প্রিন্ট ভিউ
চতুর্বিংশ অধ্যায়
কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক ক্ষমতা প্রয়োগ (enforcement)
১৭৪। (১) বোর্ড কর্তৃক নির্দেশনা সাপেক্ষে, কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা, তাহার আইনগত ক্ষমতার মধ্যে, তাহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সকল কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ পরিচালনা করিতে পারিবেন।
(২) ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ ও মূল্যায়ন করার এবং উহার প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে, স্থানীয়, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নয়ন করা হয়েছে এইরূপ ইলেক্ট্রনিক তথ্য প্রক্রিয়াকরণের কৌশল, যদি থাকে, অনুসরণ করিয়া তথ্যাদি প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে প্রণীত ঝুঁকি পর্যালোচনা হইবে দৈবচয়নের ভিত্তিতে পরীক্ষাসহ কাস্টমস নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক ভিত্তি।
(৩) বোর্ড স্বয়ংক্রিয় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাসহ একটি সামগ্রিক কাস্টমস ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা দপ্তর স্থাপন করিবে।
(৪) কাস্টমস ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা দপ্তর আন্তর্জাতিক যাত্রী, পণ্য, কার্গো বা যানবাহনের উপর কাস্টমস নিয়ন্ত্রণের প্রয়োগ এবং সমন্বিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে অন্যান্য সরকারি সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ন্যাশনাল রিস্ক টার্গেটিং সেন্টার গঠন করিতে পারিবে।
(৫) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড প্রয়োজনীয় সংখ্যক কাস্টমস কর্মকর্তা ও কর্মচারি নিয়োগ করিতে পারিবে এবং বিধি ও কর্মপদ্ধতি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
১৭৫। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো (Bangladesh Single Window) প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে যাহা ধারা ৪৮, ৫১, ৫২ ও ৮১ তে উল্লিখিত দলিলাদি ব্যতীত সার্টিফিকেট, লাইসেন্স এবং পারমিট দাখিলসহ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে আমদানি, রপ্তানি, ওয়্যারহাউসিং, ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট এর সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে একটি নির্দিষ্ট স্থান হইতে সকল সেবা প্রদান করিতে পারিবে।
(২) উপ- ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বোর্ড বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো কমিশনারেট নামে একটি নিয়ন্ত্রক দপ্তর প্রতিষ্ঠা করিবে এবং উক্ত কমিশনারেট বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডোর অপারেটর হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকিবে।
(৩) কমিশনার অব কাস্টমস (বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো) এবং সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট প্রদানকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান (CLPIA) এর প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রতিনিধির সমন্বয়ে বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো কমিশনারেট গঠিত হইবে।
(৪) বোর্ড বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধিতিতে উক্ত কমিশনারেটের গঠন, জনবল, কর্মপরিধি ও কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করিবে।
(৫) বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে আমদানি, রপ্তানি, ওয়্যারহাউসিং, ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট এর সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্য প্রেরণ বা দলিল দাখিল করিবে।
(৬) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে একটি স্থায়ী কমিটি গঠন করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন;
(খ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর কাস্টমস অনুবিভাগের সদস্য (কাস্টমস) পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
(গ) প্রতিটি সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট ইস্যুকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের একজন করিয়া প্রতিনিধি।
(৭) উপ- ধারা (৬) এর অধীন গঠিত স্থায়ী কমিটি বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো কমিশনারেটের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় করিবে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করিবে।
(৮) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো ব্যবহারের জন্য পদ্ধতি, ফি বা অন্যান্য চার্জ নির্ধারণ করিতে পারিবে।
১৭৬। (১) কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা, কোনো ঘোষণা প্রসঙ্গে উপস্থাপিত অথবা এই আইনের অধীন আবশ্যকতার কারণে দাখিলকৃত কোনো দলিলপত্র অথবা রেকর্ডপত্র দখলে লইতে এবং তত্ত্বাবধানে রাখিতে পারিবেন।
(২) যেক্ষেত্রে একজন কাস্টমস কর্মকর্তা, উপ- ধারা (১) এর অধীন, কোনো দলিল বা রেকর্ড দখলে নেন, সেই ক্ষেত্রে উক্ত দলিল বা রেকর্ডের স্বত্ব সংরক্ষণ করেন এইরূপ ব্যক্তির অনুরোধক্রমে উক্ত কর্মকর্তা তদ্কর্তৃক অথবা তাহার পক্ষে প্রত্যায়িত দলিলের কাস্টমস সিলযুক্ত একটি কপি অবিকল নকল হিসাবে সেই ব্যক্তিকে প্রদান করিবেন।
(৩) উপ- ধারা (২) এর অধীন প্রত্যায়িত প্রতিটি কপি সকল আদালতে এইরূপে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে, যেন উহাই মূল কপি।
১৭৭। (১) যদি যথাযথ কর্মকর্তার বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি বাজেয়াপ্তযোগ্য পণ্য অথবা এতদ্সম্পর্কিত কোনো দলিলপত্র স্বয়ং বহন করিতেছেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে বাংলাদেশের কাস্টমস জলসীমার মধ্যে অবস্থানকারী কোনো জাহাজ হইতে অবতরণ অথবা জাহাজে আরোহণ করিবার সময়ে অথবা বাংলাদেশে আগমনকারী অথবা বাংলাদেশ হইতে গমনোদ্যত অন্য কোনো যানবাহন হইতে নামার অথবা যানবাহনে ওঠার সময়ে অথবা বাংলাদেশে প্রবেশ অথবা বাংলাদেশ হইতে প্রস্থানোদ্যত হওয়ার সময়ে তাহাকে তল্লাশি করিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এর বিধানাবলি ক্ষুণ্ন না করিয়া যথাযথ কর্মকর্তা কোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি করিতে পারিবেন, যদি তাহার বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, উক্ত ব্যক্তি স্বয়ং এই আইনের অধীন চোরাচালানকৃত প্লাটিনাম, কোনো রেডিওঅ্যাকটিভ খনিজদ্রব্য, স্বর্ণ, রৌপ্য, মহামূল্যবান পাথর, অথবা প্লাটিনামের, রেডিওঅ্যাকটিভ খনিজদ্রব্যের, স্বণের্র, রৌপ্যের অথবা মহামূল্যবান পাথরের তৈরী দ্রব্য, অথবা মুদ্রা, অথবা সরকার কর্তৃক গেজেটে প্রজ্ঞাপিত অন্য কোনো পণ্য অথবা পণ্যশ্রেণি অথবা পূর্বোল্লিখিত এক বা একাধিক কোনো পণ্যের সহিত সংশ্লিষ্ট কোনো দলিলপত্র বহন করিতেছেন।
১৭৮। (১) ধারা ১৭৭ এর অধীন যখন কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি করিতে উদ্যত হইবেন, তখন তিনি উক্ত ব্যক্তিকে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার কাস্টমস কর্মকর্তার নিকট লইবার অধিকারের বিষয়ে অবহিত করিবেন, এবং উক্ত ব্যক্তি তেমন অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলে তাহাকে তল্লাশি করিবার পূর্বে নিকটতম অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার কাস্টমস কর্মকর্তার সম্মুখে অবিলম্বে লইয়া যাইবেন এবং উক্তরূপ না লওয়া পর্যন্ত তাহাকে সাময়িক আটক (detain) রাখিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত কাস্টমস কর্মকর্তার সম্মুখে উক্ত উপ- ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে আনয়ন করা হইলে, যদি তিনি তাহাকে তল্লাশি করিবার জন্য যুক্তিসঙ্গত কারণ না দেখেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তিকে অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করিবেন এবং এইরূপ করিবার কারণ লিপিবদ্ধ করিবেন অথবা, অন্যথায়, তল্লাশি করিবার নির্দেশ প্রদান করিবেন।
(৩) ধারা ১৭৭ এর অধীন তল্লাশি করিবার পূর্বে কাস্টমস কর্মকর্তা দুই বা ততোধিক ব্যক্তিকে তল্লাশির সময়ে উপস্থিত থাকিবার এবং সাক্ষী থাকিবার জন্য ডাকিয়া লইবেন এবং এইরূপ করিবার জন্য তাহাদিগকে অথবা তাহাদের যে কোনো একজনকে লিখিত আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন, এবং উক্ত ব্যক্তিগণের সম্মুখে তল্লাশি অনুষ্ঠিত হইবে এবং তল্লাশি কার্যক্রমের সময়ে আটককৃত সকল বস্তুর একটি তালিকা উক্ত কর্মকর্তা অথবা অন্য ব্যক্তি কর্তৃক প্রস্তুত করা হইবে এবং উক্ত সাক্ষীগণ কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে।
(৪) কোনো মহিলাকে কোনো মহিলা ব্যতীত তল্লাশি করা যাইবে না।
(৫) কোনো আইনগত কার্যধারার উদ্দেশ্যে অথবা এই আইনের অন্য কোনো উদ্দেশ্যে বাস্তবসম্মত ক্ষেত্রে, যথাযথ শনাক্তকরণ চিহ্নসহ সংশ্লিষ্ট নমুনা সংরক্ষণ করা যাইবে।
১৭৯। (১) যে ক্ষেত্রে যথাযথ কর্মকর্তার বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, ধারা ১৭৭ এর অধীন তল্লাশিযোগ্য কোনো ব্যক্তি তাহার দেহের অভ্যন্তরে কোনো বাজেয়াপ্তযোগ্য পণ্য লুকাইয়া রাখিয়াছেন সেই ক্ষেত্রে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে আটক করিতে পারিবেন এবং অনতিবিলম্বে তাহাকে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমার্যাদার কর্মকর্তার নিম্নে নহেন এইরূপ কাস্টমস কর্মকর্তার সম্মুখে উপস্থিত করিবেন।
(২) যদি উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস এর বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, উক্ত ব্যক্তির দেহের অভ্যন্তরে উক্তরূপ পণ্য লুকানো রহিয়াছে এবং উক্ত ব্যক্তির দেহ স্ক্রিন অথবা এক্স- রে করানো আবশ্যক, তাহা হইলে তিনি সেই মর্মে আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন অথবা, অন্যথায়, উক্ত ব্যক্তি অন্য কোনো কারণে আটককৃত না হইলে, তাহাকে অবিলম্বে মুক্তির আদেশ প্রদান করিবেন।
(৩) যেক্ষেত্রে উপ- ধারা (২) এ উল্লিখিত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস কোনো ব্যক্তিকে স্ক্রিন বা এক্স- রে করানোর জন্য আদেশ প্রদান করেন সেই ক্ষেত্রে যথাযথ কর্মকর্তা যথাশীঘ্র সম্ভব এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক যেরূপ স্বীকৃত হয় সেইরূপ যোগ্যতাসম্পন্ন রেডিওলজিস্টের নিকট উক্ত ব্যক্তিকে লইয়া যাইবেন এবং উক্ত ব্যক্তি রেডিওলজিস্টকে তাহার দেহ স্ক্রিন বা এক্স- রে করাইতে দিতে বাধ্য থাকিবেন।
(৪) রেডিওলজিস্ট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দেহ স্ক্রিন অথবা এক্স- রে করিবেন এবং উপ- ধারা (২) এ উল্লিখিত কর্মকর্তার নিকট তাহার গৃহীত স্ক্রিন অথবা এক্স- রে ছবিসহ অনতিবিলম্বে এতদ্বিষয়ে তাহার প্রতিবেদন প্রেরণ করিবেন।
(৫) যেক্ষেত্রে রেডিওলজিস্টের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অথবা অন্যভাবে উপ- ধারা (২) এ উল্লিখিত কর্মকর্তা সন্তুষ্ট হন যে, কোনো ব্যক্তির দেহের অভ্যন্তরে বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো পণ্য লুকানো রহিয়াছে সেই ক্ষেত্রে তিনি কোনো নিবন্ধিত পেশাজীবী চিকিৎসকের পরামর্শ এবং তত্ত্বাবধানে তাহার দেহ হইতে উক্ত পণ্য বাহির করিয়া আনার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন এবং উক্ত ব্যক্তি এইরূপ নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, কোনো মহিলার ক্ষেত্রে কোনো নিবন্ধিত পেশাজীবি মহিলা চিকিৎসকের পরামর্শ এবং তত্ত্বাবধান ব্যতীত উক্তরূপ কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না।
(৬) যেক্ষেত্রে উপ- ধারা (২) এ উল্লিখিত কর্মকর্তার নিকট উক্তরূপ কোনো ব্যক্তিকে আনয়ন করা হয়, সেই ক্ষেত্রে তিনি এই ধারার অধীন সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ব্যক্তিকে আটক রাখিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(৭) যদি কোনো ব্যক্তি স্বীকার করেন যে তাহার দেহের অভ্যন্তরে বাজেয়াপ্তযোগ্য পণ্য লুকানো রহিয়াছে এবং যদি তিনি তাহার নিজ সম্মতিতে উক্ত পণ্য বাহির করিয়া আনিবার উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণে রাজী থাকেন, তাহা হইলে তাহাকে স্ক্রিনিং অথবা এক্স- রে করা হইবে না।
১৮০। (১) এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার যদি বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন।
(২) এই আইনের অধীন চোরাচালান নিরোধ কাজে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো চোরাচালানের অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন।
(৩) এই আইনের অধীন গ্রেফতারকৃত প্রত্যেক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গে, এইরূপ মামলায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য, কমিশনার অব কাস্টমস কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিকটতম কাস্টমস কর্মকর্তার সম্মুখে উপস্থিত করিতে হইবে অথবা, যদি যুক্তিসংগত দূরত্বের মধ্যে কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা না থাকেন তাহা হইলে নিকটতম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট লইয়া যাইতে হইবে।
(৪) এই ধারার অধীন কোনো ব্যক্তিকে কাস্টমস কর্মকর্তা অথবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সম্মুখে আনয়ন করা হইলে এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধটি জামিনযোগ্য হইলে, উক্ত কর্মকর্তা, তাহাকে এখতিয়ারভুক্ত প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে জামিনের জন্য উপস্থিত হওয়ার অনুমতি প্রদান করিবেন অথবা তাহাকে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে প্রেরণ করিবেন।
(৫) উপ- ধারা (৪) এর অধীন কোনো ব্যক্তিকে পূর্বোল্লিখিত কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার সম্মুখে আনয়ন করা হইলে, উক্ত কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত করিবার কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন।
(৬) উপ- ধারা (৫) এর অধীন কোনো তদন্তের উদ্দেশ্যে কাস্টমস কর্মকর্তা, কোনো আমলযোগ্য অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির অধীন যে ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারেন এবং যে বিধানসমূহের অধীন থাকেন, সেই একই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন এবং সেই একই বিধানসমূহের অধীন থাকিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, কাস্টমস কর্মকর্তা যদি এই অভিমত পোষণ করেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্য রহিয়াছে অথবা সন্দেহের যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি, অপরাধটি যদি জামিনযোগ্য হয়, তাহাকে এখতিয়ারসম্পন্ন প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে হাজির হইবার জন্য অনুমতি প্রদান করিবেন অথবা উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে প্রেরণ করিবেন।
(৭) যদি কাস্টমস কর্মকর্তার নিকট এইরূপ প্রতীয়মান হয় যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্য নাই অথবা সন্দেহের যুক্তিসংগত কারণ নাই, তাহা হইলে উক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক নির্দেশিত জামানত সহকারে অথবা জামানত ব্যতীত, একটি বন্ড সম্পাদন সাপেক্ষে, এখতিয়ারসম্পন্ন প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তলব করিলে তৎক্ষণাৎ তাহার সম্মুখে হাজির হইবার জন্য উক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি প্রদান করিবেন এবং মামলাটির একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তাহার পরবর্তী ধাপের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পেশ করিবেন।
১৮১। (১) এই আইনের অধীন গৃহীত কার্যধারায় সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার উপযোগী বাজেয়াপ্তযোগ্য পণ্য অথবা দলিলপত্র অথবা জিনিসপত্র কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারসম্পন্ন এলাকার সীমানার মধ্যে কোনো স্থানে লুকাইয়া রাখা হইয়াছে বলিয়া অভিমত পোষণকারী কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার উক্তরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ সম্বলিত আবেদনক্রমে, উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট উক্তরূপ পণ্য, দলিলপত্র অথবা জিনিসপত্র তল্লাশি করিবার জন্য পরোয়ানা জারি করিতে পারিবেন।
(২) ফৌজদারি কার্যবিধির অধীন জারিকৃত তল্লাশি- পরোয়ানা যেভাবে কার্যকর করা হয় এবং উহার যেরূপ কার্যকারিতা থাকে, উক্তরূপ জারীকৃত পরোয়ানা সেইভাবে কার্যকর করা যাইবে এবং উহার সেইরূপ কার্যকারিতা থাকিবে।
১৮২। (১) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্ন নহেন এইরূপ কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা অথবা এই আইনের অধীন চোরাচালান নিরোধে নিয়োজিত অন্য কোনো কর্মকর্তার নিকট যদি এই মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো পণ্য অথবা কোনো দলিলপত্র অথবা কোনো জিনিসপত্র, যাহা তাহার মতে এই আইনের অধীন গৃহীত কোনো কার্যধারার জন্য ব্যবহার উপযোগী অথবা প্রাসঙ্গিক, তাহা কোনো স্থানে লুকানো বা রক্ষিত রহিয়াছে এবং ধারা ১৮১ এর অধীন তল্লাশি কার্যকর করিবার পূর্বে উহা অপসারিত হওয়ার আশঙ্কা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি তাহার বিশ্বাসের কারণসমূহের, এবং তল্লাশি করা হইবে সেইরূপ পণ্যসমূহ, দলিলপত্র অথবা জিনিসপত্রের একটি লিখিত বিবরণ প্রস্তুতপূর্বক ঐ স্থানে উক্ত পণ্য, দলিলপত্র অথবা জিনিসপত্রের জন্য তল্লাশি করিবেন অথবা করাইবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন যে কর্মকর্তা বা ব্যক্তি তল্লাশি করিবেন অথবা করাইবেন তিনি পূর্বোল্লিখিত বিবরণের একখানি স্বাক্ষরিত কপি তল্লাশকৃত স্থানে অথবা উহার নিকট রাখিয়া আসিবেন এবং তল্লাশি করিবার সময়ে অথবা ইহার পর যথাশীঘ্র সম্ভব উক্ত বিবরণের আরও একটি স্বাক্ষরিত অনুলিপি স্থানটির বাসিন্দার সর্বশেষ জ্ঞাত ঠিকানায় প্রেরণ করিবেন।
(৩) এই ধারার অধীন সকল তল্লাশি ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান অনুসারে, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, পরিচালিত হইবে।
(৪) পূর্বোল্লিখিত উপ- ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কর্মকর্তার পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা অথবা এইরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি কোনো চোরাচালান অপরাধের ক্ষেত্রে,-
(ক) উক্ত অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে, অথবা যাহার বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ বিদ্যমান যে তিনি উক্ত অপরাধের সহিত সহসা সংশ্লিষ্ট হইবেন তাহাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করিতে পারিবেন;
(খ) দফা (ক) এর অধীন গ্রেফতার করিতে বিনা পরোয়ানায় কোনো আঙ্গিনায় প্রবেশ এবং তল্লাশি করিতে পারিবেন অথবা আপাতত বলবৎ নিষিদ্ধকরণ অথবা বিধি- নিষেধের পরিপন্থিভাবে চোরাচালান হইতে পারে এইরূপ যুক্তিসঙ্গত সন্দেহযুক্ত কোনো পণ্য, এবং এই আইনের অধীন কোনো কার্যধারায় তাহার বিবেচনায় প্রাসঙ্গিক অথবা উপযোগী হইতে পারে এমন সকল দলিলপত্র অথবা জিনিসপত্র আটক করিতে পারিবেন; এবং
(গ) উক্ত অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট অথবা সংশ্লিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে এইরূপ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা, আটক করা বা তত্ত্বাবধানে লওয়া অথবা তাহার পলায়ন রোধ করিবার উদ্দেশ্যে অথবা যে পণ্যের ক্ষেত্রে উক্তরূপ কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে অথবা সংঘটিত হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, উহা আটক করিবার অথবা উহার অপসারণ রোধ করিবার উদ্দেশ্যে, প্রয়োজনবোধে মৃত্যু সংঘটিত হইতে পারে এমন মাত্রায়, বল প্রয়োগ করিতে অথবা করাইতে পারিবেন।
(৫) উপ- ধারা (৪) এর বিধানাবলি কেবল বাংলাদেশের স্থল সীমান্তের ৮ (আট) কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায়, এবং বাংলাদেশের জলসীমা বরাবর ২৪ (চব্বিশ) নটিক্যাল মাইলের (Contiguous Zone সহ) মধ্যবর্তী বলয়ের মধ্যে প্রযোজ্য হইবে।
(৬) উপ- ধারা (১) বা (২) এর অধীন অথবা উপ- ধারা (৫) এ উল্লিখিত এলাকাসমূহে উপ- ধারা (৪) এর অধীন অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো কিছু করিবার জন্য অথবা করিবার অভিপ্রায়ের জন্য, সরকারের লিখিত অনুমোদন ব্যতিরেকে, তাহার বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি মোকদ্দমা, ফৌজদারি মামলা অথবা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে না।
১৮৩। (১) এই আইনের অধীন যদি কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কোনো আইনানুগ তল্লাশি, পরিদর্শন, নিরীক্ষা বা পরীক্ষা পরিচালনা করেন এবং যুক্তিসঙ্গত কারণে যদি তাহার ইহা বিশ্বাস হয় যে, উক্ত তল্লাশি, পরিদর্শন, নিরীক্ষা বা পরীক্ষাকালে হস্তগত হওয়া দলিলপত্র এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধের সাক্ষ্য হইবে, তাহা হইলে তিনি উক্ত দলিলপত্র কপি করিবার উদ্দেশ্যে অপসারণ করিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) অনুযায়ী অপসারিত দলিলপত্র বা নথিপত্র যথাশীঘ্র সম্ভব অনুলিপি করিয়া উহা পাইবার অধিকারী ব্যক্তির নিকট ফেরত প্রদান করিতে হইবে।
(৩) কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক অথবা তাহার পক্ষে প্রত্যায়িত কাস্টমস সিলযুক্ত উক্ত দলিলপত্রের কোনো অনুলিপি সকল আদালতে এইরূপে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণীয় হইবে যেন উহাই মূল কপি।
১৮৪। (১) এই আইনের অধীন যদি কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কোনো আইনানুগ তল্লাশি, পরিদর্শন, নিরীক্ষা অথবা পরীক্ষা পরিচালনা করেন এবং যুক্তিসংগত কারণে যদি তাহার এই বিশ্বাস জন্মে যে, উক্ত তল্লাশি, পরিদর্শন, নিরীক্ষা অথবা পরীক্ষাকালে তাহার হস্তগত হওয়া দলিলপত্র ও পণ্য এই আইনের অধীন সংঘটিত কোনো অপরাধের সাক্ষ্য হইবে অথবা এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইবে, তাহা হইলে উক্ত কর্মকর্তা অথবা তদ্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি দলিলপত্রের বা, ক্ষেত্রমত, পণ্যের কর্তৃত্ব গ্রহণ এবং সংরক্ষণ করিতে পারিবেন।
(২) যদি কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা অথবা তদ&কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি উপ- ধারা (১) এর অধীন কোনো দলিলের কর্তৃত্ব গ্রহণ করেন, তাহা হইলে উক্ত দলিলের স্বত্ব সংরক্ষণ করেন এইরূপ ব্যক্তির অনুরোধক্রমে, তিনি তদ্কর্তৃক অথবা তাহার পক্ষে প্রত্যায়িত উহার কাস্টমস সিলযুক্ত একটি কপি অবিকল কপি হিসাবে উক্ত ব্যক্তিকে প্রদান করিবেন।
১৮৫। (১) যদি উপযুক্ত কর্মকর্তার ইহা বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভূখণ্ডের মধ্যে, রাষ্ট্রীয় জলসীমা এবং আকাশসীমাসহ, কোনো যানবাহন কোনো পণ্য চোরাচালান করিবার জন্য অথবা কোনো চোরাচালানকৃত পণ্য পরিবহণে ব্যবহৃত হইয়াছে অথবা হইতেছে অথবা হইতে যাইতেছে, তাহা হইলে তিনি যে কোনো সময়ে উক্তরূপ কোনো যানবাহন থামাইতে পারিবেন অথবা, উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে, উহাকে অবতরণে বাধ্য করিতে পারিবেন, এবং-
(ক) যানবাহনটির যে কোনো অংশ তন্ন- তন্ন করিয়া খুঁজিতে (rummage) বা তল্লাশি করিতে পারিবেন;
(খ) উহার উপরে রক্ষিত যে কোনো পণ্য পরীক্ষা এবং তল্লাশি করিতে পারিবেন; এবং
(গ) তল্লাশি করিবার জন্য যে কোনো দরজার তালা, সাজ- সরঞ্জাম অথবা মোড়ক ভাঙিয়া খুলিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত অবস্থায়-
(ক) যদি কোনো জাহাজ বা নৌযান থামাইতে অথবা কোনো উড়োজাহাজকে অবতরণ করিতে বাধ্য করা আবশ্যক হয়, তাহা হইলে সরকারি কার্যে নিয়োজিত নিজস্ব পতাকাবাহী কোনো জাহাজ অথবা নিজস্ব পতাকা চিহ্নধারী কোনো উড়োজাহাজ অথবা এতদুদ্দেশ্যে সরকার হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের জন্য কোনো আর্ন্তজাতিক সংকেত অথবা কোড দ্বারা অথবা অন্য কোনো স্বীকৃত পন্থায় উক্ত জাহাজকে থামাইতে অথবা উড়োজাহাজকে অবতরণ করিতে তলব করানো বৈধ হইবে, এবং ইহাতে উক্ত জাহাজ অবিলম্বে থামিবে এবং উক্ত উড়োজাহাজ সঙ্গে সঙ্গে অবতরণ করিবে, এবং যদি উহা উক্তরূপ করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে কোনো জাহাজ অথবা উড়োজাহাজ দ্বারা উক্ত জাহাজ বা উড়োজাহাজকে ধাওয়া করা যাইবে, এবং সংকেত হিসাবে একবার গুলি বর্ষণ করিবার পর জাহাজটি থামিতে বা উড়োজাহাজটি অবতরণ করিতে ব্যর্থ হইলে উহার উপর গুলি বর্ষণ করা যাইবে;
(খ) যেক্ষেত্রে কোনো জাহাজ অথবা উড়োজাহাজ ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহনকে থামানো আবশ্যক হয়, সেই ক্ষেত্রে যথাযথ কর্মকর্তা উহা থামাইতে অথবা উহার পলায়ন রোধ করিতে সকল আইনসম্মত পন্থা অবলম্বন করিতে বা করাইতে পারিবেন, যাহার মধ্যে, অন্য সকল পন্থা ব্যর্থ হইলে, গুলিবর্ষণ অন্তর্ভুক্ত হইবে।
১৮৬। (১) কোনো পণ্য চোরাচালানের সহিত সংশ্লিষ্ট কোনো তদন্ত অনুষ্ঠিত হইবার সময়ে যথাযথ কর্মকর্তা-
(ক) কোনো ব্যক্তিকে কোনো দলিলপত্র অথবা কোনো বস্তু উক্ত কর্মকর্তার নিকট উপস্থাপন অথবা প্রদান করিতে বাধ্য করিতে পারিবেন; এবং
(খ) মামলার ঘটনা এবং পরিস্থিতির বিষয়ে অবগত কোনো ব্যক্তিকে পরীক্ষা করিতে পারিবেন।
(২) যথাযথ কর্মকর্তা উপ- ধারা (১) এর অধীন প্রয়োগযোগ্য ক্ষমতা কেবল তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া ব্যক্তির অথবা তাহার সম্মুখে উপস্থিত হওয়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করিবেন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো আমলযোগ্য অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির অধীন যে বিধানাবলির আওতাধীন থাকেন সেই একই বিধানাবলির আওতাধীন থাকিবেন।
১৮৭। (১) যদি-
(ক) কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার ইহা বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, কোনো পণ্য বেআইনিভাবে আমদানি, রপ্তানি, অবমূল্যায়ন, অধিমূল্যায়ন, প্রবেশ, অপসারণ অথবা এই আইনের পরিপন্থি প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যক্তি দ্বারা অবৈধভাবে লেনদেন করা হইয়াছে অথবা কোনো ব্যক্তি উক্ত পণ্য আমদানি, রপ্তানি, অবমূল্যায়ন, অধিমূল্যায়ন, প্রবেশ, অপসারণ অথবা অন্য কোনোভাবে লেনদেন করিবার চেষ্টা করিয়াছে; অথবা
(খ) এই আইনের অধীন কোনো পণ্য আটক করা হয়,-
তাহা হইলে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা, লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া, উক্ত ব্যক্তিকে অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি, যাহাকে উক্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট পণ্যের মালিক, আমদানিকারক অথবা রপ্তানিকারক বলিয়া সন্দেহ করেন, তাহাকে অথবা, ক্ষেত্রমত, তাহার এজেন্টকে, যেভাবে এবং যখন প্রয়োজন মনে করিবেন সেই ভাবে এবং তখন উক্ত কর্মকর্তার নিকট অথবা অন্য কোনো নির্ধারিত কর্মকর্তার নিকট সকল হিসাব পুস্তক, রেকর্ডপত্র অথবা দলিলপত্র, যাহাতে নোটিশ প্রদানের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর পূর্ব পর্যন্ত সময়ের ক্রয়, আমদানি, রপ্তানি, ব্যয় অথবা মূল্য অথবা পরিশোধ সম্পর্কিত এন্ট্রি অথবা স্মারক লিপিবদ্ধ থাকে অথবা লিপিবদ্ধ থাকার কথা, তাহা পেশ এবং অর্পণ করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(২) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কাস্টমস কর্মকর্তা উপ- ধারা (১) এর অধীন আবশ্যকতার অতিরিক্ত উক্তরূপ পণ্যের মালিক বা আমদানিকারক বা রপ্তানিকারক অথবা, ক্ষেত্রমত, এজেন্টকে নিম্নলিখিত নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন, যথা:-
(ক) উক্ত কর্মকর্তার অথবা অন্য কোনো নির্দিষ্ট কাস্টমস কর্মকর্তার পরিদর্শনের জন্য উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত দলিলপত্র, পুস্তক অথবা নথিপত্র উপস্থাপন করিতে এবং উহার কপি করিতে অথবা উহা হইতে উদ্ধৃতি লইবার জন্য কর্মকর্তাকে অনুমতি প্রদান করিতে;
(খ) ইলেকট্রনিক অথবা অন্য কোনো মাধ্যম মারফত উক্ত দলিলপত্র, পুস্তক অথবা রেকর্ডপত্রের ধারণকৃত তথ্য সঞ্চারণ অথবা প্রেরণ করিতে; এবং
(গ) উক্ত দলিলপত্র, পুস্তক বা নথিপত্র সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের উত্তর প্রদান করিতে।
১৮৮। (১) জয়েন্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কাস্টমস কর্মকর্তা, নোটিশ দ্বারা, কোনো সরকারি, আধা- সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, স্থানীয় সংস্থা, ব্যাংক অথবা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর ধারা ২(১৯) এ সংজ্ঞায়িত পরিচালনাকারী বা যে কোনো সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিযুক্ত কোনো কর্মকর্তাসহ কোনো ব্যক্তিকে-
(ক) টেলিযোগাযোগ বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে যে কোনো ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ কোনো দলিলপত্র বা নথিপত্র, যাহা জয়েন্ট কমিশনার অব কাস্টমস কোনো তদন্ত বা নিরীক্ষার জন্য আবশ্যক বা প্রাসঙ্গিক বলিয়া মনে করেন, তাহা একজন কাস্টমস কর্মকর্তার পরিদর্শনের জন্য উপস্থাপন করিতে নির্দেশ দিতে পারিবেন;
(খ) উক্ত দলিলপত্র বা রেকর্ডপত্রের কপি বা অংশবিশেষের উদ্ধৃতি লইবার জন্য কাস্টমস কর্মকর্তাকে অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন; এবং
(গ) কোনো পণ্য সম্পর্কিত বা উক্ত তদন্তাধীন পণ্যের বিনিময় সম্পর্কিত অথবা উক্ত তদন্তের সহিত সংশ্লিষ্ট দলিলপত্র বা রেকর্ডপত্র সম্পর্কিত বিষয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর প্রদানের জন্য যুগ্ম- কমিশনারের সম্মুখে উপস্থিত হইতে নির্দেশ দিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিতভাবে প্রত্যায়িত প্রতিটি কপি সকল আদালতে এইরূপ সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে যেন উহাই মূল কপি।
১৮৯। (১) কোনো গেজেটেড কাস্টমস কর্মকর্তা কোনো পণ্য চোরাচালানের সহিত সংশ্লিষ্ট তদ্কর্তৃক পরিচালিত কোনো তদন্তে সাক্ষ্য প্রদান বা দলিলপত্র অথবা অন্য কোনো জিনিসপত্র উপস্থাপন করিবার জন্য কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি আবশ্যক বলিয়া বিবেচনা করিলে, সেই ব্যক্তির উপর তাহার সমন জারি করিবার ক্ষমতা থাকিবে।
(২) দলিলপত্র বা অন্য কোনো জিনিসপত্র উপস্থাপন সম্পর্কিত সমন তলবকৃত ব্যক্তির দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা কোনো নির্দিষ্ট দলিলপত্র বা জিনিসপত্র অথবা কতিপয় বর্ণনার সকল দলিলপত্র বা জিনিসপত্র সম্পর্কে হইতে পারিবে।
(৩) উপ- ধারা (১) এর অধীন সমনকৃত সকল ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক সশরীরে অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হইতে বাধ্য থাকিবেন; এবং উক্তভাবে সমনকৃত সকল ব্যক্তি যে কোনো বিষয় সম্পর্কে তাহাদের পরীক্ষা করিবার সময়ে সত্য বলিতে অথবা বিবৃতি প্রদান করিতে এবং যেরূপ আবশ্যক হইতে পারে সেইরূপ দলিলপত্র এবং জিনিসপত্র উপস্থাপন করিতে বাধ্য থাকিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা ১৩২ এর অধীন প্রদেয় অব্যাহতি এই ধারার অধীন উপস্থিতির জন্য তলবের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে ।
(৪) এই ধারায় উল্লিখিত প্রতিটি তদন্ত দণ্ডবিধির ধারা ১৯৩ এবং ধারা ২২৮ এর মর্মানুযায়ী বিচারিক কার্যধারা হিসাবে গণ্য হইবে।
১৯০। যদি এই আইনের অধীনে গ্রেফতারযোগ্য কোনো ব্যক্তি যে অপরাধের জন্য দায়ী তাহা সংঘটনের সময় গ্রেফতার না হন অথবা গ্রেফতারের পরে পলায়ন করেন, তাহা হইলে তাহাকে পরবর্তীকালে যে কোনো সময়ে গ্রেফতার করা যাইবে এবং ধারা ১৮০ এর উপ- ধারা (৩) হইতে (৭) এর বিধানাবলি অনুসারে তাহার বিরুদ্ধে এমনভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে, যেন তিনি উক্ত অপরাধ সংঘটনের সময়ে গ্রেফতার হইয়াছেন।
১৯১। (১) যথাযথ কর্মকর্তা এই আইনের অধীনে বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো পণ্য জব্দ করিতে পারিবেন, এবং যে ক্ষেত্রে উক্তরূপ কোনো পণ্য জব্দ করা বাস্তবে সম্ভব নহে, সেই ক্ষেত্রে তিনি উক্ত পণ্যের মালিক অথবা উহা যে ব্যক্তির দখলে বা তত্ত্বাবধানে রহিয়াছে সেই ব্যক্তিকে উক্ত কর্মকর্তার পূর্ব অনুমতি ব্যতীত উহা অপসারণ, হস্তান্তর অথবা প্রকারান্তরে বিলিবন্দেজ না করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(২) যেক্ষেত্রে উপ- ধারা (১) এর অধীনে কোনো পণ্য জব্দ করা হয় এবং উহার উপর ধারা ২০৩ এর অধীনে পণ্য জব্দ করার ২ (দুই) মাসের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা না হয়, সেই ক্ষেত্রে উক্ত পণ্য যে ব্যক্তির দখল হইতে জব্দ করা হইয়াছিল তাহাকে ফেরত প্রদান করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কমিশনার অব কাস্টমস কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উপরিউক্ত ২ (দুই) মাসের মেয়াদ অনধিক ২ (দুই) মাসের জন্য বর্ধিত করিতে পারিবেন।
(৩) যথাযথ কর্মকর্তা কোনো দলিলপত্র অথবা জিনিসপত্র, যাহা তাহার মতে এই আইনের অধীনে গৃহীত কোনো কার্যধারায় সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার উপযোগী হইবে, আটক করিতে পারিবেন।
(৪) যে ব্যক্তির তত্ত্বাবধান হইতে উপ- ধারা (৩) এর অধীনে কোনো দলিলপত্র আটক করা হয় তিনি কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উহার কপি অথবা উহা হইতে উদ্ধৃতি গ্রহণ করিতে পারিবেন।
১৯২। (১) এই আইনের অধীনে বাজেয়াপ্তযোগ্য হওয়ার কারণে জব্দকৃত সকল পণ্য, উহা গ্রহণ করিবার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তাকে অনতিবিলম্বে অর্পণ করিতে হইবে।
(২) যদি উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো কর্মকর্তা নিকটে না থাকেন, তাহা হইলে উক্ত সকল পণ্য আটককৃত স্থানের নিকটতম কাস্টমস গুদামে জমা প্রদানের জন্য বহন করিতে হইবে।
(৩) যদি সুবিধাজনক দূরত্বে কোনো কাস্টমস গুদাম না থাকে, তাহা হইলে উক্তরূপ জব্দকৃত পণ্য জমা প্রদানের জন্য কমিশনার অব কাস্টমস কর্তৃক নির্ধারিত নিকটতম স্থানে উক্ত পণ্য জমা করিতে হইবে।
(৪) যদি কমিশনার অব কাস্টমস অথবা তাহার দ্বারা এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার বিবেচনায় কোনো পণ্য পচনশীল অথবা দ্রুত অবনতিশীল হয়, তাহা হইলে তিনি উহা ধারা ২৩৭ এর বিধানাবলি অনুসারে অবিলম্বে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করিবেন এবং মামলার ন্যায়নির্ণয়ন অনিষ্পন্ন থাকা পর্যন্ত বিক্রয়লব্ধ অর্থ জমা রাখার ব্যবস্থা করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, কোনো আইনগত কার্যধারার অথবা এই আইনের অন্য কোনো উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, যে ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত হয় সেই ক্ষেত্রে যথাযথ শনাক্তকরণ চিহ্নসহ উক্ত পণ্যের নমুনা সংরক্ষণ করা যাইবে।
(৫) যদি উক্ত ন্যায়নির্ণয়নের পর দেখা যায় যে, উক্তরূপ বিক্রয়কৃত পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য ছিল না, তাহা হইলে ধারা ২৩৭ এর বিধান অনুসারে সকল শুল্ক, কর অথবা অন্যান্য পাওনা প্রয়োজনীয় কর্তনের পর বিক্রয়লব্ধ অবশিষ্ট অর্থ মালিককে ফেরত প্রদান করা হইবে।
১৯৩। (১) এই আইনের অধীনে বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো জিনিসপত্র যখন কোনো পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক চোরাই মাল সন্দেহে জব্দ করা হয় তখন তিনি যে থানায় অথবা আদালতে উক্ত জিনিসপত্র চুরি হওয়া বা উক্তরূপ জব্দকরণ সম্পর্কিত অভিযোগ দায়ের করেন অথবা যেস্থানে চুরি বা উক্তরূপ জব্দকরণ সম্পর্কে কোনো তদন্ত চলমান থাকে, সেই থানা বা আদালতে উহা হেফাজত করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট অভিযোগ খারিজ না হওয়া পর্যন্ত বা তদন্ত অথবা উহা হইতে উদ্ভূত কোনো বিচার সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উক্তস্থানে উহা আটক রাখিতে পারিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রত্যেক ক্ষেত্রে জিনিসপত্র জব্দকারী পুলিশ কর্মকর্তা উহাদের জব্দকরণের এবং আটক রাখিবার একটি লিখিত নোটিশ নিকটতম কাস্টমস গুদামে প্রেরণ করিবেন এবং অভিযোগ খারিজ অথবা তদন্ত বা বিচার সমাপ্ত হওয়ার অব্যবহিত পর উক্ত জিনিসপত্র নিকটতম কাস্টমস গুদামে বহন এবং জমাদানের ব্যবস্থা করাইবেন, যাহাতে আইন অনুসারে যথাযথ কার্যধারা গ্রহণের জন্য উহা উক্ত স্থানে রক্ষিত থাকে।
১৯৪। এই আইনের অধীনে কোনো কিছু জব্দ বা কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হইলে, উক্তরূপ জব্দকারী বা গ্রেফতারকারী কর্মকর্তা অথবা ব্যক্তি জব্দ বা গ্রেফতার করিবার সময়ে উক্তরূপ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে বা যে ব্যক্তির দখল হইতে জিনিসপত্র জব্দ করা হইয়াছে তাহাকে উক্ত জব্দ বা গ্রেফতারের কারণ সম্পর্কে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন এবং কোনো কিছু জব্দ করিবার ক্ষেত্রে যে ব্যক্তির দখল হইতে উহা জব্দ করা হইয়াছে তাহাকে এতদ&সংশ্লিষ্ট একটি ইনভেন্টরি প্রদান করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি জব্দ করিবার সময়ে উক্ত ইনভেন্টরি প্রদান করা সম্ভবপর না হয়, তাহা হইলে জব্দ করিবার তারিখ হইতে ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে উহা প্রদান করিতে হইবে।
১৯৫। (১) কমিশনার অব কাস্টমস হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা অথবা এতদ্বিষয়ে সরকারের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মকর্তা স্থল, জল, আকাশ বা সমুদ্রপথে বাংলাদেশে আনীত কোনো মোড়ক আটক করিতে পারিবেন, যদি তিনি সন্দেহ পোষণ করেন যে উহাতে,-
(ক) Printing Presses and Publications (Declaration and Registration) Act, 1973 (Act No. XXIII of 1973) অনুযায়ী কোনো নিষিদ্ধ খবরের কাগজ বা পুস্তক রহিয়াছে; অথবা
(খ) রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক বা রাষ্ট্রবিরোধী তথ্য বা বস্তু সম্বলিত দলিলপত্র মোড়কজাত অবস্থায় রহিয়াছে,-
যাহার প্রকাশনা দণ্ডবিধির ধারা ১২৩ এ বা, ক্ষেত্রমত, ১২৪ এ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য, তাহা হইলে তিনি উক্ত মোড়ক এতদ্বিষয়ে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন মোড়ক আটককারী কোনো কর্মকর্তা, যে ক্ষেত্রে সম্ভব, অবিলম্বে উক্ত মোড়কের প্রাপক অথবা গ্রহীতার নিকট ডাকযোগে উক্ত আটকের ঘটনা সম্বলিত নোটিশ প্রেরণ করিবেন।
(৩) সরকার উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত মোড়কের ভিতরের সকল বিষয়বস্তু পরীক্ষা করাইবেন এবং যদি সরকারের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত মোড়কে উক্ত উপ- ধারায় উল্লিখিত খবরের কাগজ, পুস্তক বা দলিলপত্র রহিয়াছে, তাহা হইলে সরকার যেরূপ যথাযথ বিবেচনা করিবে সেইরূপে উহা বিলিবন্দেজ করিবার জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, এবং উক্তরূপ প্রতীয়মান না হইলে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীনে উহা আটকযোগ্য না হইলে, মোড়কসহ উহার অভ্যন্তরস্থ বস্তুসমূহ ছাড় প্রদান করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার বিধানাবলির অধীন আটককৃত কোনো মোড়কের বিষয়ে আগ্রহী কোনো ব্যক্তি উহা ছাড় করাইবার জন্য উক্তরূপ আটকাদেশের তারিখ হইতে ২ (দুই) মাসের মধ্যে সরকারের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন, এবং সরকার উক্ত আবেদনপত্র বিবেচনা করত যেরূপ যথাযথ বিবেচনা করিবে, উহার উপর সেইরূপ আদেশ প্রদান করিবে:
আরও শর্ত থাকে যে, যদি উক্ত আবেদনপত্র সরকার কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়, তাহা হইলে আবেদনকারী আবেদনপত্রটি প্রত্যাখ্যাত হইবার তারিখ হইতে ২ (দুই) মাসের মধ্যে মোড়কটি অথবা উহার ভিতরের বস্তুসমূহ খালাসের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করিতে পারিবেন।
(৪) উপ-ধারা (৩) এর দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত বিধান ব্যতীত, এই ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশ বা গৃহীত কোনো কার্যক্রমের বিষয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
ব্যাখ্যা।- এই ধারায় “দলিলপত্র” অর্থে কোনো লেখা, চিত্র, উৎকীরণ, অঙ্কন বা আলোকচিত্র অথবা অন্য কোনো দৃশ্যমান প্রতীকও অন্তর্ভুক্ত হইবে।
১৯৬। ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৯৯ডি হইতে ৯৯এফ এ বর্ণিত পদ্ধতিতে, উক্ত কার্যবিধির ধারা ৯৯সি এর বিধান অনুযায়ী গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ বেঞ্চ কর্তৃক এই আইনের ধারা ১৯৫ এর উপ- ধারা (৩) এর দ্বিতীয় শর্তাংশের অধীন পেশকৃত প্রতিটি আবেদনপত্রের উপর শুনানি গ্রহণ এবং নিষ্পত্তি করা হইবে।
১৯৭। কোনো পণ্য কোনো বিদেশি ভূখণ্ড হইতে স্থলপথে আমদানি করা হইয়াছে বলিয়া অথবা উক্ত ভূখণ্ডে রপ্তানি হইতে পারে বলিয়া বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকিলে যথাযথ কর্মকর্তা উক্ত পণ্যের তত্ত্বাবধানকারী ব্যক্তিকে ধারা ৯২ এর অধীন পণ্য ছাড়ের আদেশ দাখিল করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার কোনো কিছুই ধারা ৮ এর দফা (গ) এর অধীন নির্ধারিত রুটে বিদেশি সীমান্ত হইতে কোনো অভ্যন্তরীণ কাস্টমস স্টেশনে আমদানিকৃত পণ্য চলাচলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না:
আরও শর্ত থাকে যে, বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, এই ধারার বিধানাবলি বিদেশি সীমান্তের সহিত সংযুক্ত কোনো বিশেষ এলাকায় কোনো নির্ধারিত বর্ণনার অথবা মূল্যের পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
১৯৮। যদি কোনো কাস্টমস বা পুলিশ কর্মকর্তা বা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কোনো সদস্যের সন্দেহ করিবার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, কোনো পণ্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অথবা বাংলাদেশ হইতে বাহিরে চোরাচালানের বা চোরাচালানের অভিপ্রায়ে অথবা অভিসন্ধির সহিত সম্পৃক্ত কোনো সংকেত বা সংবাদ কোনো যানবাহন, গৃহ বা স্থানে প্রস্তুত অথবা উক্ত স্থান হইতে প্রেরণ করা হইতেছে অথবা প্রস্তুত বা প্রেরণের উপক্রম হইতেছে, তাহা হইলে তিনি উক্ত যানবাহনে আরোহণ বা উক্ত গৃহে অথবা স্থানে প্রবেশ করিতে পারিবেন এবং সংকেত বা সংবাদটি প্রস্তুত বা প্রেরণ বন্ধ অথবা নিরোধ করিবার জন্য যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারিবেন।
১৯৯। (১) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কর্মকর্তা যদি উপযুক্ত বিবেচনা করেন, তাহা হইলে তিনি বাংলাদেশের সীমান্তের ৮ (আট) কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কোনো কারখানা বা ইমারতে কোনো কাস্টমস কর্মকর্তাকে ইহা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে মোতায়েন করিতে পারিবেন যেন উক্ত কারখানা বা ইমারতটি কোনো অবৈধ বা অনিয়মিত পণ্য আমদানি বা রপ্তানির জন্য কোনোভাবে ব্যবহৃত না হয়।
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন মোতায়েনকৃত কর্মকর্তার যে কোনো যুক্তিসঙ্গত সময়ে সংশ্লিষ্ট কারখানার রেকর্ডপত্র অথবা ইমারতে পরিচালিত ব্যবসা পরিদর্শন করিবার ক্ষমতাসহ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত, অন্যান্য ক্ষমতা থাকিবে।
২০০। (১) বোর্ড কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত, বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাসমূহে এই ধারা প্রযোজ্য হইবে।
(২) এই ধারা যে এলাকায় প্রযোজ্য হইবে, সেই এলাকায় কোনো ব্যক্তি সরকার কর্তৃক অথবা সরকার হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত পণ্য বা পণ্যশ্রেণির ক্ষেত্রে প্রদত্ত পারমিট ব্যতীত সরকার কর্তৃক গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ বা মূল্যের অতিরিক্ত কোনো পণ্য অথবা পণ্যশ্রেণি স্বীয় দখলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারিবেন না।
২০১। যদি দুই অথবা ততোধিক ব্যক্তিকে সঙ্গী হিসাবে একত্রে পাওয়া যায় এবং তাহাদের বা তাহাদের যে কোনো একজনের নিকট এই আইনের অধীন কোনো বাজেয়াপ্তযোগ্য পণ্য পাওয়া যায়, তাহা হইলে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে জ্ঞাত রহিয়াছেন এইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তি উক্ত অপরাধে দোষী হইবেন এবং উহা এই আইনের বিধান অনুযায়ী এইরূপে শাস্তিযোগ্য হইবে, যেন উক্ত পণ্য উক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে পাওয়া গিয়াছে।
২০২। (১) এই আইনের অধীন পণ্য বাজেয়াপ্ত ও জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্মকর্তাগণের অধিক্ষেত্র এবং ক্ষমতা হইবে নিম্নরূপ, যথা :-
টেবিল
নং |
মামলার প্রকৃতি |
কর্মকর্তাগণের পদবি |
অধিক্ষেত্র ও ক্ষমতা |
(১) |
(২) |
(৩) |
(৪) |
১। |
পণ্য বাজেয়াপ্তকরণ বা জরিমানা আরোপ অথবা উভয় ক্ষেত্রে ন্যায়নির্ণয়ন। |
কমিশনার অব কাস্টমস, কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড) এবং ডিরেক্টর জেনারেল (কাস্টমস রেয়াত ও প্রত্যর্পণ) |
পণ্যের মূল্য ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকার অধিক।
|
অ্যাডিশনাল কমিশনার অব কাস্টমস |
পণ্যের মূল্য অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা। |
||
জয়েন্ট কমিশনার অব কাস্টমস |
পণ্যের মূল্য অনধিক ৩০ (ত্রিশ)লক্ষ টাকা। |
||
ডেপুটি কমিশনার অব কাস্টমস |
পণ্যের মূল্য অনধিক ২০ (বিশ)লক্ষ টাকা। |
||
অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস |
পণ্যের মূল্য অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা। |
||
রাজস্ব কর্মকর্তা |
পণ্যের মূল্য অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা। |
||
২। |
কাস্টমস হাউস এবং কাস্টমস স্টেশনসমূহে কার্গো ঘোষণায় উল্লিখিত কোনো পণ্য পাওয়া না যাওয়া বা কম পাওয়ার ক্ষেত্রে ন্যায়নির্ণয়ণ, যাহাতে কেবল ধারা ১৭১ এর উপ- ধারা (১) এর টেবিলের কলাম (১) এর ক্রমিক নম্বর ১১ এর বিপরীতে, যথাক্রমে, কলাম (৩) ও (৪) এর এন্ট্রি (৩) এর অধীন জরিমানা আরোপণীয়। |
কাস্টমস হাউস অথবা, ক্ষেত্রমত, কাস্টমস স্টেশনে কার্গো ঘোষণার ছাড়করণের দায়িত্বে ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি কমিশনার অব কাস্টমস অথবা অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস । |
পণ্যের মূল্য সীমাহীন। |
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত টেবিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো বিশেষ কর্মকর্তার অথবা কোনো শ্রেণির কর্মকর্তার অধিক্ষেত্র এবং ক্ষমতা হ্রাস বা বৃদ্ধি করিতে পারিবে।
(৩) বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে ক্ষেত্রে উপ- ধারা (১) এর টেবিলে অধিক্ষেত্র এবং ক্ষমতা প্রদর্শিত হয় নাই, সেই ক্ষেত্রে যে কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার উপর অধিক্ষেত্র নির্ধারণ এবং ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে।
1[(৪) উচ্চতর পদে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপ-ধারা (১) এর টেবিলে উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট উচ্চতর পদের জন্য নির্ধারিত ন্যায়নির্ণয়ন ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।]
২০৩। এই আইনের অধীন কোনো পণ্য বাজেয়াপ্তকরণ অথবা কোনো ব্যক্তির উপর জরিমানা আরোপের কোনো আদেশ প্রদান করা যাইবে না, যদি না পণ্যের মালিককে, যদি থাকেন, অথবা উক্ত ব্যক্তিকে,-
(ক) যে কারণের উপর ভিত্তি করিয়া পণ্য বাজেয়াপ্ত বা জরিমানা আরোপের প্রস্তাব করা হয় তাহা লিখিতভাবে অথবা, যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি লিখিত সম্মতি প্রদান করেন,
(খ) প্রস্তাবিত ব্যবস্থা গ্রহণের বিরুদ্ধে যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে লিখিতভাবে অথবা, যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ইহা প্রদানের জন্য তাহার অগ্রাধিকারের বিষয়ে লিখিতভাবে অবহিত করেন, তাহা হইলে মৌখিকভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের সুযোগ প্রদান করা হয়; এবং
(গ) ব্যক্তিগতভাবে বা কোনো পরামর্শকের মাধ্যমে অথবা যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে শুনানির সুযোগ প্রদান করা হয়:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত পণ্যের মালিক অথবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অপরাধ স্বীকার করিলে, প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে তাহার আপিলের অধিকার ক্ষুণ্ন না করিয়া, তাহাকে কারণ দর্শানো নোটিশ জারি ব্যতীত প্রদত্ত কোনো আদেশ গ্রহণ করিতে সম্মত রহিয়াছেন মর্মে লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে কোনো পণ্য বাজেয়াপ্ত করিয়া, অথবা কোনো ব্যক্তির উপর কোনো জরিমানা আরোপ করিয়া, প্রদত্ত আদেশের ক্ষেত্রে, এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
২০৪। (১) প্রতারণা হইতে উদ্ভূত অপরাধ ব্যতীত, এই আইনের অধীন, কোনো জরিমানা আরোপ বা পণ্য বাজেয়াপ্ত সংক্রান্ত কোনো আদেশ প্রদান করা যাইবে না, যদি না সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটিবার তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসরের মধ্যে ধারা ২০৩ এর অধীন প্রয়োজনীয় নোটিশ জারি করা হয়:
তবে শর্ত থাকে যে, জরিমানার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাংলাদেশে অনুপস্থিতি এবং বাজেয়াপ্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্য লুকাইয়া রাখিবার ক্ষেত্রে উক্তরূপভাবে তামাদি গণনা প্রযোজ্য হইবে না।
(২) ধারা ৩৩ এ উল্লিখিত ক্ষেত্র ব্যতীত, শুল্ক, কর ও চার্জ দাবির ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসর অতিক্রান্ত হইবার পর, কোনো শুল্ক ও কর বা অন্যান্য চার্জের জন্য দাবিনামা জারি বা বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা যাইবে না।
ব্যাখ্যা।- এই উপ- ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, “প্রাসঙ্গিক তারিখ” অর্থ-
(ক) ধারা ৯৩ এর অধীন শুল্ক ও কর সাময়িকভাবে নিরূপিত হইলে, চূড়ান্ত শুল্ক নিরূপণের পর শুল্ক সমন্বয় করিবার তারিখ;
(খ) শুল্ক ও কর বা অন্যান্য চার্জ ভুলক্রমে ফেরত প্রদান করিবার ক্ষেত্রে, উহা ফেরত প্রদানের তারিখ; এবং
(গ) অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে, পণ্য ছাড়ের তারিখ।
(৩) যদি ধারা ১৭১ এর উপ- ধারা (১) এর টেবিলের কলাম (১) এর ক্রমিক নম্বর ৯ এর বিপরীতে কলাম (৩) এর এন্ট্রিতে উল্লিখিত কোনো অসত্য বিবৃতির কারণে কোনো শুল্ক ও কর বা অন্যান্য চার্জ আরোপ না করা বা কম আরোপ করা বা ভুলক্রমে ফেরত প্রদান করিবার জন্য এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়, তাহা হইলে এই ধারার অধীন নোটিশ জারির ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা থাকিবে না।
২০৫। (১) এই আইনের অধীন কোনো পণ্য বাজেয়াপ্তকরণের আদেশ প্রদানকারী কর্মকর্তা পণ্য বাজেয়াপ্তির পরিবর্তে যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবেন পণ্যের মালিককে সেইরূপ জরিমানা পরিশোধ করিবার জন্য ঐচ্ছিক বিকল্পের সুযোগ প্রদান করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত জরিমানার পরিমাণ এই আইনের ত্রয়োবিংশ অধ্যায়ে সংশ্লিষ্ট অপরাধের বিপরীতে আরোপযোগ্য জরিমানার পরিমাণ হইতে অধিক হইবে না।
(২) এই ধারার কোনো কিছুই কোনো আইনের দ্বারা অথবা অধীন আমদানি নিষিদ্ধ কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না।
(৩) এই ধারার অধীন পণ্য বাজেয়াপ্তির পরিবর্তে আরোপিত কোনো জরিমানা উক্ত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রদেয় কোনো শুল্ক ও চার্জ এবং পণ্য বাজেয়াপ্তির জন্য অতিরিক্ত কোনো জরিমানা আরোপিত হইয়া থাকিলে উহা তাহার অতিরিক্ত হইবে।
২০৬। এই আইনের অধীন কোনো পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হইলে উহা অবিলম্বে সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে এবং বাজেয়াপ্তি আদেশ প্রদানকারী কর্মকর্তা বাজেয়াপ্ত পণ্য গ্রহণ করিবেন এবং দখলে লইবেন।
২০৭। (১) কোনো যানবাহন বন্দর ছাড়পত্র বা লিখিত অনুমতি ব্যতীত প্রস্থান করিলে অথবা, জাহাজের ক্ষেত্রে, ধারা ১৩ এর অধীন নিযুক্ত কোনো স্টেশনে উহা আনয়ন করিতে নির্দেশ প্রদানের পর উহা আনয়ন করিতে ব্যর্থ হইলে, সংশ্লিষ্ট যানবাহনের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে জরিমানা আরোপিত হইবে, উহার ন্যায়নির্ণয়ন উক্ত যানবাহন যে কাস্টমস স্টেশনে অগ্রসর হয় অথবা যেস্থানে উহা অবস্থান করে সেই স্থানের যথাযথ কর্মকর্তা করিতে পারিবেন।
(২) যে কাস্টমস স্টেশন হইতে যানবাহনটি উক্তরূপে প্রস্থান করিয়াছে বলিয়া বর্ণিত হয় সেই স্টেশনের উপযুক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত বলিয়া দাবিকৃত কোনো প্রত্যয়নপত্র, উক্ত প্রস্থান অথবা আনয়নে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে বর্ণিত ঘটনার দৃশ্যমান প্রমাণ হিসাবে গণ্য হইবে।
২০৮। ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ২৬০ এর উপ- ধারা (১) এ বর্ণিত অপরাধসমূহ সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার করিবার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপযুক্ত বিবেচনা করিলে, বাদীর আবেদনক্রমে, এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ, সংশ্লিষ্ট পণ্যের মূল্য ৫ (পাঁচ) হাজার টাকার অধিক না হইলে, উক্ত কার্যবিধির ধারা ২৬২ এর উপ- ধারা (১) এবং ধারা ২৬৩, ২৬৪ ও ২৬৫ এর বিধানাবলি অনুসারে সংক্ষিপ্ত বিচার করিতে পারিবেন।
২০৯। ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, এই আইনের অধীন যে কোনো মেয়াদের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড প্রদান করিতে পারিবেন।
২১০। (১) যখন কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে, ক্ষেত্রমত, জরিমানা বা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয় অথবা কোনো জরিমানা বা অর্থদণ্ড আরোপ বিবেচনাধীন থাকে তখন উক্ত জরিমানা বা অর্থদণ্ড পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত মালিক কর্তৃক উক্ত পণ্য অপসারণ করা যাইবে না।
(২) যখন কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে কোনো জরিমানা বা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়, তখন উক্ত জরিমানা বা অর্থদণ্ড পরিশোধ অনিষ্পন্ন থাকিলে যথাযথ কর্মকর্তা একই মালিকের মালিকানাধীন অন্য কোনো পণ্য আটক করিতে পারিবেন।
২১১। যখন কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত করিয়াছেন বলিয়া অভিযোগ করা হয় এবং প্রশ্ন উত্থাপিত হয় যে বৈধ কর্তৃত্ববলে অথবা আপাতত বলবৎ কোনো আইনের দ্বারা অথবা অধীন নির্ধারিত কোনো পারমিট, লাইসেন্স অথবা অন্য কোনো দলিলপত্রবলে তিনি কোনো কার্য করিয়াছেন কিনা অথবা কোনো কিছুর দখলে রহিয়াছিলেন কিনা, তখন উক্তরূপ কর্তৃত্ব, পারমিট, লাইসেন্স অথবা দলিলপত্র যে তাহার দখলে ছিল উহা প্রমাণের দায়ভার তাহার উপর বর্তাইবে।
২১২। যে ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো দলিলপত্র উপস্থাপন করেন অথবা কোনো ব্যক্তির তত্ত্বাবধান বা নিয়ন্ত্রণ হইতে কোনো দলিলপত্র আটক করা হয়, এবং উক্ত দলিলপত্র অভিযোগকারী কর্তৃক উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসাবে পেশ করা হয়, সেইক্ষেত্রে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট,-
(ক) উক্ত ব্যক্তি উহার বিপরীতে কিছু প্রমাণ করিতে না পারিলে,-
(অ) উক্ত দলিলপত্রের বিষয়বস্তু সত্য বলিয়া গণ্য করিবেন;
(আ) উক্ত দলিলপত্রের স্বাক্ষর এবং প্রতিটি অংশ, যাহা কোনো বিশেষ ব্যক্তির হাতে লিখিত বলিয়া মনে করা হয় বা যাহা কোনো বিশেষ ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষরিত বা হস্তলিখিত বলিয়া যুক্তিসঙ্গত ভাবে অনুমান করেন, তাহা উক্ত ব্যক্তির হাতের লেখা বলিয়া গণ্য করিবেন, এবং কোনো দলিলপত্র সম্পাদন বা সত্যায়নের ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি উহা সম্পাদন বা সত্যায়িত করিয়াছেন বলিয়া মনে করা হয় সেই ব্যক্তি কর্তৃক উহা সম্পাদিত বা সত্যায়িত হইয়াছে বলিয়া গণ্য করিবেন;
(খ) যথাযথভাবে স্ট্যাম্পযুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও উক্ত দলিলপত্র যদি অন্যভাবে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রাহ্য হয়, তাহা হইলে উহা সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করিবেন।
২১৩। (১) চোরাচালানের অপরাধে কোনো ব্যক্তির দণ্ডাদেশ হইবার পর সরকার তাহাকে তাহার ব্যবসাস্থলের, যদি থাকে, ভিতরে বা বাহিরে অথবা ভিতর এবং বাহির উভয় দিকে দণ্ডাদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে কমপক্ষে ৩ (তিন) মাসকাল অব্যাহতভাবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নম্বর, আয়তন ও অক্ষরে দণ্ডাদেশ সম্পর্কিত তথ্য সম্বলিত নোটিশ প্রদর্শন করিতে বাধ্য করিতে পারিবে।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি এই আইনের অধীন প্রথম যে অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইয়াছেন সেই অপরাধের অনুরূপ প্রকৃতির আরও একটি অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
(৩) যদি দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন করিতে অস্বীকার করেন বা ব্যর্থ হন, তাহা হইলে এতদ্বিষয়ে সরকারের লিখিত আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোনো কর্মকর্তা উক্তরূপ কোনো অস্বীকৃতি বা ব্যর্থতার ক্ষেত্রে যে কার্যধারা গ্রহণ করা হইতে পারে তাহা ক্ষুণ্ন না করিয়া উপ- ধারা (১) এর বিধান অনুসারে উক্ত ব্যক্তির ব্যবসাস্থলের ভিতরে অথবা বাহিরে অথবা ভিতর অথবা বাহির উভয় দিকে নোটিশ আঁটাইয়া দিতে পারিবেন।
(৪) যদি কোনো ক্ষেত্রে সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উপ- ধারা (১) বা (৩) এর বিধান অনুযায়ী নোটিশসমূহের প্রদর্শনীতে দণ্ডিত ব্যক্তির দণ্ডাদেশ সম্পর্কিত তথ্য উক্ত ব্যক্তির কারবারে জড়িত অন্যান্যদের ফলপ্রসূভাবে নজরে আসিবে না, তাহা হইলে সরকার উক্ত বাধ্যবাধকতার পরিবর্তে অথবা ইহার অতিরিক্ত হিসাবে দণ্ডিত ব্যক্তিকে তাহার ব্যবসায়ে ব্যবহৃত দ্রব্যাদিতে নির্ধারিত নম্বর, আয়তন ও অক্ষরে দণ্ডাদেশের বিবরণ সম্বলিত মুদ্রিত একটি নোটিশ অন্যূন ৩ (তিন) মাস সময়ের জন্য প্রদর্শন করিতে বাধ্য করিতে পারিবে।
(৫) কোনো ব্যক্তি উপ- ধারা (৪) এ উল্লিখিত বাধ্যবাধকতা প্রতিপালনে ব্যর্থ হইলে, তিনি এই আইনের অধীন প্রথম যে অপরাধে দণ্ডিত হইয়াছিলেন, তাহার অনুরূপ প্রকৃতির আরও একটি অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
২১৪। সরকার যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, এই আইনের অধীন চোরাচালান সম্পর্কিত অপরাধে কোনো ব্যক্তির দণ্ডাদেশ এবং এতদ&সম্পর্কিত বিবরণ প্রকাশ করা আবশ্যক তাহা হইলে উহা সরকারি গেজেটে প্রকাশ করিতে পারিবে।
২১৫। (১) এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনের অথবা উক্তরূপ কোনো অপরাধ সংঘটনের কোনো চেষ্টা বা সম্ভাব্য চেষ্টা কোনো ব্যক্তি জ্ঞাত হইলে তিনি উক্ত সংবাদ যথাশীঘ্র সম্ভব নিকটতম কাস্টমস স্টেশনের অথবা কাস্টমস দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট অথবা যদি এইরূপ কোনো কাস্টমস স্টেশন বা কাস্টমস দপ্তর না থাকে, তাহা হইলে নিকটতম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে সংবাদ প্রদান করিবেন।
(২) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো সংবাদ প্রাপ্ত হইলে, যথাশীঘ্র সম্ভব, উহা নিকটতম কাস্টমস স্টেশনের অথবা কাস্টমস দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন।