সংবিধি প্রণয়ন
৩৯৷ (১) এই ধারায় বর্ণিত পদ্ধতিতে সিন্ডিকেট সংবিধি প্রণয়ন, সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবে৷
(২) সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রণীত সকল সংবিধি অনুমোদনের জন্য সিনেটে পেশ করিতে হইবে৷
(৩) কোন সংবিধি অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব প্রাপ্তির পর সিনেট সংবিধিটি বা উহার কোন বিধান পুনর্বিবেচনার জন্য অথবা উহাতে সিনেট কর্তৃক নির্দেশিত কোন সংশোধন বিবেচনার জন্য সিন্ডিকেটের নিকট ফেরত্ পাঠাইতে পারিবে, কিন্তু সিন্ডিকেট যদি সংবিধিটি নির্দেশিত সংশোধনসহ বা ব্যতিরেকে সিনেটে পেশ করে তাহা হইলে উহা, সিনেটের মোট সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে অগ্রাহ্য না হইলে, অনুমোদিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মচারীর কর্মের শর্তাবলী সংক্রান্ত সংবিধি সিনেটে পেশ করিতে হইবে বটে কিন্তু সিনেট কর্তৃক উহা অনুমোদনের প্রয়োজন হইবে না৷
(৪) সিনেট কর্তৃক অনুমোদিত বা অনুমোদিত বলিয়া গণ্য সকল সংবিধি ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক চ্যান্সেলরের সম্মতির জন্য তাহার সমীপে পেশ করিতে হইবে এবং চ্যান্সেলরের সম্মতির পর উহা কার্যকর হইবে৷
(৫) এই আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকিলে, সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্তৃপক্ষের মর্যাদা, ক্ষমতা ও গঠন ক্ষুণ্ন্নকারী কোন সংবিধি প্রণয়নের প্রস্তাব উক্ত কর্তৃপক্ষকে উহার উপর মন্তব্য প্রকাশের সুযোগ না দেওয়া পর্যন্ত পেশ করিতে পারিবে না, এবং এইরূপ কোন মন্তব্য লিখিতভাবে হইতে হইবে এবং উহা প্রস্তাবিত সংবিধির খসড়াসহ সিনেটে পেশ করিতে হইবে৷