সাময়িকভাবে ব্যবসা বন্ধ রাখা
৬৪৷ (১) সাময়িকভাবে দায় পরিশোধে অক্ষম কোন ব্যাংক-কোম্পানীর আবেদনক্রমে, হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত কোম্পানীর বিরুদ্ধে সকল [সকল আইনগত কার্যধারা], তত্কর্তৃক নির্ধারিত শর্তাধীনে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত রাখার আদেশ দিতে পারিবে, যাহার একটি অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে, এবং হাইকোর্ট বিভাগ সময় সময় উক্ত সময়সীমা বর্ধিত করিতে পারিবে৷ কিন্তু এই বর্ধিত সময়ের মেয়াদ সর্বমোট ছয় মাসের অধিক হইবে না৷
(২) আবেদনকারী ব্যাংক-কোম্পানী উহার দেনা পরিশোধ করিতে পারিবে এই মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত একটি রিপোর্ট আবেদনপত্রের সহিত সংযোজিত না হইলে উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হইবে না :
তবে শর্ত থাকে যে, আবেদনপত্রের সহিত উক্তরূপ রিপোর্ট সংযোজিত না থাকিলেও হাইকোর্ট বিভাগ, যথাযথ কারণ থাকিলে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে এই ধারার অধীন প্রতিকার প্রদান করিতে পারিবে এবং এইরূপ প্রতিকার প্রদান করা হইলে, হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবস্থা সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে একটি রিপোর্ট তলব করিবে, এবং উক্ত রিপোর্ট প্রাপ্তির পর হাইকোর্ট বিভাগ উহার আদেশ বাতিল করিতে পারিবে বা অন্য কোন যথাযথ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন আবেদনপত্র দাখিল করা হইলে, হাইকোর্ট বিভাগ একজন বিশেষ কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে, এবং আবেদনকারী ব্যাংক-কোম্পানী যে সকল সম্পদ, বহি, দলিল, মালামাল এবং আদায়যোগ্য দাবীর অধিকারী বা অধিকারী বলিয়া ধারণা করা হয়, সেসব কিছুই উক্ত কর্মকর্তা তত্ত্মগণাত্ নিজের তত্ত্বাবধানে বা নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করিবেন, এবং উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর আমানতকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করিয়া হাইকোর্ট বিভাগ অন্য যে ত্মগমতা তাঁহাকে অর্পণ করিবে সেই ত্মগমতাও তিনি প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷
(৪) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আদেশ প্রদান করা হয় এবং যদি বাংলাদেশ ব্যাংক এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত ব্যাংকের কার্যকলাপ উহার আমানতকারীগণের স্বার্থবিরোধী পদ্ধতিতে পরিচালিত হইতেছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আবেদন করিতে পারিবে এবং এইরূপ আবেদনপত্র দাখিল করা হইলে, হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত উপ-ধারার অধীন প্রদত্ত স্থগিত আদেশের মেয়াদ আর বর্ধিত করিবে না৷