প্রিন্ট ভিউ
পঞ্চম অধ্যায়
বর্গাদার
৮। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে চুক্তি সম্পাদন না করিয়া, কোনো ব্যক্তি তাহার ভূমি চাষ করিবার জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে অনুমতি প্রদান করিবেন না এবং কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ভূমি তাহাদের মধ্যে উক্ত ভূমির উৎপন্ন ফসল ভাগ করিয়া নেওয়ার শর্তে চাষ করিতে পারিবেন না।
(২) কোনো বর্গাচুক্তি উহা সম্পাদনের তারিখ হইতে কমপক্ষে ১ (এক) বৎসরের জন্য কার্যকর থাকিবে।
৯। (১) এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে অন্য কোনো ব্যক্তির ভূমির বর্গাদার হিসাবে চাষকারী কোনো ব্যক্তি এই আইন অনুযায়ী উক্ত ভূমি সংক্রান্ত বর্গাদার বলিয়া গণ্য হইবেন।
(২) এই আইন কার্যকর হইবার তারিখ হইতে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো ভূমির স্বত্বাধিকারী এবং বর্গাদার ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একটি চুক্তি সম্পাদন করিবেন।
(৩) পক্ষগণ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করিতে ব্যর্থ হইলে তাহাদের মধ্যে যে কোনো একজন চুক্তি সম্পাদন করাইবার জন্য সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে আবেদন করিতে পারিবেন।
(৪) সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানপূর্বক ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন।
(৫) যদি নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, আবেদনকারী আবেদনে উল্লিখিত কোনো সম্পত্তি সংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদন করাইবার অধিকারী, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ বিরোধীপক্ষকে নির্দেশ প্রদানের তারিখ হইতে ২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবেন এবং যদি উক্ত পক্ষ চুক্তি সম্পাদন করিতে ব্যর্থ হন তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ উক্ত পক্ষের হইয়া ইহা সম্পাদন করিবেন।
(৬) এই ধারার অধীনে সম্পাদিত বর্গাচুক্তি এই আইন কার্যকর হইবার তারিখ হইতে কার্যকর বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত তারিখ হইতে ৫ (পাঁচ) বৎসর মেয়াদের জন্য বৈধ থাকিবে।
১০। (১) কোনো বর্গাদার বর্গাচুক্তির মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে মারা গেলে, উহার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অথবা এই আইনের অধীন বর্গাচুক্তির অবসান না হওয়া পর্যন্ত মৃত বর্গাদারের পরিবারের জীবিত সদস্য উক্ত বর্গাভূমির চাষ অব্যাহত রাখিতে পারিবেন।
(২) কোনো বর্গাদার বর্গাভূমি চাষ করিবার মতো তাহার পরিবারের কোনো জীবিত সদস্যকে না রাখিয়া মারা গেলে, ভূমির স্বত্বাধিকারী উক্ত ভূমি ব্যক্তিগত চাষের অধীন আনিতে অথবা অন্য কোনো বর্গাদার কর্তৃক উক্ত ভূমি চাষের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
১১। (১) নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিম্নলিখিত কারণে প্রদত্ত আদেশ কার্যে পরিণতকরণের ক্ষেত্র ব্যতীত কোনো ভূমির স্বত্বাধিকারী বর্গাচুক্তি অবসান করিতে পারিবেন না, যথা:-
(ক) বর্গাদার কোনো যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে বর্গাভূমি চাষ করিতে ব্যর্থ হইলে;
(খ) বর্গাদার কোনো যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থিত উক্ত বর্গাভূমির অনুরূপ কোনো ভূমিতে গড়ে যে পরিমাণ শস্য উৎপন্ন হয় সেই পরিমাণ শস্য উৎপন্ন করিতে ব্যর্থ হইলে;
(গ) বর্গাদার বর্গা ভূমি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কৃষি ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করিলে;
(ঘ) বর্গাদার এই আইনের কোনো বিধান অথবা তদ্ধীন প্রণীত বিধি বা আদেশ লঙ্ঘন করিলে;
(ঙ) বর্গাদার তাহার চাষের অধিকার সমর্পণ বা স্বেচ্ছায় পরিত্যাগ করিলে;
(চ) বর্গাদার ব্যক্তিগত চাষ না করিলে; এবং
(ছ) ভূমির স্বত্বাধিকারীর বর্গাভূমি ব্যক্তিগত চাষের জন্য আবশ্যক হইলে।
(২) কোনো ভূমির স্বত্বাধিকারী যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে উপ-ধারা (১) এর দফা (ছ) এর অধীন কোনো বর্গাচুক্তির অবসানকল্পে কোনো ভূমি ব্যক্তিগত চাষের অধীন আনিতে ব্যর্থ হইলে বা অনুরূপ অবসানের তারিখের ২৪ (চব্বিশ) মাসের মধ্যে অন্য কোনো বর্গাদারকে উক্ত ভূমি চাষের অনুমতি প্রদান না করিলে, নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদকৃত বর্গাদার কর্তৃক দাখিলকৃত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত বর্গাদারের নিকট উক্ত ভূমির দখল পুনরুদ্ধার করিয়া দিতে পারিবেন এবং উক্ত বর্গাদার উহার ভিত্তিতে এই আইনের অধীন বর্গাচুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া বা বর্গাচুক্তির অবসান হওয়া পর্যন্ত উক্ত ভূমির চাষ অব্যাহত রাখিতে পারিবেন।
১২। (১) কোনো বর্গাভূমির উৎপন্ন ফসল নিম্নলিখিতভাবে ভাগ করিতে হইবে, যথা:-
(ক) ভূমির স্বত্বাধিকারী ভূমির জন্য এক তৃতীয়াংশ গ্রহণ করিবেন;
(খ) বর্গাদার শ্রমের জন্য এক তৃতীয়াংশ গ্রহণ করিবেন; এবং
(গ) ভূমির স্বত্বাধিকারী বা বর্গাদার বা উভয়ে তাহাদের বহনকৃত শ্রমের ব্যয় ব্যতীত, চাষের ব্যয়ের সমানুপাতে এক তৃতীয়াংশ গ্রহণ করিবেন।
(২) কোনো বর্গাভূমির কাটা শস্য বর্গাদার বা ভূমির স্বত্বাধিকারীর মালিকানাধীন কোনো স্থানে, যাহা উক্ত বর্গাভূমির নিকটতম, অথবা পক্ষদ্বয়ের মধ্যে সম্মত অন্য কোনো স্থানে মাড়াই ও বিভাজনের জন্য গোলাজাত করিতে হইবে।
(৩) বর্গাদার শস্য কাটিবার অব্যবহিত পরে উৎপন্ন ফসলের প্রাপ্য অংশ ভূমির স্বত্বাধিকারীকে প্রদান করিবেন এবং ভূমির স্বত্বাধিকারী উক্ত অংশ গ্রহণ করিলে প্রত্যক পক্ষ উৎপন্ন ফসল হইতে তাহার গৃহীত পরিমাণের একটি রসিদ বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে অন্য পক্ষকে প্রদান করিবেন।
(৪) বর্গাদার কর্তৃক প্রদত্ত উৎপন্ন ফসলের অংশ ভূমির স্বত্বাধিকারী গ্রহণ করিতে অথবা উহার জন্য রসিদ প্রদান করিতে অস্বীকার করিলে বর্গাদার উহা লিখিতভাবে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিবেন।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন অবহিত হইবার পর নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ ভূমির স্বত্বাধিকারীর উপর বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে নোটিশ জারির তারিখ হইতে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে উৎপন্ন ফসলের অংশ গ্রহণ করিবার আহ্বান জানাইয়া নোটিশ জারি করিবে।
(৬) ভূমির স্বত্বাধিকারী নোটিশ জারির তারিখ হইতে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে উৎপন্ন ফসলের অংশগ্রহণ করিতে ব্যর্থ হইলে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ বর্গাদারকে উক্ত উৎপন্ন ফসল যে কোনো সরকারি ক্রয় এজেন্সির নিকট অথবা অনুরূপ এজেন্সির অনুপস্থিতিতে স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করিবার অনুমতি প্রদান করিবেন।
(৭) কোনো বর্গাদার উৎপন্ন ফসল বিক্রয় করিলে তিনি বিক্রয়ের তারিখ হইতে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত বিক্রয়লব্ধ অর্থ জমা প্রদান করিবেন।
(৮) নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ উহার নিকট উপ-ধারা (৭) এর অধীন জমাকৃত অর্থের পরিমাণ এবং বর্গাদার কর্তৃক বিক্রিত উৎপন্ন ফসলের পরিমাণ বিবৃত করিয়া বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একটি রসিদ বর্গাদারকে প্রদান করিবেন এবং উক্ত রসিদ ভূমির স্বত্বাধিকারীর নিকট উৎপন্ন ফসলের অংশ অর্পণের বাধ্যবাধকতা হইতে বর্গাদারকে মুক্ত করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, উৎপন্ন ফসলের কোনো পরিমাণ ভূমির স্বত্বাধিকারীর পাওনা থাকিলে উক্ত পরিমাণ ফসল অর্পণের ক্ষেত্রে বর্গাদারের বাধ্যবাধকতা অব্যাহত থাকিবে।
(৯) নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (৭) এর অধীন জমাকৃত অর্থের বিষয়ে ভূমির স্বত্বাধিকারীকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে অবহিত করিবে।
(১০) ভূমির স্বত্বাধিকারী উপ-ধারা (৯) এর অধীন জমা সম্পর্কে অবহিত হইবার তারিখ হইতে ১ (এক) মাসের মধ্যে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে উক্ত জমাকৃত অর্থ গ্রহণ না করিলে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ উক্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে রাজস্ব জমা খাতে ভূমির স্বত্বাধিকারীর অনুকূলে জমা করিতে পারিবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে উক্ত জমা সম্পর্কে ভূমির স্বত্বাধিকারীকে অবহিত করিবে।
১৩। কোনো ভূমির স্বত্বাধিকারী বর্গাভূমি বিক্রয় করিবার অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলে তিনি বর্গাদারকে লিখিতভাবে এই মর্মে প্রস্তাব করিবেন যে, তিনি উক্ত বর্গাভূমি ক্রয় করিতে ইচ্ছুক আছেন কিনা:
তবে শর্ত থাকে যে, ভূমির স্বত্বাধিকারী উক্ত বর্গাভূমি কোনো সহ-শরিক অথবা তাহার পিতা- মাতা, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পৌত্র বা তাহার পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের নিকট বিক্রয় করিলে, উক্ত বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
(২) বর্গাদার উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রস্তাব পাইবার তারিখ হইতে ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে উক্ত বর্গাভূমি ক্রয়ের বিষয়ে স্বীয় সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে ভূমির স্বত্বাধিকারীকে অবহিত করিবেন।
(৩) বর্গাদার উক্ত বর্গাভূমি ক্রয় করিতে সম্মত হইলে তিনি ভূমিটির দাম সম্পর্কে ভূমির স্বত্বাধিকারীর সহিত আলাপ-আলোচনা করিবেন এবং তাহাদের মধ্যে যথাসম্মত শর্তাবলিতে উক্ত বর্গাভূমি ক্রয় করিবেন।
(৪) ভূমির স্বত্বাধিকারী উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে বর্গাদারের নিকট হইতে উক্ত বর্গাভূমি ক্রয়ের বিষয়ে তাহার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কোনো কিছু অবগত না হইলে অথবা বর্গাদার উক্ত ভূমি ক্রয় না করিবার বিষয়ে তাহার সিদ্ধান্ত ভূমির স্বত্বাধিকারীকে অবহিত করিলে অথবা বর্গাদার ভূমির স্বত্বাধিকারীর দাবিকৃত মূল্য প্রদান করিতে সম্মত না হইলে, ভূমির স্বত্বাধিকারী যাহাকে উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ ব্যক্তির নিকট উক্ত ভূমি বিক্রয় করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, ভূমির স্বত্বাধিকারী উক্ত ভূমি বর্গাদার কর্তৃক প্রস্তাবিত দাম হইতে কম দামে বিক্রয় করিতে পারিবেন না।
(৫) বর্গাদার ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বর্গাভূমি ক্রয় করিলে, উক্ত ভূমি সংক্রান্ত বর্গাচুক্তি ক্রেতার উপর এইরূপে বাধ্যতামূলক হইবে যেন ক্রেতাই উক্ত চুক্তির একটি পক্ষ ছিলেন।
১৪। কোনো বর্গাদার প্রমিত ১৫ (পনেরো) বিঘার অধিক ভূমি চাষ করিবার অধিকারী হইবেন না।
১৫। (১) কোনো বর্গাচুক্তির অধীন অথবা চাকরি বা শ্রমিক হিসাবে ব্যতীত কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ভূমি চাষ করিবেন না।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি এই ধারার বিধান লঙ্ঘন করিয়া অন্য কোনো ব্যক্তির ভূমির চাষ করেন, তাহা হইলে সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত ভূমির উৎপন্ন ফসল বাধ্যতামূলকভাবে সংগ্রহ করিতে পারিবে।
১৬। (১) নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ বর্গাদার ও ভূমির স্বত্বাধিকারীর মধ্যকার নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ হইতে উদ্ভূত প্রত্যেক বিরোধের মীমাংসা করিবে, যথা:-
(ক) উৎপন্ন ফসলের বিভাজন বা অর্পণ;
(খ) বর্গাচুক্তির অবসান; এবং
(গ) উৎপন্ন ফসলের গোলাজাত ও মাড়াইয়ের স্থান নির্ধারণ।
(২) যদি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো বিরোধ মীমাংসায় এইরূপ কোনো প্রশ্ন উদ্ভূত হয় যে, কোনো ব্যক্তি বর্গাদার কিনা অথবা উৎপন্ন ফসলের অংশ কাহার নিকট অর্পর্ণীয়, তাহা হইলে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ উক্ত প্রশ্নের নিষ্পত্তি করিবে।
(৩) নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট কোনো বর্গাদার বা ভূমির স্বত্বাধিকারী উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো বিরোধ মীমাংসার জন্য উক্ত বিরোধ উদ্ভূত হইবার তারিখ হইতে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে লিখিতভাবে আবেদন না করিলে, উক্ত কর্তৃপক্ষ উক্ত বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ করিবে না।
(৪) নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে শুনানির সুযোগ প্রদান, সাক্ষ্য উপস্থাপন এবং প্রয়োজনীয় তদন্তের পর আবেদন গ্রহণের তারিখ হইতে ৩ (তিন) মাসের মধ্যে তাহার সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে।
(৫) বিরোধ মীমাংসার পদ্ধতি, ফি ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
১৭। (১) এই আইনের অধীন নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত বা গৃহীত যে কোনো আদেশ, সিদ্ধান্ত বা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ পক্ষ উক্ত আদেশ, সিদ্ধান্ত বা ব্যবস্থা অবহিত হইবার তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি, ফরম ও ফি প্রদান সাপেক্ষে আপিল করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কৃত আপিল বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে আপিল কর্তৃপক্ষ নিষ্পত্তি করিবে।
(৩) আপিল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং ইহার বিরুদ্ধে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।