প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১

( ১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন )

ব্যবস্থাপক প্রতিনিধি নিয়োগ নিষিদ্ধকরণ ও কতিপয় নিয়োগের উপর বাধা নিষেধ
১১৷ (১) কোন ব্যাংক কোম্পানী-
 
 
(ক) উহার জন্য ব্যবস্থাপক প্রতিনিধি নিয়োগ করিবেনা বা ব্যবস্থাপক প্রতিনিধির দ্বারা উহার ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করিবেনা; বা
 
 
(খ) এমন কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিবেনা বা এমন কোন ব্যক্তির নিয়োগ অব্যাহত রাখিবেনা-
 
 
(অ) যিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইয়াছেন, বা কোন সময় দেউলিয়া ছিলেন, বা তাঁহার পাওনাদারের পাওনা পরিশোধ বন্ধ করিয়াছেন, বা পাওনাদারের সহিত আপোষ রফার মাধ্যমে পাওনা আদায় হইতে অব্যাহতি লাভ করিয়াছেন, বা নৈতিক স্খলনজনিত কারণে কোন ফৌজদারী আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হইয়াছেন;
 
 
(আ) যিনি তাঁহার পারিশ্রমিক বা পারিশ্রমিকের অংশ কমিশনের আকারে বা কোম্পানীর লাভের অংশের আকারে গ্রহণ করেন :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে,এই উপ-দফার কোন কিছুই ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত নিম্নলিখিত বোনাস বা কমিশনের”ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যথা:-
 
 
(১) কোন আইনের অধীনে শিল্প বিরোধ সম্পর্কিত কোন নিস্পত্তি বা রোয়েদাদ মোতাবেক, বা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক প্রণীত কোন স্কীম অনুসারে বা ব্যাংক-কোম্পানী প্রচলিত রীতি অনুসারে প্রদত্ত বোনাস; বা
 
 
 
 
(২) জামিনদার দালালসহ যে কোন দালাল, ক্যাশিয়ার, ঠিকাদার, মালামাল খালাস ও প্রেরণকারী প্রতিনিধি, নিলামদার বা, উক্ত কোম্পানীর নিয়মিত কর্মচারী ব্যতীত, চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত অন্য যে কোন ব্যক্তিকে প্রদত্ত কমিশন; 1[***]
 
 
(ই) বাংলাদেশ ব্যাংকের মতানুসারে যাহার পারিশ্রমিক মাত্রাতিরিক্ত৷
 
 
ব্যাখ্যা ১৷- এই উপ-দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, “পারিশ্রমিক” বলিতে ব্যাংক কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত কোন ব্যক্তির বেতন, ফিস এবং বেতন-অতিরিক্ত সুবিধাদিও অন্তর্ভুক্ত হইবে, কিন্তু দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে তিনি যে প্রকৃত খরচ করিয়াছেন তাহা পরিশোধ করার জন্য যে অর্থ বা ভাতা তাঁহাকে দেওয়া হয় উহা অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
 
 
ব্যাখ্যা ২৷- এই উপ-দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন পারিশ্রমিক মাত্রাতিরিক্ত কিনা ইহা নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি বিবেচনা করিতে পারিবে, যথা :-
 
 
(ক) ব্যাংক-কোম্পানীর আর্থিক অবস্থা, কর্মকান্ডের ব্যাপকতা, ব্যবসার পরিমাণ এবং উপার্জন ”ক্ষমতার সাধারণ ঝোঁক;
 
 
(খ) উহার শাখা বা কার্যালয়ের সংখ্যা;
 
 
(গ) পারিশ্রমিক প্রাপ্ত ব্যক্তির যোগ্যতা, বয়স এবং অভিজ্ঞতা;
 
 
(ঘ) ব্যাংক-কোম্পানীতে নিয়োজিত অন্যান্য ব্যক্তিকে অথবা প্রায় একই অবস্থাসম্পন্ন অন্যান্য ব্যাংক-কোম্পানীতে অনুরূপ পদে নিয়োজিত ব্যক্তিকে প্রদত্ত পারিশ্রমিকের পরিমাণ; এবং
 
 
(ঙ) উহার আমানতকারীদের স্বার্থ৷
 
 
(গ) এমন ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হইবে না, যিনি-
 
 
(অ) বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন গ্রহণ না করিয়া, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা কোম্পানী আইনের 2[ধারা ২৮] এর অধীন নিবন্ধীকৃত কোন কোম্পানী ব্যতীত অন্য কোন কোম্পানীর পরিচালক হিসাবে কার্যরত আছেন; বা
 
 
(আ) অন্য কোন ব্যবসায়ে বা পেশায় নিয়োজিত আছেন; বা
 
 
(ই) কোন সময়ে 3[একাদিক্রমে] পাঁচ বত্সরের অধিক সময়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিলেন :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ব্যাংক-কোম্পানী পরিচালনার জন্য কোন চুক্তির মেয়াদ, কোম্পানীর পরিচালকদের সিদ্ধান্তের দ্বারা, প্রতিবারে অনধিক পাঁচ বত্সরের জন্য নবায়ন বা বর্ধিত করা যাইবে :
 
 
তবে আরও শর্ত থাকে যে, শুধুমাত্র উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক হওয়ার কারণেই কোন পরিচালক, ব্যবস্থাপনা-পরিচালক ব্যতীত, এর”ক্ষেত্রে এই দফার বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবেনা৷
 
 
(২) যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান, পরিচালক, ম্যানেজার, বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হউন, সম্পর্কে কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ এইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, তিনি কোন আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়াছেন, এবং বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্তরূপ লঙ্ঘন এতই গুরুতর যে, ব্যাংক-কোম্পানীর সহিত উক্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট থাকা ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার আমানতকারীদের স্বার্থবিরোধী বা অন্য কোনভাবে অবাঞ্চিত হইবে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক এই মর্মে আদেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, আদেশে উল্লেখিত তারিখ হইতে, উক্ত ব্যক্তি তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না, এবং এইরূপ আদেশ প্রদান করা হইলে, উক্ত তারিখ হইতে তাঁহার উক্ত পদ শূন্য হইবে৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশে ইহা উল্রেখ করা যাইতে পারে যে, উক্ত ব্যক্তি, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে, উক্ত আদেশে উল্লেখিত মেয়াদ, যাহা পাঁচ বত্সরের বেশী হইবে না, এর মধ্যে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট থাকিবেন না বা অংশ গ্রহণ করিবেন না৷
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রস্তাবিত কোন আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট তাঁহার বক্তব্য পেশ করিবার সুযোগ না দিয়া উক্ত আদেশ প্রদান করা যাইবে না :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, অনুরূপ কোন সুযোগ প্রদানজনিত বিলম্ব উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা ইহার আমানতকারীগণের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হইবে, তাহা হইলে অনুরূপ সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন হইবে না৷
 
 
4[(৪ক) যদি কোন ব্যাংক কোম্পানীর কোন কর্মকর্তা অর্থ আত্মসাত, দুর্নীতি, জাল-জালিয়াতি, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে চাকুরী হইতে বরখাস্ত হন, তাহা হইলে তিনি পরবর্তী কোন ব্যাংক কোম্পানীর চাকুরীতে নিয়োগের অযোগ্য হইবেন৷]
 
 
(৫) এই ধারার অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ চূড়ান্ত হইবে৷

  • 1
    “বা” শব্দটি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৯ ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 2
    “ধারা ২৮” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 26” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 3
    “একাদিক্রমে” শব্দটি “একাধিক্রমে” শব্দটি পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 4
    উপ-ধারা (৪ক) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ২৫ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সন্নিবেশিত
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs