বাংলাদেশের অভ্যন্তরস্থ সম্পদ
৩৪৷ (১) যে কোন কার্য দিবসের সমাপ্তিতে প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানীর বাংলাদেশের অভ্যন্ত্মরস্থ সম্পদের মূল্য বাংলাদেশের অভ্যন্ত্মরে উহার বিদ্যমান মেয়াদী ও চাহিবামাত্র দায়ের সেই পরিমাণ অপেত্মগা কম থাকিবে না যাহা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, নির্ধারিত [শতাংশ] কোন অবস্থাতেই উক্ত দায়ের ৮০% এর বেশী হইবে না৷
(২) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী, প্রতিটি মাস শেষ হইবার পূর্বে, উহার পূর্ববর্তী মাসের একটি বিবরণী, যাহাতে নিম্নলিখিত তথ্যাদি থাকিবে, নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে, যথা:-
(ক) এই ধারা মোতাবেক উহার সংরক্ষিত সম্পদ;
(খ) মাসের প্রতি বৃহস্পতিবারের সমাপ্তিতে এবং কোন বৃহস্পতিবার
Negotiable Instruments Act, 1881 (XXVI of 1881) এর অধীনে সরকারী ছুটির দিন থাকিলে, উহার পূর্ববর্তী কার্যদিবসের সমাপ্তিতে, বাংলাদেশের অভ্যন্ত্মরে উহার মেয়াদী ও চাহিবামাত্র দায়৷
(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে-
(ক) নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিল বা জামানত বাংলাদেশের বাহিরে ধারণকৃত হওয়া সত্বেও উহা বাংলাদেশের অভ্যন্ত্মরস্থ সম্পদ বলিয়া গণ্য হইবে, যদি-
(অ) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত মুদ্রায় কোন রপ্তানী বিল বাংলাদেশে দাবীকৃত হয় বা কোন আমদানী বিল বাংলাদেশে দাবীকৃত ও পরিশোধযোগ্য হয়; এবং
(আ) কোন সম্পত্তি-নিদর্শন-পত্র বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত হয়:
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে কোন সম্পদকে যদি যথার্থ অর্থে সম্পদ বলিয়া গণ্য করা না যায়, তাহা হইলে উহা উক্তরূপ সম্পদ বলিয়া গণ্য হইবে না৷
[(খ) ‘‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দায়’’ অর্থে আদায়কৃত মূলধন ও সংরক্ষিত সঞ্চিতিসমূহ বা ব্যাংক-কোম্পানীর লাভ-ক্ষতির হিসাবে উল্লিখিত আকলন স্থিতি অন্তর্ভুক্ত হইবে না।]