প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ৫৩ নং আইন )

চতুর্থ অধ্যায়

পেটেন্ট মঞ্জুরির আবেদন

পেটেন্টের বিরোধিতা (Opposition to patent)

২০।   (১) এই আইনের ধারা ২৪ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন পেটেন্ট মঞ্জুরির পর বিষয়টি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হইবার ২৪ (চব্বিশ) মাসের মধ্যে যে কোনো স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সাক্ষ্য-প্রমাণসহ মহাপরিচালক বরাবর বিরোধিতার নোটিশ প্রদান করিতে পারিবেন।

(২) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বিরোধের নোটিশ প্রদান করা যাইবে, যথা:-

(ক) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবিকৃত উদ্ভাবনটি দাবিদারের অগ্রাধিকার তারিখে বা উহার পর অন্য কোনো সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবি করা হইয়াছে এবং পেটেন্টের জন্য একটি আবেদন বাংলাদেশে দাখিল করা হইয়াছে এবং উক্ত দাবিটির অগ্রাধিকার তারিখ আবেদনকারীর দাবির অগ্রাধিকার তারিখের পূর্বে;

(খ) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবিকৃত উদ্ভাবনটি উক্ত দাবির অগ্রাধিকার তারিখের পূর্বে বাংলাদেশে বা অন্য কোনো স্থানে জনসাধারণের নিকট পরিচিত ছিল বা জনসাধারণ কর্তৃক ব্যবহৃত হইয়াছিল, অথবা যদি ধারা ২ এর দফা (১০) এর বিধান প্রতিপালিত না হয়;

(গ) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবিকৃত উদ্ভাবনটি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত এবং ধারা ২ এর দফা (৮) অনুযায়ী প্রকাশিত বিষয়ের বিবেচনায় বা বাংলাদেশে বা অন্য কোনো স্থানে ব্যবহৃত বিষয়ের বিবেচনায় অগ্রাধিকার তারিখের পূর্বে ধারা ২ এর দফা (৭) দফা অনুযায়ী কোনো উদ্ভাবনী ধাপ সংশ্লিষ্ট নহে;

(ঘ) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবির বিষয়টি ধারা ২ এর দফা (১৯) এর বিধান অনুযায়ী নহে অথবা উহা ব্যবহার্য নহে;

(ঙ) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবিকৃত বিষয়টি এই আইনের অধীন কোনো উদ্ভাবন নহে, অথবা এই আইনের ধারা ২ এর দফা (৬) অনুযায়ী পেটেন্টযোগ্য নহে;

(চ) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবিকৃত বিষয়টি এই আইনের অধীন কোনো উদ্ভাবনই নহে, অথবা এই আইনের ধারা ৬ অনুযায়ী পেটেন্টযোগ্য নহে;

(ছ) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় এই আইনের ধারা ৮ এর উপ-ধারা (৫), (৬), (৮), (৯), (১০) এবং (১১) এর বিধান অনুযায়ী উদ্ভাবনটি বা উহা ব্যবহারের পদ্ধতি পূর্ণাঙ্গ ও সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত নহে;

(জ) আবেদনকারী ধারা ১৫ অনুযায়ী মহাপরিচালকের নিকট তথ্য প্রকাশ করিতে ব্যর্থ হইয়াছে অথবা তাহার জানামতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দাখিলকৃত তথ্য মিথ্যা বা অপূর্ণ;

(ঝ) সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় উদ্ভাবনে ব্যবহৃত বায়োলজিক্যাল রিসোর্স এর সোর্স ও ভৌগোলিক উৎস এবং উহাদের সহিত সম্পৃক্ত এইরূপ ঐতিহ্যগত জ্ঞান প্রকাশিত হয় নাই বা ভুলভাবে বর্ণিত হইয়াছে;

(ঞ) মৌখিক বা অন্য কোনোভাবে প্রাপ্ত জ্ঞানের বিবেচনায় অনুমান করা হয় যে, বাংলাদেশের বা অন্য কোনো স্থানের স্থানীয় বা সাধারণ কমিউনিটিতে সম্পূর্ণ বিশেষত্বনামায় দাবিকৃত উদ্ভাবনটি বিদ্যমান রহিয়াছে।

(৩) মহাপরিচালক, পেটেন্ট স্বত্বাধিকারীকে বিরোধের নোটিশ প্রদান করিবেন এবং ই-গেজেটে বা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উহা প্রকাশ করিবেন।

(৪) পেটেন্ট স্বত্বাধিকারী নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে বিরোধ নোটিশ খণ্ডন করিয়া প্রতি-বিবৃতি দাখিল করিতে পারিবেন।

(৫) মহাপরিচালক, একটি শুনানির ব্যবস্থা করিবেন এবং শুনাননিতে পেটেন্ট স্বত্বাধিকারী ও বিরোধী উভয়পক্ষ তাহাদের যুক্তি বা পাল্টা-যুক্তি প্রদানসহ মৌখিক ও লিখিত সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করিতে পারিবেন, অতঃপর মহাপরিচালক পেটেন্টটি বহাল, সংশোধন বা প্রত্যাহারের আদেশ প্রদান করিয়া বিরোধটি নিষ্পত্তি করিবেন এবং নিষ্পত্তির ১ (এক) মাসের মধ্যে উভয়পক্ষকে কারণ উল্লেখসহ তাহার সিদ্ধান্ত অবহিত করিবেন।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs