প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১

( ১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন )

1[ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহিত লেনদেন সম্পর্কিত বিধান।]
১৮৷ (১) অন্য কোন আইন বা সংঘ স্মারকে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় অংশ গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ফিস বা ব্যাংকের ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হওয়ার কারণে পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের দ্বারা তাঁহার উপর আরোপিত কোন বিশেষ দায়িত্ব পালনের জন্য পর্ষদ কর্তৃক স্থিরিকৃত অর্থ ব্যতীত ব্যাংক হইতে আর্থিক বা অন্য কোন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করিবেন না৷
 
 
2[(২) ব্যাংক-কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী ও তাহার নিম্নতর দুইস্তর পর্যন্ত কোন কর্মকর্তাকে স্ব স্ব বাণিজ্যিক, আর্থিক, কৃষি, শিল্প এবং অন্যান্য ব্যবসার নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য বিবরণ এবং পারিবারিক ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্টতার বিবরণ লিখিতভাবে পরিচালনা পর্ষদের নিকট বাৎসরিক ভিত্তিতে প্রদান করিতে হইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত কোন ব্যক্তি কর্তৃক উক্তরূপ ব্যবসায়িক স্বার্থের বিবরণ প্রদান ছাড়াও, তাহার সহিত যদি এইরূপ কোন ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক থাকে, যিনি ব্যাংক-কোম্পানীর সাথে কোন উল্লেখযোগ্য চুক্তিতে আবদ্ধ কিংবা আবদ্ধ হইতে যাইতেছেন, তাহা হইলে উক্ত চুক্তি অথবা প্রস্তাবিত চুক্তি গোচরে আসিবামাত্র লিখিতভাবে পরিচালনা পর্ষদকে অবহিত করিতে হইবে।
 
 
(৪) কোন পরিচালকের এই ধারার অধীন ঘোষণাযোগ্য তথ্য রহিয়াছে এইরূপ কোন বিষয় যদি পরিচালনা পর্ষদের সভায় আলোচিতব্য থাকে তাহা হইলে সভার শুরুতেই উক্ত পরিচালক বিষয়টি সম্পর্কে পর্ষদকে অবহিত করিবেন এবং অতঃপর তিনি উক্ত বিষয়ক আলোচনায় অংশগ্রহণ করা হইতে অথবা এই বিষয়ে কোন ভোট প্রদানে বিরত থাকিবেন এবং তাহার উপস্থিতি উক্ত সভার কোরামের জন্য গননা করা যাইবে না।
 
 
(৫) স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্বত্বের মূল্যমান, আকার কিংবা আয় অর্জনের পরিমাণ ইত্যাদির ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত বিবরণী হইতে কোন উপাদান বাদ দিতে পারিবে এবং উপ-ধারার (৩) এ উল্লিখিত সম্পর্ক বিষয়ে বিধান জারী করিতে পারিবে।
 
 
(৬) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) ও (২) এর বিধান অনুযায়ী স্বার্থসংশ্লিষ্টতার বিবরণী প্রদান বা কোন গুরুত্ববপূর্ণ সম্পর্ক প্রকাশ করিতে ব্যর্থ হন তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার কোন শেয়ারধারক অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনক্রমে কোন যথাযথ ক্ষমতাসম্পন্ন আদালত আলোচ্য চুক্তিটি, যদি থাকে, বাতিল ঘোষণা করিতে পারিবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিত আদেশ দ্বারা, ১ (এক) বৎসরের অধিক নয় এমন যে কোন সময়ের জন্য, উক্ত ব্যক্তিকে সাময়িক বরখাস্ত করিতে অথবা এই আইনের অধীনে অন্য কোন শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে।’’;
 
 
(৭) উপ-ধারা (১) এর আওতায় বিবরণী প্রদানকারী কোন ব্যক্তি এবং ব্যাংক-কোম্পানীর কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ব্যাংকের আস্থাভাজন ও অনুগত থাকিবেন এবং স্বীয় স্বার্থের উপরে আমানতকারীদের স্বার্থ এবং ব্যাংক-কোম্পানীর স্বার্থকে স্থান দিবেন।
 
 
(৮) ব্যাংক-কোম্পানী এইরূপ কার্যপদ্ধতি প্রবর্তন করিবে যাহাতে কোন পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কোন একজন গ্রাহকের প্রতি দায়-দায়িত্ব অপর কোন গ্রাহক স্বীয় স্বার্থের সাথে সাংঘর্ষিক না হয়।]

  • 1
    উপান্ত-টীকা ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৯(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    উপ-ধারা (২), (৩), (৪), (৫), (৬), (৭) এবং (৮) উপ-ধারা (২) এর পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ১৯(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs