প্রিন্ট ভিউ
দ্বাদশ অধ্যায়
পণ্যের ঘোষণা এবং ছাড়করণ
৮১। (১) কোনো পণ্যের আমদানিকারককে বা রপ্তানিকারককে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফরম ও পদ্ধতিতে নিম্নবর্ণিত বিষয় উল্লেখ করিয়া একটি পণ্য ঘোষণা কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেমে বা, ইলেকট্রনিক সিস্টেম না থাকিলে ম্যানুয়্যালি দাখিল করিতে হইবে, যথা:-
(ক) উক্ত পণ্যের জন্য প্রযোজ্য কাস্টমস পদ্ধতি;
(খ) এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির বিধানাবলি অনুসারে পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস, উৎস দেশ এবং পণ্যের কাস্টমস মূল্য সংক্রান্ত ঘোষণা; এবং
(গ) পণ্যের পরিমাণ ও যথাযথ বর্ণনাসহ বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো বিষয়।
(২) পণ্য আমদানিকারককে পণ্যের সঠিক শুল্ক নিরূপণ এবং ছাড়ের জন্য বোর্ড বা অন্যান্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত দলিল ও পর্যাপ্ত তথ্য যথাযথ কর্মকর্তার নিকট দাখিল বা উপস্থাপন করিতে হইবে।
৮২। আমদানি বা রপ্তানির জন্য পণ্য ঘোষণাকারী বা যাহার পক্ষে উক্তরূপ ঘোষণা প্রদান করা হইয়াছে এইরূপ ব্যক্তি নিম্নলিখিত বিষয়সমূহের জন্য দায়বদ্ধ থাকিবেন, যথা:-
(ক) পণ্য ঘোষণায় প্রদত্ত তথ্যের সঠিকতা এবং সম্পূর্ণতা;
উপস্থাপিত যে কোনো দলিলের সত্যতা;
(গ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, প্রদেয় সকল শুল্ক, কর ও অন্যান্য চার্জ পরিশোধ এবং প্রাসঙ্গিক কাস্টমস পদ্ধতির অধীন সংশ্লিষ্ট পণ্য ন্যস্ত করা সম্পর্কিত অন্যান্য সকল বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন; এবং
(ঘ) যথাযথ কর্মকর্তার অনুরোধে এবং উক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোনো উপযুক্ত ফরমে চাহিদামত সকল দলিল ও তথ্য দাখিল এবং কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন বা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান;
তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কোনো এজেন্ট কর্তৃক উক্ত ঘোষণা প্রদান করিবার ক্ষেত্রে, উক্ত এজেন্টও উপরিউক্ত দফা (ক), (খ) ও (ঘ) তে উল্লিখিত বাধ্যবাধকতার জন্য দায়ী থাকিবেন।
৮৩। (১) ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় পণ্য ঘোষণা দাখিলের ক্ষেত্রে ধারা ৮১ অনুযায়ী দাখিলের সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উহা নিবন্ধিত হইয়া যাইবে।
(২) ম্যানুয়্যালি কোনো পণ্য ঘোষণা দাখিলের ক্ষেত্রে, ধারা ৮১ এর আবশ্যকতাসমূহ প্রতিপালন সাপেক্ষে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, যথাযথ কর্মকর্তা অনতিবিলম্বে উহা নিবন্ধন করিবেন।
৮৪। (১) কোনো কাস্টমস স্টেশনে পণ্য নামাইবার পর আমদানিকারক, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পণ্য পৌঁছাইবার বা, ক্ষেত্রমত, অবতরণের ৫ (পাঁচ) কার্যদিবসের মধ্যে, পণ্য ঘোষণা দাখিল করিবেন।
(২) আমদানির জন্য পণ্য বোঝাই করা হইয়াছে এইরূপ কোনো যানবাহন এতদ&সংক্রান্ত পণ্য ঘোষণা দাখিলের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে পৌঁছাইবার প্রত্যাশার ক্ষেত্রে, আমদানিকারক উক্ত পণ্যের আমদানির পূর্বেই কোনো পণ্য ঘোষণা দাখিল করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি উক্ত পণ্য উক্ত সময়ের মধ্যে না পৌঁছায়, তাহা হইলে উক্তরূপ পণ্য ঘোষণা দাখিল করা হয় নাই বলিয়া গণ্য হইবে।
৮৫। কোনো আমদানিকারক তদ্কর্তৃক কোনো কাস্টমস পদ্ধতির অধীনে প্রদত্ত পণ্য ঘোষণা অন্য কোনো কাস্টমস পদ্ধতি দ্বারা প্রতিস্থাপন করিবার লিখিত অনুরোধ করিলে, কমিশনার অব কাস্টমস যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত অনুরোধ বৈধ কারণে করা হইয়াছে এবং উহাতে প্রতারণা করিবার কোনো অভিপ্রায় নাই, তাহা হইলে উক্তরূপ প্রতিস্থাপনের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
৮৬। (১) কোনো আমদানিকারক বা রপ্তানিকারক কর্তৃক লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে ধারা ৮১ এর অধীন দাখিলকৃত পণ্য ঘোষণায় উল্লিখিত এক বা একাধিক বিবরণ সংশোধনের অনুমতি প্রদান করা যাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরোধকৃত সংশোধন মূল দলিলের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হইতে হইবে:
আরও শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত কোনো ঘটনার পর যদি কোনো সংশোধনের অনুরোধ করা হয়, তাহা হইলে উক্ত সংশোধনের অনুমতি প্রদান করা যাইবে না, যথা:-
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যদি ইহা অবহিত করা হয় যে, পণ্য পরীক্ষা করা হইবে;
(খ) কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক যদি ইহা প্রতিষ্ঠিত হয় যে, সংশ্লিষ্ট বিবরণ সঠিক নহে; অথবা
(গ) ধারা ১১২ এ উল্লিখিত ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র ব্যতীত, পণ্য ছাড় করা হইয়াছে।
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন পণ্য ঘোষণার কোনো সংশোধন মূল পণ্য ঘোষণায় উল্লিখিত পণ্য ব্যতীত অন্য কোনো পণ্যের জন্য প্রযোজ্য হইবে না।
(৩) যথার্থতা প্রতিপাদিত হইলে, কমিশনার অব কাস্টমস যুক্তিসঙ্গত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া দাখিলকৃত পণ্য ঘোষণা প্রত্যাহারের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
1[(৪) এই ধারার অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ১১২ এ বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত, কাস্টমস এলাকা হইতে পণ্য অপসারণের পর পণ্যের পরিমাণ, মূল্য এবং বর্ণনা সংশোধন করা যাইবে না।]
৮৭। (১) কোনো পণ্য ঘোষণায় বর্ণিত বিবরণের সঠিকতার সত্যতা প্রতিপাদন এবং এই আইন ও বিধি এবং পণ্য আমদানি বা, ক্ষেত্রমত, রপ্তানি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রযোজ্য আইনের কোনো নিষেধাজ্ঞা, বিধি- নিষেধ (restriction) বা অন্যান্য আবশ্যকতা প্রতিপালনের উদ্দেশ্যে এবং ধারা ৯৩ এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, যথাযথ কর্মকর্তা নিম্নলিখিত এক বা একাধিক কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন, যথা:-
(ক) পণ্য ঘোষণা এবং যে কোনো সহায়ক দলিল পরীক্ষা করা;
(খ) সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক বা রপ্তানিকারককে অন্যান্য দলিল উপস্থাপনের নির্দেশ প্রদান;
(গ) নন- ইন্ট্রুসিভ (non intrusive) যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য পরিদর্শন করা;
(ঘ) পণ্য পরীক্ষা করা;
(ঙ) অন্য কোনো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পণ্য পরীক্ষা করানো; বা
(চ) পণ্যের বিশ্লেষণ বা বিস্তারিত পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা।
(২) কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা বা অন্য কোনো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোনো পণ্য পরীক্ষা বা নমুনা হিসাবে সংগ্রহের জন্য নির্বাচন করিলে, যথাযথ কর্মকর্তা অবিলম্বে উহা সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক বা রপ্তানিকারককে অবহিত করিবেন।
(৩) অন্য কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বা তাহাদের পক্ষে কোনো পণ্যের পরীক্ষা, নমুনা সংগ্রহ বা অন্যান্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে, যথাযথ কর্মকর্তা, যেক্ষেত্রে সম্ভব, সেইক্ষেত্রে ইহা নিশ্চিত করিবেন যে, উক্ত কাস্টমস সংক্রান্ত কার্যাদি এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বা তাহাদের পক্ষে অনুরূপ কার্যাদি একই সময়ে ও স্থানে পরিচালিত হয়।
৮৮। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যথাযথ কর্মকর্তা কোনো পণ্য প্রবেশ অথবা খালাসের সময় অথবা উহা কোনো কাস্টমস এলাকার মধ্য দিয়া অতিক্রম করিবার সময়ে উক্ত পণ্যের নমুনা সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করিতে পারিবেন।
(২) বোর্ড, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, আমদানিকৃত পণ্যের পরীক্ষা বা রাসায়নিক পরীক্ষা পরিচালনা করিবার জন্য যে কোনো পরীক্ষাগারকে দায়িত্ব প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) উপ- ধারা (১) ও (২) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, অনুসরণীয় পদ্ধতিসমূহ বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
৮৯। কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বা পরীক্ষার আনুষঙ্গিক কার্যক্রম, যাহার মধ্যে কোনো তদন্ত, বৈজ্ঞানিক অথবা রাসায়নিক পরীক্ষা বা ড্রাফট সার্ভে অন্তর্ভুক্ত, পরিচালনার উদ্দেশ্যে কোনো পণ্য বা উহার কন্টেইনার খোলা, মোড়ক খোলা, বাদ দেওয়া, পরিমাপ করা, পুনঃমোড়কজাত করা, স্তূপ করা, বাছাই করা, বাহির করা, চিহ্নযুক্ত (marking) করা, সংখ্যায়ন করা, উঠানো, নামানো, পরিবহণ করা বা বোঝাই করিবার কাজ বা উহার অপসারণ বা ওয়্যারহাউসিং এর জন্য এবং উক্তরূপ পরীক্ষা, তদন্ত, রাসায়নিক পরীক্ষা অথবা সার্ভে করিবার জন্য প্রয়োজনীয় কোনো সুবিধা বা সহায়তা প্রদান উক্ত পণ্যের আমদানিকারক বা রপ্তানিকারক কর্তৃক এবং তাহার নিজ খরচে সম্পন্ন করিতে হইবে।
৯০। (১) এই আইন এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, যথাযথ কর্মকর্তা-
(ক) এই আইন ও বিধির বিধানাবলি এবং অন্যান্য আইনগত বিধানাবলি অনুসরণপূর্বক পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস, উৎস দেশ এবং পণ্যের কাস্টমস মূল্য নিরূপণ করিবেন; এবং
(খ) উক্ত পণ্যের উপর, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, পরিশোধযোগ্য শুল্ক, কর ও অন্যান্য চার্জের পরিমাণ নির্ধারণ করিবেন।
(২) সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক বা রপ্তানিকারককে অনতিবিলম্বে, প্রদেয় শুল্ক করের পরিমাণ নিরূপণ করিয়া, যদি থাকে, ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে বা শুল্কায়ন আদেশ জারি করিয়া অবহিত করিতে হইবে।
(৩) উপ- ধারা (১) এর অধীন যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক শুল্কায়নের পরিবর্তে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পণ্য ঘোষণায় বর্ণিত কাস্টমস মূল্য, পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস, উৎস দেশ, শুল্ক হার, প্রদেয় শুল্ক, কর ও অন্যান্য চার্জের পরিমাণ গ্রহণ করা যাইবে এবং উক্তরূপ ক্ষেত্রে, প্রদেয় পরিমাণের নোটিশ, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক কৃত শুল্কায়ন আদেশ বলিয়া গণ্য হইবে।
৯১। (১) ধারা ২০৪ এর উপ- ধারা (৩) অধীন দাবির উপর প্রযোজ্য সময়সীমা ক্ষুণ্ন না করিয়া, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা, সময় সময়, কোনো শুল্কায়নের শুদ্ধতা নিশ্চিত করিবার নিমিত্তে শুল্ক, কর ও অন্যান্য চার্জের শুল্কায়ন, গৃহীত পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস, উৎস দেশ ও কাস্টমস মূল্য পরিবর্তন করিয়া পুনঃশুল্কায়ন করিতে বা করিবার ব্যবস্থা করিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত কর্মকর্তা, বিদ্যমান অন্য কোনো আইনের অধীন আরোপিত কোনো নিষেধাজ্ঞা, বিধি- নিষেধ বা লঙ্ঘনের বিষয়ে যেরূপ প্রয়োজন মনে করিবেন, সেইরূপ সংশোধন করিতে বা করিবার ব্যবস্থা করিতে পারিবেন, তবে উক্ত শুল্কায়ন সংশ্লিষ্ট পণ্য আর কাস্টমস নিয়ন্ত্রণাধীন না থাকিলে বা উহার উপরে প্রথমে শুল্কায়িত শুল্ক ও করের পরিমাণ পরিশোধ করা হইলেও উপর্যুক্ত বিধান প্রযোজ্য হইবে।
(৩) যদি এই ধারার অধীন পুনঃশুল্কায়নের ফলে নূতন বা অতিরিক্ত শুল্ক, কর বা ফি পরিশোধের প্রয়োজন হয় বা ভুলক্রমে ফেরত প্রদান করা হইয়াছে এইরূপ শুল্ক, কর বা ফি পুনরায় আদায়ের প্রয়োজন হয় তাহা হইলে যে কারণের ভিত্তিতে উক্ত পুনঃশুল্কায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছে তাহা লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবহিত করিতে হইবে এবং উক্ত ব্যক্তিকে, উক্তরূপ অবহিতকরণের তারিখ হইতে উহাতে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তাহার মতামত লিখিতভাবে প্রকাশ এবং শুনানির সুযোগ প্রদান করিতে হইবে এবং উক্ত সময়ের পর, পুনঃশুল্কায়ন চূড়ান্ত করিতে হইবে এবং একটি লিখিত দাবিনামা জারি করা হইবে।
(৪) এই ধারার অধীন পুনঃশুল্কায়িত শুল্ককর লিখিত দাবিনামা জারির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করিতে হইবে।
৯২। পণ্য ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত কোনো পণ্য নিম্নলিখিত কার্যক্রমসমূহের সমাপনান্তে ছাড় করা হইবে, যথা:-
(ক) যথাযথ কাস্টমস পদ্ধতি অনুযায়ী, শুল্ক, কর ও অন্যান্য চার্জ পরিশোধ বা প্রয়োজনমতে কোনো গ্যারান্টি প্রদানসহ, সকল শর্তাবলি, পূরণ করা; এবং
(খ) যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক পণ্য ঘোষণার সত্যতা প্রতিপাদিত হওয়া অথবা প্রতিপাদন ব্যতীত গৃহীত হওয়া।
৯৩। (১) যদি দেশীয় ভোগের জন্য বা ওয়্যারহাউসিং এর জন্য বা দেশীয় ভোগের উদ্দেশ্যে ওয়্যারহাউস হইতে খালাসের জন্য এন্ট্রি করা কোনো আমদানিকৃত পণ্যের উপর অথবা রপ্তানির জন্য এন্ট্রি করা কোনো পণ্যের উপর প্রদেয় কাস্টমস শুল্ক, পণ্যসমূহের রাসায়নিক বা অন্যান্য পরীক্ষার কারণে বা শুল্কায়নের উদ্দেশ্যে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনে বা উক্ত পণ্য সম্পর্কিত সকল দলিলপত্র অথবা সম্পূর্ণ দলিলপত্র অথবা পূর্ণ তথ্য সরবরাহ না করিবার জন্য অবিলম্বে শুল্কায়ন করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো কর্মকর্তা উক্ত পণ্যের উপর প্রদেয় শুল্ক ও কর সাময়িকভাবে শুল্কায়ন এবং উক্ত পণ্য ছাড়ের আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, সাময়িকভাবে শুল্কায়নের উপর চূড়ান্ত শুল্কায়নের ফলে যে অতিরিক্ত শুল্ক প্রদেয় হইবে উহা পরিশোধ করিবার জন্য উক্ত কর্মকর্তার বিবেচনায় যেরূপ পর্যাপ্ত বিবেচিত হইবে, আমদানিকারক বা রপ্তানিকারক সেইরূপ পরিমাণ গ্যারান্টি দাখিল করিবেন এবং এই ক্ষেত্রে উক্ত পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকিবে না এবং উক্ত পণ্যের ক্ষেত্রে সকল বিধি- বিধান প্রতিপালিত হইয়াছে মর্মে নিশ্চিত করিতে হইবে।
(২) যদি উপ- ধারা (১) এর অধীন সাময়িক শুল্কায়নের ভিত্তিতে কোনো পণ্য খালাস প্রদান করা হয়, তাহা হইলে উক্ত পণ্যের উপর প্রদেয় প্রকৃত শুল্ক ও কর সাময়িক শুল্কায়নের তারিখ হইতে ১২০ (একশত বিশ) কার্যদিবসের মধ্যে এবং যেক্ষেত্রে কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল অথবা আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট কোনো মামলা অনিষ্পন্ন রহিয়াছে সেই ক্ষেত্রে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি প্রাপ্তির তারিখ হইতে ১২০ (একশত বিশ) কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্তভাবে নিরূপণ করিতে হইবে এবং উক্ত শুল্কায়ন সম্পন্ন হওয়ার পর যথাযথ কর্মকর্তা ইতঃপূর্বে পরিশোধিত অথবা গ্যারান্টিকৃত অর্থের সহিত চূড়ান্ত শুল্কায়নের ভিত্তিতে প্রদেয় অর্থের বিপরীতে শুল্ক ও করের পরিমাণ সমন্বয় করিবার আদেশ প্রদান করিবেন এবং উহাদের মধ্যে পার্থক্যের পরিমাণ আমদানিকারক অথবা রপ্তানিকারক অনতিবিলম্বে পরিশোধ করিবেন অথবা, ক্ষেত্রমত, তাহাদের নিকট ফেরত প্রদান করা হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ড, ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে, উহা লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করিয়া এই উপ- ধারায় বর্ণিত চূড়ান্ত শুল্ক নিরূপণের সময় বর্ধিত করিতে পারিবে।
৯৪। (১) কোনো আমদানিকৃত পণ্য দেশীয় ভোগের জন্য ছাড় করা না হইলে বা কোনো পণ্য রপ্তানির ঘোষণা প্রদানের পর রপ্তানি করা না হইলে, যথাযথ কর্মকর্তার পূর্বানুমোদনক্রমে, উক্ত পণ্যের আমদানিকারক বা রপ্তানিকারক বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, হেফাজতকারী ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত পণ্য সরকারের নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে।
2[(২) কোনো পণ্য সরকারের নিকট হস্তান্তরকৃত বলিয়া গণ্য হইবে, যদি উক্ত পণ্য নিম্নবর্ণিত কারণে কাস্টমস বন্দর অথবা স্থল কাস্টমস স্টেশন অথবা কাস্টমস অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো অথবা কাস্টমস অভ্যন্তরীণ নৌ-কন্টেইনার টার্মিনালে পণ্য নামাইবার তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে অথবা কাস্টমস বিমানবন্দরে পণ্য নামাইবার তারিখ হইতে ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে, বা যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে, ছাড় করা বা জাহাজীকরণ না হয়—
(ক) সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক বা রপ্তানিকারকের কারণে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত পণ্য পরীক্ষার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ বা পরীক্ষা করা সম্ভব না হইলে;
(খ) সংশ্লিষ্ট পণ্য অনুরোধকৃত কাস্টমস পদ্ধতির অধীন ন্যস্ত বা ছাড় করিবার পূর্বে অবশ্য উপস্থাপনীয় দলিল উপস্থাপন না করিলে; বা
(গ) শুল্ক ও কর পরিশোধ বা এতদ্সংক্রান্ত কোনো গ্যারান্টি প্রদানের ক্ষেত্রে, উহা পরিশোধ বা প্রদান করা না হইলে।]
(৩) সরকারের নিকট হস্তান্তরিত পণ্য, উক্ত পণ্যের মালিকের ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব হইলে তাহাকে যথাযথ নোটিশ প্রদান করিয়া বা তাহার ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব না হইলে উক্ত নোটিশ পত্রিকায় প্রকাশ করিয়া, যথাযথ কর্মকর্তার আদেশক্রমে বিক্রয়, ধ্বংস বা অন্যবিধ উপায়ে বিলিবন্দেজ করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে-
(ক) যথাযথ কর্মকর্তার অনুমতিক্রমে, জীবজন্তু এবং পচনশীল পণ্য যে কোনো সময় বিক্রয় করা যাইবে;
(খ) সরকারের অনুমোদনক্রমে, অস্ত্র, গোলাবারুদ বা সামরিক সরঞ্জাম ও বিপজ্জনক পণ্য, বোর্ড কর্তৃক নির্দেশিত সময়ে, স্থানে এবং পদ্ধতিতে বিক্রয় বা অন্যবিধ উপায়ে বিলিবন্দেজ করা যাইবে।
(৪) উপ- ধারা (১) ও (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, দেশীয় ভোগের জন্য শুল্কযোগ্য কোনো পণ্য কাস্টমস শুল্ক ও কর পরিশোধ না করিয়া অপসারণ করা যাইবে না।
(৫) যদি ন্যায়নির্ণয়ন, আপিল, পুনরীক্ষণ (revision) বা কোনো আদালতের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে, উপ- ধারা (১) এর অধীন কোনো পণ্য বিক্রয় করা হয়, তাহা হইলে উক্ত বিক্রয়লব্ধ অর্থ সরকারি ট্রেজারিতে জমা করিতে হইবে; এবং যদি উক্ত ন্যায়নির্ণয়নে বা আপিলে বা পুনরীক্ষণে ইহা পরিদৃষ্ট হয় বা আদালত সিদ্ধান্ত প্রদান করে যে, উক্তরূপ বিক্রয়কৃত পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য নহে, তাহা হইলে বিক্রয়লব্ধ অর্থ হইতে ধারা ২৩৭ এ যেরূপ ব্যবস্থা বর্ণিত রহিয়াছে, সেইরূপ পাওনা, শুল্ক বা কর প্রয়োজনীয় কর্তনের পর উহা মালিককে ফেরত প্রদান করিতে হইবে।
৯৫। যদি এই আইনের বিধানাবলির অধীন আটককৃত, জব্দকৃত, বাজেয়াপ্তকৃত, ন্যায়নির্ণয়নাধীন বা আপিলাধীন পণ্য ব্যতীত, যথাযথভাবে পণ্য ঘোষণা উপস্থাপন করা হইয়াছে এইরূপ অন্য কোনো পণ্য, ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে শুল্কায়ন করা না হয়, তাহা হইলে উক্ত পণ্যের আমদানিকারক ৩ (তিন) কার্যদিবসের মধ্যে শুল্কায়নের জন্য কমিশনারকে নোটিশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং উক্ত কমিশনার বা তাহার পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মকর্তা, আমদানি বৈধ হইলে, শুল্কায়ন করিবেন অথবা আমদানি বৈধ না হইলে, কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করিবেন।
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, “আটককৃত পণ্য” বলিতে রাসায়নিক পরীক্ষা বা তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষার জন্য বা শ্রেণিবিন্যাস, মূল্য, আমদানিযোগ্যতা বা অন্য কোনো আইনগত বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আটককৃত পণ্য অন্তর্ভুক্ত হইবে।
৯৬। ছাড় প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও দ্রুত করিবার উদ্দেশ্যে, বোর্ড, তদ্কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত ও পরিসীমা সাপেক্ষে, নিম্নলিখিত পণ্যের ক্ষেত্রে পণ্যের ঘোষণা, সত্যতা প্রতিপাদন এবং ছাড়ের জন্য এই আইনের অধীন আবশ্যকতাসমূহ বিধি দ্বারা পরিবর্তন করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) সংশ্লিষ্ট পণ্য চালানের মোট মূল্য বোর্ড কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত পরিমাণের অধিক না হইলে;
(খ) বিদেশে মৃত্যুবরণ করিয়াছেন এইরূপ বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত পণ্য;
(গ) একই অবস্থায় অস্থায়ী আমদানি বা পুনঃআমদানিযোগ্য বাণিজ্যিক বাহন;
(ঘ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ত্রাণকর্মীদের দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যবহৃত পণ্যসহ দুর্যোগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য আনীত পণ্য;
(ঙ) জীবিত প্রাণী এবং পচনশীল পণ্য;
(চ) এক্সপ্রেস (express) পদ্ধতির আওতাভুক্ত চালান; এবং
(ছ) অন্য কোনো ক্ষেত্রে, যেখানে বিভিন্ন শ্রেণি বা ধরনের পণ্য বা বিভিন্ন শ্রেণির লেনদেনের জন্য পৃথক হইতে পারে এইরূপ বাণিজ্য সহজীকরণ ও ঝুঁকি বিবেচনার জন্য বিকল্প ঘোষণা বা ছাড়করণ প্রক্রিয়া প্রয়োজন হয়।
৯৭। (১) বোর্ড, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি সাপেক্ষে, বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তিকে, যিনি এই আইন ও বিধি উপযুক্ত পর্যায় পর্যন্ত প্রতিপালন করিয়াছেন এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত বিধানের মান্যতা (compliance) বা অমান্যতা (Non- compliance) এর ঝুঁকি সম্পর্কিত অন্যান্য মানদণ্ড পূরণ করিয়াছেন, অথরাইজড ইকোনোমিক অপারেটর এর মর্যাদা প্রদান করিতে পারিবে।
(২) অথরাইজড ইকোনোমিক অপারেটর, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে সহজীকৃত কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা ব্যবহার করিবার যোগ্যতাসম্পন্ন হইবেন।
(৩) বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য কোনো দেশে বা ভূখন্ডে প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তিকে এই ধারার অধীন অথরাইজড ইকোনোমিক অপারেটর সুবিধা মঞ্জুর করিবার জন্য সরকার আন্তর্জাতিক চুক্তি করিতে পারিবে, যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত দেশ বা ভূখণ্ডের প্রাসঙ্গিক আইনে বর্ণিত শর্তাবলি ও বাধ্যবাধকতা এই ধারার অধীন নির্ধারিত শর্তাবলি ও বাধ্যবাধকতার সমতুল্য হয় এবং উক্ত সুবিধা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিকে পারস্পরিক ভিত্তিতে প্রদান করা হয়।
(৪) উপ- ধারা (৩) এ উল্লিখিত আন্তর্জাতিক চুক্তি সাপেক্ষে, বোর্ড এই ধারার অধীন অথরাইজড ইকোনোমিক অপারেটরকে প্রদত্ত সুবিধা, বিদেশি রাষ্ট্র বা ভূখণ্ডের প্রাসঙ্গিক আইনে বর্ণিত শর্তাবলি পূরণ ও বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন করিয়াছে এইরূপ কোনো ব্যক্তিকে, মঞ্জুর করিতে পারিবে।