প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১

( ১৯৯১ সনের ১৩ নং আইন )

নির্বাচন-কর্মকর্তার শৃঙ্খলামূলক শাস্তি
৫৷ (১) কোন নির্বাচন-কর্মকর্তা নির্বাচন সংক্রান্ত কোন ব্যাপারে প্রদত্ত কমিশন বা ক্ষেত্রমত রিটার্নিং অফিসারের কোন আদেশ বা নির্দেশ পালনে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হইলে বা অস্বীকৃতি প্রকাশ করিলে বা নির্বাচন সংক্রান্ত কোন আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করিলে বা উহার অধীন কোন অপরাধ করিলে তিনি অসদাচরণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ অসদাচরণ তাহার চাকুরী বিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলিয়া বিবেচিত হইবে৷
 
 
(২) কোন নির্বাচন-কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অসদাচরণ করিলে তাহার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাহাকে চাকুরী হইতে অপসারণ বা বরখাস্ত করিতে পারিবে বা বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারিবে বা তাহার পদাবনতি করিতে পারিবে বা তাহার পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বত্সরের জন্য স্থগিত রাখিতে পারিবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কোন শাস্তি উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যর্থতা, অস্বীকৃতি, লঙ্ঘন বা অপরাধের জন্য অন্য কোন আইনে নির্ধারিত কোন দণ্ড প্রদান বা উহার জন্য কোন আইনগত কার্যধারা গ্রহণ ব্যাহত বা বারিত করিবে না৷
 
 
(৩) কোন নির্বাচন-কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অসদাচরণ করিলে কমিশন বা ক্ষেত্রমত কমিশনের সম্মতিক্রমে রিটার্নিং অফিসার তাহাকে, তাহার বিরুদ্ধে তজ্জন্য তাহার চাকুরীবিধি অনুযায়ী শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণ সাপেক্ষে, অনধিক দুই মাসের জন্য সাময়িকভাবে চাকুরী হইতে বরখাস্তের আদেশ দিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ বরখাস্তের আদেশ তাহার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাহার চাকুরী বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং তদনুযায়ী ইহা কার্যকর হইবে৷
 
 
(৪) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অসদাচরণের জন্য কোন নির্বাচন-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণের জন্য কোন নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে কমিশন বা ক্ষেত্রমত রিটার্নিং অফিসার অনুরোধ করিলে উক্ত কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ অনুরোধ প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে উক্তরূপ কার্যধারা গ্রহণ করিবে এবং তত্সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত করিবে৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs