ব্যাংক-কোম্পানীর [***] অধিগ্রহণ
৫৮৷ [(১) বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে রিপোর্ট প্রাপ্তির পর যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে,-
(ক) ধারা ২৯ বা ধারা ৪৫ এর অধীন ব্যাংক-নীতি সম্পর্কিত লিখিত নির্দেশনা পালন করিতে কোন ব্যাংক-কোম্পানী একাধিকবার ব্যর্থ হইয়াছে, বা
(খ) আমানতকারীদের ক্ষতি হইতে পারে এমন পদ্ধতিতে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হইতেছে, এবং
(অ) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর আমানতকারীদের স্বার্থে,
(আ) ব্যাংক-নীতির স্বার্থে, কিংবা
(ই) সাধারণভাবে বা কোন বিশেষ এলাকায় ঋণ প্রদানের জন্য উন্নততর ব্যবস্থার স্বার্থে;
উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী অথবা উহার এক বা একাধিক শাখা অথবা উহার অধীনস্থ কোন প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন;
তাহা হইলে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত আলোচনাক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা, উক্ত আদেশে নির্ধারিত তারিখ হইতে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী অথবা উহার এক বা একাধিক শাখা অথবা উহার অধীনস্থ কোন প্রতিষ্ঠান, অতঃপর অধিগৃহীত ব্যাংক বলিয়া উল্লিখিত, অধিগ্রহণ করিতে পারিবে।
ব্যাখ্যা।- এই খন্ডে, বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, ‘‘অধিগৃহীত ব্যাংক’’ বলিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অধিগৃহীত এক বা একাধিক শাখা অথবা উহার অধীনস্থ কোন প্রতিষ্ঠানকে বুঝাইবে।]
(২) এই অংশের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, অধিগৃহীত ব্যাংকের [***] সকল সম্পদ ও দায় নির্ধারিত তারিখে সরকারের নিকট হস্তান্তরিত এবং সরকারের উপর ন্যস্ত হইবে৷
(৩) অধিগৃহীত ব্যাংকের সকল অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধাদি এবং উহার নগদ সঞ্চিত তহবিল, বিনিয়োগ, গচ্ছিত অর্থসহ সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি এবং উক্ত সম্পত্তিতে অধিগৃহীত ব্যাংকের অন্যান্য সকল স্বার্থ এবং অধিকার, যাহা নির্ধারিত তারিখের পূর্বে উক্ত ব্যাংকের দখলে বা অধিকারে ছিল, এবং উহার সকল হিসাবের বই, রেকর্ডপত্র, দলিল দস্তাবেজ, এবং উহার সকল প্রকার দেনা, দায় ও দায়িত্ব অধিগৃহীত ব্যাংকের [***] সম্পদ ও দায়ের অন্তর্ভুক্ত হইবে৷
(৪) উপ-ধারা (২) তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, সরকারের উপর ন্যস্ত অধিগৃহীত ব্যাংকের [***] সম্পদ ও দায় সরকারের উপর ন্যস্ত হওয়া বা ন্যস্ত থাকার পরিবর্তে উহা এই অংশের অধীন প্রণীত কোন স্কীম এর আওতায় প্রতিষ্ঠিত কোন কোম্পানী বা কর্পোরেশন, অতঃপর এই খণ্ডে হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংক বলিয়া উল্লিখিত, এর উপর ন্যস্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়, তাহা হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশের দ্বারা, এই মর্মে নির্দেশ দিতে পারিবে যে, উক্ত [***] সম্পদ ও দায় উক্ত আদেশ প্রকাশনার তারিখ বা উহাতে উল্লিখিত অন্য কোন তারিখ হইতে, হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের উপর ন্যস্ত হইবে৷
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন অধিগৃহীত ব্যাংকের [***] সম্পদ ও দায় হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের উপর ন্যস্ত হইলে, ন্যস্ত হওয়ার তারিখ হইতে হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংক অধিগৃহীত ব্যাংকের হস্তান্তর গ্রহীতা বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত তারিখ হইতে অধিগৃহীত ব্যাংক সম্পর্কিত সকল অধিকার ও দায় হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের অধিকার ও দায় বলিয়া গণ্য হইবে৷
(৬) এই খণ্ডে স্পষ্ট বিধান না থাকিলে বা তদধীনে অনুরূপ বিধান করা না হইলে, নির্ধারিত তারিখের পূর্বে বিদ্যমান বা কার্যকর যে কোন ধরনের চুক্তি, লিখিত প্রতিশ্রুতি, আম্মোক্তারনামা, আইনানুগ প্রতিনিধির সম্মতিপত্র এবং অন্যান্য সকল প্রকার দলিল, যাহাতে অধিগৃহীত ব্যাংক একটি পক্ষ বা যাহা অধিগৃহীত ব্যাংকের অনুকূলে সম্পাদিত হইয়াছে সরকার বা হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে বা অনুকূলে সম্পূর্ণরূপে বলবত্ এবং কার্যকর হইবে যেন উহাতে অধিগৃহীত ব্যাংকের স্থলে, সরকার বা, ক্ষেত্রমত, হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংক পক্ষ ছিল এবং উহা সরকার বা হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে বা অনুকূলে সম্পাদিত হইয়াছিল৷
(৭) যদি নির্ধারিত তারিখে অধিগৃহীত ব্যাংকের দ্বারা দায়েরকৃত বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোন মোকদ্দমা, আপীল বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা বিচারের অপেক্ষায় থাকে, তাহা হইলে উহা চালু থাকিবে এবং উহা সরকার বা, ক্ষেত্রমত, অধিগৃহীত ব্যাংকের দ্বারা বা বিরুদ্ধে রুজু হইয়াছিল বলিয়া গণ্য হইবে৷