প্রিন্ট ভিউ
সপ্তবিংশ অধ্যায়
বিবিধ
২৩৬। যথাযথ কর্মকর্তা আমদানি বা রপ্তানির জন্য কাস্টমস স্টেশনে আনয়ন করা কোনো পণ্যের যে কোনো মোড়ক বা কন্টেইনার খুলিতে এবং যে কোনো পণ্য পরীক্ষা, ওজন অথবা তিনি যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপ পরিমাণ বা সম্পূর্ণ পণ্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে, স্থানে ও সময়ে পরিমাপ এবং আটক করিতে পারিবেন এবং এতদুদ্দেশ্যে যে যানবাহনে পণ্য আমদানি করা হইয়াছে বা রপ্তানি করা হইবে উহা হইতে উক্ত পণ্য নামাইতে পারিবেন।
২৩৭। (১) যে ক্ষেত্রে বাজেয়াপ্তকৃত পণ্য ব্যতীত অন্য কোনো পণ্য এই আইনের অধীনে বিক্রয় করিতে হইবে, সেইক্ষেত্রে উহা মালিককে যথাযথ নোটিশ প্রদান করিয়া প্রকাশ্য নিলামে বা টেন্ডারের মাধ্যমে অথবা ব্যক্তিগত প্রস্তাবের মাধ্যমে বা মালিকের লিখিত সম্মতিক্রমে অন্য কোনো পদ্ধতিতে বিক্রয় করা হইবে।
(২) বিক্রয়লব্ধ অর্থ নিম্নবর্ণিত ক্রমানুসারে বিলিবন্দেজ করা হইবে, যথা:-
(ক)বিক্রয়ের উদ্দেশ্য ব্যয়িত অর্থ পরিশোধ;
(খ) পণ্যের উপর প্রদেয় ফ্রেইট অথবা অন্যান্য চার্জসমূহ, যদি থাকে, পরিশোধ, যদি পণ্যের তত্ত্বাবধানকারী ব্যক্তির নিকট উক্ত চার্জসমূহ সম্পর্কে নোটিশ প্রদান করা হইয়া থাকে;
(গ) উক্ত পণ্যের উপর সরকারকে প্রদেয় কাস্টমস শুল্ক, অন্যান্য কর এবং পাওনা পরিশোধ; এবং
(ঘ) উক্ত পণ্যের হেফাজতকারী বা জিম্মাদার (custodian) ব্যক্তির পাওনা চার্জসমূহ পরিশোধ।
(৩) অবশিষ্ট, যদি থাকে, পণ্যের মালিককে এই শর্তে প্রদান করা হইবে যে, পণ্য বিক্রয়ের ৩ (তিন) বৎসরের মধ্যে তিনি উহার জন্য আবেদন করিবেন অথবা উক্তরূপ না করিবার জন্য পর্যাপ্ত কারণ দর্শাইবেন।
২৩৮। (১) যখন কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো আমদানি শুল্ক ও কর এই আইনের অধীন সরকারকে প্রদেয় হয় অথবা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো জরিমানা আরোপিত হয় বা কোনো ব্যক্তির উপর আমদানি শুল্ক ও কর, জরিমানা হিসাবে প্রদেয় অপরিশোধিত কোনো অর্থ অথবা এই আইন, বিধি বা আদেশের অধীন সম্পাদিত কোনো বন্ড, সিকিউরিটি, গ্যারান্টি অথবা অন্য কোনো ইন্সট্রুমেন্টের অধীন প্রদেয় কোনো অপরিশোধিত অর্থ পরিশোধের আহ্বান জানাইয়া কোনো দাবিনামা জারি করা হয় এবং উক্ত আমদানি শুল্ক, কর, জরিমানা বা অন্যান্য পাওনা উহা পরিশোধের জন্য নির্ধারিত অথবা নির্দেশিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা না হয় তখন যথাযথ কর্মকর্তা যে কোনো সময়ে-
(ক) উক্ত কর্মকর্তা বা সরকারের কর্তৃত্বাধীন, নিষ্পন্নাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিতে পারে উক্ত ব্যক্তির এইরূপ প্রাপ্য বা পাওনা অর্থ কর্তন করিতে পারিবেন বা কর্তন করিতে অন্য কোনো কাস্টমস কর্মকর্তাকে বাধ্য করিতে পারিবেন;
(খ) উক্ত অর্থ সম্পূর্ণ পরিশোধ বা আদায় না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো পণ্য সমুদ্র বন্দর, বিমানবন্দর, অন্য কোনো কাস্টমস স্টেশন অথবা বন্ডেড ওয়্যারহাউসে কাস্টমসের নিয়ন্ত্রণ হইতে খালাস বন্ধ করিতে পারিবেন;
(গ) যে ব্যক্তির নিকট হইতে উক্ত আমদানি শুল্ক ও কর, জরিমানা বা অন্য কোনো অর্থ- আদায়যোগ্য বা পাওনা হয়, তিনি অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট কোনো অর্থ পাওনা থাকিলে শেষোক্ত ব্যক্তিকে লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া উহা হইতে নোটিশে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ বা উহা আদায়যোগ্য বা পাওনা অর্থের পরিমাণ হইতে কম হইলে উক্তরূপ অর্থের সম্পূর্ণ পরিমাণ নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অথবা উক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত বর্ধিত সময়ের মধ্যে উক্ত কর্মকর্তার নিকট পরিশোধের জন্য বাধ্য করিতে পারিবেন;
(ঘ) উক্ত ব্যক্তির মালিকানাধীন এক্সাইজ শুল্কযোগ্য বা মূল্য সংযোজন করযোগ্য পণ্য অথবা পণ্য প্রস্তুতকরণে ব্যবহৃত কোনো স্থাপনা, যন্ত্রপাতি এবং সাজসজ্জা অথবা ফ্যাক্টরি বা বন্ডেড ওয়্যারহাউসে রক্ষিত অন্য কোনো পণ্য ক্রোক এবং বিক্রয়পূর্বক আদায় করিতে যথাযথ এক্সাইজ কর্মকর্তা এবং মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাধ্য করিতে পারিবেন;
