প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ৫৩ নং আইন )

নবম অধ্যায়

পেটেন্ট অধিকার কার্যকরকরণ

নিষেধাজ্ঞা (Injunction)

৪৭।   (১) যদি চুক্তির লঙ্ঘন বা সুনির্দিষ্ট প্রতিপালন সংক্রান্ত কোনো মোকদ্দমা ধারা ৪৪ এর বিধান ভঙ্গের জন্য হয়, তাহা হইলে আদালত কোনো একতরফা অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করিবে না।

(২) পেটেন্ট অধিকার লঙ্ঘন বা চুক্তির সুনির্দিষ্ট প্রতিপালন সংক্রান্ত কোনো মোকদ্দমা বিচারের পূর্বে আদালত অপর পক্ষকে শুনানির সুযোগ প্রদান করিবে।

(৩) নিম্নবর্ণিত বিষয়াদির ভিত্তিতে আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করিতে পারিবে, যথা:-

(ক) যদি প্রাথমিক প্রমাণ, সুবিধার ভারসাম্য, অপূরণীয় ক্ষতি আবেদনকারী বা পেটেন্ট স্বত্বাধিকারীর পক্ষে হয়;

(খ) ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য বা প্রক্রিয়া সংক্রান্ত মোকদ্দমার ক্ষেত্রে, চিকিৎসা পণ্য সহজলভ্য হওয়ার উপর এইরূপ অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হইবে;

(গ) বিরোধীয় অপর পক্ষের অধিকার রক্ষার্থে জামানত বা সমপরিমাণ নিশ্চয়তা প্রদানের আদেশ প্রতিপালন না করা বা করিতে ব্যর্থ হওয়া:

তবে শর্ত থাকে যে, আদালত, অপর পক্ষকে শুনানির সুযোগ প্রদান ব্যতিরেকে, অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করিবে না।

(৪) কোনো পক্ষ কর্তৃক দাখিলকৃত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিতে হইবে।

(৫) সংক্ষুব্ধ পক্ষ, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে অবহিত হইবার অনূর্ধ্ব ১৪ ( চৌদ্দ) দিনের মধ্যে, উহা পুনর্বিবেচনার আবেদন দাখিল করিতে পারিবেন।

(৬) যদি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির পর আদালত এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, বিরোধীয় পক্ষ দ্বারা পেটেন্টের কোনো শর্ত লঙ্ঘিত হয় নাই এবং উহা লঙ্ঘিত হইবার আশঙ্কা নাই, তাহা হইলে আদালত বিরোধীয় পক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে সংঘটিত ক্ষতির জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিতে আবেদনকারী পক্ষকে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(৭) আদালত নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে, ক্ষতিপূরণ আদেশের হানি না ঘটাইয়া, ধারা ৪৪ এ উল্লিখিত শর্ত ভঙ্গের কারণে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বা সুনির্দিষ্ট প্রতিকার মঞ্জুর করিবে না, যথা:-

(ক) পেটেন্ট মঞ্জুরের পর, বাদী বা তদ্‌কর্তৃক অনুমতিপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি, যদি-

(অ) বাংলাদেশে উক্ত পণ্য উৎপাদনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ না করেন; বা

(আ) পেটেন্টপ্রাপ্ত উদ্ভাবন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার না করেন; বা

(ই) পেটেন্টপ্রাপ্ত উদ্ভাবন এমনভাবে ব্যবহার করেন যাহা মানসম্মতভাবে বাজারের চাহিদা পূরণে অক্ষম;

(খ) জনস্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইবার আশংকা থাকিলে;

(গ) পেটেন্টপ্রাপ্ত পণ্য বা পেটেন্টপ্রাপ্ত পদ্ধতিতে উৎপাদিত পণ্য বাদী বা বাদীর সম্মতিতে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ভোক্তার গড় ক্রয়-ক্ষমতার অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় হয়;

(ঘ) পেটেন্টপ্রাপ্ত পণ্য বা পেটেন্টপ্রাপ্ত পদ্ধতিতে উৎপাদিত পণ্য ভোক্তার সুনির্দিষ্ট চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়;

(ঙ) পেটেন্টপ্রাপ্ত পণ্য বাজারে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পণ্যের বিদ্যমানতা বা অবিদ্যমানতার কারণে উক্ত পণ্য অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় হয়;

(চ) যদি বাদী এই আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘনক্রমে পেটেন্ট অর্জন করেন।

(৮) যদি সরকারি কোনো সংস্থা কর্তৃক বা সরকারি সেবা প্রদানের কারণে পেটেন্টের অধিকার লঙ্ঘিত হয়, তাহা হইলে আদালত, ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের বিষয়টি ক্ষুণ্ন না করিয়া, পেটেন্টের অধিকার লঙ্ঘনকারীর নিয়ন্ত্রণাধীন সাক্ষ্য লাভের জন্য আবশ্যকতা ব্যতীত, কোনো নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করিবে না।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs