সংরক্ষিত নগদ তহবিল
২৫৷ [(১) তফসিলি ব্যাংক ব্যতীত প্রতিটি ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশে সংরক্ষিত নগদ তহবিল হিসাবে এই পরিমাণ নগদ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক বা উহার প্রতিনিধিত্বকারী ব্যাংকে মওজুদ রাখিবে যাহা যে কোন কার্যদিবসের সমাপ্তিতে উহার সমুদয় মেয়াদী ও চাহিবামাত্র দায়ের বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত হারের কম হইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন বিশেষ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এবং উহাতে এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, সংরক্ষিত নগদ তহবিল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তা রহিত করিতে পারিবে।
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিশোধিত মূলধন, বা সংরক্ষিত সঞ্চিতিসমূহ বা লাভ-ক্ষতির হিসাবে প্রদর্শিত আকলন স্থিতি, বা বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে গৃহীত কোন ঋণ, ‘‘দায়’’ এর অন্তর্ভুক্ত হইবে না।]
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান মোতাবেক [সংরক্ষিত নগদ তহবিল] সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক যখন কোন তথ্য তলব করিবে, তফসিলী ব্যাংক ব্যতীত প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী সেই তথ্য সম্বলিত একটি বিবরণী উক্ত কোম্পানীর দুইজন কর্মকর্তার স্বাতগরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে৷
(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (২) এর বিধান মোতাবেক বিবরণী দাখিল করিতে ব্যর্থ হইলে উক্ত ব্যর্থতার প্রতি দিনের জন্য উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনূর্ধ্ব [পঁচিশ হাজার টাকা] পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে৷
(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত বিবরণী হইতে যদি দেখা যায় যে, উহা দাখিল করিবার নির্ধারিত তারিখের পূর্বের যে কোন দিবসের কাজের সমাপ্তিতে বিবরণ দাখিলকারী ব্যাংক-কোম্পানী মওজুদ অর্থ উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত ন্যুনতম নগদ অর্থ অপেতগা কম ছিল, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত কোম্পানীকে উক্ত ঘাটতির উপর উহাকে ব্যাংক রেট অপেতগা ৩% ভাগ বেশী হারে উক্ত দিবসের জন্য জরিমানামূলক সুদ প্রদানের জন্য আদেশ দিতে পারিবে, এবং অনুরূপ পরবর্তী কোন বিবরণী হইতেও যদি দেখা যায় যে, উহা দাখিলের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্বের যে কোন দিবসের কাজের সমাপ্তিতেও উক্ত কোম্পানীর মওজুদ অর্থ উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত ন্যুনতম নগদ অর্থ অপেতগা কম ছিল, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত কোম্পানীকে উক্ত ঘাটতির উপর উহাকে ব্যাংক রেট অপেতগা ৫% বেশী হারে দিনগুলির জন্য জরিমানামূলক সুদ প্রদানের আদেশ দিতে পারিবে৷
(৫) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক দাখিলকৃত বিবরণীর ভিত্তিতে উপ-ধারা (৪) এর অধীন যদি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক ব্যাংক রেটের উপর শতকরা ৫% ভাগ বেশী হারে জরিমানামূলক সুদ প্রদেয় হয়, এবং তত্পরবর্তী বিবরণী হইতে যদি দেখা যায় যে, উহার নিকট উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত ন্যুনতম নগদ অর্থ অপেতগা কম অর্থ আছে তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক তত্কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ হইতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে নূতন আমানত গ্রহণ না করার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশ অমান্য করিয়া কোন আমানত গৃহীত হইলে আমানত গ্রহণের প্রত্যেক তারিখের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে, উহাকে প্রদেয় অনূর্ধ [পঞ্চাশ হাজার টাকা] পর্যন্ত জরিমানা করিতে পারিবে৷
(৬) এই ধারার অধীন আরোপিত কোন জরিমানা, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদায় করিতে হইবে এবং উক্ত সময়ের মধ্যে যদি উহা আদায় করা না হয় তাহা হইলে উহা সরকারী দাবী (public demand) হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে৷