প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
২১। (১) কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্য কর্তৃক নিম্নবর্ণিত কোনো কর্ম হইবে একটি অপরাধ, যাহা বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে, যথা:-
(ক) বিদ্রোহ সংঘটন, উহাতে প্ররোচনা প্রদান, বিদ্রোহের কারণ সৃষ্টি, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়া বা উহাতে যোগদান করা;
(খ) বিদ্রোহ স্থলে উপস্থিত থাকিয়া উহা দমনের জন্য যথাসাধ্য প্রচেষ্টা গ্রহণ না করা;
(গ) বিদ্রোহ সম্পর্কে জ্ঞাত থাকিয়া বা উক্তরূপ কোনো বিদ্রোহের অস্তিত্ব রহিয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করিয়া ষড়যন্ত্রের কথা যুক্তিযুক্তভাবে জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও তাহার অধিনায়ক বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত না করা;
(ঘ) কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্যকে সরকারের প্রতি তাহার কর্তব্য বা আনুগত্য হইতে বিরত রাখা;
(ঙ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিদ্রোহের সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়ন সদস্য বা আনসার ব্যাটালিয়ন বহির্ভূত কোনো ব্যক্তিকে অস্ত্র, গোলাবারুদ বা দ্রব্য-সামগ্রী দ্বারা অথবা অন্য কোনো উপায়ে সাহায্য করা;
(চ) বিদ্রোহের সহিত সম্পৃক্ত অন্য যে কোনো অপরাধ সংঘটন করা;
(ছ) উপরি-উক্ত অপরাধসমূহ সংঘটনে সহায়তা প্রদান করা।
(২) উপধারা (১) এ বর্ণিত অপরাধসমূহের জন্য নিম্নবর্ণিত যে কোনো দণ্ড আরোপ করা যাইবে, যথা:-
(ক) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড; বা
(খ) অন্যূন ৫ (পাঁচ) বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড।
(৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কার্যকর করিবার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।
(৪) কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্য ৯০ (নব্বই) দিনের অধিক কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইলে তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাকুরি হইতে বরখাস্ত হইবেন।