প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১

( ১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন )

অদাবীকৃত আমানত এবং মূল্যবান সামগ্রী
৩৫৷ (১) যেক্ষেত্রে-
 
 
(ক) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন বাংলাদেশী শাখায় সরকার, নাবালক বা আদালতের অর্থ ব্যতীত অন্য কাহারো 1[***] পরিশোধযোগ্য অর্থের ব্যাপারে নিম্ন উল্লিখিত তারিখ হইতে দশ বৎসর পর্যন্ত যোগাযোগ করা না হয়, যথা :-
 
 
(অ) নির্দিষ্ট মেয়াদী আমানতের ক্ষেত্রে, উক্ত মেয়াদ অতিক্রান্ত হইবার তারিখ হইতে, এবং
 
 
(আ) অন্য কোন আমানতের ক্ষেত্রে, সর্বশেষ লেনদেন বা হিসাব বিবরণীর সর্বশেষ প্রাপ্তি স্বীকার বা উক্ত বিবরণীর জন্য সর্বশেষ অনুরোধের তারিখ হইতে; বা
 
 
(খ) কোন আমানতের উপর প্রদেয় ডিভিডেন্ড, বোনাস, লাভ বা পরিশোধযোগ্য অন্য কোন অর্থ যে তারিখে প্রদানযোগ্য বা দাবীযোগ্য হয় সে তারিখ হইতে দশ বত্সর পর্যন্ত্ম অপরিশোধকৃত থাকে, বা দাবী করা না হয়;বা
 
 
(গ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর এক শাখা কর্তৃক উহার অন্য শাখার নিকট 2[***] পরিশোধযোগ্য চেক, ড্রাফ্‌ট বা বিনিময় দলিল, প্রেরণ করা হইলে, উক্ত চেক, ড্রাফ্‌ট বা দলিল ইস্যু, প্রত্যয়ন বা গ্রহণ করার তারিখ হইতে দশ বত্সর পর্যন্ত উহাদের বাবদ অর্থ প্রদান না করা হয়; বা
 
 
(ঘ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরাপদ জিম্মায় রক্ষিত অনুমোদিত সম্পত্তি-নিদর্শন-পত্র, শেয়ার, পণ্য বা কোন মূল্যবান সামগ্রী, অতঃপর যৌথভাবে এবং এককভাবে মূল্যবান সামগ্রী বলিয়া উল্লিখিত, আমানতকারী কর্তৃক সর্বশেষ পরিদর্শন বা স্বীকৃতি প্রদানের তারিখ হইতে দশ বত্সর পর্যন্ত্ম পরিদর্শিত বা স্বীকৃত না হয়;
 
 
সেই ক্ষেত্রে উক্ত অর্থ, চেক, ড্রাফ্‌ট বা বিনিময় দলিলের পাওনাদার বা পাওনাদারের পত্মেগ কোন ব্যক্তিকে এবং মূল্যবান সামগ্রীর আমানতকারীকে তাঁহার দেওয়া বা প্রেরিত সর্বশেষ ঠিকানায় প্রেরিত ব্যাংক-কোম্পানীর প্রাপ্তি স্বীকার রশিদসহ রেজিষ্ট্রিকৃত ডাকযোগে তিন মাসের লিখিত নোটিশ প্রেরণ করিবে3[;
 
 
ড্রাফট বা বিনিময় দলিলের পাওনাদারের ঠিকানা পাওয়া না গেলে আবেদনকারীর ঠিকানায় অনুরূপ নোটিস প্রেরণ করিবে।]
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত নোটিশ প্রেরণের তিনমাস অতিক্রান্ত্ম হওয়ার পরেও যদি উহার প্রাপ্তি স্বীকার পত্র বা কোন উত্তর না আসে, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী, ক্ষেত্রমত, নিম্নরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে, যথা :-(ক)
 
 
উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত অর্থের ত্মেগত্রে সুদসহ উক্ত অর্থের সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক-কে প্রদান করিবে;
 
 
(খ) উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত চেক, ড্রাফ্‌ট বা বিনিময় দলিলের ক্ষেত্রে, উহা উপস্থাপিত হইলে যে পরিমাণ অর্থ, সুদ থাকিলে তাহাসহ, উক্ত ব্যাংক কর্তৃক প্রদেয় হইত, সেই পরিমাণ অর্থ ও সুদ বাংলাদেশ ব্যাংক-কে প্রদান করিবে;
 
 
(গ) উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত মূল্যবান সামগ্রীর ক্ষেত্রে, উহা যে দেনা, দলিল বা ব্যবস্থাধীনে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর জিম্মায় রক্ষিত আছে সেই দেনা, দলিল বা ব্যবস্থার শর্ত মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট হস্তান্তর করিবে; এবং অনুরূপভাবে প্রদান বা হস্তান্তরের পর উক্ত অর্থ, চেক, ড্রাফ্‌ট বা বিনিময় দলিল বা মূল্যবান সামগ্রী সম্পর্কে উক্ত কোম্পানীর আর কোন দায় দায়িত্ব থাকিবে না৷
 
 
4[(ঘ) বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা প্রদানের পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী তাহাদের ওয়েবসাইটে প্রেরিত অদাবীকৃত আমানত ও মূল্যবান সামগ্রীর তালিকা ১ (এক) বৎসর যাবৎ প্রকাশ করিবে।]
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রদেয় নোটিশ,-
 
 
(ক) কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, উহার যে কোন সদস্য বা ম্যানেজারের নিকট, কোন হিন্দু যৌথ পরিবারের ক্ষেত্রে, উহার কোন প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যের নিকট, এবং ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত অন্য কোন সমিতির ক্ষেত্রে, উহার মূখ্য কর্মকর্তার নিকট, প্রেরণ করা যাইবে;
 
 
(খ) উহার প্রাপক কর্তৃক যথাযথভাবে ক্ষমতা প্রদত্ত প্রতিনিধকে বা, উক্ত প্রাপক মৃত হইলে, তাঁহার বৈধ প্রতিনিধকে, বা উক্ত প্রাপক দেউলিয়া ঘোষিত হইয়া থাকিলে, তাঁহার স্বত্ব-নিয়োগীকে, প্রদান করা যাইবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, প্রাপক কর্তৃক প্রতিনিধি নিয়োগের বা প্রাপকের মৃত্যু বা তাঁহার দেউলিয়া ঘোষিত হইবার বিষয়টি ব্যাংক-কোম্পানীর গোচরে থাকিতে হইবে;
 
 
(গ) চেক বা ড্রাফ্‌ট বা বিনিময় বিলের যুগ্ম-পাওনাদার বা একাধিক সুবিধা প্রাপক থাকিলে, বা মূল্যবান সামগ্রী একাধিক ব্যক্তির নামে রক্ষিত থাকিলে, তাঁহাদের যে কোন একজনকে প্রদান করা হইলে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রদান করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
(ঘ) উহার খাম বা আবরণীটিতে যথাযথভাবে প্রাপকের ঠিকানা লিখিত, ডাক-টিকেট লাগানো এবং উহা ডাক বাক্সে ফেলা হইয়া থাকিলে, উক্ত নোটিশ অন্য কোন ব্যক্তির নিকট পৌঁছানো সত্বেও অথবা উহার প্রাপকের মৃত্যু, মস্ত্মিস্ক-বিকৃতি, বা দেউলিয়া হওয়া সত্বেও, যদি ব্যাংক-কোম্পানী উক্ত বিষয়ে নোটিশ প্রদানের পূর্বে অবহিত না হইয়া থাকে, অথবা নোটিশ সম্বলিত উক্ত খামটি বা আবরণীটি ডাক বিভাগ কর্তৃক “প্রাপককে পাওয়া গেল না” এই মর্মে বা অনুরূপ অন্য কোন মর্মে কোন বিবৃতি লিপিবদ্ধ হওয়া সত্বেও, উক্ত খাম বা আবরণী যে তারিখে ডাক বাক্সে ফেলা হইয়াছিল সেই তারিখের পর হইতে পনর দিন পরে, উক্ত নোটিশ যথাযথভাবে জারী হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
(৪) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পত্মেগ লিখিত কোন চিঠির উপর ঠিকানা লেখা, ডাক টিকিট লাগানো এবং উহা ডাকযোগে প্রেরণের জন্য দায়িত্বসম্পন্ন কর্মচারীর দস্ত্মখতে যদি এই মর্মে প্রত্যয়ন থাকে যে, উপধারা (১) এর অধীন প্রদেয় নোটিশ সম্বলিত খামে বা আবরণীটিতে যথাযথভাবে ঠিকানা লেখা বা ডাক টিকিট লাগানো হওয়ার পর উহা ডাক বাক্সে ফেলা হইয়াছে, তাহা হইলে অনুরূপ প্রত্যয়ন উক্ত নোটিশ প্রদানের বিষয়ে চূড়ান্ত্ম সাত্মগ্য হিসাবে গণ্য হইবে৷
 
 
(৫) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংক-কে উপ-ধারা (২) এর অধীনে অর্থ প্রদানের সংগে সংগে, সংশ্লিষ্ট ঋণের শর্তাবলীতে বা কোন দলিলে বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্বেও, উক্ত অর্থের উপর কোন সুদ প্রদেয় বা লাভ-ক্ষতি গণনা করা হইবে না৷
 
 
(৬) কোন ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংক-কে উপ-ধারা (২) এর অধীনে কোন অর্থ প্রদান বা দলিল বা মূল্যবান সামগ্রী হস্ত্মান্ত্মরের পর উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী এতদ্‌সংক্রান্ত্ম স্বাক্ষর কার্ড, স্বাক্ষরের কর্তৃত্ব সম্পর্কিত দলিল এবং অন্যান্য দলিল সংরক্ষণ করিবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে অনুরূপ সংরক্ষণের প্রয়োজন নাই বলিয়া না জানানো পর্যন্ত্ম উহাদিগকে অব্যাহতভাবে সংরক্ষণ করিবে৷
 
 
(৭) Limitation Act, 1908 (IX of 1908) বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনের কোন কিছুই বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর দায় ক্ষুণ্ন করিবে না৷
 
 
(৮) উপ-ধারা (১) অনুসারে, গণনা করিয়া দশ বত্সর অতিবাহিত হইবার পর যে সব দাবীহীন অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী অপরিশোধিত, বা ক্ষেত্রমত, অফেরত্ অবস্থায় কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিকট থাকে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী, প্রত্যেক পঞ্জিকা বত্সর শেষ হইবার ত্রিশ দিনের মধ্যে, বিধিদ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে, সেই সকল অর্থ বা সামগ্রীর একটি বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে৷
 
 
(৯) উপ-ধারা (২) এর অধীনে যে সকল অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত হইবে, উহাদের একটি তালিকা উক্ত ব্যাংক, সরকারী গেজেটে এবং অন্যুন দুইটি দৈনিক পত্রিকায়, প্রতি তিন মাসে একবার করিয়া 5[অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে] এক বত্সর ধরিয়া প্রকাশ করিবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক যদি এই মর্মে সিদ্ধান্ত্ম গৃহীত হয় যে, তত্কর্তৃক নির্ধারণকৃত কোন অর্থ বা মূল্যবান সামগ্রীর জন্য তালিকা প্রকাশ করার প্রয়োজন নাই, তাহা হইলে অনুরূপ দাবীহীন অর্থ বা সামগ্রীর জন্য তালিকা প্রকাশ করার প্রয়োজন হইবে না৷
 
 
(১০) যে ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন অর্থ বা মূল্যবান সামগ্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট জমা রাখে সেই ব্যাংক-কোম্পানী, অনুরূপভাবে জমা রাখিবার পর হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের উক্ত অর্থ বা সামগ্রীর উপর পূর্বস্বত্ব বা পাল্টাদাবী বা উহাকে পৃথক করিয়া রাখার দাবী করিতে পারে৷
 
 
(১১) উপ-ধারা (২) এর অধীন জমাকৃত অর্থ বা হস্ত্মান্ত্মরিত মূল্যবান সামগ্রীর অধিকারী বলিয়া কোন ব্যক্তি দাবী করিলে তিনি তাঁহার দাবী বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট উপস্থাপন করিতে পারিবেন৷
 
 
(১২) উপ-ধারা (১০), (১৩) ও (১৫) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, উপ-ধারা (১০) ও উপ-ধারা (১১) এর অধীন উপস্থাপিত দাবীর উপর বাংলাদেশ ব্যাংক তত্কর্তৃক সমীচীন বলিয়া বিবেচিত আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, এবং উপ-ধারা (১১) এর অধীন উত্থাপিত কোন দাবীর প্রেত্মিগতে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন অর্থ প্রদান বা মূল্যবান সামগ্রী বিলি করিলে উহার গ্রহীতার প্রাপ্তি রশিদ ঐ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব মোচন করিবে৷
 
 
(১৩) বাংলাদেশ ব্যাংকে উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত অর্থ বা হস্তান্তরিত মূল্যবান সামগ্রী সম্পর্কে অনুরূপ প্রদান বা হস্তান্তরের পর হইতে 6[দুই বৎসরের] মধ্যে যদি কোন বিরোধ কোন আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় থাকে এবং উক্ত বিরোধ সম্পর্কে আদালত হইতে বা অন্য কোন সূত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক অবহিত হয়, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত অর্থ বা সামগ্রী নিজের তত্বাবধানে রাখিবে এবং আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উহার বিলি বন্দোবস্ত করিবে৷
 
 
(১৪) উপ-ধারা (১০), (১৩) এবং (১৫) এর বিধান সাপেক্ষে, উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত অর্থ বা হস্তান্তরিত মূল্যবান সামগ্রী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পর হইতে 7[দুই] বত্সরের মধ্যে উক্ত অর্থ বা সামগ্রী সম্পর্কে যদি কোন দাবী উত্থাপতি না হয় বা কোন তরফ হইতে বাংলাদেশ ব্যাংক-কে অবহিত করা না হয়, তাহা হইলে উক্ত 8[দুই] বত্সর অতিবাহিত হইবার পর হইতে উক্ত অর্থ বা সামগ্রীর উপর কাহারো কোন দাবী থাকিবে না এবং উহা সরকারের সম্পত্তি হইবে এবং সরকারের উপর উহা ন্যস্ত হইবে৷
 
 
9[(১৫) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক চেক, ড্রাফট বা বিনিময় বিলের কোন পাওনাদার বা সুবিধা প্রাপককে বা যে ব্যক্তির নামে কোন মূল্যবান সামগ্রী রহিয়াছে সেই ব্যক্তিকে নোটিস প্রদানের সম্পর্কে উপ-ধারা (১) এ বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অদাবীকৃত অর্থ বা মূল্যবান সামগ্রীর তালিকা প্রকাশ সম্পর্কে উপ-ধারা (৯) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আপাততঃ বাংলাদেশে বসবাস না করার ক্ষেত্রে ও তাহা ব্যাংকের গোচরে থাকিলে, কোন আমানত, দলিল বা মূল্যবান সামগ্রীর বিলি-বন্দোবস্তের ব্যাপারে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি ও নিয়মাবলী অনুসরণ করিতে হইবে।]
 
 
(১৬) উপ-ধারা (২) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক কতৃক গৃহীত কোন অর্থ বা মূল্যবান সামগ্রীর ব্যাপারে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পূর্বস্বত্ব, পাল্টা দাবী বা পৃথক করিয়া রাখার দাবী অনুমোদন, পূরণ বা অন্য কিছু, বা ক্ষেত্রমত, কোন ব্যক্তির অধিকার সম্পর্কিত বিষয়ে উপ-ধারা (১২) মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত্ম চূড়ান্ত্ম হইবে, এবং উক্ত সিদ্ধান্ত্ম সম্পর্কে, উপ-ধারা (১৭) তে বিধৃত পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোনভাবে কোন আদালত, ট্রাইবুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের সম্মুখে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা চলিবে না৷
 
 
(১৭) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক উপ-ধারা (১২) এর অধীন প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত্মের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি উক্ত সিদ্ধান্ত্মের বিরুদ্ধে, সিদ্ধান্ত্ম প্রদানের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে, উক্ত ব্যাংকের গভর্ণর কর্তৃক নির্দিষ্ট কোন কর্মকর্তা, যিনি সিদ্ধান্ত্ম প্রদানকারী কর্মকর্তা অপেক্ষা উচ্চতর পদমর্যাদা সম্পন্ন হইবেন, এর নিকট আপীল দায়ের করিতে পারিবেন৷
 
 
(১৮) উপ-ধারা (১০) বা (১১) এর অধীন উত্থাপিত কোন দাবী বা উপ-ধারা (১৭) এর অধীন দায়েরকৃত কোন আপীল মীমাংসা বা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ ব্যাংক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবে এবং কোন মামলার বিচারের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহে বাংলাদেশ ব্যাংক ঐ সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে যে সকল ক্ষমতা Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908) এর অধীন কোন দেওয়ানী আদালতের রহিয়াছে, যথা :-
 
 
(ক) কোন ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ এবং শপথের মাধ্যমে তাঁহার সাক্ষ্য গ্রহণ;
 
 
10[(খ) প্রামাণিক দলিল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণাদি উপস্থাপনে বাধ্যকরণ;]
 
 
(গ) সাত্মগীর জবানবন্দী গ্রহণের জন্য কমিশন নিয়োগ৷
 
 
(১৯) এই ধারার অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিষ্পত্তিযোগ্য কোন কার্যধারা Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর Section 228 এর বিধান মোতাবেক Judicial proceeding হিসাবে গণ্য হইবে এবং এই ধারার অধীন উক্ত কোন কার্যধারার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর Section 480 এর বিধান মোতাবেক একটি Civil Court হিসাবে গণ্য হইবে৷
 
 
(২০) এই ধারার অধীন কোন কার্যধারায় কোন দলিল দাখিল, প্রদর্শন বা লিপিভুক্ত করার জন্য বা বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে কোন দলিল গ্রহণের জন্য কোন কোর্ট ফি প্রদান করিতে হইবে না৷

  • 1
    ‘‘বাংলাদেশী মুদ্রায়’’ শব্দগুলি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(ক)(অ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 2
    ‘‘বাংলাদেশী মুদ্রায়’’ শব্দগুলি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(ক)(আ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
  • 3
    “;” সেমিকোলন “।“ দাঁড়ির পরিবর্তে এবং অতঃপর “ড্রাফট বা বিনিময় দলিলের পাওনাদারের ঠিকানা পাওয়া না গেলে আবেদনকারীর ঠিকানায় অনুরূপ নোটিস প্রেরণ করিবে।” শব্দগুলি ও দাঁড়ি ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(ক)(ই) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 4
    দফা (ঘ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 5
    ‘‘অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে’’ শব্দগুলি ‘‘একবার করিয়া’’ শব্দগুলির পর ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(গ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 6
    ‘‘দুই বৎসরের’’ শব্দগুলি ‘‘এক বছরের’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 7
    ‘‘দুই’’ শব্দটি ‘‘এক’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(ঙ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 8
    ‘‘দুই’’ শব্দটি ‘‘এক’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(ঙ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 9
    উপ-ধারা (১৫) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(চ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 10
    দফা (খ) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৬(ছ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs