প্রিন্ট
দ্বিতীয় অধ্যায়
পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর, পেটেন্ট আবেদন, ইত্যাদি
৩। এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (Department of Patents, Industrial Designs and Trademarks) বলিতে বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ২২ নং আইন) এর ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (Department of Patents, Industrial Designs and Trademarks)-কে বুঝাইবে।
৪। নিম্নরূপ ব্যক্তিগণ পেটেন্টের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন, যথা:-
(ক) উদ্ভাবনের যথাযথ ও প্রথম উদ্ভাবক হইবার জন্য আবেদনের মাধ্যমে দাবিদার কোনো ব্যক্তি;
(খ) কোনো পেটেন্ট আবেদনের সহিত সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবনের যথাযথ ও প্রথম দাবিদারের স্বত্বনিয়োগী;
(গ) কোনো মৃত ব্যক্তির আইনানুগ প্রতিনিধি যিনি উক্ত ব্যক্তির মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বে এইরূপ আবেদন করিবার অধিকারী ছিলেন;
(ঘ) যদি ২ (দুই) বা ততোধিক ব্যক্তি যৌথভাবে কোনো পেটেন্টযোগ্য বিষয়বস্তু উদ্ভাবন করিয়া থাকে, তবে তাহাদের সকলের পেটেন্টস্বত্বের অধিকার থাকিবে;
(ঙ) যদি ২ (দুই) বা ততোধিক ব্যক্তি স্বতন্ত্রভাবে একইরূপ উদ্ভাবন করেন, তাহা হইলে যে ব্যক্তি প্রথমে পেটেন্টের জন্য আবেদন করিবেন তিনি উক্ত পেটেন্টের অধিকারী হইবেন এবং অগ্রাধিকার দাবির ক্ষেত্রে, অগ্রাধিকার দাবির তারিখ পেটেন্ট আবেদনের তারিখ হিসাবে গণ্য হইবে;
(চ) পেটেন্টের অধিকার উত্তরাধিকারসূত্রে অর্পণ বা হস্তান্তর করা যাইবে;
(ছ) যেক্ষেত্রে চাকরির উদ্দেশ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক কোনো কিছু উদ্ভাবন করা হয় সেইক্ষেত্রে, চুক্তিতে সুস্পষ্টভাবে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, পেটেন্টের অধিকার নিয়োগকারীকে প্রদান করা হইবে;
(জ) যেক্ষেত্রে উদ্ভাবনের উদ্দেশ্যে সম্পাদিত চুক্তি ব্যতিরেকে, নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিয়োগকারীর সরঞ্জামাদি, তথ্য-উপাত্ত, ব্যবহারিক জ্ঞানসহ উদ্ভাবনে ব্যবহৃত অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করিয়া কোনো কিছু উদ্ভাবন করেন, সেইক্ষেত্রে, নিয়োগ চুক্তিতে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে উক্ত উদ্ভাবনের পেটেন্টের অধিকার নিয়োগকারীকে প্রদান করা হইবে।
৫। প্রত্যেকটি সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামার দাবির নিম্নরূপ অগ্রাধিকার তারিখ থাকিবে, যথা:-
(ক) যদি সাময়িক আবেদন অনুসারে সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামা দাখিল করা হয়, তাহা হইলে সাময়িক বিশেষত্বনামার আবেদনের তারিখটিকেই অগ্রাধিকার তারিখ হিসেবে গণ্য করা হইবে;
(খ) যদি কোনো সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামা ইতোপূর্বে বাংলাদেশে দাখিলকৃত কোনো আবেদনের উপর ভিত্তি করিয়া উক্তরূপ আবেদনের ১২ (বারো) মাসের মধ্যে দাখিল করা হয়, এবং দাবিটি যদি যথাযথভাবে পূর্বে দাখিলকৃত আবেদনে প্রকাশিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করিয়া হয়, তাহা হইলে পূর্বে দাখিলকৃত আবেদনের প্রথম প্রকাশের তারিখটিই অগ্রাধিকার তারিখ হইবে;
(গ) যদি সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামা পুনঃদাখিলকৃত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দাখিল করা হয় এবং দাবিটি যথাযথভাবে পূর্বের কোনো একটি বিশেষত্বনামায়, ক্ষেত্রমত, সাময়িক হউক বা সম্পূর্ণ, প্রকাশিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করিয়া হয়, তাহা হইলে যে বিশেষত্বনামায় বিষয়টি প্রথম প্রকাশিত হইয়াছিল উক্ত বিশেষত্বনামা দাখিলের তারিখই অগ্রাধিকার তারিখ হইবে;
(ঘ) যদি এই ধারার অধীন কোনো সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামার, এই দফার বিধান ব্যতীত, ২ (দুই) বা ততোধিক অগ্রাধিকার তারিখ থাকে, তাহা হইলে উক্ত তারিখ সমূহের সর্বপ্রথম তারিখই অগ্রাধিকার তারিখ হইবে;
(ঙ) অগ্রাধিকারের মেয়াদ হইবে ১২ (বারো) মাস এবং উক্ত মেয়াদ আবেদন দাখিলের প্রথম তারিখ হইতে গণনা করা হইবে;
(চ) এই ধারার অধীন দাখিলকৃত আবেদনে কোনো ঘোষণা প্রদান করা হইলে, মহাপরিচালক, আবেদনকারীকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, যে মেধাসম্পদ দপ্তরে পূর্বে আবেদন দাখিল করা হইয়াছিল উক্ত দপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত এতদ্সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র দাখিলের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন;
(ছ) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।