প্রিন্ট ভিউ
ত্রয়োদশ অধ্যায়
বিবিধ
৬৩। (১) অধিদপ্তরে পেটেন্ট নিবন্ধন বহি নামে একটি নিবন্ধন বহি সংরক্ষণ করিতে হইবে।
(২) নিবন্ধন বহি, যে কোনো ব্যক্তি পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং যে কোনো ব্যক্তি অধিদপ্তর হইতে, এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধিমালার বিধান সাপেক্ষে, নিবন্ধন বহির উদ্ধৃতি লাভের অধিকারী হইবেন এবং উক্ত নিবন্ধন বহি সুবিধাজনক সময়ে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে।
(৩) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, অধিদপ্তর ইহার সকল প্রকাশনা ওয়েবসাইটে বা প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রজ্ঞাপনে প্রকাশ করিবে।
(৪) নিবন্ধন বহির সংশ্লিষ্ট অংশের প্রত্যায়িত অনুলিপি বা উদ্ধৃতাংশ, অধিদপ্তরের সীলমোহরসহ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে, আবেদনকারীকে সরবরাহ করা যাইবে।
(৫) নিবন্ধন বহি, এই আইনের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত বা যাচিত যে কোনো বিষয়ের প্রাথমিক সাক্ষ্য হইবে এবং সনদসমূহ মহাপরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে এবং উহাতে এই মর্মে প্রত্যয়ন করা হইবে যে, যে কোনো এন্ট্রি যাহার জন্য তিনি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়াছেন, তদনুযায়ী উক্ত সনদ তৈরি করা হইয়াছে বা হয় নাই, বা অন্য কোনো কিছু যাহা করিবার জন্য তিনি এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়া উহা সম্পাদন করিয়াছেন বা করেন নাই, এইরূপ বিষয়াদি প্রাথমিক সাক্ষ্য হইবে।
৬৪। (১) যেক্ষেত্রে আবেদনকারীর সাধারণ বাসস্থান বা ব্যবসার স্থান বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত হয়, সেইক্ষেত্রে তাহাকে বাংলাদেশে বসবাসকারী কোনো উপযুক্ত বাংলাদেশি ব্যক্তি দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করিতে হইবে।
(২) পেটেন্ট প্রতিনিধি হিসাবে নিবন্ধনের যোগ্যতা এবং অন্যান্য শর্তাবলি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
৬৫। পেটেন্টের কার্যনির্বাহ সম্পর্কিত সকল তথ্য কোনো ফি ব্যতীত জনগণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখিতে হইবে এবং এইরূপ তথ্যে নিম্নবর্ণিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা:-
(ক) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামা, দাবি, লেখচিত্র, এবং আবেদনকারী কর্তৃক অন্যান্য দলিলসহ পূর্ণাঙ্গ পেটেন্ট আবেদন;
(খ) সাময়িক বিশেষত্বনামা অনুযায়ী সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামা দাখিলের সময় বা কোনো আবেদন পরিত্যক্ত বলিয়া বিবেচিত হইলে এতৎসম্পর্কিত তথ্য;
(গ) ধারা ১৫ এর অধীন দাখিলকৃত সকল তথ্য;
(ঘ) ধারা ১৭ এর অধীন দাখিলকৃত আবেদনের প্রকাশনা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য;
(ঙ) ধারা ১০ এর অধীন প্রত্যাহারকৃত বা পুনঃআবেদনের বিস্তারিত তথ্য;
(চ) ধারা ২১ এর অধীন পরীক্ষার জন্য কোনো আবেদন করিয়া থাকিলে উহার তথ্য;
(ছ) পরীক্ষার বিস্তারিত রিপোর্ট এবং ধারা ২২ এর অধীন জারীকৃত কার্যনির্বাহ সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্য;
(জ) ধারা ২৩ এর অধীন পরীক্ষার উদ্দেশ্যে অনুসন্ধানের বিস্তারিত তথ্য;
(ঝ) ধারা ২৪ এর অধীন পেটেন্টের কোনো আবেদন মঞ্জুর বা প্রত্যাখ্যান করা হইলে তৎসম্পর্কিত তথ্য;
(ঞ) নবায়ন ফি প্রদান করিতে হইলে, উহার তথ্য;
(ট) যদি কোনো পেটেন্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইয়া যায় বা উত্তীর্ণ হইবে, উহার তথ্য;
(ঠ) রেজিস্টারে কোনো কিছু নথিভুক্ত করা হইলে বা এইরূপ নথিভুক্ত করিবার জন্য আবেদন করা হইলে, উহার তথ্য;
(ড) ধারা ৪৩ এর অধীন প্রদত্ত তথ্যের বিষয়;
(ঢ) ধারা ৩১ এর উপ-ধারা (৪), (৫) ও (৬) এর অধীন প্রদত্ত বিস্তারিত তথ্য;
(ণ) পেটেন্ট অফিস ও আবেদনকারীর মধ্যকার মৌখিক ও লিখিত যোগাযোগসহ সকল যোগাযোগের ঠিকানা।
৬৬। (১) মহাপরিচালক, পেটেন্ট কার্যকর থাকাকালীন যে কোনো সময়, লিখিত নোটিশের মাধ্যমে, পেটেন্ট স্বত্বাধিকারী বা লাইসেন্সিকে, একচেটিয়া হউক বা না হউক, এইরূপ নোটিশের ২ (দুই) মাসের মধ্যে বা মহাপরিচালক কর্তৃক অনুমোদিত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে, নোটিশে উল্লিখিত পেটেন্টপ্রাপ্ত পণ্য বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে কার্যকর থাকা সম্পর্কিত তথ্য বা সাময়িক বিবৃতি মহাপরিচালকের নিকট দাখিলের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান ক্ষুণ্ন না করিয়া, প্রত্যেক পেটেন্ট স্বত্বাধিকারী ও লাইসেন্সি, একচেটিয়া হউক বা না হউক, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফরমে এবং নির্ধারিত বিরতিতে, পেটেন্টপ্রাপ্ত পণ্য বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে কার্যকর থাকা সম্পর্কিত তথ্য বা সাময়িক বিবৃতি মহাপরিচালকের নিকট দাখিল করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ বিরতি ১ (এক) বৎসরের নিম্নে হইবে না।
৬৭। মহাপরিচালক, তাহার কার্যালয়ে পেটেন্ট প্রতিনিধি নিবন্ধন বহি নামে একটি নিবন্ধন বহি সংরক্ষণ করিবেন।
৬৮। সরকার, এই আইনের সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া এবং উহার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় আদেশ জারি বা কৌশলপত্র প্রণয়ন করিতে পারিবে।
৬৯। এই আইনের বিধানাবলি কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে, সরকার, উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থ, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
৭০। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
৭১। (১) বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২২ (২০২২ সনের ০৫ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এর বিধানাবলি এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।
(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত আইনের অধীন অনিষ্পন্ন কোনো আবেদন এই আইনের অধীন নিষ্পন্ন করিতে হইবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিবর্ধনসহ কার্যকর হইবে এবং এই আইন কার্যকর হইবার পূর্বে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত সংরক্ষিত থাকিবে।
(৪) যেক্ষেত্রে এই আইন কোনোভাবে কোনো অধিকার বৃদ্ধি করে বা নূতন অধিকার সৃষ্টি করে, সংরক্ষণে শর্তাবলি বৃদ্ধিসহ, বিদ্যমান নিবন্ধন সেইরূপ বৃদ্ধি বা সৃজন হইতে সুবিধা গ্রহণ অনুমোদন করিবে, তবে যেক্ষেত্রে এই আইন অধিকারসমূহ হ্রাস করে বা বিলুপ্ত করে বিদ্যমান নিবন্ধন সেইক্ষেত্রে কার্যকর হইবে না এবং বিদ্যমান নিবন্ধন এমনভাবে বলবৎ থাকিবে যেন এই আইন কার্যকর হয় নাই:
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ইহা প্রযোজ্য হইবে না।
(৫) মহাপরিচালক, কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এমনভাবে সংরক্ষিত থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন সম্পাদিত হইয়াছে।
(৬) এই আইনের ধারা ৭০ এর অধীন বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত এবং উক্ত আইনের অধীন হেফাজত প্রদানকৃত Patents and Designs Rules, 1933, এই আইনের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, কার্যকর থাকিবে।
৭২। এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলায় প্রণীত আইন প্রাধান্য পাইবে।