প্রিন্ট ভিউ

[সেকশন সূচি]

ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১

( ১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন )

দেনাদারগণের তালিকা
৮১৷ (১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন, অতঃপর বিধৃত পদ্ধতিতে হাইকোর্ট বিভাগ অবসায়নাধীন ব্যাংক-কোম্পানীর দেনাদারগণের তালিকা চূড়ান্ত করিতে পারিবে৷
 
 
(২) ধারা ১২০ এর অধীন প্রণীত বিধি সাপেক্ষে, অবসায়ন আদেশ প্রদানের বা এই আইন প্রবর্তনের তারিখের মধ্যে যে তারিখ পরবর্তী হয় সেই তারিখ হইতে ছয় মাসের মধ্যে বা হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক বর্ধিত সময়ের মধ্যে সরকারী অবসায়ক, সময় সময়, দ্বিতীয় তফসিলে বিধৃত বিবরণসহ উক্ত দেনাদারগণের তালিকা হাইকোর্ট বিভাগে দাখিল করিবেন৷
 
 
(৩) উপ-ধারার (২) এর অধীন দাখিলকৃত তালিকা প্রাপ্তির পর হাইকোর্ট বিভাগ, প্রয়োজন মনে করিলে, উক্ত তালিকার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সকল ব্যক্তির উপর নোটিশ জারী করিবে, এবং ধারা ৯৭ এর অধীন প্রণীত বিধি মোতাবেক তদন্তের পর দেনাদারগণের তালিকা সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে চূড়ান্ত করিবে৷
 
 
(৪) উক্ত তালিকা চূড়ান্তকরণের সময় হাইকোর্ট বিভাগ প্রত্যেক দেনাদারের 1[নিকট] প্রাপ্য টাকা প্রদানের জন্য আদেশ দিবে এবং জামিনদারের বিরুদ্ধে প্রার্থিত প্রতিকারসহ অন্য কোন প্রতিকার এবং জামানত আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য আদেশও প্রদান করিবে৷
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ, ব্যাংক-কোম্পানী এবং যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদেশ প্রদত্ত হইয়াছে সে ব্যক্তি 2[এবং] উক্ত ব্যক্তির মাধ্যমে বা অধীনে দাবীকারী সকল ব্যক্তির ক্ষেত্রে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপীলের বিধান সাপেক্ষে, চূড়ান্ত হইবে; এবং এইরূপ আদেশ দেওয়ানী মোকদ্দমার ডিক্রী বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
(৬) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের ব্যাপারে হাইকোর্ট বিভাগ একটি সার্টিফিকেট প্রদান করিবে, যাহা ডিক্রী জারীসহ অন্য সকল ক্ষেত্রে ডিক্রির প্রত্যয়নকৃত অবিকল অনুলিপি বলিয়া গণ্য হইবে; এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত বিষয়ের উল্লেখ থাকিবে, যথা :-
 
 
(ক) মঞ্জুরীকৃত প্রতিকার;
 
 
(খ) যে পক্ষের বিরুদ্ধে উক্ত প্রতিকার মঞ্জুর করা হইয়াছে সেই পক্ষের নাম ও অন্যান্য বিবরণ;
 
 
(গ) মঞ্জুরীকৃত খরচের পরিমাণ;
 
 
(ঘ) কোন তহবিল হইতে এবং কাহার দ্বারা ও কি পরিমাণে উক্ত খরচ প্রদান করা হইবে তৎবিষয়;
 
 
(৭) দেনাদারদের তালিকা চূড়ান্ত করার সময় বা উহার পূর্বে বা পরে যে কোন সময় হাইকোর্ট বিভাগের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা থাকিবে, যথা :-
 
 
(ক) সরকারী অবসায়কের আবেদনক্রমে কোন দেনাদারের ব্যাপারে ব্যাংক-কোম্পানীকে জামানত হিসাবে প্রদত্ত কোন সম্পত্তির উদ্ধার, ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ এবং বিক্রির জন্য আদেশ প্রদান;
 
 
(খ) দফা (ক) তে উল্লিখিত আদেশ কার্যকর করার জন্য সরকারী অবসায়ককে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান৷
 
 
(৮) হাইকোর্ট বিভাগ কোন ঋণের ব্যাপারে কোন আপোষ মীমাংসা অনুমোদন করিতে এবং কোন ঋণ কিস্তিতে পরিশোধের আদেশ দিতে পারিবে৷
 
 
(৯) কোন ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে একতরফাভাবে দেনাদারের তালিকা চূড়ান্ত করা হইলে, উক্ত ব্যক্তি, তালিকার চূড়ান্তকরণ আদেশ প্রদানের ত্রিশ দিনের মধ্যে, তালিকার যে অংশের সহিত তিনি সংশ্লিষ্ট সেই অংশ পরিবর্তন করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন; এবং হাইকোর্ট বিভাগ যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, তিনি যথাযথ কারণে তালিকা চূড়ান্তকরণের তারিখে অনুপস্থিত ছিলেন এবং ব্যাংক-কোম্পানীর দাবীর বিরুদ্ধে তাঁহার আত্মপক্ষ সমর্থনের মত পর্যাপ্ত যুক্তি রহিয়াছে, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত তালিকা পরিবর্তন করিতে পারিবে এবং ঐ বিষয়ে, যেরূপ সংগত বলিয়া বিবেচিত হয়, সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, হাইকোর্ট বিভাগ, যথাযথ বিবেচনা করিলে, উক্ত ত্রিশ দিন অতিক্রান্ত হইবার পরেও কোন আবেদন বিবেচনা করিতে পারিবে৷
 
 
(১০) এই ধারার কোন কিছুই-
 
 
3[(ক) এমন কোন ঋণের প্রতি প্রযোজ্য হইবে না যাহা কোন তৃতীয় পক্ষের স্বার্থযুক্ত স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রাখিয়া গৃহীত হইয়াছে; বা]
 
 
(খ) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন কোন আইনের অধীনে ব্যাংক-কোম্পানীর প্রাপ্য ঋণ আদায় করার ব্যাপারে সরকারী অবসায়কের অধিকার ক্ষুণ্ন করিবে না৷

  • 1
    ‘‘নিকট’’ শব্দটি ‘‘দেনাদারের’’ শব্দটির পর ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৫(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 2
    ‘‘এবং’’ শব্দটি ‘‘সে ব্যক্তি’’ শব্দগুলির পর ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৫(খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 3
    দফা (ক) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৫(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs