প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

কাস্টমস আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ৫৭ নং আইন )

ত্রয়োবিংশ অধ্যায়

অপরাধ, জরিমানা ও দণ্ড

অপরাধসমূহের জরিমানা বা দণ্ড

১৭১। (১) যদি কোনো ব্যক্তি নিম্নের টেবিলের কলাম (৩) এ বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে উক্ত অপরাধের জন্য তাহার বিরুদ্ধে কলাম (৪) এ বর্ণিত জরিমানা বা দণ্ড আরোপণীয় হইবে, যথা:-

টেবিল

 

ক্রমিক নং

সংশ্লিষ্ট ধারা, অধ্যায়, ইত্যাদি

অপরাধ

জরিমানা/দণ্ড

(১)

(২)

(৩)

(৪)

১।

৮ ও ৯

যদি কোনো ব্যক্তি-

 

(ক) সমুদ্রপথে বা আকাশপথে আমদানিকৃত কোনো পণ্য খালাসের জন্য ধারা ৮ এর অধীন ঘোষিত কাস্টমস বন্দর অথবা কাস্টমস বিমানবন্দর ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে নামান বা নামানোর চেষ্টা করেন;

 

(খ) স্থলপথে বা অভ্যন্তরীণ জলপথে আমদানিকৃত কোনো পণ্য উহা আমদানির জন্য ধারা ৮ এর দফা (গ) এর অধীন ঘোষিত রুট ব্যতীত অন্য কোনো রুটের মাধ্যমে আমদানি করেন;

 

(গ) রপ্তানি পণ্য বোঝাই করিবার জন্য নির্ধারিত কাস্টমস বন্দর অথবা কাস্টমস বিমানবন্দর ব্যতীত অন্য কোনো স্থান হইতে উহা সমুদ্রপথে অথবা আকাশপথে রপ্তানি করিবার চেষ্টা করেন;

 

 

ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে পণ্য- মূল্যের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা

 

 

 

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ১ (এক) বৎসর কিন্তু অনধিক ৬ (ছয়) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ডে এবং পণ্য মূল্যের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

 

 

 

(ঘ) ধারা ৮ এর দফা (গ) এর অধীন রপ্তানির জন্য নির্ধারিত রুটের মাধ্যমে ব্যতীত অন্য কোনো রুটে স্থলপথে অথবা অভ্যন্তরীণ জলপথে কোনো পণ্য রপ্তানির চেষ্টা করেন;

 

(ঙ) কোনো আমদানিকৃত পণ্য কাস্টমস বন্দর ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে নামাইবার উদ্দেশ্যে উপসাগর, খাঁড়ি অথবা নদীতে আনয়ন করেন; বা

 

 

 

(চ) কাস্টমস স্টেশন ব্যতীত অথবা ধারা ৯ এর দফা (খ) এর অধীন পণ্য বোঝাইয়ের জন্য অনুমোদিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনো স্থান হইতে রপ্তানি করিবার জন্য কোনো পণ্য বাংলাদেশের স্থল সীমান্তে অথবা উপকূলের নিকটে অথবা কোনো উপসাগর, খাঁড়ি বা নদীর নিকটে আনয়ন করেন

 

২।

১২,

ষোড়শ অধ্যায়

 

যদি কোনো ব্যক্তি কমিশনার অব কাস্টমস কর্তৃক অনুমোদিত কোনো কাস্টমস ওয়্যারহাউসে নির্ধারিত কোনো শর্ত বা বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হন

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে।

৩।

১৩

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৩ এর অধীন কাস্টমস কর্মকর্তাদের আরোহন বা অবতরণের উদ্দেশ্যে কাস্টমস স্টেশনের নির্ধারিত স্থানে আগমনকারী বা বহির্গমনমুখী কোনো জাহাজ আনয়ন করিতে বা যথাযথ কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী উক্ত স্টেশনের নির্ধারিত এলাকার মধ্যে উক্ত জাহাজ চলাচল বা অবস্থান করাইতে ব্যর্থ হন;

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ২০ (বিশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে।

 

৪।

চতুর্থ অধ্যায়

(১) যদি কোনো ব্যক্তি-

 

(ক) আইনানুগ কর্তৃত্ব ব্যতীত অবৈধভাবে কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করেন বা প্রবেশের চেষ্টা করেন অথবা উক্ত কম্পিউটার সিস্টেম হইতে প্রাপ্ত তথ্য অননুমোদিত উদ্দেশ্যে ব্যবহার বা প্রকাশ করেন;

 

(খ) কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেমে আইনানুগ প্রবেশাধিকার প্রাপ্ত হইয়া উক্ত কম্পিউটার সিস্টেম হইতে প্রাপ্ত তথ্য অননুমোদিত উদ্দেশ্যে ব্যবহার বা প্রকাশ করেন; অথবা

 

 

(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে; অথবা

 

 

 

 

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ২ (দুই) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ডে, অথবা অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

 

(গ) কর্তৃত্বপ্রাপ্ত না হইয়াও কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেম হইতে প্রাপ্ত তথ্য গ্রহণ করেন, এবং উক্ত তথ্য ব্যবহার, প্রকাশ বা প্রচার করেন অথবা উহা বিতরণের জন্য অনুমোদন প্রদান করেন;

 

(২) যদি কোনো ব্যক্তি-

 

(ক) কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেমে সংরক্ষিত কোনো রেকর্ড বা তথ্য প্রতারণামূলকভাবে পরিবর্তন করেন;

 

(খ) কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত বা বিকল করেন; অথবা

 

(গ) কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেম হইতে প্রাপ্ত তথ্য কোনো ডুপ্লিকেট টেপ, ডিস্ক বা অন্য কোনো মাধ্যমে ধারণ করেন অথবা উক্ত সংরক্ষিত তথ্য বোর্ডের অনুমতি ব্যতীত অন্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা বিকল করেন।

 

 

 

(৩) যদি কোনো ব্যক্তি,-  

 

(ক) কোনো অনুমোদিত ব্যবহারকারী না হইয়াও কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেমে কোনো তথ্য প্রেরণ প্রমাণীকরণের উদ্দেশ্যে কোনো ইউনিক ইউজার আইডেন্টিফাইয়ার ব্যবহার করেন; অথবা

 

(খ) কোনো নিবন্ধিত ব্যবহারকারী হইয়া কাস্টমস কম্পিউটার সিস্টেমে কোনো তথ্য প্রেরণ প্রমাণীকরণের জন্য অন্য কোনো অনুমোদিত ব্যবহারকারীর ইউনিক ইউজার আইডেন্টিফাইয়ার ব্যবহার করেন।

 

৫।

১৭

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৭ এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোনো পণ্য আমদানি বা রপ্তানি করেন বা করিবার চেষ্টা করেন।

এই আইন বা অন্য কোনো আইনের অধীন অপরাধী যে দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন তাহা ক্ষুণ্ন না করিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে পণ্য- মূল্যের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

৬।

সাধারণ

যদি কোনো ব্যক্তি কোনো পণ্য চোরাচালান করিয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আনয়ন করেন বা বাংলাদেশের বাহিরে লইয়া যান।

 (ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে পণ্য- মূল্যের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা

 

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ২ (দুই) বৎসর কিন্তু অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড এবং পণ্য- মূল্যের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

৭।

সাধারণ

যদি কোনো ব্যক্তি কোনো বৈধ কারণ ব্যতীত, যাহা প্রমাণের দায়িত্ব উক্ত ব্যক্তির উপর বর্তাইবে, এই আইনের অধীন চোরাচালানকৃত পণ্য অথবা চোরাচালানকৃত বলিয়া যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ হয় এইরূপ অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা মূল্যমানের কোনো পণ্য দখলে আনেন অথবা যে কোনো উপায়ে উহা বহন করা, অপসারণ করা, জমা রাখা, আশ্রয়ে রাখা, সংরক্ষণ করা, লুকাইয়া রাখা বা অন্য কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার সহিত সংশ্লিষ্ট থাকেন।

 (ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে পণ্য- মূল্যের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা

 

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ১ (এক) বৎসর কিন্তু অনধিক ৬ (ছয়) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ডে এবং পণ্য- মূল্যের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

 

 

ব্যাখ্যা-  এই এন্ট্রির অধীন বিবেচ্য পণ্য যদি স্বর্ণ বুলিয়ন বা রৌপ্য বুলিয়ন হয় এবং কোনো ব্যক্তি যদি এইমর্মে দাবি করেন যে, পণ্যটি চোরাচালানকৃত নহে, উহা বাংলাদেশে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বা অন্য কোনো উপায়ে সংগৃহীত, তাহা হইলে বিষয়টি প্রমাণ করিবার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর বর্তাইবে।

 

৮।

২৫

যদি কোনো ব্যক্তি কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে ধারা ২৫ এর অধীন আরোপিত শর্ত, সীমা বা বিধি- নিষেধ লঙ্ঘন করেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় স্বাভাবিক (statutory) শুল্ক- করাদির অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

৯।

৩৩

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৩৩ এর অধীনে কাস্টমস সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে অসত্য বিবৃতি প্রদান বা দলিলপত্র দাখিল করেন।

(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফাঁকিকৃত শুল্ক- করের অন্যূন দ্বিগুণ কিন্তু অনধিক চারগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা

 

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড বা ফাঁকিকৃত শুল্ক- করের অন্যূন দ্বিগুণ কিন্তু অনধিক চারগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

১০।

সপ্তম অধ্যায়

যদি কোনো ব্যক্তি কোনো পণ্যের উপর প্রত্যর্পণ দাবি করেন অথবা প্রত্যর্পণ গ্রহণ করিয়াছেন যাহা যথাযথভাবে রপ্তানি করা হয় নাই অথবা এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়া জাহাজীকরণের পর সংশ্লিষ্ট পণ্য পুনরায় বাংলাদেশে নামান বা অবতরণ করান।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট প্রত্যর্পণকৃত অর্থ ফেরত প্রদানসহ উক্ত পণ্যের উপর আরোপ

উপর আরোপণীয় শুল্ক করের সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

১১।

৪৮

(১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৮ এর বিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমা ও পদ্ধতিতে যানবাহন ও কার্গো ঘোষণা দাখিল করিতে ব্যর্থ হন।

(১) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে।

(২) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৮ এর বিধান অনুযায়ী কার্গো ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত বা বর্ণনা করিবার আবশ্যকতা থাকা সত্ত্বেও কোনো পণ্য উক্ত ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত বা বর্ণনা করিতে ব্যর্থ হন, যাহা যানবাহনে থাকা অবস্থায় বা উক্ত যানবাহন হইতে নামানোর সময় পাওয়া যায়।

(২) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

 

 

(৩) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৮ এর বিধান অনুযায়ী কার্গো ঘোষণায় যে পণ্য অন্তর্ভুক্ত বা বর্ণনা করেন, তাহা পাওয়া না যায় বা কম পাওয়া যায়।

 

(৩) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় শুল্ক- করের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অথবা, উক্ত পণ্য শুল্ক- করযোগ্য না হইলে বা উহার উপর শুল্ক- কর নিরূপণ করা সম্ভব না হইলে, প্রতিটি নিখোঁজ বা ঘাটতি প্যাকেজ (package) বা পৃথক বস্তুর জন্য অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা এবং, বাল্ক পণ্যের ক্ষেত্রে, অন্যূন সংশ্লিষ্ট পণ্য- মূল্যের সমপরিমাণ অথবা ২ (দুই) লক্ষ টাকা, যাহাই অধিকতর হয়, জরিমানা আরোপণীয় হইবে।

১২।

৪৯, ৫০, ৫১, ৬৫, ৬৮, ৭১, ৭২ ও ৭৩

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৯, ৫০, ৫১, ৬৫, ৬৮, ৭১, ৭২ বা ৭৩ এর বিধান অনুযায়ী যথাযথ কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো যানবাহন হইতে কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা প্রযোজ্য এইরূপ কোনো পণ্য খালাস করেন এবং বাংলাদেশ হইতে গমনোদ্যত কোনো যানবাহনে পণ্য বোঝাই করেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ২ (দুই) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

 

 

১৩।

 

৫১

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৫১ এর বিধান অনুযায়ী পণ্য আগমন সম্পর্কে অবহিত করিতে এবং অন্তর্মুখী প্রতিবেদন প্রেরণ করিতে ব্যর্থ হন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে।

১৪।

৫৩ ও ৫৪

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৫৩ বা ৫৪ এর অধীন পোর্ট ক্লিয়ারেন্স বা যথাযথ কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত কোনো যানবাহন কাস্টমস স্টেশন হইতে নির্গমন করান বা নির্গমন করাইতে উদ্যত হন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ২ (দুই) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে।

 

১৫।

৬২

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৬২ এর অধীন কাস্টমস স্টেশনে আগমনকারী বা কাস্টমস স্টেশন হইতে বহির্গমনমুখী জাহাজে অবতরণের উদ্দেশ্যে কাস্টমস কর্মকর্তাকে গ্রহণ করিতে কিংবা জাহাজে অবস্থানকারী কাস্টমস কর্মকর্তাকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য বা সেবা সরবরাহ করিতে ব্যর্থ হন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে।

১৬।

৬৬

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৬৬ এর অধীন বোট নোট ব্যতীত অথবা বোট নোট এ উল্লিখিত পরিমাণের অধিক কোনো পণ্য কোনো কার্গো বোটের মাধ্যমে কোনো জাহাজ হইতে বা জাহাজে পরিবহণ করেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় শুল্ক- করাদির অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ এবং, সংশ্লিষ্ট পণ্য শুল্ক- করযোগ্য না হইলে, অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

১৭।

৭০

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৭০ এর অধীন প্রণীত বিধি- বিধান পরিপালন না করিয়া বাংলাদেশি জাহাজের মালিকানাধীন প্রত্যেক নৌকা এবং অনধিক ১০০ (একশত) টনের অন্যান্য প্রত্যেক নৌযান চলাচল করান।

সংশ্লিষ্ট নৌযান বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

 

 

১৮।

৮১ ও ৮২

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৮১ বা ৮২ এর বিধান অনুযায়ী এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে, পণ্য ঘোষণা দাখিল করিতে ব্যর্থ হন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে।

১৯।

৮২

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৮২ এর বিধান অনুযায়ী কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন বা কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ পরিচালনা করিবার জন্য কোনো কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক আইনসঙ্গতভাবে যাচিত কোনো দলিল বা তথ্য প্রদান করিতে ব্যর্থ হন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

 

২০।

৯২

যদি কোনো ব্যক্তি যথাযথ কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত অস্থায়ী মজুদ (temporary storage) হইতে ধারা ৯২ এর অধীন ছাড় করা হয়নি, এইরূপ পণ্য অপসারণ করেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- কর পরিশোধ ছাড়াও উক্ত আরোপণীয় শুল্ক- করের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দশ গুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে।

২১।

চর্তুদশ অধ্যায়

যদি কোনো ব্যক্তি চতুর্দশ অধ্যায়ের অধীন অস্থায়ী আমদানির ক্ষেত্রে এই আইন বা বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোনো শর্ত বা বিধি- নিষেধ পরিপালন করিতে ব্যর্থ হন।

সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- কর পরিশোধ করা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রদেয় শুল্ক- কর এর অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু পণ্যের মূল্যের অনধিক তিনগুণ, যাহাই অধিকতর হয়, জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

২২।

ষোড়শ  অধ্যায়

যদি কোনো ব্যক্তি ষোড়শ অধ্যায়ের অধীন কোনো ওয়্যারহাউসে এই আইন বা বিধির বিধানাবলি লঙ্ঘন করিয়া বা কোনো যথাযথ কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

২৩।

ষোড়শ  অধ্যায়

(১) যদি কোনো ওয়্যারহাউস রক্ষক কোনো পণ্য ষোড়শ অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী ওয়্যারহাউসে সংরক্ষণ করিতে ব্যর্থ হন অথবা কাস্টমস শুল্ক ও কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে ওয়্যারহাউস সুবিধার অপব্যবহার করেন।

 

 

 

 

 

 

 (ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- করাদির অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা

 

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা আরোপণীয় শুল্ক- করের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ড দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

 

 

(২) যদি কোনো ওয়্যারহাউসরক্ষক কোনো ওয়্যারহাউস হইতে কোনো পণ্য শুল্ক পরিশোধ ব্যতিরেকে অবৈধভাবে বাহিরে লইয়া যান, বা উহাতে সহায়তা করেন বা অন্য কোনোভাবে সংশ্লিষ্ট থাকেন।

(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- করাদির অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা

 

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৩ (মাস) কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা আরোপণীয় শুল্ক- করের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

২৪।

সপ্তদশ অধ্যায়

যদি কোনো ব্যক্তি সপ্তদশ অধ্যায়ের ধারা ১৩৬, ১৩৭, ১৩৮, ১৩৯ বা ১৪০ এর বিধান অনুযায়ী ট্রান্সশিপমেন্ট সম্পর্কিত কোনো বিধি- বিধান লঙ্ঘন করেন বা ট্রান্সশিপমেন্টযোগ্য নহে এইরূপ পণ্য ট্রান্সশিপ করেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

 

২৫।

অষ্টাদশ অধ্যায়

যদি কোনো ব্যক্তি অষ্টাদশ অধ্যায়ের ধারা ১৪২, ১৪৩, ১৪৪ বা ১৪৫ এর বিধান অনুযায়ী ট্রানজিট পদ্ধতির অধীন ন্যস্তকৃত পণ্য এবং প্রযোজ্য দলিল, উক্ত পদ্ধতি অনুযায়ী গন্তব্য কাস্টমস স্টেশনে উপস্থাপন করিতে ব্যর্থ হন অথবা ট্রানজিট সংক্রান্ত বিধি- বিধান লঙ্ঘন করেন।

শুল্ক- কর ফাঁকিজনিত অপরাধের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- কর পরিশোধ করা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রদেয় শুল্ক- কর এর অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক পাঁচগুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উক্ত পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে, তবে শুল্ক- কর ফাঁকির ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে।

২৬।

১৪৭

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৪৭ এর অধীন রপ্তানি পণ্য বোঝাই না করিবার অথবা কম বোঝাই করিবার অথবা বোঝাই করিবার পর উহা পুনরায় নামানোর সংবাদ যথাযথ কর্মকর্তাকে অবহিত করিতে ব্যর্থ হন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

২৭।

১৪৮

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৪৮ এর অধীন যথাযথ কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিরেকে যানবাহন হইতে কোনো রপ্তানি পণ্য, রসদ বা ভাণ্ডারসামগ্রী পুনরায় নামান।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

২৮।

বিংশ অধ্যায়

যদি কোনো ব্যক্তি বিংশ অধ্যায়ের অধীন রসদ ও ভাণ্ডার সামগ্রীর ক্ষেত্রে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোনো শর্ত বা বিধি- নিষেধ পরিপালন করিতে ব্যর্থ হন।

সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- কর পরিশোধ করা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রদেয় শুল্ক- কর এর অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু পণ্যের মূল্যের অনধিক তিনগুণ, যাহাই অধিকতর হয়, জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

২৯।

১৫৪

যদি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশে আগমনের পর ধারা ১৫৪ এর বিধান অনুযায়ী তাহার সহিত বহনকৃত বা তাহার ব্যাগেজের ভিতরে রক্ষিত কোনো পণ্য সম্পর্কে, ব্যাগেজ পরীক্ষা আরম্ভ হইবার পূর্বে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে ঘোষণা প্রদান করিতে ব্যর্থ হন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

৩০।

১৬২, ১৬৩, ১৬৪, ১৬৫, ১৬৬ ও ১৬৮

যদি কোনো ব্যক্তি উপকূলীয় পণ্য বহনকারী নৌযানের মাস্টার হিসাবে ধারা ১৬২, ১৬৩, ১৬৪, ১৬৫, ১৬৬ বা ১৬৮ এর বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনধিক (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।  

৩১।

১৭০

যদি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের বাইরে কোনো উপকূলীয় পণ্য পরিবহণে নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কোনো বিধান প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হন।

উক্ত পণ্য বহনকারী জাহাজের মাস্টার অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং উক্ত লঙ্ঘনের ফলে কোনো শুল্ক- কর ফাঁকি হইলে উক্ত শুল্কের অনধিক তিনগুণ জরিমানা আরোপনীয় হইবে; এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

৩২।

সাধারণ

যদি কোনো ব্যক্তি স্বীয় হেফাজতে রক্ষিত কোনো পণ্য রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে বন্দর এলাকা হইতে অপসারণ করেন অথবা অপসারণের চেষ্টা করেন।

(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- কর পরিশোধ ছাড়াও উক্ত আরোপণীয় শুল্ক- করের অন্যূন সমপরিমাণ কিন্তু অনধিক পাঁচ গুণ পরিমাণ অর্থ জরিমানা, অথবা সংশ্লিষ্ট পণ্য শুল্ক- করযোগ্য না হইলে বা উহার উপর শুল্ক- কর নিরূপণ করা সম্ভব না হইলে, প্রতিটি নিখোঁজ বা ঘাটতি প্যাকেজ (package) বা পৃথক বস্তুর জন্য অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা এবং, বাল্ক পণ্যের ক্ষেত্রে, অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা বা সংশ্লিষ্ট পণ্য- মূল্যের অনধিক দশগুণ পরিমাণ, যাহাই অধিকতর হয়, অর্থ জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা

 

 

 

 

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ১ (এক) বৎসর কিন্তু অনধিক ৬ (ছয়) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড এবং সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় সমুদয় শুল্ক- করাদি পরিশোধসহ প্রদেয় শুল্ক- করাদির অন্যূন সমপরিমাণ

 

কিন্ত অনধিক পাঁচগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড, অথবা যদি উক্ত পণ্য শুল্ক- করযোগ্য না হয় কিংবা শুল্ক- কর নির্ধারণ করা না যায়, তাহা হইলে প্রত্যেকটি নিখোঁজ বা ঘাটতি পণ্যের জন্য বা স্বতন্ত্র পণ্যের জন্য অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, এবং বাল্ক পণ্যের ক্ষেত্রে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক পণ্য- মূল্যের পাঁচগুণ, যাহা অধিকতর হয়, পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

৩৩।

সাধারণ

যদি কোনো ব্যক্তি জ্ঞাতসারে-

 

(ক) এই আইনের দ্বারা বা অধীন অর্পিত বা প্রদত্ত কোনো কর্তব্য পালনে অথবা ক্ষমতা প্রয়োগে যথাযথভাবে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তিকে অথবা তাহার সহায়তায় কর্মরত কোনো ব্যক্তিকে বাধা প্রদান করেন, বিঘ্নিত করেন, নিগৃহীত করেন অথবা আক্রমণ করেন;

 

(খ) এই আইনের অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো জিনিসের জন্য কোনো তল্লাশি পরিচালনা করিতে বা উক্ত জিনিস আটক, জব্দ অথবা অপসারণ করিতে এইরূপ কিছু করেন যাহা উক্ত কার্যকে বাধা সৃষ্টি করে অথবা বাধা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়;

 

 

(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন
১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক
৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে; অথবা

 

 

 

 

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ডে এবং অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

 

(গ) এই আইনের অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো জিনিস নিজ দখলে নেন অথবা ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করেন অথবা কোনো জিনিস বাজেয়াপ্তযোগ্য কিনা তাহার সাক্ষ্য সংগ্রহ করা হইতে বা সাক্ষ্য দেওয়া হইতে বিরত রাখিবার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো কিছু করেন;

 

(ঘ) এই আইনের অধীন নিয়োজিত বা কর্মরত কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো ব্যক্তিকে আটক করিতে বাধা প্রদান করেন বা উক্তরূপ আটককৃত কোনো ব্যক্তিকে ছিনাইয়া নেন; অথবা

 

(ঙ) উপরি- উল্লিখিত এন্ট্রিসমূহের যে কোনো একটি কার্য বা বিষয় করিতে চেষ্টা করেন অথবা উহাদের যে কোনো একটি করিতে সহায়তা বা সহযোগিতা করেন অথবা সহায়তা বা সহযোগিতা করিবার চেষ্টা করেন;

 

৩৪।

১৯৩

যদি ধারা ১৯৩ এর উপ- ধারা (২) এর অধীন কোনো লিখিত নোটিশ প্রদান করা হয় অথবা কোনো কাস্টমস হাউস বা কাস্টমস স্টেশনে পণ্য পৌঁছাইয়া দেওয়া যে পুলিশ অফিসারের দায়িত্ব, তিনি উক্তরূপ কর্তব্য প্রতিপালন করিতে যদি অবহেলা করেন।

সংশ্লিষ্ট অফিসার অন্যূন ১০ (দশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

৩৫।

২১৩

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২১৩ এর উপ- ধারা (২) এর অধীন দণ্ডাদেশের নোটিশ প্রদর্শন করিতে ব্যর্থ হন।

 

 (ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে;

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

৩৬।

২১৫

যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার অথবা উক্তরূপ অপরাধ সংঘটিত করিবার কোনো চেষ্টা বা সম্ভাব্য চেষ্টার বিষয় অবগত হইয়া নিকটতম কাস্টমস হাউস অথবা কাস্টমস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট অথবা, যুক্তিসঙ্গত সুবিধাজনক দূরত্বে কোনো কাস্টমস হাউস বা কাস্টমস স্টেশন না থাকিলে, যদি নিকটতম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে উহার সংবাদ প্রদান করিতে ব্যর্থ হন,

(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে; অথবা

 

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

৩৭।

সাধারণ

যদি কোনো ব্যক্তি কোনো বৈধ কারণ, যাহা প্রমাণের দায়িত্ব উক্ত ব্যক্তির উপর বর্তাইবে, ব্যতীত, কোনো বিল- হেডিং বা কোনো হেডিং সদৃশ অন্য কোনো কাগজ বা ফাঁকা কাগজ বাংলাদেশে আনয়ন করেন অথবা উহা আনয়ন করিবার সহিত সংশ্লিষ্ট থাকেন অথবা উহা দখলে রাখেন এবং ধারণা করা হয় যে, যে ব্যক্তির দখল হইতে উহা উদ্ধার করা হইয়াছে অথবা যে ব্যক্তি উহা বাংলাদেশে আনিয়াছেন অথবা যাহার পক্ষে উহা বাংলাদেশে আনয়ন করা হইয়াছে তাহারা ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি অথবা ফার্ম কর্তৃক অথবা তাহার পক্ষে উহা চালানপত্র হিসাবে পূরণ এবং ব্যবহার করা সম্ভব।

(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা

 

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক ১ (এক) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

 

৩৮।

সাধারণ

যদি কোনো ব্যক্তি ছদ্মবেশ ধারণপূর্বক অথবা আক্রমণাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া এই আইনের যে কোনো বিধান দ্বারা বা অধীন অর্পিত বা প্রদত্ত কোনো কর্তব্য পালনরত বা ক্ষমতা প্রয়োগরত কোনো ব্যক্তিকে অথবা তাহার সহায়তাকারী কোনো ব্যক্তিকে ভীতি প্রদর্শন বা উক্ত অস্ত্র বর্ণিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহার করেন, যখন-

 

(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে; অথবা

 

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

 

 

(ক) তিনি কোনো পণ্য আমদানি বা রপ্তানির উপর এই আইন অথবা অন্য কোনো আইন দ্বারা আরোপিত নিষিদ্ধকরণ বা নিয়ন্ত্রণ লঙ্ঘন করিবার উদ্দেশ্যে অথবা উহার উপর আরোপণীয় শুল্ক ও কর পরিশোধ না করিবার অভিপ্রায়ে অথবা ইহা পরিশোধের জন্য জামানত প্রদান ব্যতীত উক্ত পণ্যের চলাচল, পরিবহণ বা লুকাইবার সহিত সংশ্লিষ্ট থাকেন;

 

অথবা

 

(খ) তিনি এই আইনের অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোনো পণ্য দখলে রাখেন

 

৩৯।

সাধারণ

যদি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের ভিতরে বা বাহিরে চোরাচালানের অথবা অভীষ্ট চোরাচালানের সহিত সম্পৃক্ত কোনো সংকেত বা সংবাদ হিসাবে বাংলাদেশের কোনো এলাকা হইতে অথবা কোনো জাহাজ বা উড়োজাহাজ হইতে কোনো জাহাজে বা কোনো উড়োজাহাজে অথবা সীমান্তের ওপারে অবস্থানরত কোনো ব্যক্তির অবগতির জন্য যে কোনো মাধ্যমে কোনো সংকেত বা সংবাদ প্রেরণ করেন, যে ব্যক্তির উদ্দেশ্যে উক্ত সংকেত বা সংবাদ প্রেরিত হয় তিনি উহা গ্রহণ করিবার অবস্থায় অথবা সেই সময়ে প্রকৃতপক্ষে চোরাচালানে নিয়োজিত থাকুক বা না থাকুক।

ব্যাখ্যা।-  এই দফার অধীন কোনো কার্যধারায় যদি এইরূপ কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয় যে কোনো সংকেত বা সংবাদ পূর্বোল্লিখিত সংকেত বা সংবাদ কিনা, তাহা হইলে উহা প্রমাণ করিবার দায় বিবাদীর উপর বর্তাইবে।

(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে; অথবা

 

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের কারাদন্ডে অথবা অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

 

৪০।

সাধারণ

যদি কোনো ব্যক্তি কোনো শুল্কযোগ্য পণ্য, যাহার উপর শুল্ক পরিশোধ করা হয় নাই, অথবা এই আইন বা অন্য কোনো আইনের যে কোনো বিধান লঙ্ঘনপূর্বক আমদানিকৃত পণ্য বাংলাদেশ এবং অন্য কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সীমান্ত হইতে বাংলাদেশের ১.৬ কিলোমিটার সীমানার মধ্যে অবস্থিত কোনো ইমারতের মধ্য দিয়া অথবা ইমারতের ভিতরে বা ইমারতের সহিত সংযুক্ত কোনো আঙ্গিনার মধ্য দিয়া অথবা আঙ্গিনার ভিতরে জমা রাখেন, ন্যস্ত করেন বা বহন করেন অথবা জমা রাখা, ন্যস্ত করা বা বহন করিবার ব্যবস্থা করেন।

(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা

 

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা অন্যূন
১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক
৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

৪১।

২৪৩

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৪৩ এর বিধান অনুযায়ী কোনো বৈধ লাইসেন্স ব্যতীত, কোনো যানবাহনে প্রবেশ বা প্রস্থান অথবা পণ্য আমদানি, রপ্তানি বা ব্যাগেজ সংক্রান্ত কোনো কাস্টমস কার্যক্রম পরিচালনা করেন।  

সংশ্লিষ্ট পণ্য শুল্ক- করযোগ্য হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আরোপণীয় শুল্ক- করাদির দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ অথবা, উক্ত পণ্য শুল্ক- করযোগ্য না হইলে, উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে।

৪২।

২৪৬

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৪৬ এর বিধান অনুযায়ী কোনো ব্যবসায়িক রেকর্ড বা কোনো বিশেষ কাস্টমস পদ্ধতির জন্য নির্ধারিত রেকর্ড সংরক্ষণ করিতে, বা উক্ত রেকর্ড কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার নিকট লভ্য বা উপস্থাপন করিতে বা কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক জিজ্ঞাসিত যে কোনো প্রশ্নের উত্তর প্রদান করিতে ব্যর্থ হন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে।

৪২।

২৪৭

যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ২৪৭ এর অধীন কোনো প্রজ্ঞাপনের বিধানাবলি অথবা বাংলাদেশের সীমান্তের ২৪ (চব্বিশ) কিলোমিটারের মধ্যে স্বর্ণ, রৌপ্য বা মহামূল্যবান পাথর অথবা স্বর্ণ, রৌপ্য বা মহামূল্যবান পাথরের তৈরি অলংকারের সহিত সম্পর্র্কিত ব্যবসার বিধি- নিষেধমূলক বিধানসমূহ লঙ্ঘন করেন।

 (ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে; অথবা

 

(খ) আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কিন্তু অনধিক ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের কারাদণ্ড এবং অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা কিন্তু অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

৪৪।

সাধারণ

যদি কোনো ব্যক্তি উপরি- উল্লিখিত এন্ট্রিসমূহে উল্লিখিত কার্য ব্যতীত এই আইনে বারিত করা হইয়াছে এইরূপ কোনো কার্য করেন অথবা এই আইনের অধীন করণীয় এইরূপ কোনো কার্য করা হইতে বিরত থাকেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা কিন্তু অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে।

৪৫

সাধারণ

যদি কোনো ব্যক্তি, কোনো কাস্টম হাউস বা স্টেশনের মাধ্যমে আমদানিকৃত পণ্যের মালিক না হইয়া বা পণ্যের মালিক হইতে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হইয়া উক্ত পণ্য খালাসের উদ্দেশ্যে পণ্যের মালিকের পক্ষে কোনো দলিলাদিতে স্বাক্ষর বা সত্যায়ন করেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপণীয় হইবে।

(২) উপ- ধারা (১) এর টেবিলের কলাম (১) এ উল্লিখিত ক্রমিক নম্বর ১৭ ও ২৭ এর বিপরীতে কলাম (৪) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো ব্যক্তি পণ্য ঘোষণায় উল্লিখিত পণ্যের পরিমাণ, গুণাগুণ, প্রকৃতি, পণ্যের শ্রেণিবিন্যাস, কাস্টমস মূল্য বা উৎস দেশের বিষয়ে সঠিক, সত্য বা সম্পূর্ণ বিবরণের ধারণা প্রদান করিতে ব্যর্থ হন বা সকল পণ্য ঘোষণা করিতে ব্যর্থ হন, যাহার ফলে শুল্ক ও কর বা অন্যান্য চার্জ প্রকৃত পরিমাণ হইতে কম পরিমাণে নিরূপিত বা পরিশোধিত হয়, তাহা হইলে উক্ত ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি নিম্নরূপ যে কোনো বিষয় অবহিতকরণের (notify) পূর্বেই সংশ্লিষ্ট লঙ্ঘন সম্পর্কে স্বেচ্ছায় উপযুক্ত কাস্টমস কর্মকর্তার নিকট তাহা প্রকাশ করেন, তাহা হইলে তাহার বিরুদ্ধে এই ধারার অধীন কোনো জরিমানা আরোপ করা হইবে না, যথা :-

(ক) সংশ্লিষ্ট ঘোষণা বা উক্ত ঘোষণা সম্পর্কিত পণ্য পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত হইলে;

(খ) সংশ্লিষ্ট ঘোষণা সম্পর্কিত দলিল উপস্থাপনের জন্য আবশ্যকতা থাকিলে; বা

(গ) নিরীক্ষা বা তদন্ত পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট ঘোষণা বাছাইকৃত হইলে:

তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ প্রকাশের সময় বা যথাযথ কর্মকর্তা কর্তৃক অবহিত হইবার ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে বা কমিশনার কর্তৃক অনুমোদিত বর্ধিত সময়ের মধ্যে উক্ত অপরিশোধিত শুল্ক, কর ও ফি এবং উহা হইতে উদ্ভূত কোনো সুদ সম্পূর্ণ পরিশোধ করিতে হইবে।

(৩) যথাযথ কর্মকর্তা, উপ- ধারা (১) এর টেবিলের কলাম (৩) এ বর্ণিত যে কোনো অপরাধ তদন্ত করিতে পারিবে এবং সেইক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির অধীন তদন্ত অনুষ্ঠানের জন্য সাব- ইন্সপেক্টর অব পুলিশ পদের নিম্নে নহে এইরূপ কোনো কর্মকর্তা যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারেন, সেই একই ক্ষমতা উক্ত যথাযথ কর্মকর্তা প্রয়োগ করিতে পারিবে।

 

1[(৪) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, বিধি দ্বারা কতিপয় অপরাধ চিহ্নিত এবং উক্ত অপরাধের জন্য জরিমানা আরোপ করা যাইবে, এবং এইরূপ জরিমানার পরিমাণ উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত সবোর্চ্চ জরিমানার অধিক হইতে পারিবে না]


  • 1
    উপ-ধারা (৪) অর্থ আইন, ২০২৪ (২০২৪ সনের ৫ নং আইন) এর ৯৬ ধারাবলে সংযোজিত যাহা ২০২৪ সনের ১ জুলাই হইতে কার্যকর।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs