প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ৫৩ নং আইন )

সংজ্ঞা

২।  বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-

(১) ‘‘অগ্রাধিকার তারিখ’’ অর্থ বিশ্বের যে কোনো দেশে পেটেন্টের আবেদন দাখিলের প্রথম তারিখ;

(২) ‘‘অগ্রাধিকার দাবি’’ অর্থ এই আইনের ধারা ৫ এর অধীন ঘোষিত অগ্রাধিকার সংক্রান্ত দাবি;

(৩) ‘‘অধিদপ্তর’’ অর্থ পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (Department of Patents, Industrial Designs and Trademarks);

(৪) ‘‘আদালত’’ অর্থ Civil Courts Act, 1887 (Act No. XII of 1887) এর section 3 এ উল্লিখিত আদালত;

(৫) “একচেটিয়া লাইসেন্স” অর্থ কোনো স্বত্বাধিকারী কর্তৃক প্রদত্ত কোনো লাইসেন্স যাহা লাইসেন্সিকে, এবং তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকে, স্বত্বাধিকারসহ পেটেন্টকৃত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে একচেটিয়া অধিকার অর্পণ করিবে, এবং একচেটিয়া লাইসেন্সিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(৬) ‘‘উদ্ভাবন’’ অর্থ কোনো নূতন পণ্য বা প্রক্রিয়া যাহা উদ্ভাবনী পদক্ষেপের সহিত সম্পৃক্ত ও শিল্প ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য এবং এই আইনের অধীন পেটেন্টকৃত হইবার অযোগ্য নহে;

(৭) “উদ্ভাবনী ধাপ” অর্থ কোনো উদ্ভাবনের এইরূপ কোনো বৈশিষ্ট্য যাহাতে বিদ্যমান জ্ঞানের তুলনায় প্রযুক্তিগত অগ্রগতি রহিয়াছে এবং উহা জ্ঞাতপূর্বত্বের আওতাবহির্ভূত এবং উহা সুনির্দিষ্ট প্রযুক্তিতে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তির নিকট দাবিকৃত উদ্ভাবনটি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান না হয়;

(৮) ‘‘জ্ঞাত পূর্বত্ব (prior art)’’ অর্থ অগ্রাধিকার তারিখের পূর্বে সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবনের তথ্যাদি বিশ্বের কোনো স্থানে দৃশ্যমানরূপে বা পরোক্ষভাবে প্রকাশের মাধ্যমে, প্রদর্শনের মাধ্যমে, বা ব্যবহারের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে, জনসমক্ষে বা অন্য কোনোভাবে, লিখিত, মৌখিক বা অন্য কোনো উপায়ে প্রকাশিত হওয়া;

(৯) ‘‘দেওয়ানি কার্যবিধি’’ অর্থ Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908);

(১০) “নূতনত্ব” অর্থ কোনো উদ্ভাবন প্রকাশের মাধ্যমে, পূর্বব্যবহারের মাধ্যমে, প্রদর্শনের মাধ্যমে, লিখিত, মৌখিক বা অন্য কোনো উপায়ে বিশ্বের যে কোনো স্থানে ইঙ্গিতে বা প্রকাশ্যে, জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্থানে দৃশ্যমানরূপে না থাকা ও জ্ঞাতপূর্বত্বের অংশ না হওয়া এবং উদ্ভাবনটি, মঞ্জুরকৃত পেটেন্ট বা প্রকাশিত পেটেন্ট আবেদনসহ, ইতোমধ্যে প্রকাশিত জ্ঞাতপূর্বত্বের এক বা একাধিক উপাদান হইতে গৃহীত না হওয়া;

(১১) “পেটেন্ট” অর্থ এই আইনের ধারা ২৫ এর অধীন কোনো উদ্ভাবনের জন্য মঞ্জুরিকৃত অধিকার;

(১২) ‘‘পেটেন্ট প্রতিনিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন পেটেন্ট প্রতিনিধি হিসাবে নিবন্ধিত কোনো ব্যক্তি;

(১৩) ‘‘পেটেন্ট স্বত্বাধিকারী’’ অর্থ এই আইনের অধীন পেটেন্ট এর স্বত্বাধিকারপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি;

(১৪) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি, সরকার, কোনো কোম্পানি, সমিতি বা সংঘ, নিগমিত (incorporated) হউক বা না হউক, অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(১৫) “বস্তু” অর্থে কোনো সাধারণ প্রকৃতির বস্তু এবং জৈবিক সম্পদও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(১৬) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(১৭) ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

(১৮) ‘‘লাইসেন্সি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রদত্ত পেটেন্ট ব্যবহারের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি;

(১৯) “শিল্পে প্রয়োগের জন্য উপযুক্ত” অর্থ এইরূপ কোনো উদ্ভাবন-

(ক) যাহার দ্বারা পণ্যটি উৎপাদন করা সম্ভব অথবা পেটেন্ট দাবি অনুযায়ী কোনো কারিগরি (technical) পদ্ধতি প্রয়োগ করা সম্ভব;

(খ) যাহার একটি জ্ঞাত উপযোগিতা রহিয়াছে, অন্যথায় উহার বাস্তবিক কোনো প্রয়োগ থাকিত না;

(গ) যাহার কারিগরি বা প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য রহিয়াছে, অন্যথায় উহা শিল্পের সহিত সম্পর্কিত হইত না; এবং

(ঘ) যাহা এইরূপে প্রকাশিত হইয়াছে যে, সাধারণ দক্ষতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি কোনোরূপ উদ্ভাবনী কার্যক্রমে নিয়োজিত না হইয়াও উহা উদ্ভাবন করিতে পারিত;

(২০) “স্বত্বনিয়োগী (Assignee)” অর্থে স্বত্বনিয়োগীর নিয়োগকৃত স্বত্বনিয়োগী এবং কোনো মৃত স্বত্বনিয়োগীর আইনানুগ প্রতিনিধিকেও বুঝাইবে এবং কোনো ব্যক্তির স্বত্বনিয়োগী হিসাবে উল্লেখ করা হইলে তাহার মধ্যে আইনি প্রতিনিধির স্বত্বনিয়োগী, বা উল্লিখিত ব্যক্তির স্বত্বনিয়োগীকেও বুঝাইবে;

(২১) “স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি” অর্থ এইরূপ কোনো ব্যক্তি যিনি উদ্ভাবনীর পেটেন্ট মঞ্জুরির দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs