ভূত হইয়াছে;
(চ) আদালতের এখতিয়ার সম্পর্কিত তথ্যাবলি; এবং
(ছ) বাদীর প্রার্থীত প্রতিকার।
(৫) যেক্ষেত্রে বাদী তাহার দাবির সমর্থনে সাক্ষ্য হিসাবে তাহার দখলে বা ক্ষমতাধীন রহিয়াছে এইরূপ কোনো দলিলের উপর নির্ভর করেন, সেইক্ষেত্রে তিনি আরজি দাখিলের সময় আদালতে উহা উপস্থাপন করিবেন এবং একই সময় উক্ত দলিল বা উহার কোনো অবিকল নকল বা ছায়ালিপি বা অন্য যেকোনো কপি আরজির সহিত নথিভুক্ত করিবার জন্য দাখিল করিবেন এবং উক্তরূপ দলিল আরজির সহিত সংযুক্ত করিবার তালিকায়ও উহা অন্তর্ভুক্ত করিবেন।
(৬) যেক্ষেত্রে বাদী তাহার দাবির সমর্থনে সাক্ষ্য হিসাবে এমন কোনো দলিলের উপর নির্ভর করেন, যাহা তাহার দখলে বা ক্ষমতাধীনে নাই, সেইক্ষেত্রে তিনি উক্ত দলিলটি আরজির সহিত সংযুক্ত করিবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করিয়া সংশ্লিষ্ট দলিলটি যাহার দখলে বা ক্ষমতাধীনে রহিয়াছে তাহা উল্লেখ করিবেন।
(৭) উপধারা (৫) ও (৬) এ বর্ণিত তপশিল ও দলিলসমূহের তালিকাসহ মোকদ্দমাটিতে যতসংখ্যক বিবাদী রহিয়াছেন তাহার দ্বিগুণসংখ্যক আরজির অবিকল নকল উক্ত বিবাদীগণের উপর জারির জন্য আরজির সহিত দাখিল করিতে হইবে।
(৮) নিম্নলিখিত যেকোনো কারণে আরজি খারিজ হইবে, যথা:-
(ক) উপধারা (৭) এর অধীন আবশ্যকতা অনুসারে তপশিল ও দলিলসমূহের তালিকাসহ আরজির অবিকল নকলসমূহ উহার সহিত সংযুক্ত না থাকে;
(খ) ধারা ৭ এর উপধারা (৫) অনুযায়ী সমন জারির খরচ এবং নোটিশের জন্য ডাক খরচ পরিশোধিত না হয়;
(গ) আরজি উপস্থাপনের সময় ধারা ২৫ অনুযায়ী প্রদেয় ফি পরিশোধ করা না হয়।
(৯) যেক্ষেত্রে আরজি দাখিল করিবার সময় বাদী কর্তৃক কোনো দলিল আদালতে দাখিল করিবার প্রয়োজন ছিল অথবা আরজির সহিত সংযুক্ত করিবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করিবার প্রয়োজন ছিল, তবে উহা দাখিল বা অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই, সেইক্ষেত্রে মোকদ্দমার শুনানির সময় আদালতের অনুমতি ব্যতীত উহা তাহার পক্ষে সাক্ষ্য হিসাবে গৃহীত হইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, আদালত কোনো ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র ব্যতীত এইরূপ অনুমতি প্রদান করিবে না।