প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
৪। (১) অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন করের হার নির্ধারণকল্পে ভূমির মান ও ব্যবহার অনুযায়ী দেশের সকল ভূমি একাধিক শ্রেণিতে শ্রেণিবিন্যাস করা যাইবে।
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সময় সময়, উপ-ধারা (১) অনুযায়ী শ্রেণিভুক্ত যেকোনো এলাকার ভূমি উন্নয়ন কর হার নির্ধারণ বা পুনঃনির্ধারণ করিতে পারিবে।
(৩) অকৃষি ভূমিকে ব্যবহারভিত্তিক বাণিজ্যিক, শিল্প এবং আবাসিক ও অন্যান্য শ্রেণিতে বিভাজন করিয়া সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন কর হার নির্ধারণ ও পুনঃনির্ধারণ করিবে।
ব্যাখ্যা।- ‘আবাসিক ও অন্যান্য শ্রেণি’ অর্থে বাণিজ্যিক কার্যে বা শিল্পকার্যে ব্যবহৃত হয় না এইরূপ অকৃষি ভূমি বিবেচিত হইবে, যেমন, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার বা ব্যক্তি মালিকানাধীন আবাসিক ও দাপ্তরিক ভবনাদি, রাস্তাঘাট, মাঠ, আঙিনা, স্থাপনা ইত্যাদি।
(৪) যদি কোনো ব্যক্তি শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান সৃজন না করিয়া কোনো অকৃষি ভূমিতে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তোলে তাহা হইলে উক্ত ভূমির ভূমি উন্নয়ন কর শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রদান করিতে হইবে।
(৫) যদি কোনো ব্যক্তি বসত বাড়ির আঙ্গিনায় কোনো ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তোলে তাহা হইলে উক্ত বসত বাড়ির যে অংশে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তোলা হইয়াছে উহার ব্যবহারভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করিতে হইবে।
(৬) কোনো অকৃষি ভূমি আংশিক শিল্প বা বাণিজ্যিক কার্যে এবং আংশিক আবাসিক বা অন্যান্য কার্যে ব্যবহৃত হইলে, উক্ত ভূমির সম্পূর্ণ অংশ শিল্প বা বাণিজ্যিক কার্যে ব্যবহৃত বলিয়া গণ্য হইবে।
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, শিল্প প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরের কোনো ফাঁকা স্থান এবং ভবন বা আবাসিক ভবন শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচিত হইবে।