প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
ষষ্ঠবিংশ অধ্যায়
আপিল এবং পুনরীক্ষণ
২২৮। (১) আপিল ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা এবং দায়িত্ব সভাপতি কর্তৃক ইহার সদস্যগণের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চসমূহ কর্তৃক প্রয়োগ এবং পালন করা হইবে।
(২) উপ-ধারা (৩) এবং উপ- ধারা (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, একটি বেঞ্চ যে কোনো দুইজন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে।
(৩) অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে শুল্কের হার বা শুল্কায়নের জন্য পণ্যের মূল্য বিষয়ক কোনো প্রশ্নের নিষ্পত্তি সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত অথবা আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিলের শুনানি সভাপতি কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে গঠিত বিশেষ বেঞ্চে গৃহীত হইবে এবং এইরূপ বেঞ্চের সদস্য সংখ্যা দুইজনের নিম্নে হইবে না।
(৪) আপিল ট্রাইব্যুনালের সভাপতি বা তদ্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো সদস্য, তিনি যে বেঞ্চের সদস্য সেই বেঞ্চে বরাদ্দকৃত নিম্নবর্ণিত কোনো মামলা এককভাবে নিষ্পত্তি করিতে পারিবেন, যথা:-
(ক) ধারা ২০৫ অনুযায়ী পণ্যের মালিককে পণ্য বাজেয়াপ্তকরণের পরিবর্তে বিমোচন জরিমানা প্রদানের সুযোগ ব্যতীত বাজেয়াপ্তকৃত পণ্যের মূল্য এক লক্ষ টাকার অধিক না হইলে;
(খ) শুল্ক হার নির্ধারণ বা শুল্কায়নের জন্য মূল্য নিরূপণের সহিত জড়িত কোনো প্রশ্ন ব্যতীত অন্য কোনো বিরোধযুক্ত মামলা যে ক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় অথবা বিচার্য বিষয়ের প্রসঙ্গে হয় সেইক্ষেত্রে জড়িত শুল্কের পার্থক্য বা জড়িত শুল্কের পরিমাণ এক লক্ষ টাকার অধিক না হইলে; অথবা
(গ) জড়িত জরিমানার পরিমাণ এক লক্ষ টাকার অধিক না হইলে।
(৫) সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বেঞ্চের সদস্যগণের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য দেখা দিলে সংখ্যাগরিষ্ঠের অভিমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইবে; কিন্তু যদি সদস্যগণ সমভাবে বিভক্ত হন, তাহা হইলে তাহারা মতপার্থক্যের বিষয়সমূহ লিপিবদ্ধ করিয়া উহা সভাপতির নিকট প্রেরণ করিবেন, যিনি স্বয়ং বিষয়টির শুনানি গ্রহণ করিবেন অথবা ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য এক অথবা একাধিক সদস্যের শুনানির জন্য উহা প্রেরণ করিবেন এবং উক্ত ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের যে সকল সদস্য মামলার প্রারম্ভিক পর্যায়ে বা পরবর্তীতে শুনানি গ্রহণ করিয়াছেন তাহাদের সকলের সংখ্যাগরিষ্ঠ অভিমত অনুসারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইবে।
(৬) এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ক্ষমতার প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন সম্পর্কিত সকল বিষয়ে, আপিল ট্রাইব্যুনাল ও বেঞ্চসমূহের অধিবেশনের স্থানসহ কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিবার ক্ষমতা উক্ত ট্রাইব্যুনালের থাকিবে।
(৭) নিম্নবর্ণিত বিষয়ে দেওয়ানি কার্যবিধির অধীন একটি দেওয়ানি আদালত যেরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারে আপিল ট্রাইব্যুনালও এই ধারার অধীন সেইরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) উদ্ঘাটন এবং পরিদর্শন;
(খ) কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং তাহাকে শপথ বাক্য পাঠ করাইয়া পরীক্ষা করা;
(গ) হিসাব বহি এবং অন্যান্য দলিলপত্র উপস্থাপনে বাধ্য করা; এবং
(ঘ) কমিশন জারি করা।
(৮) আপিল ট্রাইব্যুনালের কার্যধারা দণ্ডবিধির ধারা ১৯৩ ও ২২৮ এর মর্মানুযায়ী এবং ধারা ১৯৬ এর উদ্দেশ্যে বিচার বিভাগীয় কার্যধারা হিসাবে গণ্য করা হইবে এবং আপিল ট্রাইব্যুনাল ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১৯৫ এবং ষষ্ঠবিংশ অধ্যায়ের উদ্দেশ্যে একটি দেওয়ানি আদালত হিসাবে গণ্য হইবে।