প্রিন্ট ভিউ

মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০২৫

( ২০২৫ সনের ৩৮ নং অধ্যাদেশ )

দ্বিতীয় অধ্যায়

কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি

কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা

৫। (১) এই অধ্যাদেশ কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ [Maheshkhali Integrated Development Authority (MIDA)] নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হইবে।

(২) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।

কর্তৃপক্ষের কার্যালয়

৬। (১) কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে থাকিবে।

(২) কর্তৃপক্ষ, গভর্নিং বোর্ডের অনুমোদন গ্রহণক্রমে, প্রয়োজনে, যেকোনো স্থানে ইহার লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন করিতে পারিবে।

গভর্নিং বোর্ড

৭। (১) এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান এবং কর্তৃপক্ষের কার্যাবলি অনুমোদনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা/প্রধানমন্ত্রীকে চেয়ারপার্সন করিয়া নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে একটি গভর্নিং বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:-

(ক) উপদেষ্টা/মন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়, যিনি ইহার ভাইস-চেয়ারপার্সনও হইবেন;

(খ) উপদেষ্টা/মন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়;

(গ) উপদেষ্টা/মন্ত্রী, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়;

(ঘ) উপদেষ্টা/মন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রণালয়;

(ঙ) উপদেষ্টা/মন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রণালয়;

(চ) উপদেষ্টা/ মন্ত্রী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়;

(ছ) উপদেষ্টা/মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়;

(জ) উপদেষ্টা/মন্ত্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়;

(ঝ) প্রধান উপদেষ্টা/প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব;

(ঞ) নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ;

(ট) নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ; এবং

(ঠ) নির্বাহী চেয়ারম্যান, মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (MIDA), যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) হইতে (জ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রী, যদি থাকেন, এবং মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী উভয়ের অনুপস্থিতিতে উপ-মন্ত্রী, যদি থাকেন, গভর্নিং বোর্ডের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।

(৩) সরকার, এই অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনো ব্যক্তিকে প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত উদ্দেশ্য ও মেয়াদের জন্য গভর্নিং বোর্ডের সদস্য হিসাবে কো-অপ্ট করিতে পারিবে।

কর্তৃপক্ষ গঠন

৮। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবে, যথা:-

(ক) সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান যাহার চাকরির শর্তাদি, পদমর্যাদা এবং অন্যান্য বিষয়াদি সরকার কর্তৃক স্থিরকৃত হইবে;

(খ) যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রেষণে অথবা সরকার কর্তৃক সরাসরি নিয়োগকৃত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার ৩ (তিন) জন সদস্য।

(২) নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক মুখ্য নির্বাহী হইবেন এবং তিনি কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকাণ্ডের জন্য গভর্নিং বোর্ডের নিকট দায়ী থাকিবেন।

(৩) গভর্নিং বোর্ডের সকল সিদ্ধান্ত বা চেয়ারপার্সন কর্তৃক, সময় সময়, নির্দেশিত সকল দায়িত্ব এবং কর্তৃপক্ষের সকল কার্যাবলি নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক সম্পাদিত ও বাস্তবায়িত হইবে।

(৪) নির্বাহী চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা তাহার অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে তিনি তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, ক্ষেত্রমত, শূন্যপদে নিযুক্ত নূতন নির্বাহী চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা নির্বাহী চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো কর্মকর্তা নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন।

(৫) নির্বাহী চেয়ারম্যান গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারপার্সনের সহিত আলোচনাক্রমে বোর্ডের সভা আহ্বান এবং আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করিবেন।

কর্তৃপক্ষের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী

৯। (১) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ উহার দায়িত্ব ও কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।

(২) কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs