প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১

( ১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন )

1[আর্থিক প্রতিবেদন বা বিবরণী]

৩৮৷ (১) বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী কোন 2[ইংরেজী পঞ্জিকা বৎসর] অতিবাহিত হইবার পর উক্ত বত্সরে উহা, বা উহার শাখা কর্তৃক, কৃত ব্যবসা সম্পর্কে একটি ব্যালেন্সসীট ও লাভ-ত্মগতির হিসাব এবং আর্থিক প্রতিবেদন বত্সরের শেষ কার্যদিবসে যেভাবে দাঁড়ায় সেইভাবে প্রথম তফসিলের ফরমে, যতদূর সম্ভব, প্রস্তুত করিবে৷

 

3[(১ক) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন ব্যাংকিং কোম্পানীর কর্তব্য হইবে উক্ত আইনের ধারা ৪০ এর বিধান অনুযায়ী প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড এবং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে প্রস্ত্ততকৃত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি উপস্থাপন করা।

 
 

(১খ) বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর রেজিস্ট্রার ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত ‘জনস্বার্থ সংস্থা’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উপস্থাপিত আর্থিক বিবরণী বা অনুরূপ বিবরণী বা প্রতিবেদন গ্রহণ করিবেন না, যদি না উহা তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ উপস্থাপিত হয়।]

 
 
 

(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যালেন্সসীট, লাভ-ক্ষতির হিসাব এবং আর্থিক প্রতিবেদন-

 
 

(ক) বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উহার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বা প্রধান কর্মকর্তা এবং উহার পরিচালকের সংখ্যা তিনজনের বেশী হইলে, অন্যুন তিনজন পরিচালক, এবং তিনজন হইলে, সকল পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে;

 
 

(খ) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উহার বাংলাদেশস্থ প্রধান কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক বা প্রতিনিধি এবং উক্ত ব্যবস্থাপক বা প্রতিনিধি হইতে পরবর্তী নীচের অন্য একজন কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে৷

 
 

(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যালেন্সশীট, এবং লাভ-ত্মগতির হিসাব এবং আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল সম্পর্কে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ফরমটি কোম্পানী আইনের 4[তফসিল-১১] হইতে ভিন্নতর হওয়া সত্বেও, উক্ত ব্যালেন্সশীট, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও আর্থিক প্রতিবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে, উক্ত আইনের বিধানাবলীর ততটুকু প্রযোজ্য হইবে যতটুকু এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সংগতিপূর্ণ হয়৷

 
 

(৪) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম তফসিলের 5[ফরম ও নির্দেশনাসমূহ] সংশোধন করিতে পারিবে :

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ সংশোধনের অন্যুন তিন মাস পূর্বে উক্তরূপ সংশোধনের ইচ্ছা প্রকাশ করিয়া সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারী করিতে হইবে৷

 
 

6[***]


  • 1
    “আর্থিক প্রতিবেদন বা বিবরণী” উপান্তটীকা “হিসাব ও ব্যালেন্সশীট” উপান্তটীকা এর পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ২৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    ‘‘ইংরেজী পঞ্জিকা বৎসর’’ শব্দগুলি ‘‘অর্থ বৎসর’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৯(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 3
    উপ-ধারা (১ক) ও (১খ) ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ৬০ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 4
    “তফসিল-১১” শব্দ ও সংখ্যাটি “Third Schedule এর ফরম E” শব্দগুলি ও বর্ণটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 5
    ‘‘ফরম ও নির্দেশনাসমূহ’’ শব্দগুলি ‘‘ফরমসমূহ’’ শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৯(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 6
    ব্যাখ্যা ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৩৯(গ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs