প্রিন্ট
প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
১। (১) এই আইন কাস্টমস আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেই তারিখ নির্ধারণ করিবে, সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে।
* এস, আর, ও নং ১৫৩-আইন/২০২৪, তারিখ: ২৮ মে, ২০২৪ ইং দ্বারা ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ৬ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ উক্ত আইন কার্যকর হইবে।
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
(১) “আপিল ট্রাইব্যুনাল” অর্থ ধারা ২২৫ এর অধীন গঠিত কাস্টমস, এক্সাইজ এবং মূল্য সংযোজন কর আপিল ট্রাইব্যুনাল;
(২) “আমদানি” অর্থ বিদেশ হইতে কোনো পণ্য বাংলাদেশে আনয়ন করা;
(৩) “আমদানিকারক” অর্থ এইরূপ কোনো ব্যক্তি যিনি স্বয়ং বা যাহার পক্ষে কোনো পণ্য আমদানি করা হয়, এবং উক্ত পণ্য আমদানির সময় হইতে কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত উহার মালিক বা দখলের অধিকার বা স্বার্থ রহিয়াছে এইরূপ প্রাপক (consignee) বা ব্যক্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৪) “আমদানিকৃত” অর্থ বিদেশ হইতে বাংলাদেশে আনীত হইয়াছে বা প্রবেশ করানো হইয়াছে এইরূপ কোনো পণ্য, এবং বাংলাদেশে আনীত বা আগত কোনো পরিত্যক্ত (derelict) পণ্য, জাহাজ হইতে নিক্ষিপ্ত (jetsam) পণ্য, ডুবন্ত জাহাজের ভাসমান (flotsam) পণ্য বা উহার ধ্বংসাবশেষও (wreck) ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৫) “আমদানি শুল্ক ও কর” অর্থ পণ্য আমদানির সহিত সম্পর্কিত বা আমদানিকৃত পণ্যের উপর ধারা ১৮, ১৯, ২০ ও ২৩ এর অধীন আরোপণীয়, ক্ষেত্রমত, কাস্টমস শুল্ক ও অন্য কোনো শুল্ক, কর বা চার্জ এবং রেগুলেটরি, কাউন্টারভেইলিং, অ্যান্টি- ডাম্পিং ও সেইফগার্ড শুল্ক; তবে ধারা ২৪ এর অধীন প্রদত্ত কোনো সেবার জন্য ফি বা কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষের পক্ষে বোর্ড কর্তৃক সংগৃহীত কোনো চার্জ ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(৬) “উপকূলীয় পণ্য” অর্থ কাস্টমস শুল্ক পরিশোধিত হয় নাই এইরূপ আমদানিকৃত পণ্য ব্যতীত বাংলাদেশের এক বন্দর হইতে অন্য বন্দরে নৌযানযোগে পরিবহণকৃত পণ্য;
(৭) “উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ” অর্থ পণ্য আমদানি বা রপ্তানি সম্পর্কিত কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য আইন দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো সরকারি সংস্থা;
(৮) “এজেন্ট” অর্থ শিপিং এজেন্ট, ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট, কার্গো এজেন্ট এবং ফ্রেইট ফরোয়ার্ডিং এজেন্টসহ ধারা ২৪৩ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি অথবা ধারা ২৪৪ এর অধীন কার্যাবলি পরিচালনা করিবার জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৯) “ওয়্যারহাউস” অর্থ ধারা ১১ এর অধীন ঘোষিত বা ধারা ১২ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো স্থান;
(১০) “ওয়্যারহাউসিং স্টেশন” অর্থ ধারা ১০ এর অধীন ওয়্যারহাউসিং স্টেশন হিসাবে ঘোষিত কোনো স্থান;
(১১) “কার্গো ঘোষণা” অর্থ ধারা ৪৮ বা, ক্ষেত্রমত, ধারা ৫৫ এর অধীন প্রদত্ত কোনো কার্গো ঘোষণা;
(১২) “কাস্টমস অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন কাস্টমস অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো হিসাবে ঘোষিত কোনো এলাকা;
(১৩) “কাস্টমস অভ্যন্তরীণ নৌ- কন্টেইনার টার্মিনাল” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন কাস্টমস অভ্যন্তরীণ নৌ- কন্টেইনার টার্মিনাল হিসাবে ঘোষিত কোনো এলাকা;
(১৪) “কাস্টমস এলাকা” অর্থ ধারা ৯ এর অধীন নির্ধারিত কাস্টমস স্টেশনের সীমা, এবং আমদানিকৃত বা রপ্তানির জন্য কোনো পণ্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ছাড় প্রদানের পূর্বে যে এলাকায় সাধারণত রক্ষিত থাকে সেই এলাকাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১৫) “কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেম” অর্থ বোর্ড কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বা নিয়োজিত কোনো কাস্টমস কম্পিউটারাইজড প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি, যাহা এতদ্সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পদ্ধতির সহিত উপযুক্ত বা প্রয়োজনীয়ভাবে আন্তঃসংযোগকৃত;
(১৬) “কাস্টমস কর্মকর্তা” অর্থ ধারা ৪ এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা;
(১৭) “কাস্টমস বিমানবন্দর” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন কাস্টমস বিমানবন্দর হিসাবে ঘোষিত কোনো বিমানবন্দর;
(১৮) “কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ” অর্থ বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশ বা অঞ্চলের মধ্যে পণ্য আমদানি, রপ্তানি, ট্রানজিট, স্থানান্তর ও মজুদ এবং আমদানিকৃত পণ্যের অবস্থান ও স্থানান্তর সম্পর্কিত এই আইনের বিধানসমূহের প্রতিপালন নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত কোনো কার্যক্রম;
(১৯) “কাস্টমস পদ্ধতি” অর্থ কাস্টমস বিষয়ক নিম্নবর্ণিত যে কোনো পদ্ধতি, যথা:-
(ক) দেশীয় ভোগের জন্য ছাড় প্রদান;
(খ) সাময়িক আমদানি;
(গ) ইনওয়ার্ড প্রসেসিং;
(ঘ) আউটওয়ার্ড প্রসেসিং;
(ঙ) কাস্টমস ওয়্যারহাউসিং;
(চ) ট্রানজিট;
(ছ) ট্রান্সশিপমেন্ট;
(জ) রসদ ও ভাণ্ডার সামগ্রী;
(ঝ) রপ্তানি; বা
(ঞ) বোর্ড কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত অন্য কোনো পদ্ধতি;
(২০) “কাস্টমস বন্দর” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন কাস্টমস বন্দর হিসাবে ঘোষিত কোনো এলাকা;
(২১) “কাস্টমস মূল্য (assessable value)” অর্থ ধারা ২৭ অনুযায়ী নিরূপিত মূল্য, যাহা কোনো পণ্যের উপর কাস্টমস শুল্ক আরোপণের ভিত্তি;
(২২) “কাস্টমস শুল্ক” অর্থ প্রথম তফসিলে উল্লিখিত কোনো শুল্ক, অথবা বাংলাদেশে পণ্য প্রবেশ বা প্রস্থান সংক্রান্ত প্রচলিত অন্য কোনো আইনের অধীন প্রদেয় কোনো শুল্ক;
(২৩) “কাস্টমস স্টেশন” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন, সময় সময়, ঘোষিত কোনো কাস্টমস বন্দর, কাস্টমস বিমানবন্দর, স্থল কাস্টমস স্টেশন, কাস্টমস অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো, কাস্টমস অভ্যন্তরীণ নৌ- কনটেইনার টার্মিনাল, বা অনুরূপ অন্য কোনো এলাকা;
(২৪) “চোরাচালান” অর্থ আপাতত বলবৎ কোনো আইনের অধীন আরোপিত কোনো নিষেধাজ্ঞা বা বিধি- নিষেধ লঙ্ঘন করিয়া অথবা আরোপণীয় কাস্টমস শুল্ক বা কর ফাঁকি দিয়া নিম্নবর্ণিত কোনো পণ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনয়ন করা বা বাহিরে লইয়া যাওয়া, যথা:-
(ক) মাদক দ্রব্য, নেশাজাতীয় ঔষধ বা সাইকোট্রপিক বস্তু;
(খ) স্বর্ণবার, রৌপ্যবার, প্লাটিনাম, প্যালাডিয়াম, রেডিয়াম, মহামূল্যবান পাথর, মুদ্রা অথবা স্বর্ণ, রৌপ্য, প্লাটিনাম, প্যালাডিয়াম বা কোনো মহামূল্যবান পাথরের তৈরিবস্তু অথবা সরকার কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যমানের কোনো পণ্য;
(গ) কোনো জাহাজ, নৌযান, উড়োজাহাজ বা অন্য কোনো যানবাহনের কোনো স্থানে অথবা কোনো ব্যাগেজ বা কোনো পণ্যের মধ্যে বা কোনো ব্যক্তির দেহে যে কোনো প্রকারে লুকানো (concealed) কোনো পণ্য; বা
(ঘ) ধারা ৮ বা ধারা ৯ এর অধীন ঘোষিত কোনো রুট ব্যতীত অন্য কোনো রুটে (route) কাস্টমস স্টেশন ব্যতীত অন্য কোনো স্থান হইতে আনীত বা বাহিরে লওয়া কোনো পণ্য; এবং উক্ত পণ্য উল্লিখিতভাবে আনয়ন করিবার বা বাহিরে নেওয়ার জন্য কোনো প্রচেষ্টা, প্ররোচনা বা সমর্থনও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে এবং সকল সমজাতীয় শব্দ ও অভিব্যক্তিসমূহের ব্যাখ্যা তদনুসারে হইবে; বা
(ঙ) বোর্ড কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত অন্য কোনো পণ্য;
(২৫) “জেটি (wharf)” অর্থ ধারা ৯ এর দফা (খ) এর অধীন কাস্টমস বন্দরে পণ্য বা কোনো পণ্যশ্রেণি বোঝাই ও খালাস করিবার জন্য অনুমোদিত কোনো স্থান;
(২৬) “দণ্ডবিধি” অর্থ Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860);
(২৭) “দেওয়ানি কার্যবিধি” অর্থ Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908);
(২৮) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি বা, ক্ষেত্রমত, আদেশ বা প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত;
(২৯) “ন্যায়নির্ণয়ন (adjudication)” অর্থ জরিমানা আরোপযোগ্য কাস্টমস অপরাধ বিষয়ে যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত প্রশাসনিক কার্যক্রম;
(৩০) “পণ্য” অর্থ যে কোনো অস্থাবর সম্পত্তি এবং নিম্নবর্ণিত পণ্যও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:-
(ক) যানবাহন;
(খ) রসদ ও ভাণ্ডার সামগ্রী;
(গ) ব্যাগেজ;
(ঘ) ইলেক্ট্রনিক ডাটা;
(ঙ) মুদ্রা এবং বিনিময়যোগ্য দলিলপত্র (negotiable instruments); এবং
(চ) বোর্ড কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষিত অন্য কোনো পণ্য;
(৩১) “পণ্য ঘোষণা” অর্থ ধারা ৮১ এর বিধান অনুযায়ী প্রদত্ত কোনো পণ্যের ঘোষণা;
(৩২) “পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস (H.S. Classification)” অর্থ World Customs Organization (WCO) কর্তৃক উদ্ভাবিত Harmonized Commodity Description and Coding System অনুসরণপূর্বক প্রণীত, এই আইনের প্রথম তফসীল অনুযায়ী পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস;
(৩৩) “সভাপতি” অর্থ আপিল ট্রাইব্যুনালের সভাপতি;
(৩৪) “ফৌজদারি কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898);
(৩৫) “বাংলাদেশ কাস্টমস জলসীমা” অর্থ বাংলাদেশের যথোপযুক্ত উপকূলের তটরেখা হইতে পরিমাপকৃত ২৪ (চব্বিশ) নটিক্যাল মাইল দূরত্ব পর্যন্ত সমূদ্রের মধ্যে বিস্তৃত জলসীমা;
(৩৬) “বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান” অর্থ বাংলাদেশের কোনো স্থায়ী অধিবাসী এবং বাংলাদেশে অবস্থানের অনুমতিপ্রাপ্ত বা আইনগতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ও নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি বা ব্যক্তিসংঘ;
(৩৭) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো বিধি;
(৩৮) “বোর্ড” অর্থ National Board of Revenue Order, 1972 (President’s Order No. 76 of 1972) এর অধীন গঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড;
(৩৯) “ব্যক্তি” অর্থে কোনো কোম্পানি, অংশীদারিত্বমূলক কারবার, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, সমিতি বা ব্যক্তি সংঘও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৪০) “ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি” অর্থ-
(ক) নৌযানের ক্ষেত্রে, মাস্টার;
(খ) উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে, কমান্ডার বা পাইলট;
(গ) রেলওয়ে ট্রেনের ক্ষেত্রে, কন্ডাক্টর, পরিচালক বা পরিচালক হিসাবে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তি; বা
(ঘ) অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে, চালক বা উহার নিয়ন্ত্রণকারী;
(৪১) “মাস্টার” অর্থ, নৌযানের ক্ষেত্রে, পাইলট বা হারবার মাস্টার ব্যতীত উক্ত নৌযানের উপর কর্তৃত্ব বা দায়িত্ব রহিয়াছে এইরূপ কোনো ব্যক্তি;
(৪২) “যথাযথ কর্মকর্তা (appropriate officer)” অর্থ এই আইনের অধীন কোনো দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে, এই আইনের দ্বারা বা অধীন, উক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা;
(৪৩) “যানবাহন” অর্থ জলে, স্থলে বা আকাশপথে পণ্য বা যাত্রী পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত যে কোনো প্রকারের যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যানবাহন;
(৪৪) “রপ্তানি শুল্ক ও কর” অর্থ পণ্য রপ্তানির সহিত সম্পর্কিত বা রপ্তানিতব্য পণ্যের উপর আরোপণীয় কাস্টমস শুল্কসহ অন্য সকল প্রকারের শুল্ক, কর বা চার্জ, তবে ধারা ২৪ এর অধীন প্রদত্ত কোনো সেবার জন্য ফি বা অন্য কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষের পক্ষে বোর্ড কর্তৃক সংগৃহীত চার্জ উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(৪৫) “রপ্তানিকারক” অর্থ এইরূপ কোনো ব্যক্তি যিনি স্বয়ং বা যাহার পক্ষে কোনো পণ্য রপ্তানি করা হয়, এবং উক্ত পণ্য রপ্তানির ঘোষণা প্রদানের পর এবং রপ্তানির পূর্ব পর্যন্ত উহার মালিক বা দখলের অধিকার বা স্বার্থ রহিয়াছে বা থাকিবে, এইরূপ প্রেরক (consignor) বা ব্যক্তিও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৪৬) “রপ্তানি কার্গো ঘোষণা” অর্থ ধারা ৫৫ এর অধীন প্রদত্ত কোনো রপ্তানি কার্গো ঘোষণা;
(৪৭) “রসদ ও ভাণ্ডার” অর্থ কোনো যানবাহনে ব্যবহারের জন্য বা সঞ্চিত কোনো পণ্য এবং, তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারের জন্য হউক বা না হউক, জ্বালানি, খুচরা যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য উপকরণ এবং যানবাহনের যাত্রীদের নিকট খুচরা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে উক্ত যানবাহনে বহনকৃত অন্য কোনো পণ্যও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৪৮) “শুল্ক ও কর” অর্থ আমদানি শুল্ক ও কর অথবা রপ্তানি শুল্ক ও কর;
(৪৯) “স্থল কাস্টমস স্টেশন” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরসহ স্থল কাস্টমস স্টেশন হিসাবে ঘোষিত কোনো স্থান।
৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।