(ঙ) উক্ত ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো পণ্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকিলে উহা আটক এবং বিক্রয় করিয়া উক্ত অর্থ আদায় করিতে অথবা অন্য কোনো কাস্টমস কর্মকর্তাকে আদায়ের ব্যবস্থা করিবার জন্য বাধ্য করিতে পারিবেন;
(চ) যে ব্যক্তির নিকট উক্ত আমদানি শুল্ক ও কর বা জরিমানা বা অন্য কোনো অর্থ আদায়যোগ্য বা পাওনা হয় কোনো তফসিলি ব্যাংককে তাহার অর্থ জমা রহিয়াছে এইরূপ অ্যাকাউন্ট, নোটিশ প্রাপ্তির পর অবরুদ্ধ করিতে বা উহা অপরিচালনাযোগ্য করিতে লিখিত নোটিশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(২) দেওয়ানি কার্যবিধির অধীন অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতের যেরূপ ক্ষমতা রহিয়াছে, এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, বকেয়া কর আদায়ের উদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তার সেইরূপ ক্ষমতা থাকিবে।
২৩৯। যে ক্ষেত্রে এই আইন বা বিধির অধীন কোনো শুল্ক ও কর অথবা অন্য কোনো অর্থ কোনো ব্যক্তি কর্তৃক সরকারের নিকট পরিশোধযোগ্য হয় অথবা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো জরিমানা আরোপ করা হয় এবং উক্ত শুল্ক ও কর, জরিমানা অথবা অন্যান্য অর্থ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা না হয় এবং উক্ত ব্যক্তির দেউলিয়াত্বের বা নিখোঁজ হওয়ার বা অন্য কোনো কারণে উক্ত শুল্ক ও কর, জরিমানা বা অন্যান্য অর্থ ধারা ২৩৮ এ উল্লিখিত পদ্ধতিতে তাহার নিকট হইতে আদায় করা না যায় অথবা আদায়যোগ্য নহে, সেইক্ষেত্রে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত শুল্ক ও কর, জরিমানা বা অন্যান্য অর্থ সরকার যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করে সেইরূপ সমুদয় অথবা আংশিক অবলোপন করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকারি পাওনা অবলোপনের পর যদি প্রমাণ হয় যে, দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পত্তি নূতনভাবে উদ্ভব হইয়াছে বা ইতঃপূর্বে সরকারি অর্থের দায়- দেনা হইতে মুক্ত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান স্বীয় সম্পত্তি অসৎ উদ্দেশ্যে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হস্তান্তর করিয়া দেউলিয়া হইয়াছেন, তাহা হইলে উক্ত সম্পত্তির উপর সরকারি পাওনা আদায়ের নিমিত্তে অগ্রাধিকার সৃষ্টি হইবে এবং তাহা এমনভাবে আদায়যোগ্য হইবে যেন নূতনভাবে উদ্ভূত বা অসৎ উদ্দেশ্যে হস্তান্তরিত সম্পত্তির গ্রহীতার ওপর সরকারি পাওনা পরিশোধের সম্পূর্ণ দায়িত্ব অর্পিত হইয়াছে।
২৪০। কমিশনার অব কাস্টমস কর্তৃক, সময় সময়, নির্ধারিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পর, কোনো কাস্টম হাউস, কাস্টমস এলাকা, জেটি বা অন্য কোনো অনুমোদিত অবতরণ স্থান বা কাস্টমস হাউস অঙ্গনের কোনো অংশে রাখিয়া যাওয়া বা আটক রাখা পণ্য ফি পরিশোধের আওতাধীন হইবে, এবং তিনি উক্ত ফি এর পরিমাণ নির্ধারণ করিতে পারিবেন।
২৪১। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনকারী কোনো প্রতারণা করেন নাই বা তাহার প্রতারণা করিবার কোনো অভিপ্রায় নাই, তাহা হইলে কোনো ব্যক্তি আবেদন করিলে এবং বোর্ড কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে, উক্ত কর্মকর্তার ঐচ্ছিক বিবেচনায় তাহাকে কোনো সার্টিফিকেট, কার্গো ঘোষণা, পণ্য ঘোষণা অথবা অন্য কোনো কাস্টমস দলিলপত্রের সার্টিফিকেট বা অনুলিপি সরবরাহ করা যাইবে।
২৪২। সরকার, বোর্ড বা কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশে কোনো করণিক বা গাণিতিক ত্রুটি বা দুর্ঘটনাজনিত অসাবধানতা বা বিচ্যুতি হইতে উদ্ভূত ত্রুটি থাকিলে সরকার, বোর্ড বা উক্ত কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমত, তাহার স্থলাভিষিক্ত উত্তরসূরী, যে কোনো সময়ে, উক্ত ত্রুটি সংশোধন করিতে পারিবেন।
২৪৩। (১) লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ব্যক্তি কোনো কাস্টমস স্টেশনে কোনো যানবাহনের প্রবেশ বা উক্ত স্থান হইতে উহার প্রস্থান বা কোনো পণ্য আমদানি বা রপ্তানি অথবা ব্যাগেজ সম্পর্কিত কোনো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এজেন্ট হিসাবে কার্য সম্পাদন করিতে পারিবেন না।
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন লাইসেন্স প্রদানের পদ্ধতি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়সমূহ বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
২৪৪। (১) যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির পক্ষে কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার সঙ্গে কোনো নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনের অনুমতির জন্য উক্ত কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেন, তাহা হইলে তিনি আবেদনকারীকে যে ব্যক্তির পক্ষে কার্য সম্পাদন করা হইবে তাহার নিকট হইতে লিখিত ক্ষমতা প্রদান সংক্রান্ত দলিল দাখিল করিবেন এবং উক্ত ক্ষমতা প্রদান সংক্রান্ত দলিল দাখিল করিতে ব্যর্থ হইলে এইরূপ অনুমতি প্রদানে অসম্মতি প্রদান করিতে পারিবেন।
(২) কোনো ব্যক্তি বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের করণিক, কর্মচারী বা এজেন্ট উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাস্টম হাউসে কার্য সম্পাদন করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো সদস্য এইরূপ করণিক, কর্মচারী বা এজেন্টকে উক্ত কার্য সম্পাদনের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত যথাযথ কর্মকর্তার নিকট শনাক্ত না করিলে এবং এইরূপ করণিক, কর্মচারী বা এজেন্টকে উক্ত ব্যক্তি বা ফার্মের পক্ষে উক্ত কার্য সম্পাদনের ক্ষমতা প্রদান করিয়া লিখিত এবং যথাযথভাবে স্বাক্ষরিত লিখিত কর্তৃত্ব উপরি- উক্ত কর্মকর্তার নিকট জমা প্রদান না করিলে তিনি এইরূপ করণিক, কর্মচারী বা এজেন্টকে আমলে লইতে অস্বীকার করিতে পারিবেন।
২৪৫। (১) ধারা ২৪৩ ও ২৪৪ এর বিধানাবলি সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন কোনো পণ্যের মালিক কোনো কিছু করিতে বাধ্য বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইলে উক্ত মালিক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে, স্পষ্টভাবে বা অব্যক্তভাবে (in an implied manner), ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিও উহা করিতে বাধ্য বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইবেন।
(২) যদি উপ- ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো এজেন্ট কর্তৃক কোনো কিছু করা হয়, তাহা হইলে, ভিন্নরূপ কিছু প্রমাণিত না হইলে, যিনি উক্ত এজেন্টকে এইরূপ করিবার ক্ষমতা প্রদান করিয়াছেন, তাহার জ্ঞাতসারে ও সম্মতিক্রমে উহা করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন উক্ত কার্যধারার জন্য তিনি এইরূপে দায়ী হইবেন যেন তিনি নিজেই উহা করিয়াছেন।
(৩) এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, উপ- ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো এজেন্ট এর, যে ব্যক্তির নিকট হইতে এইরূপ ক্ষমতা প্রাপ্ত হন, সেই ব্যক্তির ন্যায় একই অধিকার, বাধ্যবাধকতা এবং দায় থাকিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে এজেন্টের ইচ্ছাকৃত কার্য, অবহেলা বা ত্রুটির কারণ ব্যতীত অন্য কোনো কারণে কোনো শুল্ক আরোপিত না হইয়া থাকে অথবা কম আরোপিত হয় বা ভুলক্রমে ফেরত প্রদত্ত হয়, সেইক্ষেত্রে এজেন্টের নিকট হইতে উক্ত শুল্ক আদায় করা হইবে না।
(৪) উপ- ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো এজেন্টকে এই আইনের অধীন প্রয়োজনীয় বা প্রদত্ত কোনো নোটিশ, যে ব্যক্তি উক্ত এজেন্টকে এইরূপ ক্ষমতা প্রদান করিয়াছেন, উক্ত ব্যক্তিকে উহা প্রদান করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি উক্ত এজেন্ট স্পষ্টভাবে বা অব্যক্তভাবে উক্ত নোটিশ গ্রহণের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়া থাকে।
২৪৬। (১) প্রত্যেক লাইসেন্সধারী, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক বা তাহাদের এজেন্ট বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের জন্য নথিপত্র সংরক্ষণ করিবেন বা করিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
(২) উপ- ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রত্যেক ব্যক্তি কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার নির্দেশিত মতে-
(ক) নথিপত্র এবং হিসাবপত্র কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করিবেন;
(খ) নথিপত্র এবং হিসাবপত্রের অনুলিপি প্রয়োজনমত সরবরাহ করিবেন; এবং
(গ) এই আইনের অধীন উদ্ভূত কোনো বিষয়ের সহিত সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক জিজ্ঞাসিত যে কোনো প্রশ্নের উত্তর প্রদান করিবেন।
(৩) যে ক্ষেত্রে উপ- ধারা (২) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইলেকট্রনিক বা অন্য কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে তথ্য লিপিবদ্ধ বা সংরক্ষণ করা হয় সেইক্ষেত্রে লাইসেন্সধারী, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক অথবা তাহাদের এজেন্ট কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার অনুরোধক্রমে উপ- ধারা (২) এর আবশ্যকতা পূরণকল্পে যন্ত্রটি পরিচালনা করিবেন অথবা করিবার ব্যবস্থা করিবেন।
(৪) উপ- ধারা (২) এবং উপ- ধারা (৩) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ধারা ১০০ এর অধীন নিয়োগকৃত অডিট এজেন্সি এবং উক্ত এজেন্সির কোনো কর্মচারী কাস্টমস কর্মকর্তা হিসাবে গণ্য হইবেন।
২৪৭। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ সীমান্ত বা উপকূল- রেখা হইতে ২৪ (চব্বিশ) কিলোমিটারের মধ্যে স্বর্ণ বা রৌপ্য বা মহামূল্যবান পাথরের ব্যবসা অথবা স্বর্ণ বা রৌপ্য বা মহামূল্যবান পাথরের তৈরী অলংকারের ব্যবসা বা উহাদের সহিত সম্পর্কিত ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে।
২৪৮। যদি কোনো ব্যক্তি কাস্টমসের উদ্দেশ্য পূরণের ইনভয়েস হিসাবে ব্যবহৃত অথবা ব্যবহারের অভিপ্রায়ে কোনো ইনভয়েস বা দলিলাদি জ্ঞাতসারে প্রস্তুত করেন বা বাংলাদেশে আনয়ন করেন অথবা উহা প্রস্তুত বা আনয়ন করিবার ব্যবস্থা বা কর্তৃত্ব প্রদান করেন অথবা উহার সহিত অন্যভাবে জড়িত থাকেন, যাহাতে কোনো পণ্য উহার জন্য প্রকৃত পরিশোধিত বা পরিশোধযোগ্য মূল্য অপেক্ষা অধিক বা কম মূল্যে ঘোষণা বা চার্জ করা হয় অথবা যাহাতে পণ্য অসত্যভাবে বর্ণিত হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি, তাহার প্রতিনিধি বা স্বত্বনিয়োগী কর্তৃক উক্ত পণ্যের মূল্য বাবদ বা উহার কোনো অংশ বাবদ কোনো অংকের অর্থ আদায়যোগ্য হইবে না, এবং উক্ত পণ্যের সম্পূর্ণ বা আংশিক মূল্যের জন্য প্রস্তুত, প্রদত্ত বা সম্পাদিত কোনো বিল অব এক্সচেঞ্জ, নোট বা অন্য জামানতের উপরেও কোনো অংকের অর্থ আদায়যোগ্য হইবে না, যদি না উক্ত বিল অব এক্সচেঞ্জ, নোট বা অন্য জামানত নোটিশ ব্যতীত বিবেচনার জন্য উহার প্রকৃত মালিকের আয়ত্বে থাকে।
২৪৯। যে ক্ষেত্রে কোনো পণ্যের মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে ওয়্যারহাউস হইতে শুল্ক পরিশোধ ব্যতীত উক্ত পণ্য অপসারণের সহিত জড়িত থাকার অপরাধে কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা দণ্ডিত হন, সেইক্ষেত্রে উক্ত পণ্যের উপর সম্পূর্ণ শুল্ক মওকুফ করা হইবে, এবং কমিশনার অব কাস্টমস উক্ত অপরাধের দ্বারা মালিকের যে ক্ষতিসাধিত হইয়াছে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী উহার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করিবেন।
২৫০। কোনো কাস্টমস হাউস, কাস্টমস এলাকা, ওয়ার্ফ অথবা অবতরণ স্থানে সংরক্ষিত বা বৈধভাবে আটক কোনো পণ্য কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকাকালে উহার কোনো ক্ষতি বা অনিষ্ট হইলে, উক্ত পণ্যের মালিক কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার নিকট হইতে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করিতে পারিবেন না, যদি না ইহা প্রমাণিত হয় যে, উক্ত কর্মকর্তার চরম অবহেলা বা কোনো ইচ্ছাকৃত কার্যের ফলে উক্ত ক্ষতি বা অনিষ্ট সংঘটিত হইয়াছে।
২৫১। এই আইনের অধীন কোনো আদেশ, সিদ্ধান্ত, সমন বা নোটিশ নিম্নবর্ণিতভাবে জারি করা যাইবে, যথা:-
(ক) যাহার জন্য অভিপ্রেত তাহাকে বা তাহার এজেন্টকে প্রদান করিয়া অথবা উহা তাহার বা তাহার এজেন্টের নিকট প্রাপ্তি স্বীকার সহকারে রেজিস্ট্রিকৃত ডাকযোগে প্রেরণ করিয়া; অথবা কাস্টমস হাউস বা কাস্টমস স্টেশনের নোটিশ বোর্ডে আঁটাইয়া দিয়া।
২৫২। বোর্ড বা সরকার কর্তৃক কাস্টমস শুল্ক বা কর ধার্য, আরোপ, অব্যাহতি, শুল্কায়ন বা আদায় সম্পর্কিত কোনো আদেশ বা, ক্ষেত্রমত, 1[সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশের বিপরীতে] কোনো দেওয়ানি আদালতে কোনো মামলা দায়ের করা যাইবে না।
২৫৩। এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীনে সরল বিশ্বাসে কৃত অথবা অভিপ্রেত কোনো কার্যের জন্য সরকার বা কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা অথবা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা দায়ের করা যাইবে না।
২৫৪। (১) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণকে, উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি, পরিস্থিতিতে এবং পরিমাণে, পুরস্কার মঞ্জুর করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) কাস্টমস শুল্ক ফাঁকি বা ফাঁকি প্রচেষ্টা অথবা এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন, যাহার অধীনে কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা, কর বা অন্যান্য রাজস্ব আদায়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত, এর কোনো বিধানের লঙ্ঘন সম্পর্কিত বিষয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট সংবাদ প্রদানকারী কোনো ব্যক্তিকে;
(খ) কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে, যিনি কাস্টমস শুল্ক ফাঁকি বা ফাঁকি প্রচেষ্টা বা এই আইন অথবা অন্য কোনো আইনের লঙ্ঘন উদ্ঘাটন করেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পুরস্কার মঞ্জুর করা যাইবে, যদি উক্ত উপ- ধারায় উল্লিখিত সংবাদ সরবরাহ, কাস্টমস শুল্ক ফাঁকি বা ফাঁকি প্রচেষ্টা অথবা আইন লঙ্ঘন উদ্ঘাটনের বা উন্মোচনের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত কার্য ফলপ্রসূভাবে সমাপ্ত হয়, যথা: -
(অ) ফাঁকি বা ফাঁকি প্রচেষ্টা অথবা লঙ্ঘনের ঘটনার সহিত সংশ্লিষ্ট পণ্য বা অন্য কোনো বস্তু জব্দ এবং বাজেয়াপ্ত হয়; অথবা
(আ) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন আরোপযোগ্য কাস্টমস শুল্ক বা অন্য কোনো রাজস্ব আদায় অথবা সংশ্লিষ্ট আইনের অধীন আরোপিত অর্থদণ্ড বা জরিমানা আদায় হয়; অথবা
(ই) ফাঁকি বা ফাঁকি প্রচেষ্টা অথবা লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের বা তাহার উপর দণ্ড আরোপিত হয় ।
২৫৫। এই আইন বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড, আমদানি পর্যায়ে উদ্বৃত্ত রাজস্ব আদায়ের একটি অংশ সকল কাস্টমস কর্মকর্তা এবং কর্মচারী এবং বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি, পরিস্থিতি এবং পরিমাণে, আর্থিক প্রণোদনা হিসাবে পুরষ্কার প্রদান করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কোনো নির্দিষ্ট অর্থ বৎসরে আর্থিক প্রণোদনা পুরস্কার প্রদান করিতে হইলে, উক্ত বৎসরে আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করিতে হইবে।
২৫৬। এই আইন বা কোনো বিধির বিধান অনুসরণের অভিপ্রায়ে কোনো কিছু করার জন্য কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা বা অন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন দ্বারা বা ইহার অধীন প্রদত্ত কোনো ক্ষমতা প্রয়োগ বা আরোপিত কোনো কর্তব্য পালনের লক্ষ্যে দেওয়ানি মামলা দায়ের ব্যতীত অন্য কোনো কার্যধারার ক্ষেত্রে অবশ্যই উক্ত কর্মকর্তা অথবা ব্যক্তিকে প্রস্তাবিত কার্যধারা এবং উহার কারণ সম্বলিত ১ (এক) মাসের লিখিত প্রাক- নোটিশ প্রদান করিতে হইবে, এবং উক্ত ঘটনা সংঘটিত হইবার ১ (এক) বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পর উক্ত কার্যধারা দায়ের করা যাইবে না।
২৫৭। (১) কোনো ব্যক্তি এই আইন বা বিধির প্রয়োগ সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, যথাযথ কর্মকর্তার নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
(২) যথাযথ কর্মকর্তা, উপ- ধারা (১) এর অধীন কোনো আবেদন প্রাপ্ত হইলে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন এবং সিদ্ধান্তের কারণ উল্লেখপূর্বক উহা অনতিবিলম্বে আবেদনকারীকে অবহিত করিবেন যাহাতে তাহার আপিল করিবার অধিকারের বিষয়টি উল্লেখ থাকবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাপ্ত সিদ্ধান্ত দ্বারা কোনো ব্যক্তি সংক্ষুদ্ধ হইলে তিনি উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ধারা ২৪৪ এর বিধান অনুযায়ী আপিল করিতে পারিবেন।
(৪) যেসকল ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির অনুকূলে উপ- ধারা (১) এর অধীনে প্রদত্ত সিদ্ধান্ত বাতিল হইবে বা যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক যে কোনো সময়ে প্রত্যাহার করা যাইবে, সেইসকল ক্ষেত্রসমূহ এবং উহাতে অনুসৃত পদ্ধতি এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
২৫৮। (১) কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে এই আইনে বা কোনো বিধির কোনো বিধান প্রয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অথবা পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস অথবা শুল্ক হার অথবা কাস্টমস শুল্কায়নের উদ্দেশ্যে মূল্য নিরূপণ সংক্রান্ত বিষয়ে, কোনো ব্যক্তির আবেদনক্রমে অথবা কমিশনার অব কাস্টমস পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক প্রেরিত সূত্রের বরাতে অথবা স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া বোর্ড আবেদনপত্র অথবা ক্ষেত্রমত, সূত্রে উল্লিখিত কোনো বিষয় সম্পর্কে কাস্টমস রুলিং প্রদান করিতে পারিবে।
(২) অপর্যাপ্ত তথ্য পরিবেশনের কারণে অথবা আবেদনপত্র অথবা ক্ষেত্রমত, সূত্রে প্রদর্শিত যুক্তিসমূহের সমর্থনে ফলাফল নিরূপণকারী সাক্ষ্যের অনুপস্থিতিতে বোর্ড কোনো কাস্টমস রুলিং প্রদানের অস্বীকৃতি জানাইতে পারিবে।
(৩) বোর্ড সময় সময় কোনো কাস্টমস রুলিং পুনরীক্ষণ এবং উক্ত রুলিং এর অন্তর্ভুক্ত কোনো ভুল সংশোধন করিতে পারিবে।
(৪) কোনো ব্যক্তি, কোনো পণ্যের কাস্টমস শুল্ক নির্ধারণের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস ও অরিজিন বিষয়ে অগ্রিম রুলিং যাচনা করিয়া বোর্ডের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন এবং বোর্ড তদনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অগ্রিম রুলিং প্রদান করিতে পারিবে।
(৫) এই ধারার অধীন অগ্রিম রুলিং প্রদানের সময়সীমা, রুলিং বিবেচনার ক্ষেত্রে শর্ত ও সীমাবদ্ধতাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
(৬) এই ধারার অধীন প্রদত্ত যে কোনো কাস্টমস রুলিং এবং অগ্রিম রুলিং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, আবেদনকারী ও সকল কাস্টমস কর্মকর্তাগণ কর্তৃক অবশ্য পরিপালনীয় হইবে।
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ‘অগ্রিম রুলিং’ বলিতে কোনো আবেদনপত্রে উল্লিখিত কোনো পণ্য আমদানির পূর্বে, বোর্ড কর্তৃক কোনো আবেদনকারীকে প্রদত্ত কোনো লিখিত সিদ্ধান্তকে বুঝাইবে, যাহাতে উক্ত পণ্য আমদানির সময় কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা উক্ত পণ্যের ক্ষেত্রে কিরূপ আচরণ (treatment) করিবেন তাহার উল্লেখ থাকিবে।
২৫৯। (১) বোর্ড, উহার প্রাপ্ত সম্পদসীমার মধ্যে, এই আইন ও বিধির সহিত সম্পর্কিত তথ্যের উপর যুক্তিসঙ্গত অনুসন্ধানের উত্তর প্রদান, এই আইনের অধীন সাধারণ ব্যবহারের জন্য জারীকৃত প্রজ্ঞাপন, সার্কুলার, আদেশ ও অন্যান্য দলিল প্রদান, এবং আমদানি, রপ্তানি ও ট্রানজিট প্রক্রিয়ার সহিত সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ফরম ও দলিল প্রদানের জন্য বোর্ডে বা কাস্টমস স্টেশনে এক বা একাধিক অনুসন্ধান কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও চালু রাখিবে।
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত অনুসন্ধান কেন্দ্র, কোনো ইচ্ছুক ব্যক্তির, ইলেকট্রনিক আকারে বা অন্য কোনোভাবে, আবেদনের প্রেক্ষিতে, যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে, ক্ষেত্রমত, ইলেকট্রনিক আকারে, সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানের উত্তর প্রদান এবং সংশ্লিষ্ট ফরম ও দলিল প্রদান করিবে।
২৬০। এই আইনের অধীন কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে সরাসরি আগ্রহী কোনো ব্যক্তি কর্তৃক পেশকৃত কোনো আবেদনের প্রেক্ষিতে, কমিশনার অব কাস্টমস বা তদ্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এবং নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে উক্ত সিদ্ধান্তের একটি সত্যায়িত অনুলিপি সরবরাহ করিবেন।
২৬১। (১) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে ব্যবহারের উদ্দেশ্য ব্যতীত কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো কর্তব্য সম্পাদনকালে সংগৃহীত সকল বাণিজ্য এবং যাত্রীর তথ্য গোপনীয় হইবে-
(ক) বোর্ড এবং অন্যান্য সরকারী সংস্থার পরিসংখ্যানগত প্রয়োজনে; বা
(খ) যথোপযুক্ত কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক অন্যান্য আমদানি ও রপ্তানির সাথে তুলনা ও প্রমাণক হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে; বা
2[(গ) কোনো আদালত বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সংস্থার সম্মুখে প্রমাণক হিসাবে উপস্থাপন:
তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় কোনো দলিলাদি প্রমাণক হিসাবে উপস্থাপনের বিষয়ে আমলি আদালত আদেশ করিবে কেবল সেইক্ষেত্রে উক্তরূপ প্রয়োজনীয় কোনো দলিলাদি প্রমাণক হিসাবে উপস্থাপনযোগ্য হইবে; বা]
(ঘ) তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ২০ নং আইন) এর শর্ত এবং সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে তথ্য প্রকাশ; বা
(ঙ) বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো উদ্দেশ্য।
(২) সরকার এই আইনের অধীন বাণিজ্য সহজীকরণ, কার্যকর ঝুঁকি বিশ্লেষণ, প্রতিপালন ও প্রতিরোধের যথার্থতা নির্ণয়, অপরাধ প্রতিরোধ এবং তদন্তের প্রয়োজনে তথ্য বিনিময়ের যেকোনো দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক, বহুপাক্ষিক চুক্তি বা কনভেনশন বা অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।
(৩) উপ- ধারা (২) এর আলোকে সম্পাদিত চুক্তি বা কনভেনশন বা এই জাতীয় কোনো ব্যবস্থায় বর্ণিত সীমাবদ্ধতা এবং শর্ত সাপেক্ষে বিনিময়কৃত তথ্য, এই আইনের অধীন তদন্ত এবং কার্যধারায় বা অন্য কোনো দেশের সংশ্লিষ্ট আইনে বিদ্যমান বিধান প্রতিপালনের ক্ষেত্রে প্রমাণক হিসেবে ব্যবহার করা যাইবে।
(৪) বোর্ড, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই ধরণের তথ্য বিনিময়কারীর পদবী সুনির্দিষ্টকরণসহ বিনিময়ের পদ্ধতি এবং শর্তাবলী নির্ধারণ করিবে।
(৫) উপধারা (১) হতে (৪) এ উল্লিখিত ক্ষেত্র ব্যতীত তথ্যের কোন প্রকাশ বা প্রচার এই আইনের অধীন অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হইবে।
২৬২। বোর্ড এই আইন এবং বিধির বাস্তবায়ন সম্পর্কিত বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি সংস্থা ও বেসরকারি খাতের নিকট হইতে নিয়মিতভাবে পরামর্শ গ্রহণ করিবে।
২৬৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, বোর্ডের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
(২) উপ- ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া, দ্বিতীয় তফসিলে উল্লিখিত যে কোনো বা সকল বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করা যাইবে।
(৩) এই ধারার অধীন প্রণীত, জরুরী পরিস্থিতিতে বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ কারণে কারণ উল্লেখপূর্বক কোনো বিধি প্রকাশের ক্ষেত্র ব্যতীত, অন্যান্য ক্ষেত্রে যে কোনো বিধি, উহা কার্যকর হইবার অন্যূন ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে প্রকাশ করিতে হইবে।
২৬৪। এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, বোর্ড এবং এই ধারায় উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৮০ (১৯৮০ সনের ৩৬ নং আইন) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ইপিজেডসমূহ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪২ নং আইন) এর অধীন স্থাপিত অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহ, বাংলাদেশ হাই- টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৮ নম্বর আইন) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত হাইটেক পার্কসমূহ এবং অনুরূপ কোনো বিশেষায়িত অঞ্চলসমূহের জন্য কাস্টমস সংশ্লিষ্ট স্বতন্ত্র ও পৃথক বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
3[২৬৪ক। এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিশেষ কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য এক বা একাধিক বিশেষায়িত কার্যকরী ইউনিট গঠন করিতে পারিবে, উহাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কাস্টমস কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে এবং উক্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কার্যাবলি নির্দিষ্ট করিতে পারিবে।]
২৬৫। (১) এই আইনের অন্য কোনো বিধানে বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহাই থাকুক না কেন, বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রয়োজনীয় শর্ত, বিধিনিষেধ ও পদ্ধতি নির্ধারণপূর্বক 4[এই আইনের অধীন যেকোনো কার্যক্রম] ইলেকট্রনিকভাবে সম্পাদন করার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) এই আইনের অধীন প্রণীতব্য কোনো আদেশ, প্রজ্ঞাপন, সার্কুলার, ফরম অথবা অন্যান্য তথ্য, ব্যাখ্যা বা সিদ্ধান্ত, যতদূর সম্ভব, অবিলম্বে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সহজলভ্য করিতে হইবে।
২৬৬। বোর্ড বা, ক্ষেত্রমত, কমিশনার অব কাস্টমস (বন্ড) বা কমিশনার অব কাস্টমস (মূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা) বা অন্য কোনো কমিশনার অব কাস্টমস বা ডিরেক্টর জেনারেল, তাহাদের স্ব স্ব এখতিয়ার অনুযায়ী এই আইন বা বিধির বিধানাবলি প্রতিপালনের জন্য, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আদেশ, ফরম, নোটিশ, ব্যাখ্যা বা সার্কুলার জারি এবং প্রকাশ করিতে পারিবে।
২৬৭। এই আইনের কোনো বিধান কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে, উক্তরূপ অসুবিধা দূরীকরণের জন্য বোর্ড, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করিতে পারিবে।
২৬৮। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।
(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।
২৬৯। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে Customs Act, 1969 (Act No. IV of 1969) বলিয়া উল্লিখিত, রহিত হইবে।
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, উক্ত Act এর অধীন-
(ক) কৃত কাজ- কর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;
(খ) এই আইন কার্যকর হইবার তারিখে অনিষ্পন্ন কার্যাদি, যতদূর সম্ভব, এই আইনের বিধান অনুসারে নিষ্পন্ন করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে উক্ত Act এর অধীন নির্ধারিত কোনো আবেদনপত্র পেশের অথবা কোনো আপিল বা রিভিশন দায়েরের সময়সীমার মেয়াদ অবশিষ্ট থাকিলে, উক্ত মেয়াদ অব্যাহত থাকিবে;
(গ) আরোপিত কোনো শুল্ক, ফি বা অন্য কোনো পাওনা, এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে অনাদায়ী থাকিলে, উহা উক্ত Act এর বিধান অনুযায়ী এমনভাবে আদায় করিতে হইবে এবং কোনো বিষয় অনিষ্পন্ন থাকিলে, উহা উক্ত Act অনুযায়ী এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উক্ত Act রহিত হয় নাই;
(ঘ) চলমান মামলাসমূহ এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উক্ত Act রহিত হয় নাই;
(ঙ) প্রণীত সকল বিধি, প্রদত্ত সকল আদেশ, জারীকৃত সকল প্রজ্ঞাপন বা নোটিশ, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, এমনভাবে বলবৎ থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রণীত, প্রদত্ত বা জারিকৃত হইয়াছে; এবং
(চ) গঠিত কোনো বন্দরের ট্রাস্টি বা বন্দর কর্তৃপক্ষ এমনভাবে উহার অবশিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করিবে যেন এই আইন কার্যকর হয় নাই।
5[২৭০। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, এইরূপ কার্যকরতার অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ কোনো আইন, বিধি, প্রবিধান, প্রজ্ঞাপন, আদেশ কিংবা দলিলে উল্লিখিত “Customs Act, 1969 (Act No. IV of 1969)” এর পরিবর্তে “কাস্টমস আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৭ নং আইন)” প্রতিস্থাপিত হইবে এবং উক্ত আইন, বিধি, প্রবিধান, প্রজ্ঞাপন, আদেশ কিংবা দলিলে উল্লিখিত Customs Act, 1969 এর কোনো বিধানের রেফারেন্স থাকিলে উহার পরিবর্তে উক্ত বিধানের বিষয়বস্তুর প্রতিফলনে যে বিধান এই আইনে সংযোজিত হইয়াছে উহা ব্যাখ্যাত (construed) হইবে।]