প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ৫৩ নং আইন )

দশম অধ্যায়

মোকদ্দমা দায়ের, কার্যপদ্ধতি ও দণ্ড

ক্ষতিপূরণ

৫৪।  (১) যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ পালনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে আদালত, মোকদ্দমার ঘটনা ও প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে, ক্ষতিপূরণ ধার্য বা তৎবিবেচনায় উপযুক্ত কোনো আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন সংরক্ষিত কোনো নিবন্ধন বহিতে মিথ্যা এন্ট্রি তৈরি করেন, বা তৈরি করান, বা উক্ত নিবন্ধন-বহির এন্ট্রির অনুলিপি বুঝাইবার অভিপ্রায়ে উহাতে কোনো কিছু লিপিবদ্ধ করেন, তাহা হইলে উহা হইবে এই আইনের লঙ্ঘন এবং তজ্জন্য তাহার বিরুদ্ধে অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ প্রদান করা যাইবে।

(৩) যদি কোনো ব্যক্তি মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করেন যে, তৎকর্তৃক বিক্রীত পণ্য বা ব্যবহৃত প্রক্রিয়া বাংলাদেশে পেটেন্টপ্রাপ্ত বা বাংলাদেশে পেটেন্টের জন্য আবেদন করা হইয়াছে, তাহা হইলে উহা হইবে এই আইনের লঙ্ঘন এবং তজ্জন্য তাহার বিরুদ্ধে অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ প্রদান করা যাইবে।

(৪) যদি কোনো ব্যক্তি তাহার ব্যবসাস্থলে বা তৎকর্তৃক প্রেরিত কোনো দলিলে বা অন্য কোনোভাবে ‘‘পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ’’ অভিব্যক্তি বা শব্দাবলি বা অন্য কোনো শব্দ ব্যবহার করেন যাহার দ্বারা বিশ্বাস হইতে পারে যে, তাহার ব্যবসা এবং ব্যবসাস্থল পেটেন্ট নিবন্ধনের কর্তৃপক্ষ, তাহা হইলে উহা হইবে এই আইনের লঙ্ঘন এবং তজ্জন্য তাহার বিরুদ্ধে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ প্রদান করা যাইবে।

(৫) যদি কোনো কোম্পানি এইরূপ বিধান লঙ্ঘন করে, তাহা হইলে উক্তরূপ লঙ্ঘনের জন্য উক্ত কোম্পানির প্রত্যেক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিয়োজিত ব্যক্তি এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, এবং তদনুযায়ী তাহাদের বিরুদ্ধে আইনগত কার্যধারা দায়ের করা যাইবে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs