প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
২০। (১) কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্য কর্তৃক নিম্নবর্ণিত কোনো কর্ম হইবে একটি অপরাধ, যাহা সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে, যথা:-
(ক) বাহিনীর অস্ত্র, গোলাবারুদ, পোশাক, যন্ত্রাংশ বা যানবাহনের অংশবিশেষ পরিকল্পিতভাবে বিনষ্ট করা বা অবহেলার কারণে হারাইয়া ফেলা বা প্রতারণা বা জালিয়াতির আশ্রয় লইয়া তছরুপ করা;
(খ) কর্তব্যরত অবস্থায় মাতাল হওয়া বা মাতলামি করা;
(গ) কোনো কর্তব্যরত প্রহরীকে আঘাত করা বা তাহার উপর বল প্রয়োগ করা;
(ঘ) কোয়ার্টার গার্ডের কমান্ডে থাকা অবস্থায় লিখিত আদেশ সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অন্তরীণ না রাখা বা অন্তরীণ রাখিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করা বা অন্তরীণ রাখা ব্যক্তিকে স্বেচ্ছায় ছাড়িয়া দেওয়া;
(ঙ) কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে ডিউটি পোস্ট বা টহল পরিত্যাগ করা;
(চ) কোনো দায়িত্বপূর্ণ এলাকা, ডিউটি পোস্ট বা টহল দলের কমান্ডে থাকিয়া উক্ত দায়িত্বাধীন স্থলে মোতায়েনকৃত কোনো ব্যক্তিকে জুয়া খেলার অথবা শৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজ করিবার অনুমতি প্রদান করা;
(ছ) এই আইনের অধীন অন্তরীণ থাকাবস্থায়, আটকাদেশ হইতে অব্যাহতি পাইবার পূর্বে কৌশলে উক্ত স্থান ত্যাগ করা;
(জ) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক আদেশ অমান্য করা;
(ঝ) কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্যকে শারীরিকভাবে আঘাত করিয়া জখম করা;
(ঞ) কোনো ডিউটি পোস্ট বা নির্ধারিত এলাকার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনা অবহিত হওয়া সত্ত্বেও আহত ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করা;
(ট) অবৈধভাবে কোনো ব্যক্তি, পরিবহন, যানবাহন, ইত্যাদি হইতে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা;
(ঠ) পরিকল্পিতভাবে বা অবহেলার কারণে তাহার দায়িত্বে থাকা সরকারি ঘোড়া বা সরকারি অন্য কোনো প্রাণীর প্রাণহানি করা বা জখম করা বা হারাইয়া ফেলা;
(ড) জ্যেষ্ঠ ব্যাটালিয়ন সদস্যের আইনানুগ আদেশ অমান্য করা;
(ঢ) পরিকল্পিতভাবে বা অবহেলার কারণে অপরাধীকে আটক করিতে অথবা অবহেলাজনিত কারণে তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়া।
(২) উপধারা (১) এ বর্ণিত অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে নিম্নরূপ দণ্ড আরোপ করা যাইবে, যথা:-
(ক) উপধারা (১) এর দফা (ক) এ বর্ণিত অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক ৩ (তিন) বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড ও আর্থিক ক্ষতির ক্ষেত্রে সমপরিমাণ অর্থদণ্ড;
(খ) অন্যান্য দফায় বর্ণিত অপরাধের জন্য অনধিক ৯০ (নব্বই) দিন সশ্রম কারাদণ্ড।