প্রিন্ট ভিউ
[সেকশন সূচি]
১৩৷ 2[(১) বাংলাদেশে কার্যরত সকল ব্যাংক-কোম্পানীকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময়ে সময়ে, নির্ধারিত পরিমাণে, হারে ও পন্থায় মূলধন সংরক্ষণ করিতে হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে, বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহকে এই ধারার বিধান হইতে অব্যাহতি দিতে পারিবে।
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘মূলধন’’ বলিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময়ে সময়ে, জারীকৃত মূলধন সংরক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালায় যে সকল উপাদানকে মূলধন বলিয়া নির্দিষ্ট করা হইবে সেই সকল উপাদানকে বুঝাইবে।
(২) 3[পরিশোধিত মূলধন], শেয়ার প্রিমিয়ামসহ সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংসে এর সমষ্টি, এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত পরিমাণের কমপক্ষে সমান সংরক্ষিত না হইলে এই আইন কার্যকর হইবার পর হইতে, বিদ্যমান কোন ব্যাংক-কোম্পানী, একাদিক্রমে অনুরূপ সংরক্ষণে ব্যর্থতার ২ (দুই) বৎসর অতিবাহিত হইবার পর, বাংলাদেশে উহার ব্যবসা পরিচালনা করিবে নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক সমীচীন মনে করিলে বিশেষ ক্ষেত্রে উল্লিখিত মেয়াদ অনধিক ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারিবে।]
4[(৩) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধিত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে উক্ত ব্যাংক কোম্পানী নগদে বা দায়হীন অনুমোদিত সম্পত্তি নিদর্শনপত্রে অথবা আংশিক নগদে ও আংশিক অনুরূপ নিদর্শনপত্রে অথবা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন সম্পদে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট 5[উক্ত অর্থ জমা না রাখিলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (২) এর] বিধান পালন করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না :
তবে আরও শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশের বাহির হইতে তহবিল 6[আনয়ন] করিয়া বা বাংলাদেশের আমানত হইতে অর্জিত বিদেশে প্রেরণযোগ্য মুনাফা দ্বারা আহরিত সম্পদে উক্ত অর্থ জমা রাখিতে হইবে।]
(৪) [ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে বিলুপ্ত৷]
(৫) যদি কোন কারণে বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার ব্যাংক-ব্যবসা বাংলাদেশে বন্ধ করিয়া দেয়, তাহা হইলে উপ-ধারা (৪) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট উক্ত ব্যাংক কর্তৃক জমাকৃত অর্থ উহার সম্পদ বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত ব্যাংকের বাংলাদেশস্থ পাওনাদারদের পাওনা উক্ত অর্থের উপর প্রথম দায় হইবে।
(৬) 7[কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক সংরক্ষিতব্য বা সংরক্ষিত মূলধনের পরিমাণ বা উপাদান ইত্যাদি] নির্ধারণের বিষয়ে কোন বিরোধ দেখা দিলে তত্সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
8[(৭) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (১) মোতাবেক আবশ্যক পরিমাণে, হারে ও পন্থায় মূলধন সংরক্ষণ করিতে ব্যর্থ হইয়াছে তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীকে অনধিক ১ (এক) বৎসরের মধ্যে উক্ত ঘাটতি পূরণের নির্দেশ দিতে পারিবে এবং এইরূপ নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ব্যর্থতা অব্যাহত থাকিলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর বিরুদ্ধে নিম্নবর্ণিত যে কোন অথবা সকল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) নির্দিষ্ট মেয়াদে বা অনুরূপ ঘাটতি পূরণের পূর্ব পর্যন্ত উক্ত ব্যাংক কর্তৃক নূতন আমানত গ্রহণ নিষিদ্ধ করা;
(খ) নির্দিষ্ট মেয়াদে বা অনুরূপ ঘাটতি পূরণের পূর্ব পর্যন্ত উক্ত ব্যাংক কর্তৃক নূতন ঋণ ও অগ্রিম প্রদান নিষিদ্ধ করা;
(গ) উক্ত ব্যর্থতার জন্য সর্বনিম্ন বিশ লক্ষ টাকা হইতে অনূর্ধ্ব এক কোটি টাকা জরিমানা আরোপ এবং যদি উক্ত লংঘন অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে উক্ত লংঘনের প্রথম দিনের পর প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ; এবং
(ঘ) এই আইনের অধীন অন্যান্য শাস্তি বা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।]
9[ব্যাখ্যা- এই ধারায় “ঝুঁকি-ভিত্তিক মূলধন” বলিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সম্পদের ভারিত (Weighted) ঝুঁকির ভিত্তিতে নিরূপিত মোট সম্পদের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হারে রক্ষিতব্য মূলধনকে বুঝাইবে৷]