প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫

( ২০২৫ সনের ১১ নং অধ্যাদেশ )

২০০০ সনের ৮ নং আইনের ধারা ১৮ এর সংশোধন

৯। উক্ত আইনের ধারা ১৮ এর-

(ক) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত “ষাট” শব্দটির পরিবর্তে “ত্রিশ” শব্দটি প্রতিস্থাপিত হইবে;

(খ) উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (২) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“(২) কোন যুক্তিসংগত কারণে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তদন্তকার্য সমাপ্ত করা সম্ভব না হইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তের মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে কেস ডায়েরিসহ বিলম্বের কারণ সংবলিত লিখিত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে বা, ক্ষেত্রমত, ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থাপন করিবেন এবং ট্রাইব্যুনাল বা ম্যাজিস্ট্রেট সন্তুষ্ট হইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা পরবর্তী পনের কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, যেসব মামলার তদন্তে ট্রাইব্যুনাল বা, ক্ষেত্রমত, ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদন সাপেক্ষে ডিএনএ পরীক্ষা আবশ্যক, সেসব মামলার তদন্তের মেয়াদ ট্রাইব্যুনাল বা, ক্ষেত্রমত, ম্যাজিস্ট্রেট ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সময় পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারিবে।”;

(গ) উপ-ধারা (৩) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৩) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“(৩) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর উহার বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল হইলে ট্রাইব্যুনাল অধিকতর তদন্তের নিমিত্ত নূতন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করিতে পারিবে এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে তদন্তের আদেশ প্রাপ্ত হইবার পরবর্তী পনের কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করিতে হইবে।”;

(ঘ) উপ-ধারা (৪) ও (৫) বিলুপ্ত হইবে;

(ঙ) উপ-ধারা (৬) এর পরিবর্তে নিম্নরূপ উপ-ধারা (৬) প্রতিস্থাপিত হইবে, যথা:-

“(৬) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময়সীমা বা ক্ষেত্রমত, উপ-ধারা (২) ও (৩) এর অধীন বর্ধিত সময়সীমার মধ্যে কোন তদন্তকার্য সম্পন্ন না করার ক্ষেত্রে, তৎসম্পর্কে ব্যাখ্যা সংবলিত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর তদন্তের আদেশ প্রদানকারী ট্রাইব্যুনাল কিংবা, ক্ষেত্রমত, ম্যাজিস্ট্রেট যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা বা ক্ষেত্রবিশেষে কোন সরকারি কর্মকর্তা দায়ী, তাহা হইলে উহা দায়ী ব্যক্তির অদক্ষতা ও অসদাচরণ বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং এই অদক্ষতা ও অসদাচরণ তাহার বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ করা হইবে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।”;

(চ) উপ-ধারা (৮) এ উল্লিখিত “কোন অপরাধের তদন্তকারী কর্মকর্তা” শব্দগুলির পর “নিজে বা তাহার ঊর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তার নির্দেশে” শব্দগুলি এবং “উক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তার” শব্দগুলির পর “বা, ক্ষেত্রমত, তাহার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে;

(ছ) উপ-ধারা (৯) এ উল্লিখিত “ট্রাইব্যুনাল” শব্দের পর “বা, ক্ষেত্রমত, ম্যাজিস্ট্রেট” শব্দগুলি সন্নিবেশিত হইবে;

(জ) উপ-ধারা (৯) এর পর নিম্নরূপ নূতন উপ-ধারা (১০) সন্নিবেশিত হইবে, যথা:-

“(১০) ধারা ৯ এর অধীন মামলা তদন্ত করার সময়ে প্রশাসনিক আদেশে কোন তদন্তকারী কর্মকর্তার বদলি কার্যকর করা যাইবে না।”।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs