প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
ষষ্ঠ অধ্যায়
কাস্টমস শুল্ক আরোপ ও অব্যাহতি
২৩। (১) সরকার উপযুক্ত তদন্ত করিয়া যদি সন্তুষ্ট হয় যে, কোনো পণ্য বাংলাদেশে এইরূপ বেশি পরিমাণে এবং এইরূপ শর্তে আমদানি করা হইতেছে যাহা স্থানীয় শিল্পের গুরুতর স্বার্থহানি ঘটাইতে পারে অথবা স্বার্থহানি ঘটাইবার হুমকির সৃষ্টি করিতে পারে, তাহা হইলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত পণ্যের উপর সেইফগার্ড শুল্ক আরোপ করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উহার বিবেচনায় যেরূপ সংগত মনে হয়, সেইরূপ শর্ত, সীমা বা বিধি- নিষেধ আরোপ সাপেক্ষে, যে কোনো পণ্যকে আরোপণীয় সেইফগার্ড শুল্ক হইতে সম্পূর্ণ বা আংশিক অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
(২) উপ- ধারা (১) এর অধীন স্বার্থহানি বা স্বার্থহানির হুমকি নির্ধারণের বিষয়টি অনিষ্পন্ন থাকা অবস্থায়, যদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালিত প্রাথমিক নির্ধারণে দেখা যায় যে, বর্ধিত আমদানি স্থানীয় শিল্পের গুরুতর স্বার্থহানি করিয়াছে অথবা স্বার্থহানির হুমকি সৃষ্টি করিয়াছে, তাহা হইলে তদ্ভিত্তিতে সরকার সাময়িক সেইফগার্ড শুল্ক আরোপ করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি চূড়ান্ত নির্ধারণের পর সরকার এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, বর্ধিত আমদানি কোনো স্থানীয় শিল্পের স্বার্থহানি ঘটায় নাই বা স্বার্থহানির হুমকি সৃষ্টি করে নাই, তাহা হইলে সরকার উক্তরূপে আদায়কৃত শুল্ক ফেরত প্রদান করিবে:
আরও শর্ত থাকে যে, সাময়িক সেইফগার্ড শুল্ক, আরোপের তারিখ হইতে ২০০ (দুইশত) দিবসের অধিক বলবৎ থাকিবে না।
(৩) এই ধারার অধীন আরোপিত শুল্ক এই আইনের অধীন অথবা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন আরোপিত শুল্কের অতিরিক্ত হইবে।
(৪) পূর্বেই প্রত্যাহার করা না হইলে, এই ধারার অধীন আরোপিত শুল্ক আরোপের তারিখ হইতে ৪ (চার) বৎসর সমাপ্তির পর অকার্যকর হইয়া যাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যদি সরকার এই অভিমত পোষণ করে যে, স্থানীয় শিল্প উক্ত স্বার্থহানি অথবা স্বার্থহানির হুমকির সহিত খাপ খাওয়ানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছে এবং উক্ত সেইফগার্ড শুল্ক আরোপ বহাল থাকা প্রয়োজন, তাহা হইলে সরকার উক্ত আরোপের মেয়াদ বাড়াইতে পারিবে:
আরও শর্ত থাকে যে, কোনো অবস্থাতেই উক্ত সেইফগার্ড শুল্ক উহা প্রথম আরোপের তারিখ হইতে ১০ (দশ) বৎসর সময়ের অধিক আরোপ করা যাইবে না।
(৫) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিধি প্রণয়ন করা যাইবে।
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে-
(ক)“স্থানীয় শিল্প” অর্থ সেই সকল উৎপাদনকারীগণ-
(অ) যাহারা সম্পূর্ণভাবে কোনো অনুরূপ পণ্য বা কোনো প্রত্যক্ষভাবে প্রতিযোগি পণ্য বাংলাদেশে উৎপাদন করেন; অথবা
(আ) যাহাদের বাংলাদেশে কোনো অনুরূপ পণ্যের বা কোনো প্রত্যক্ষভাবে প্রতিযোগি পণ্যের মোট সম্মিলিত উৎপাদনের পরিমাণ বাংলাদেশে উক্ত পণ্যের মোট উৎপাদনের একটি প্রধান হিস্যা গঠন করে;
(খ) “গুরুতর স্বার্থহানি” অর্থ এইরূপ কোনো স্বার্থহানি, যাহা কোনো স্থানীয় শিল্পের অবস্থানকে লক্ষ্যনীয় মাত্রায় ভারসাম্যহীন করে; এবং
(গ) “গুরুতর স্বার্থহানির হুমকি” অর্থ গুরুতর স্বার্থহানির কোনো সুস্পষ্ট এবং অত্যাসন্ন ঝুঁকি।