প্রিন্ট
সপ্তম অধ্যায়
প্রত্যর্পণ
৩৬। (১) সহজে শনাক্তকরণযোগ্য এইরূপ কোনো পণ্য বাংলাদেশের বাহিরে যে কোনো স্থানে রপ্তানি করা হইলে, এবং অতঃপর বিদেশগামী কোনো যানবাহনে রসদ বা মজুদ সামগ্রী হিসাবে ব্যবহারের জন্য নামানো হইলে বা যথাযথ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ধ্বংস করা হইলে বা সরকারের নিকট হস্তান্তর করিলে, উক্ত পণ্যের উপর প্রদত্ত শুল্কের অনধিক সাত- অষ্টমাংশ নিম্নবর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে প্রত্যর্পণ হিসাবে ফেরত প্রদান করিতে হইবে, যথা:-
(ক) বিধি দ্বারা নির্ধারিত ব্যতিক্রম এবং অনুমোদিত ক্ষেত্র ব্যতীত, উক্ত পণ্য আমদানি এবং পরবর্তীতে রপ্তানি, ধ্বংস, বা হস্তান্তর করিবার মধ্যবর্তী সময়ে বাংলাদেশে ব্যবহৃত হয় নাই; এবং
(খ) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস এর নিম্নে নহেন এইরূপ কর্মকর্তার সন্তুষ্টিমতে যে পণ্য আমদানি করা হইয়াছে সেই একই পণ্য হিসেবে উহা কাস্টমস স্টেশনে শনাক্ত করা হয়:
তবে শর্ত থাকে যে, কমিশনার অব কাস্টমস উক্ত পণ্য আমদানির পর ৩ (তিন) বৎসরের অধিক সময় বর্ধিত করিবেন না।
ব্যাখ্যা।- এই উপ- ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক ধারা ৮৩ এর অধীন যে তারিখে রপ্তানির উদ্দেশ্যে কোনো পণ্য ঘোষণা নিবন্ধিত করা হয়, সেই তারিখে উক্ত পণ্য রপ্তানির জন্য ঘোষণা করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) যে ক্ষেত্রে বোর্ডের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশে প্রস্তুত এবং বাংলাদেশের বাহিরে কোনো স্থানে রপ্তানিকৃত কোনো শ্রেণির অথবা বর্ণনার পণ্য প্রস্তুতকরণে ব্যবহৃত পণ্যের উপর প্রত্যর্পন প্রদান করা সমীচীন সেই ক্ষেত্রে বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত পণ্যের ব্যাপারে বিধিমালায় যেরূপ ব্যবস্থিত থাকে সেই পরিমাণ এবং সেইরূপ শর্ত সাপেক্ষে প্রত্যর্পণ মঞ্জুর করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
৩৭। (১) বোর্ড, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সহজে শনাক্তযোগ্য নহে এইরূপ পণ্যের তালিকা ঘোষণা করিতে পারিবে।
(২) সরকার, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো নির্ধারিত বিদেশি বন্দর অথবা এলাকায় কোনো পণ্য বা নির্দিষ্টকৃত পণ্য বা পণ্যশ্রেণি রপ্তানির উপর প্রত্যর্পণ প্রদান নিষিদ্ধ করিতে পারিবে।
৩৮। ধারা ৩৬ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে কোনো প্রত্যর্পণ মঞ্জুর করা যাইবে না, যথা:-
(ক) যে সকল পণ্য রপ্তানি কার্গো ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত করা আবশ্যক এবং উহার অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই, সেই সকল পণ্যের উপর;
(খ) কোনো একক চালানের ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ দাবির অর্থ ২ (দুই) হাজার টাকার নিম্নে হইলে; বা
(গ) পণ্য রপ্তানি, ধ্বংস বা পরিত্যাগের সময় বা রপ্তানির তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে প্রত্যর্পণ দাবি করা এবং উহা প্রতিষ্ঠিত না করিলে।
৩৯। পণ্য রপ্তানির উপর ভিত্তি করিয়া কোনো প্রত্যর্পণের দাবি করা হইলে, উক্ত দাবি অযথা বিলম্ব ব্যতীত পরিশোধ করিতে হইবে, তবে পণ্যবাহী জাহাজ সমুদ্রে যাত্রা বা অন্যান্য যানবাহন বাংলাদেশ হইতে প্রস্থান না করা পর্যন্ত কোনোরূপ প্রত্যর্পণ প্রদান করা যাইবে না।
৪০। যথাযথ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে যথাযথভাবে ধ্বংস, সরকারের নিকট হস্তান্তর বা পরিত্যাগ রপ্তানিকৃত কোনো পণ্যের জন্য প্রত্যর্পণ দাবিদার প্রত্যেক ব্যক্তি বা তাহার উপযুক্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত এজেন্ট এই মর্মে ঘোষণা এবং স্বাক্ষর প্রদান করিবেন যে, উক্ত পণ্য প্রকৃত পক্ষে হস্তান্তর, পরিত্যাগ, ধ্বংস বা রপ্তানি করা হইয়াছে এবং উহা বাংলাদেশের কোনো স্থানে পুনরায় অবতরণ করে নাই এবং পুনরায় অবতরণের অভিপ্রায় নাই এবং হস্তান্তর, পরিত্যাগ, ধ্বংস বা রপ্তানির সময়ে উক্ত ব্যক্তি প্রত্যর্পণ পাইবার অধিকারী এবং তাহার এই অধিকার বহাল রহিয়াছে।