Print View

[Section Index]

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৮০

( ACT NO. ৩৭ OF ১৯৮০ )

ভাইস-চ্যান্সেলরের ক্ষমতা ও কার্যাবলী
১১। (১) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন নির্বাহী ও 1[ একাডেমিক] অফিসার থাকিবেন।
 
(২) ভাইস-চ্যান্সেলর চ্যান্সেলরের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করিবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন কর্তৃপক্ষ অথবা প্রতিষ্ঠানের কোন সভাতে উপস্থিত থাকিতে এবং কথা বলিতে পারিবেন, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য না হইলে তাহাতে তাহার ভোট প্রদানের অধিকার থাকিবে না।
 
(৩) ভাইস-চ্যান্সেলর এই বিধানসমূহ, সংবিধি ও অধ্যাদেশসমূহ বিশ্বস্ততার সহিত পরিপালিত হইতেছে কিনা, সে সমপর্কে নিশ্চিয়তাবিধান করিবেন এবং এই উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন।
 
(৪) জরুরী পরিস্থিতির ক্ষেত্রে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করিলে সেইমতো তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন এবং তৎপর সাধারণতঃ যে অফিসার, কর্তৃপক্ষ কিংবা অন্য যে প্রতিষ্ঠান বিষয়টি সম্পর্কে কাজ করেন, তাঁহাকে বা তাঁহাদিগকে যথাশীঘ্র তিনি যে ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছেন, তাহার একটি রিপোর্ট প্রদান করিবেনঃ
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারায় ভাইস-চ্যান্সেলরকে এইরূপ কোন ক্ষমতা প্রদান করে না, যাহাতে তিনি নুতন পদ সৃষ্টি করিতে পারেন অথবা অনুমোদিত বার্ষিক বাজেটে প্রদর্শিত অর্থের পরিমাণ অপেক্ষা অধিক পরিমাণ অর্থ ব্যয় করিতে পারেন।
 
(৫) ভাইস-চ্যান্সেলর অনধিক ছয় মাসের জন্য কোষাধ্যক্ষ ব্যতীত অফিসার, শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবেন এবং এইরূপ নিয়োগের বিষয় সিন্ডিকেটের নিকট রিপোর্ট করিতে হইবেঃ
 
তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পূর্বেই অনুমোদিত নহে, এইরূপ কোন পদে লোক নিয়োগ করা যাইবে না।
 
(৬) ভাইস-চ্যান্সেলর সিন্ডিকেটের অনুমোদন লইয়া, তিনি প্রয়োজন বিবেচনা করিলে তাঁহার এইরূপ ক্ষমতা ও কার্যাবলী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল অফিসারকে উপযুক্ত মনে করিবেন, সেই সকল অফিসারের নিকট অর্পণ করিতে পারিবেন।
 
(৭) ভাইস-চ্যান্সেলর সিন্ডিকেট ও 2[ একাডেমিক] পরিষদের সভা আহবান করিবেন।
 
(৮) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের কোন সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবের সহিত ভাইস-চ্যান্সেলর একমত না হইলে, তিনি সেই সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবের বাস্তবায়ন বন্ধ রাখিতে পারেন এবং রায়ের জন্য চ্যান্সেলরের নিকট তাহা পাঠাইতে পারেন এবং সেই ব্যাপারে চ্যান্সেলরের রায় চূড়ান্ত হইবে।
 
(৯) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার ও শিক্ষকগণের নিযুক্তি, কর্মচ্যুতি ও সাময়িক বরখাস্ত এবং তাঁহাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য শৃঙখলামুলক ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে সিন্ডিকেটের রায়কে কার্যকর করিবেন।
 
(১০) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার, শিক্ষক ও কর্মচারীগণের উপর সাধারণ নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করিবেন।
 
(১১) এই আইন, সংবিধি ও অধ্যাদেশ অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙখলা রক্ষা করিবার দায়িত্ব ভাইস-চ্যান্সেলরের উপর থাকিবে।
 
(১২) ভাইস-চ্যান্সেলর সংবিধি, অধ্যাদেশ ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত আর কোন ক্ষমতা থাকিলে তাহা প্রয়োগ করিবেন।

  • 1
    "একাডেমিক" শব্দটি "অ্যাকাদেমী" শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    "একাডেমিক" শব্দটি "অ্যাকাদেমী" শব্দটির পরিবর্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs