প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ৫৩ নং আইন )

চতুর্থ অধ্যায়

পেটেন্ট মঞ্জুরির আবেদন

মঞ্জুরের পূর্বে আবেদনের বিরোধিতা (Opposition)

১৯।   (১) এই আইনের ধারা ১৭ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন পেটেন্ট আবেদন প্রকাশের পর এবং পেটেন্ট মঞ্জুরের পূর্বে যে কোনো ব্যক্তি উক্ত পেটেন্টের বিরোধিতা করিতে পারিবেন:

শর্ত থাকে যে, উল্লিখিত প্রকাশের ০৬ (ছয়) মাস সময় পর্যন্ত উক্ত পেটেন্ট মঞ্জুর করা যাইবে না।

(২) বিরোধিতার আপত্তিপত্রে আপত্তিকৃত পেটেন্ট আবেদন শনাক্ত করিতে হইবে এবং আপত্তির কারণ উল্লেখপূর্বক উহার সমর্থনে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণাদি দাখিল করিতে হইবে।

(৩) পেটেন্ট আবেদনের বিরোধিতাকারী ব্যক্তি নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ উত্থাপন করিতে পারিবেন, যথা:-

(ক) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবিকৃত উদ্ভাবনটি দাবিদারের অগ্রাধিকার তারিখে বা উহার পর অন্য কোনো সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবি করা হইয়াছে এবং পেটেন্টের জন্য বাংলাদেশে একটি আবেদন দাখিল করা হইয়াছে এবং উক্ত দাবিটির অগ্রাধিকার তারিখ আবেদনকারীর দাবির অগ্রাধিকার তারিখের পূর্ববর্তী হয়;

(খ) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবিকৃত উদ্ভাবনটি উক্ত দাবির অগ্রাধিকার তারিখের পূর্বে বাংলাদেশে বা অন্য কোনো স্থানে জনসাধারণের নিকট পরিচিত ছিল বা জনসাধারণ কর্তৃক ব্যবহৃত হইয়াছিল, অথবা যদি ধারা ২ এর দফা (১০) এর বিধান প্রতিপালিত না হইয়া থাকে;

(গ) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবিকৃত উদ্ভাবনটি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত এবং ধারা ২ এর দফা (৮) অনুযায়ী প্রকাশিত বিষয় বিবেচনায় বা বাংলাদেশে বা অন্য কোনো স্থানে ব্যবহৃত বিষয়ের বিবেচনায় অগ্রাধিকার তারিখের পূর্বে উহা ধারা ২ এর দফা (৭) অনুযায়ী কোনো উদ্ভাবনী ধাপ সংশ্লিষ্ট নহে;

(ঘ) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবির বিষয়টি ধারা ২ এর দফা (১৯) এর বিধান অনুযায়ী নহে অথবা উহা ব্যবহার্য নহে;

(ঙ) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবিকৃত বিষয়টি এই আইনের অধীন কোনো উদ্ভাবনই নহে, অথবা এই আইনের ধারা ২ এর দফা (৬) অনুযায়ী পেটেন্টযোগ্য নহে;

(চ) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবিকৃত বিষয়টি এই আইনের অধীন কোনো উদ্ভাবনই নহে, অথবা এই আইনের ধারা ৬ অনুযায়ী পেটেন্টযোগ্য নহে;

(ছ) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় এই আইনের ধারা ৮ এর উপ-ধারা (৫), (৬), (৮), (৯), (১০) এবং (১১) এর বিধান অনুযায়ী উদ্ভাবনটি বা উহা ব্যবহারের পদ্ধতি পূর্ণাঙ্গ ও সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত নহে;

(জ) আবেদনকারী ধারা ১৫ অনুযায়ী মহাপরিচালকের নিকট তথ্য প্রকাশ করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন অথবা তাহার জানামতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দাখিলকৃত তথ্য মিথ্যা বা অপূর্ণ;

(ঝ) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় উদ্ভাবনে ব্যবহৃত বায়োলজিক্যাল রিসোর্স এর সোর্স ও ভৌগোলিক উৎস এবং উহাদের সহিত সম্পৃক্ত এইরূপ ঐতিহ্যগত জ্ঞান প্রকাশিত হয় নাই বা ভুলভাবে বর্ণিত হইয়াছে;

(ঞ) মৌখিক বা অন্য কোনোভাবে প্রাপ্ত জ্ঞানের বিবেচনায় অনুমান করা হয় যে, বাংলাদেশের বা অন্য কোনো স্থানের স্থানীয় বা সাধারণ কমিউনিটিতে সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবিকৃত উদ্ভাবনটি বিদ্যমান রহিয়াছে।

(৪) মহাপরিচালক ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো অফিসিয়াল মাধ্যমে আপত্তির নোটিশ প্রকাশ করিবেন।

(৫) আবেদনকারী নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে অভিযোগ খণ্ডন করিয়া প্রতি বিবৃতি দাখিল করিতে পারিবেন।

(৬) মহাপরিচালক, আবেদনকারী ও বিরোধিতাকারী পক্ষের শুনানি গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং উভয় পক্ষকে যুক্তি বা পাল্টা-যুক্তি প্রদানসহ যুক্তিখণ্ডনের সুযোগ প্রদান করিবেন।

(৭) পেটেন্ট আবেদনকারী কর্তৃক দাখিলকৃত লিখিত বিবৃতি ও সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং বিরোধিতাকারী কর্তৃক দাখিলকৃত বিরোধ ও সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং উভয়পক্ষ কর্তৃক উপস্থাপিত বক্তব্যের ভিত্তিতে, এবং উভয়পক্ষকে শুনানির পর, মহাপরিচালক-

(ক) বিরোধ প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবেন; অথবা

(খ) পেটেন্ট মঞ্জুরের পূর্বে সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামা ও অন্যান্য দলিল সংশোধনের নির্দেশ দিতে পারিবেন; অথবা

(গ) পেটেন্ট আবেদন মঞ্জুর করিতে অস্বীকার করিতে পারিবেন।

(৮) মহাপরিচালক, এই ধারার অধীন কারণ উল্লেখসহ একটি লিখিত আদেশ জারি করিবেন এবং বিরোধ নিষ্পত্তি হইবার ১ (এক) মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ বিষয়টি অবহিত করিবেন।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs