প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

বাংলাদেশ ঋণ সালিসি আইন, ১৯৮৯

( ১৯৮৯ সনের ১৫ নং আইন )

কতিপয় জমির বিক্রয় খায়খালাসী বন্ধক ঘোষণা
৬৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার পর অনধিক তিন একর কৃষি জমির মালিক কোন কৃষক প্রাকৃতিক দুর্যোগে তগতিগ্রস্ত হওয়ার বা জীবন ধারণে অতগমতাজনিত অসহায়তার কারণে কোন কৃষি জমি বিক্রয় করিলে, এবং-
 
 
(ক) উক্ত জমির বিক্রয়মূল্য অনধিক ত্রিশ হাজার টাকা হইলে অথবা সমশ্রেনীর জমির ক্রয়কালীন সময় স্থানীয় বাজার দরের চেয়ে কম হইলে, এবং
 
(খ) বিক্রীত জমির পরিমাণ অনধিক এক একর হইলে,
 
উক্ত কৃষক বোর্ড গঠিত হইবার ছয় মাস, বা বিক্রয় দলিল রেজিিষ্ট্র হইবার ছয় মাস, যাহাই পরে হয়, এর মধ্যে উক্ত বিক্রয়কে খায়খালাসী বন্ধক হিসাবে ঘোষণা করিবার জন্য বোর্ডের নিকট বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে দরখাস্ত্ম করিতে পারিবেন এবং বোর্ড, দরখাস্তটি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে শুনানীর পর, দরখাস্তর যথার্থতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট হইলে, উক্ত বিক্রয়কে সাত বত্সর মেয়াদী খায়খালাসী বন্ধক হিসাবে ঘোষণা করিবে :
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত জমি ১লা জানুয়ারী, ১৯৮৯ তারিখের পূর্বে পুনরায় হস্তান্তরিত হইয়া থাকিলে বা ঐ তারিখের পূর্বে উহার উপর কোন শিল্প কারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা ইমারত স্থাপনের বা অন্য কোন কারণে উহার প্রকৃতি স্থায়ীভাবে পরিবর্তিত হইয়া থাকিলে, উক্ত জমির ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার অধীন কোন দরখাস্ত গ্রহণযোগ্য হইবে না৷
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন বিক্রয় খায়খালাসী বন্ধক হিসাবে ঘোষিত হইলে বোর্ড, তত্কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, যাহা তিন মাসের অধিক হইবে না, বিক্রীত জমির দখল বিক্রেতার নিকট প্রত্যর্পণ করিবার জন্য ক্রেতাকে নির্দেশ দান করিবে৷
 
(৩) যদি উপ-ধারা (২) এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্রেতা জমি প্রত্যর্পণ না করেন বা করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে ধারা ৮ এর বিধান অনুযায়ী উক্ত প্রত্যর্পণ কার্যকর করা হইবে৷
 
(৪) যে ক্ষেত্রে বোর্ড উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন বিক্রয়কে খায়খালাসী বন্ধক হিসাবে গণ্য করে সে ক্ষেত্রে বিক্রয়মূল্য বন্ধকী অর্থ বলিয়া গণ্য হইবে এবং বিক্রেতা কর্তৃক পরিশোধ্য বন্ধকী অর্থের পরিমাণ বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন পরিশোধ্য বন্ধকী অর্থের পরিমাণ নির্ধারণের সময় বোর্ড বিক্রয়মূল্য হইতে এক-দশমাংশ পৃথক করিয়া ক্রেতা উক্ত জমি যত বত্সর ভোগ করিয়াছেন উহার প্রতি বত্সরের জন্য উক্ত এক-দশমাংশ হইতে উহার এক-সপ্তমাংশ হারে বাদ দিবে এবং বাকী অংশ বিক্রয়মূল্যের অবশিষ্ট নয়-দশমাংশের সহিত যোগ করিয়া মোট পরিশোধ্য অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করিবে :
 
তবে শর্ত থাকে যে, যদি ক্রেতা উক্ত জমি সাত বত্সরের অধিক কাল ভোগ করিয়া থাকেন, তাহা হইলে উক্ত এক-দশমাংশ সম্পূর্ণরূপে বিক্রয় মূল্য হইতে বাদ দিয়া পরিশোধ্য অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করিতে হইবে৷
 
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন নির্ধারিত পরিশোধ্য অর্থ অনধিক দশটি বার্ষিক কিস্ততে শতকরা বার্ষিক বিশ টাকা হারে সরল সুদসহ ক্রেতাকে পরিশোধের জন্য বোর্ড বিক্রেতাকে নির্দেশ দিবে৷
 
(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন নির্ধারিত কোন কিস্ত অনাদায়ী থাকিলে অনাদায়ী কিস্ত্র অর্থ সরকারী দাবী (public demand) বলিয়া গণ্য হইবে এবং তদনুসারে ইহা আদায়যোগ্য হইবে :
 
তবে শর্ত থাকে যে, ক্রেতা যদি অনধিক দুই একর জমির মালিক হন অথবা ক্রেতা যদি অনধিক তিন একর জমির মালিক হন এবং জীবন ধারণে অতগমতাজনিত অসহায় হন তবে উক্ত উক্ত ধারা ‘৬' প্রাজ্য হইবে না৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs